সাতক্ষীরায় এবার ঈদের বাজারে ক্রেতা নেই
সাতক্ষীরায় এবার ঈদের বাজার একেবারেই জমেনি। ফুটপাত কিংবা বড় বড় মার্কেট কোথাও ক্রেতাদের ভিড় নেই বললেই চলে। নেই গভীর রাত পর্যন্ত কেনাকাটার ব্যস্ততা। দোকানিরা হরেক ডিজাইনের জামাকাপড় তুললেও তা বিক্রি নেই বললেই চলে। ঘূর্ণিঝড় আইলার পর ভয়াবহ বন্যায় সাতক্ষীরা জেলার মানুষের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে পড়েছে। যে কারণে ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটায় আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না।
গত শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সাতক্ষীরা শহরের বড়বাজার সড়কের ফুটপাতের দোকানগুলো ক্রেতা নেই বললে চলে। দোকানিরা হাত-পা গুটিয়ে বসে রয়েছে। শহরতলির তালতলা এলাকা মোমেনা খাতুন জানান, বন্যায় ভিটেছাড়া হয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। ছেলেমেয়েদের কিছু কিনে দেওয়ার সমর্থ নেই। বৃদ্ধা বাবার জন্য শ চারেক টাকার মধ্যে একটি লুঙ্গি কেনার জন্য ফুটপাতের জামাত আলীর দোকানে ঢুকেছেন।
একইভাবে পানিবন্দী হয়ে আলীপুরের এক আশ্রয়শিবিরে থাকা সদর উপজেলার মামুদপুর গ্রামের শহর আলীর স্ত্রী মাজেদা খাতুন জানান, দাতভাঙ্গা বিলে পাঁচ বিঘার চিংড়ি ঘের ছিল তাঁদের। মাছ ছাড়ার পাশাপাশি জমিতে ধান লাগিয়েছিলেন। পানিতে ঘের তলিয়ে যাওয়ার মারা গেছে ধানগাছ। সবকিছু হারিয়ে এখন ভিখারি তিনি। এর পরও তিনজন ছেলেমেয়ের জন্য ৭৫০ টাকায় জামাকাপড় কিনতে ফুটপাতের দোকানই বেছে নিয়েছেন।
একদিকে বন্যায় সর্বস্বান্ত, অন্যদিকে গতবারের তুলনায় এবার কাপড়ের দাম দ্বিগুণ। ফলে অনেকেই জামাকাপড় কিনতে না পেরে চোখ মুছতে মুছতে ফিরে যাচ্ছেন।
সাতক্ষীরা শহরের নিউমার্কেট, আমিনিয়া মার্কেট, মেহেরুন প্লাজা, লন্ডন প্লাজা, মেহেদী সুপার মার্কেট, সাতক্ষীরা শপিং সেন্টারসহ বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে অন্যবারের তুলনায় খরিদ্দারের সমাগম অনেক কম।
ফাল্গুনী বস্ত্রালয়ের স্বত্বাধিকারী আব্বাস আলী জানান, শ্রমিকদের মজুরি ও সুতার দাম বেশি থাকায় গতবারের তুলনায় এবার কাপড়ের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। তা ছাড়া জেলার ছয়টি উপজেলার ৬৬টি ইউনিয়নের মানুষজন পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে এবং যানবাহন চলাচল না করার জন্য দূরের কোনো খরিদ্দার শহরের দোকানগুলোতে আসছে না। অধিকাংশ খরিদ্দার সাতক্ষীরা সদর, শ্যামনগর ও কালীগঞ্জ এলাকার।
শহরের মেহেরুন প্লাজার বস্ত্র ব্যবসায়ী প্রিন্স বস্ত্রালয়ের স্বত্বাধিকারী বদরুল ইসলাম জানান, বন্যার কারণে মানুষের মনে আনন্দ নেই। তাই বানভাসী মানুষ বড় দোকানের পরিবর্তে ফুটপাতের দোকানে ভিড় জমাচ্ছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার পেছনে ফুটপাতের বস্ত্র ব্যবসায়ী জামাত আলী, গতবারের তুলনায় এবার দাম বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। তবে শাড়ির মূল্য দ্বিগুণ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার বিক্রি নেমে এসেছ অর্ধেকে।
নিপ্পন শু হাউজের স্বত্বাধিকারী মিজানুর রহমান জানান, এবার ঈদ ও পূজা উপলক্ষে নতুন কোনো মডেলের জুতা বাজারে আসেনি বললেই চলে। তাতে জুতাবিশেষে ১০ থেকে ২০ শতাংশ দাম বেড়েছে।
বড়বাজার রোডের সিটি গোল্ডের স্বত্বাধিকারী আবু মুছা ও ঢাকা কসমেটিকস সেন্টারের স্বত্বাধিকারী রেজোয়ান আলী জানান, গতবারের তুলনায় বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। বিক্রি হচ্ছে, তবে তা আশানুরূপ নয়।
গত শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সাতক্ষীরা শহরের বড়বাজার সড়কের ফুটপাতের দোকানগুলো ক্রেতা নেই বললে চলে। দোকানিরা হাত-পা গুটিয়ে বসে রয়েছে। শহরতলির তালতলা এলাকা মোমেনা খাতুন জানান, বন্যায় ভিটেছাড়া হয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। ছেলেমেয়েদের কিছু কিনে দেওয়ার সমর্থ নেই। বৃদ্ধা বাবার জন্য শ চারেক টাকার মধ্যে একটি লুঙ্গি কেনার জন্য ফুটপাতের জামাত আলীর দোকানে ঢুকেছেন।
একইভাবে পানিবন্দী হয়ে আলীপুরের এক আশ্রয়শিবিরে থাকা সদর উপজেলার মামুদপুর গ্রামের শহর আলীর স্ত্রী মাজেদা খাতুন জানান, দাতভাঙ্গা বিলে পাঁচ বিঘার চিংড়ি ঘের ছিল তাঁদের। মাছ ছাড়ার পাশাপাশি জমিতে ধান লাগিয়েছিলেন। পানিতে ঘের তলিয়ে যাওয়ার মারা গেছে ধানগাছ। সবকিছু হারিয়ে এখন ভিখারি তিনি। এর পরও তিনজন ছেলেমেয়ের জন্য ৭৫০ টাকায় জামাকাপড় কিনতে ফুটপাতের দোকানই বেছে নিয়েছেন।
একদিকে বন্যায় সর্বস্বান্ত, অন্যদিকে গতবারের তুলনায় এবার কাপড়ের দাম দ্বিগুণ। ফলে অনেকেই জামাকাপড় কিনতে না পেরে চোখ মুছতে মুছতে ফিরে যাচ্ছেন।
সাতক্ষীরা শহরের নিউমার্কেট, আমিনিয়া মার্কেট, মেহেরুন প্লাজা, লন্ডন প্লাজা, মেহেদী সুপার মার্কেট, সাতক্ষীরা শপিং সেন্টারসহ বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে অন্যবারের তুলনায় খরিদ্দারের সমাগম অনেক কম।
ফাল্গুনী বস্ত্রালয়ের স্বত্বাধিকারী আব্বাস আলী জানান, শ্রমিকদের মজুরি ও সুতার দাম বেশি থাকায় গতবারের তুলনায় এবার কাপড়ের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। তা ছাড়া জেলার ছয়টি উপজেলার ৬৬টি ইউনিয়নের মানুষজন পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে এবং যানবাহন চলাচল না করার জন্য দূরের কোনো খরিদ্দার শহরের দোকানগুলোতে আসছে না। অধিকাংশ খরিদ্দার সাতক্ষীরা সদর, শ্যামনগর ও কালীগঞ্জ এলাকার।
শহরের মেহেরুন প্লাজার বস্ত্র ব্যবসায়ী প্রিন্স বস্ত্রালয়ের স্বত্বাধিকারী বদরুল ইসলাম জানান, বন্যার কারণে মানুষের মনে আনন্দ নেই। তাই বানভাসী মানুষ বড় দোকানের পরিবর্তে ফুটপাতের দোকানে ভিড় জমাচ্ছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার পেছনে ফুটপাতের বস্ত্র ব্যবসায়ী জামাত আলী, গতবারের তুলনায় এবার দাম বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। তবে শাড়ির মূল্য দ্বিগুণ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার বিক্রি নেমে এসেছ অর্ধেকে।
নিপ্পন শু হাউজের স্বত্বাধিকারী মিজানুর রহমান জানান, এবার ঈদ ও পূজা উপলক্ষে নতুন কোনো মডেলের জুতা বাজারে আসেনি বললেই চলে। তাতে জুতাবিশেষে ১০ থেকে ২০ শতাংশ দাম বেড়েছে।
বড়বাজার রোডের সিটি গোল্ডের স্বত্বাধিকারী আবু মুছা ও ঢাকা কসমেটিকস সেন্টারের স্বত্বাধিকারী রেজোয়ান আলী জানান, গতবারের তুলনায় বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। বিক্রি হচ্ছে, তবে তা আশানুরূপ নয়।
No comments