এবার বিশ্বজুড়ে কঠিনতম রোজা করছেন লাখো রোজাদার
খাদ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে পর্যাপ্ত খাবার কেনার সামর্থ্য না থাকায় বাংলাদেশসহ অনেক দেশের রোজাদাররা ইফতারে কম খেতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে অনেকের জন্যই এ বছরের রোজা হচ্ছে তাঁদের জীবনের কঠিনতম রোজার মাস।
বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, ফিলিস্তিন, পাকিস্তান, ইয়েমেন, আজারবাইজান, কেনিয়াসহ বিশ্বের সাতটি দেশের রোজাদারদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য তুলে ধরেছে আন্তর্জাতিক সংস্থা অক্সফাম। সংস্থাটি মনে করে, এই চিত্র এ বছর বিশ্বের লাখো রোজাদারের জীবনের দৈনন্দিন চিত্র।
অক্সফামের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০১০ সালের অক্টোবর-নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে দ্বিতীয় দফায় খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে চলেছে। এ বছরের জুলাই মাসেই এখানে খাদ্যের মূল্যস্ফীতি দাঁড়ায় ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। আগস্টে রোজা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে চিনি, পেঁয়াজ, আলু, কাঁচা মরিচ, মুরগি, দুধ, ফলসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের দাম ক্রমাগতভাবে বেড়ে যায়।
বাংলাদেশে অক্সফামের পলিসি অ্যাডভোকেসি ম্যানেজার জিয়াউল হক বলেন, রোজার মাসে বাংলাদেশে কতিপয় ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেট ধারাবাহিকভাবে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়িয়েছেন। ব্যবসায়ীরা রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের কাছে বারবার খাদ্যপণ্যের দাম না বাড়ানোর অঙ্গীকার করেও তা ভঙ্গ করেছেন। ব্যবসায়ীদের শক্তিশালী সিন্ডিকেটের কাছে রাষ্ট্রকে অসহায় মনে হচ্ছে।
বাংলাদেশের পাশাপাশি অন্যান্য দেশেও খাদ্যপণ্য ব্যয়বহুল হওয়ায় ইফতারির তালিকায় পরিবর্তন আনতে বাধ্য হয়েছেন রোজদাররা। গত বছর রমজানের তুলনায় এবার পাকিস্তানে খাদ্যের দাম বেড়েছে ১৭ শতাংশ। এতে নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে গেছে কয়েক লাখ মানুষ। রমজানজুড়ে কম খেয়ে থাকতে হচ্ছে অনেককে।
ইয়েমেনে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য চিনি, চাল ও গমের দাম বাড়ায় পরিবারের ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ। আজারবাইজানে মাংসের দাম বেড়েছে ২০ শতাংশ। যুক্তরাজ্যে চাল ও তেলের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
খাদ্যসংকট দূর করতে সরকারগুলোর হস্তক্ষেপ জরুরি বলে মনে করে অক্সফাম। তা না হলে খাদ্যসংকট আরও গভীর হবে। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, আগামী ২০ বছরে খাদ্যপণ্যের দাম দ্বিগুণ হবে; সে ক্ষেত্রে বেড়ে যাবে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা। অথচ বিশ্বে এখনই ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা ৯২ কোটির বেশি।
অক্সফামের ইন্টারন্যাশনাল ডিরেক্টর পেনি লরেন্স বলেন, ‘রমজান হলো দরিদ্র ও ক্ষুধার্ত মানুষের কথা স্মরণ করার মাস। আমাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে, যাতে সারা বছরই সব মানুষ পর্যাপ্ত খাবার পায়।’
বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, ফিলিস্তিন, পাকিস্তান, ইয়েমেন, আজারবাইজান, কেনিয়াসহ বিশ্বের সাতটি দেশের রোজাদারদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য তুলে ধরেছে আন্তর্জাতিক সংস্থা অক্সফাম। সংস্থাটি মনে করে, এই চিত্র এ বছর বিশ্বের লাখো রোজাদারের জীবনের দৈনন্দিন চিত্র।
অক্সফামের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০১০ সালের অক্টোবর-নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে দ্বিতীয় দফায় খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে চলেছে। এ বছরের জুলাই মাসেই এখানে খাদ্যের মূল্যস্ফীতি দাঁড়ায় ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। আগস্টে রোজা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে চিনি, পেঁয়াজ, আলু, কাঁচা মরিচ, মুরগি, দুধ, ফলসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের দাম ক্রমাগতভাবে বেড়ে যায়।
বাংলাদেশে অক্সফামের পলিসি অ্যাডভোকেসি ম্যানেজার জিয়াউল হক বলেন, রোজার মাসে বাংলাদেশে কতিপয় ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেট ধারাবাহিকভাবে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়িয়েছেন। ব্যবসায়ীরা রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের কাছে বারবার খাদ্যপণ্যের দাম না বাড়ানোর অঙ্গীকার করেও তা ভঙ্গ করেছেন। ব্যবসায়ীদের শক্তিশালী সিন্ডিকেটের কাছে রাষ্ট্রকে অসহায় মনে হচ্ছে।
বাংলাদেশের পাশাপাশি অন্যান্য দেশেও খাদ্যপণ্য ব্যয়বহুল হওয়ায় ইফতারির তালিকায় পরিবর্তন আনতে বাধ্য হয়েছেন রোজদাররা। গত বছর রমজানের তুলনায় এবার পাকিস্তানে খাদ্যের দাম বেড়েছে ১৭ শতাংশ। এতে নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে গেছে কয়েক লাখ মানুষ। রমজানজুড়ে কম খেয়ে থাকতে হচ্ছে অনেককে।
ইয়েমেনে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য চিনি, চাল ও গমের দাম বাড়ায় পরিবারের ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ। আজারবাইজানে মাংসের দাম বেড়েছে ২০ শতাংশ। যুক্তরাজ্যে চাল ও তেলের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
খাদ্যসংকট দূর করতে সরকারগুলোর হস্তক্ষেপ জরুরি বলে মনে করে অক্সফাম। তা না হলে খাদ্যসংকট আরও গভীর হবে। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, আগামী ২০ বছরে খাদ্যপণ্যের দাম দ্বিগুণ হবে; সে ক্ষেত্রে বেড়ে যাবে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা। অথচ বিশ্বে এখনই ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা ৯২ কোটির বেশি।
অক্সফামের ইন্টারন্যাশনাল ডিরেক্টর পেনি লরেন্স বলেন, ‘রমজান হলো দরিদ্র ও ক্ষুধার্ত মানুষের কথা স্মরণ করার মাস। আমাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে, যাতে সারা বছরই সব মানুষ পর্যাপ্ত খাবার পায়।’
No comments