ব্যাংকের মুনাফার ৩৫.২% পুঁজিবাজার থেকে
সীমিত বাজারে অধিক সংখ্যক ব্যাংক হওয়ায় প্রতিযোগিতার পরিবর্তে অসম প্রতিযোগিতা তৈরি হচ্ছে। আর তীব্র এই প্রতিযোগিতায় পড়ে ব্যাংকগুলোর প্রধান আয় খাত ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে।
ফলে ব্যাংকগুলো শেয়ারবাজারের দিকে (অফ ব্যালেন্সশিট) ঝুঁকছে, যা আবার ব্যাংক খাতের সুষ্ঠু বিকাশের জন্য সহায়ক বলে মনে করছে না বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশে নতুন করে বেসরকারি ব্যাংকের নিবন্ধন বা লাইসেন্স দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কি না, সে বিষয়ে সরকারের কাছে দেওয়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
এদিকে ব্যাংকগুলোর মুনাফার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত বছর অর্থাৎ ২০১০ সালে ব্যাংকগুলোর আয়ের এক-তৃতীয়াংশের বেশি (৩৫ দশমিক ১৭ শতাংশ) এসেছে পুঁজিবাজার থেকে।
এ সময় ব্যাংকগুলোর নিট মুনাফা ছিল আট হাজার ৩৫৭ কোটি ৪২ লাখ টাকা, যার দুই হাজার ৯৩৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকা আয় হয়েছে শেয়ারবাজার থেকে।
শেয়ারবাজার থেকে এই আয়ের মধ্যে বেসরকারি ব্যাংকগুলো আয় করেছে দুই হাজার ৫৫৯ কোটি ৮২ লাখ টাকা, যা কিনা শেয়ারবাজার থেকে মোট আয়ের ৮৭ শতাংশ।
বাকি আয়ের মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চার বাণিজ্যিক ব্যাংক আয় করেছে ২৭২ কোটি ১৭ লাখ টাকা। এ ছাড়া দুটি বিশেষায়িত ব্যাংক ১০৬ কোটি ৯৩ লাখ ও বিদেশি দুটি ব্যাংক ৪২ লাখ টাকা আয় করেছে।
ব্যাংকগুলোর শেয়ারবাজার থেকে এই আয়ের মধ্যে দৈনন্দিন ব্রোকারেজ সেবা দিয়ে আয় হয়েছে ২০২ কোটি ২৪ লাখ টাকা। নিজস্ব তহবিল দিয়ে শেয়ার কেনাবেচা করে আয় করেছে দুই হাজার ৫০৪ কোটি ৮১ লাখ টাকা। আর রক্ষিত শেয়ারের বিপরীতে লভ্যাংশ আয় করেছে ২৩২ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ বেশি হওয়ায় গত বছর ব্যাংক খাত ঝুঁকির মধ্যে পড়েছিল। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ (আইএমএফ) সংশ্লিষ্ট মহলে ব্যাংকের বিনিয়োগ নিয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করা হয় সে সময়।
আবার এই বিনিয়োগ আইনি সীমার মধ্যে নামিয়ে আনতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককেও সমালোচনার মধ্যে পড়তে হয়। রাজনৈতিক ও স্বার্থসংশ্লিষ্টদের চাপে বাংলাদেশ ব্যাংককে পিছু হটতে হয়। অবশ্য শেষ পর্যন্ত ব্যাংকগুলো লাভজনকভাবেই শেয়ারবাজার থেকে বের হতে পেরেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বেসরকারি খাতের এবি ব্যাংক গত বছর শেয়ারবাজার থেকে সর্বাধিক আয় করেছে। ব্যাংকটির শেয়ারবাজার থেকে মোট আয় হয়েছে ৪৭৫ কোটি ১৬ লাখ টাকা। তার পরই রয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক। এই ব্যাংকটি আয় করেছে ৩৬৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। ২২৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা আয় নিয়ে সাউথইস্ট ব্যাংক রয়েছে তৃতীয় স্থানে।
প্রাপ্ত পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যায়, শেয়ারবাজার থেকে পূবালী ব্যাংক আয় করেছে ১৫৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। এ ছাড়া ইস্টার্ন ব্যাংক ১৩৩ কোটি ২০ লাখ, এক্সিম ব্যাংক ১৩০ কোটি ৮৪ লাখ, প্রিমিয়ার ব্যাংক ১২৭ কোটি ৭৩ লাখ, ওয়ান ব্যাংক ১২২ কোটি ৪৮ লাখ, দি সিটি ব্যাংক ১২২ কোটি ৪ লাখ ও ব্র্যাক ১০৭ কোটি ৩৭ লাখ টাকা আয় করেছে।
১০০ কোটি টাকার নিচে তবে ৫০ কোটি টাকার ওপরে আয় করেছে এমন ব্যাংকের মধ্যে ইউসিবিএল ৯৫ কোটি ৭৪ লাখ, শাহজালাল ব্যাংক ৬১ কোটি ৬৪ লাখ, প্রাইম ব্যাংক ৫৮ কোটি ৪৭ লাখ, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ৫৫ কোটি ৩০ লাখ এবং উত্তরা ব্যাংক ৫৩ কোটি টাকা আয় করেছে।
এ ছাড়া এনসিসি ব্যাংক ৪১ কোটি ৬৪ লাখ, প্রতিরক্ষা বাহিনীর দি ট্রাস্ট ব্যাংক ৪০ কোটি আট লাখ, আইএফআইসি ৩৬ কোটি ২২ লাখ, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক ৩০ কোটি ৫৩ লাখ, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ২৬ কোটি ৮৯ লাখ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক ২২ কোটি ১৪ লাখ, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ২১ কোটি এক লাখ, ব্যাংক এশিয়া ১৮ কোটি ৩৯ লাখ, মার্কেন্টাইল ব্যাংক আট কোটি ৭৯ লাখ, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক সাত কোটি ৯১ লাখ, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক ছয় কোটি ২৭ লাখ, যমুনা ব্যাংক চার কোটি পাঁচ লাখ ও ঢাকা ব্যাংক এক কোটি ৬৪ লাখ টাকা আয় করেছে।
আইসিবি ইসলামী ব্যাংক বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম আয় করেছে শেয়ারবাজার থেকে। এই ব্যাংকটির শেয়ারবাজার থেকে মোট আয় ছিল এক লাখ টাকা।
আর ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারবাজারে কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না। ব্যাংকটির এ ক্ষেত্রে ব্যাখ্যা হচ্ছে, শরিয়াহ অনুসারে কোনো ইসলামি ব্যাংক শেয়ারবাজার থেকে কোনো আয় করতে পারে না। সুতরাং এ খাতে গত বছর তাদের কোনো আয় হওয়ারও সুযোগ আসেনি।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন অগ্রণী ব্যাংক শেয়ারবাজার থেকে আয় করেছে ২৪৯ কোটি ২০ লাখ টাকা, জনতা ব্যাংক ১৪ কোটি ২৮ লাখ, রূপালী ব্যাংক চার কোটি ৯০ লাখ ও সোনালী ব্যাংক তিন কোটি ৭৯ লাখ টাকা আয় করেছে।
রাষ্ট্র খাতের বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মধ্যে বিডিবিএল ৮২ কোটি ২৬ লাখ ও বেসিক ব্যাংক ২৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা আয় করেছে। আর কৃষি ব্যাংক কেবল লভ্যাংশ খাতে আয় করেছে নয় লাখ টাকা।
বিদেশি ব্যাংকগুলোর মধ্যে ব্যাংক অব সিলন ১২ লাখ ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ১৮ লাখ টাকা লভ্যাংশ বাবদ আয় করেছে।
ফলে ব্যাংকগুলো শেয়ারবাজারের দিকে (অফ ব্যালেন্সশিট) ঝুঁকছে, যা আবার ব্যাংক খাতের সুষ্ঠু বিকাশের জন্য সহায়ক বলে মনে করছে না বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশে নতুন করে বেসরকারি ব্যাংকের নিবন্ধন বা লাইসেন্স দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কি না, সে বিষয়ে সরকারের কাছে দেওয়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
এদিকে ব্যাংকগুলোর মুনাফার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত বছর অর্থাৎ ২০১০ সালে ব্যাংকগুলোর আয়ের এক-তৃতীয়াংশের বেশি (৩৫ দশমিক ১৭ শতাংশ) এসেছে পুঁজিবাজার থেকে।
এ সময় ব্যাংকগুলোর নিট মুনাফা ছিল আট হাজার ৩৫৭ কোটি ৪২ লাখ টাকা, যার দুই হাজার ৯৩৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকা আয় হয়েছে শেয়ারবাজার থেকে।
শেয়ারবাজার থেকে এই আয়ের মধ্যে বেসরকারি ব্যাংকগুলো আয় করেছে দুই হাজার ৫৫৯ কোটি ৮২ লাখ টাকা, যা কিনা শেয়ারবাজার থেকে মোট আয়ের ৮৭ শতাংশ।
বাকি আয়ের মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চার বাণিজ্যিক ব্যাংক আয় করেছে ২৭২ কোটি ১৭ লাখ টাকা। এ ছাড়া দুটি বিশেষায়িত ব্যাংক ১০৬ কোটি ৯৩ লাখ ও বিদেশি দুটি ব্যাংক ৪২ লাখ টাকা আয় করেছে।
ব্যাংকগুলোর শেয়ারবাজার থেকে এই আয়ের মধ্যে দৈনন্দিন ব্রোকারেজ সেবা দিয়ে আয় হয়েছে ২০২ কোটি ২৪ লাখ টাকা। নিজস্ব তহবিল দিয়ে শেয়ার কেনাবেচা করে আয় করেছে দুই হাজার ৫০৪ কোটি ৮১ লাখ টাকা। আর রক্ষিত শেয়ারের বিপরীতে লভ্যাংশ আয় করেছে ২৩২ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ বেশি হওয়ায় গত বছর ব্যাংক খাত ঝুঁকির মধ্যে পড়েছিল। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ (আইএমএফ) সংশ্লিষ্ট মহলে ব্যাংকের বিনিয়োগ নিয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করা হয় সে সময়।
আবার এই বিনিয়োগ আইনি সীমার মধ্যে নামিয়ে আনতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককেও সমালোচনার মধ্যে পড়তে হয়। রাজনৈতিক ও স্বার্থসংশ্লিষ্টদের চাপে বাংলাদেশ ব্যাংককে পিছু হটতে হয়। অবশ্য শেষ পর্যন্ত ব্যাংকগুলো লাভজনকভাবেই শেয়ারবাজার থেকে বের হতে পেরেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বেসরকারি খাতের এবি ব্যাংক গত বছর শেয়ারবাজার থেকে সর্বাধিক আয় করেছে। ব্যাংকটির শেয়ারবাজার থেকে মোট আয় হয়েছে ৪৭৫ কোটি ১৬ লাখ টাকা। তার পরই রয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক। এই ব্যাংকটি আয় করেছে ৩৬৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। ২২৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা আয় নিয়ে সাউথইস্ট ব্যাংক রয়েছে তৃতীয় স্থানে।
প্রাপ্ত পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যায়, শেয়ারবাজার থেকে পূবালী ব্যাংক আয় করেছে ১৫৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। এ ছাড়া ইস্টার্ন ব্যাংক ১৩৩ কোটি ২০ লাখ, এক্সিম ব্যাংক ১৩০ কোটি ৮৪ লাখ, প্রিমিয়ার ব্যাংক ১২৭ কোটি ৭৩ লাখ, ওয়ান ব্যাংক ১২২ কোটি ৪৮ লাখ, দি সিটি ব্যাংক ১২২ কোটি ৪ লাখ ও ব্র্যাক ১০৭ কোটি ৩৭ লাখ টাকা আয় করেছে।
১০০ কোটি টাকার নিচে তবে ৫০ কোটি টাকার ওপরে আয় করেছে এমন ব্যাংকের মধ্যে ইউসিবিএল ৯৫ কোটি ৭৪ লাখ, শাহজালাল ব্যাংক ৬১ কোটি ৬৪ লাখ, প্রাইম ব্যাংক ৫৮ কোটি ৪৭ লাখ, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ৫৫ কোটি ৩০ লাখ এবং উত্তরা ব্যাংক ৫৩ কোটি টাকা আয় করেছে।
এ ছাড়া এনসিসি ব্যাংক ৪১ কোটি ৬৪ লাখ, প্রতিরক্ষা বাহিনীর দি ট্রাস্ট ব্যাংক ৪০ কোটি আট লাখ, আইএফআইসি ৩৬ কোটি ২২ লাখ, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক ৩০ কোটি ৫৩ লাখ, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ২৬ কোটি ৮৯ লাখ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক ২২ কোটি ১৪ লাখ, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ২১ কোটি এক লাখ, ব্যাংক এশিয়া ১৮ কোটি ৩৯ লাখ, মার্কেন্টাইল ব্যাংক আট কোটি ৭৯ লাখ, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক সাত কোটি ৯১ লাখ, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক ছয় কোটি ২৭ লাখ, যমুনা ব্যাংক চার কোটি পাঁচ লাখ ও ঢাকা ব্যাংক এক কোটি ৬৪ লাখ টাকা আয় করেছে।
আইসিবি ইসলামী ব্যাংক বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম আয় করেছে শেয়ারবাজার থেকে। এই ব্যাংকটির শেয়ারবাজার থেকে মোট আয় ছিল এক লাখ টাকা।
আর ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারবাজারে কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না। ব্যাংকটির এ ক্ষেত্রে ব্যাখ্যা হচ্ছে, শরিয়াহ অনুসারে কোনো ইসলামি ব্যাংক শেয়ারবাজার থেকে কোনো আয় করতে পারে না। সুতরাং এ খাতে গত বছর তাদের কোনো আয় হওয়ারও সুযোগ আসেনি।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন অগ্রণী ব্যাংক শেয়ারবাজার থেকে আয় করেছে ২৪৯ কোটি ২০ লাখ টাকা, জনতা ব্যাংক ১৪ কোটি ২৮ লাখ, রূপালী ব্যাংক চার কোটি ৯০ লাখ ও সোনালী ব্যাংক তিন কোটি ৭৯ লাখ টাকা আয় করেছে।
রাষ্ট্র খাতের বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মধ্যে বিডিবিএল ৮২ কোটি ২৬ লাখ ও বেসিক ব্যাংক ২৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা আয় করেছে। আর কৃষি ব্যাংক কেবল লভ্যাংশ খাতে আয় করেছে নয় লাখ টাকা।
বিদেশি ব্যাংকগুলোর মধ্যে ব্যাংক অব সিলন ১২ লাখ ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ১৮ লাখ টাকা লভ্যাংশ বাবদ আয় করেছে।
No comments