আইরিনে লন্ডভন্ড নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চল
নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূল দুমড়ে-মুচড়ে দিয়ে গেছে শক্তিশালী হারিকেন আইরিন। নর্থ
ক্যারোলাইনা, ফ্লোরিডা, ভার্জিনিয়া, নিউ জার্সি, কানেটিকাট, ফ্লোরিডা ও মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যে আইরিনের
আঘাতে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উপকূলের জনজীবন।
আইরিনের তাণ্ডবে উপকূলের প্রায় ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকার প্রায় ১৮ লাখ বাড়ি-ঘর বিদ্যুৎহীন হয়ে
পড়েছে। প্রায় ২০ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে উপকূলীয় এলাকা থেকে।
শনিবার ভোররাতে নিউইয়র্কে আঘাত হানে আইরিন। তবে ততক্ষণে এর গতি অনেক কমে এক মাত্রার
হারিকেনের রূপ ধারণ করে। তার পরও যে গতি ছিল, তা ধ্বংসাত্মক। সঙ্গে ছিল ভারী বৃষ্টি। নিউইয়র্কে
ব্যাপক বন্যা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
হারিকেনের কারণে নিউইয়র্ক শহর ফাঁকা হয়ে যায়। যে নগর কখনো ঘুমায় না, সেই নিউইয়র্কে শনিবার
রাতে পুলিশ ছাড়া সাধারণ মানুষের কোনো উপস্থিতি ছিল না। দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সব বন্ধ হয়ে
যায়।
শনিবার দুপুর থেকে নিউইয়র্কের পাতালরেল ও বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর ফলে সাধারণ
মানুষের পক্ষে ঘরের আশপাশ ছাড়া অন্য কোথাও যাওয়ার সুযোগ ছিল না।
নিউইয়র্কের মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ নগরে জরুরি অবস্থা জারি করেন। প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘরের বাইরে
বের না হতে নির্দেশ দেয় পুলিশ। তবে কর্তৃপক্ষের নিষেধ উপেক্ষা করে সমুদ্রসৈকতে গিয়ে জরিমানা গুনতে
হয়েছে বেশ কয়েকজনকে।
নিউইয়র্ক নগরের নিম্নাঞ্চল হিসেবে পরিচিত ফর রকওয়ে ও কনি আইল্যান্ড এলাকা থেকে প্রায় তিন লাখ
৭৫ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়।
নিউইয়র্কে বাংলাদেশি-অধ্যুষিত জ্যামাইকা, পার্কচেস্টার, জ্যাকসন হাইটস, চার্চ ম্যাকডোনাল এলাকায়
বাংলাদেশিরা বাড়িঘরে থেকে যান। তবে নিউ জার্সির আটলান্টিক সিটিতে অবস্থানরত বিপুলসংখ্যক
বাংলাদেশি বাড়ি-ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যান।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে নর্থ ক্যারোলাইনা থেকে
বোস্টনগামী নয় হাজার ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে শনিবারেই বাতিল করা হয় তিন হাজার ৬০০
ফ্লাইট।
নিউইয়র্কের বিখ্যাত জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও লাগোর্ডিয়া বিমানবন্দর শনিবার থেকে
বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে আটকে পড়ে লাখ লাখ যাত্রী। এ ছাড়া ওয়াশিংটন ডিসির রিগ্যান বিমান বন্দর ও
নিউ জার্সির লিবার্টি বিমানবন্দর বন্ধ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম বাস সার্ভিস নেটওয়ার্ক গ্রেহাউন্ড নিউইয়র্ক
পূর্বাঞ্চল থেকে তাদের বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে।
ক্যারোলাইনা, ফ্লোরিডা, ভার্জিনিয়া, নিউ জার্সি, কানেটিকাট, ফ্লোরিডা ও মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যে আইরিনের
আঘাতে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উপকূলের জনজীবন।
আইরিনের তাণ্ডবে উপকূলের প্রায় ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকার প্রায় ১৮ লাখ বাড়ি-ঘর বিদ্যুৎহীন হয়ে
পড়েছে। প্রায় ২০ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে উপকূলীয় এলাকা থেকে।
শনিবার ভোররাতে নিউইয়র্কে আঘাত হানে আইরিন। তবে ততক্ষণে এর গতি অনেক কমে এক মাত্রার
হারিকেনের রূপ ধারণ করে। তার পরও যে গতি ছিল, তা ধ্বংসাত্মক। সঙ্গে ছিল ভারী বৃষ্টি। নিউইয়র্কে
ব্যাপক বন্যা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
হারিকেনের কারণে নিউইয়র্ক শহর ফাঁকা হয়ে যায়। যে নগর কখনো ঘুমায় না, সেই নিউইয়র্কে শনিবার
রাতে পুলিশ ছাড়া সাধারণ মানুষের কোনো উপস্থিতি ছিল না। দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সব বন্ধ হয়ে
যায়।
শনিবার দুপুর থেকে নিউইয়র্কের পাতালরেল ও বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর ফলে সাধারণ
মানুষের পক্ষে ঘরের আশপাশ ছাড়া অন্য কোথাও যাওয়ার সুযোগ ছিল না।
নিউইয়র্কের মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ নগরে জরুরি অবস্থা জারি করেন। প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘরের বাইরে
বের না হতে নির্দেশ দেয় পুলিশ। তবে কর্তৃপক্ষের নিষেধ উপেক্ষা করে সমুদ্রসৈকতে গিয়ে জরিমানা গুনতে
হয়েছে বেশ কয়েকজনকে।
নিউইয়র্ক নগরের নিম্নাঞ্চল হিসেবে পরিচিত ফর রকওয়ে ও কনি আইল্যান্ড এলাকা থেকে প্রায় তিন লাখ
৭৫ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়।
নিউইয়র্কে বাংলাদেশি-অধ্যুষিত জ্যামাইকা, পার্কচেস্টার, জ্যাকসন হাইটস, চার্চ ম্যাকডোনাল এলাকায়
বাংলাদেশিরা বাড়িঘরে থেকে যান। তবে নিউ জার্সির আটলান্টিক সিটিতে অবস্থানরত বিপুলসংখ্যক
বাংলাদেশি বাড়ি-ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যান।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে নর্থ ক্যারোলাইনা থেকে
বোস্টনগামী নয় হাজার ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে শনিবারেই বাতিল করা হয় তিন হাজার ৬০০
ফ্লাইট।
নিউইয়র্কের বিখ্যাত জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও লাগোর্ডিয়া বিমানবন্দর শনিবার থেকে
বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে আটকে পড়ে লাখ লাখ যাত্রী। এ ছাড়া ওয়াশিংটন ডিসির রিগ্যান বিমান বন্দর ও
নিউ জার্সির লিবার্টি বিমানবন্দর বন্ধ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম বাস সার্ভিস নেটওয়ার্ক গ্রেহাউন্ড নিউইয়র্ক
পূর্বাঞ্চল থেকে তাদের বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে।
No comments