গ্রামবৈরী চিকিৎসক
মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্যাথলজি বিশেষজ্ঞের পদে পদায়ন করা হয়েছে একজন বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞকে। পাশাপাশি সেখানে অন্য জায়গায় অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত তিনজন চিকিৎসককে বদলি করে আনা হয়েছে, যাঁদের গ্রামে সেবা দেওয়ার কথা। মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন দায় দিয়েছেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের একজন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ঢাকা বিভাগের পরিচালক ‘নানা চাপের মুখে নীতিমালা উপেক্ষা করেই প্রেষণে বদলি করতে বাধ্য’ হয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন। স্পষ্টতই এই অনিয়মে ‘ওপরের হাত’ জড়িত এবং সেটা কত ওপরের তা বের করা দরকারি প্রশ্ন।
নীতিমালা অনুযায়ী অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের বাধ্যতামূলকভাবে কমপক্ষে দুই বছর গ্রামে সেবা দেওয়ার কথা। এরপরই তাঁরা শহরমুখী হতে পারেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ‘চাপের মুখে’ দুজন চিকিৎসককে গ্রাম থেকে শহরের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তাঁদের কাছে এটা ‘উন্নতি’র সিঁড়িতে এক ধাপ ওপরে ওঠা বটে, কিন্তু যাঁদের তাঁরা ছেড়ে এসেছেন, সেই গ্রামের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা কি অবনতির সিঁড়ি দিয়ে কিছুটা নেমে গেল না? সুতরাং এখানে শুধু অনিয়মই হয়নি, জনগণের চিকিৎসাসেবা পাওয়ার অধিকারকে স্পষ্টতই উপেক্ষা করা হয়েছে। ব্যক্তিস্বার্থের কাছে পরাজিত হয়েছে জনগণের স্বার্থ। এর দায়দায়িত্ব অবশ্যই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের।
দুর্নীতি ও অনিয়ম যেখানেই হোক, যারাই তা করুক, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের’ অনুমোদন ছাড়া, ক্ষমতাবান নেতাদের চাপ ছাড়া তা ঘটতে পারার কথা নয়। এসব ক্ষেত্রে বিচার যদিবা হয়, সেসব ওপরওয়ালা আইনের আওতার বাইরেই থেকে যান। তার ওপর ভুল পদে ভুল লোককে নিয়োগ দিলে সেই লোকের সুবিধা যা-ই হোক, রোগীদের স্বাস্থ্যনিরাপত্তা এতে ঝুঁকিতে পড়ে। ভুল চিকিৎসায় অপমৃত্যুর কারণগুলোর মধ্যে এটিও একটি।
অন্য সব সেবার মতো চিকিৎসাসেবার অবস্থাও ভালো নয় দেশে। বিশেষত গ্রামের দিকে পরিস্থিতি যথেষ্টই শোচনীয়। বাংলাদেশে এমনিতেই প্রয়োজনের চেয়ে চিকিৎসক কম। সারা দেশে ইউনিয়ন, থানা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতাল, উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের হাল ভালো নয়। গ্রামের চিকিৎসকদের শহরে এবং শহরের চিকিৎসকদের ঢাকামুখী হওয়ার প্রবণতাও যথেষ্ট বেড়েছে। গ্রামকে তাঁরা বসবাসের বা পেশাগত দায়িত্ব পালনের উপযুক্ত মনে করেন না। কিন্তু গ্রামে কি মানুষ থাকে না, তাদের করের টাকাতেই কি সরকারি চিকিৎসকদের বেতন হয় না? নিয়ম পালনের বাধ্যবাধকতা কায়েম করা হোক, অনিয়মের বিহিত হোক। পাশাপাশি চিকিৎসকদের গ্রাম-মফস্বলে থাকতে উৎসাহিত করায় বিশেষ সুবিধাদানের বিষয়টিও ভেবে দেখা যেতে পারে।
নীতিমালা অনুযায়ী অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের বাধ্যতামূলকভাবে কমপক্ষে দুই বছর গ্রামে সেবা দেওয়ার কথা। এরপরই তাঁরা শহরমুখী হতে পারেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ‘চাপের মুখে’ দুজন চিকিৎসককে গ্রাম থেকে শহরের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তাঁদের কাছে এটা ‘উন্নতি’র সিঁড়িতে এক ধাপ ওপরে ওঠা বটে, কিন্তু যাঁদের তাঁরা ছেড়ে এসেছেন, সেই গ্রামের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা কি অবনতির সিঁড়ি দিয়ে কিছুটা নেমে গেল না? সুতরাং এখানে শুধু অনিয়মই হয়নি, জনগণের চিকিৎসাসেবা পাওয়ার অধিকারকে স্পষ্টতই উপেক্ষা করা হয়েছে। ব্যক্তিস্বার্থের কাছে পরাজিত হয়েছে জনগণের স্বার্থ। এর দায়দায়িত্ব অবশ্যই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের।
দুর্নীতি ও অনিয়ম যেখানেই হোক, যারাই তা করুক, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের’ অনুমোদন ছাড়া, ক্ষমতাবান নেতাদের চাপ ছাড়া তা ঘটতে পারার কথা নয়। এসব ক্ষেত্রে বিচার যদিবা হয়, সেসব ওপরওয়ালা আইনের আওতার বাইরেই থেকে যান। তার ওপর ভুল পদে ভুল লোককে নিয়োগ দিলে সেই লোকের সুবিধা যা-ই হোক, রোগীদের স্বাস্থ্যনিরাপত্তা এতে ঝুঁকিতে পড়ে। ভুল চিকিৎসায় অপমৃত্যুর কারণগুলোর মধ্যে এটিও একটি।
অন্য সব সেবার মতো চিকিৎসাসেবার অবস্থাও ভালো নয় দেশে। বিশেষত গ্রামের দিকে পরিস্থিতি যথেষ্টই শোচনীয়। বাংলাদেশে এমনিতেই প্রয়োজনের চেয়ে চিকিৎসক কম। সারা দেশে ইউনিয়ন, থানা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতাল, উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের হাল ভালো নয়। গ্রামের চিকিৎসকদের শহরে এবং শহরের চিকিৎসকদের ঢাকামুখী হওয়ার প্রবণতাও যথেষ্ট বেড়েছে। গ্রামকে তাঁরা বসবাসের বা পেশাগত দায়িত্ব পালনের উপযুক্ত মনে করেন না। কিন্তু গ্রামে কি মানুষ থাকে না, তাদের করের টাকাতেই কি সরকারি চিকিৎসকদের বেতন হয় না? নিয়ম পালনের বাধ্যবাধকতা কায়েম করা হোক, অনিয়মের বিহিত হোক। পাশাপাশি চিকিৎসকদের গ্রাম-মফস্বলে থাকতে উৎসাহিত করায় বিশেষ সুবিধাদানের বিষয়টিও ভেবে দেখা যেতে পারে।
No comments