উৎসে আয়কর কমানোর দাবি করেছে বিজিএমইএ
বর্ধিত হারের উৎসে আয়কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে দেশের তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নেতারা। প্রস্তাবিত বাজেটে তৈরি পোশাক খাতে দেড় শতাংশ হারে উৎসে কর প্রবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিজিএমইএ আয়োজিত বাজেটসংক্রান্ত এক আলোচনা সভায় নেতারা এ দাবি জানান। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিজিএমইএর কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিজিএমইএর সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আনিসুল হক, আবদুস সালাম মুর্শেদী, এস এম ফজলুল হক, সাংসদ টিপু মুন্সী, সাংসদ ফজলুল আজিম প্রমুখ।
বিজিএমইএর নেতারা মত দেন, ১ দশমিক ৩ শতাংশ হারে লাভ করে এর চেয়ে বেশি দেড় শতাংশ হারে উৎসে আয়কর দেওয়ার প্রস্তাব কোনোভাবেই যুক্তিসংগত হতে পারে না।
বিজিএমইএর সাধারণ সদস্যরা তাঁদের বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পোশাক খাতের ওপর প্রস্তাবিত করের বোঝা চাপানো হলে তাঁরা সম্মিলিতভাবে কারখানা বন্ধ করে চাবি বিজিএমইএর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর হাতে পৌঁছে দেবেন। আবার কেউ কেউ আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ অচল করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। সরকার বিদেশি ইন্ধনে পোশাক খাত ধ্বংসের অপচেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন অনেকে।
বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে উৎসে আয়কর ১ দশমিক ৫০ শতাংশ ধার্য করায় প্রকৃতপক্ষে শতাংশের হিসাবে ২৭৫ ভাগ বৃদ্ধি করা হয়েছে, যা বর্তমান পরিস্থিতিতে এই শিল্পের স্বাভাবিক বিকাশ ব্যাহত করবে। বিগত সময়ে কাঁচামাল সংগ্রহের খরচ বেড়েছে প্রায় ৭৫ দশমিক ১৮ শতাংশ, ব্যাংকঋণের মাশুলও বেড়েছে এবং সুদের হার বেড়েছে ১৬ থেকে ১৮ শতাংশ। এ অবস্থায় নতুন করে বর্ধিত হারে উৎসে আয়কর দিলে এই শিল্পের ঝুঁকি বাড়বে।
সফিউল ইসলাম জানান, পোশাক খাতের এসব সমস্যা বিবেচনা করে বিকল্প সহায়তার হার ১৫ শতাংশ নির্ধারণসহ তা ২০১৫ সাল পর্যন্ত বহাল রাখা, পণ্যের বহুমুখীকরণ উৎসাহিত ও তুলার ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে পলিয়েস্টার, ভিসকস স্ট্যাপল ফাইবার, অ্যাক্রিলিক টো এবং টপস, পেট-চিপস এবং চিপসের শুল্কসহ আনুষঙ্গিক কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা প্রয়োজন।
এ ছাড়া সভায় সরকার ঘোষিত বিদ্যুৎ বিলের বিপরীতে ১০ শতাংশ হারে ছাড়, নতুন বাজারে রপ্তানি প্রণোদনা এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের রপ্তানি প্রণোদনার অর্থ ছাড়, বাড়িভাড়ার ওপর আরোপিত ৯ শতাংশ হারে মূসক প্রত্যাহার, ফার্নেস অয়েলের মূল্য লিটারপ্রতি ২২ টাকা নির্ধারণ, বস্ত্র খাতকে কর অবকাশসুবিধার আওতাভুক্ত করাসহ বিভিন্ন দাবি জানানো হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিজিএমইএ আয়োজিত বাজেটসংক্রান্ত এক আলোচনা সভায় নেতারা এ দাবি জানান। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিজিএমইএর কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিজিএমইএর সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আনিসুল হক, আবদুস সালাম মুর্শেদী, এস এম ফজলুল হক, সাংসদ টিপু মুন্সী, সাংসদ ফজলুল আজিম প্রমুখ।
বিজিএমইএর নেতারা মত দেন, ১ দশমিক ৩ শতাংশ হারে লাভ করে এর চেয়ে বেশি দেড় শতাংশ হারে উৎসে আয়কর দেওয়ার প্রস্তাব কোনোভাবেই যুক্তিসংগত হতে পারে না।
বিজিএমইএর সাধারণ সদস্যরা তাঁদের বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পোশাক খাতের ওপর প্রস্তাবিত করের বোঝা চাপানো হলে তাঁরা সম্মিলিতভাবে কারখানা বন্ধ করে চাবি বিজিএমইএর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর হাতে পৌঁছে দেবেন। আবার কেউ কেউ আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ অচল করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। সরকার বিদেশি ইন্ধনে পোশাক খাত ধ্বংসের অপচেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন অনেকে।
বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে উৎসে আয়কর ১ দশমিক ৫০ শতাংশ ধার্য করায় প্রকৃতপক্ষে শতাংশের হিসাবে ২৭৫ ভাগ বৃদ্ধি করা হয়েছে, যা বর্তমান পরিস্থিতিতে এই শিল্পের স্বাভাবিক বিকাশ ব্যাহত করবে। বিগত সময়ে কাঁচামাল সংগ্রহের খরচ বেড়েছে প্রায় ৭৫ দশমিক ১৮ শতাংশ, ব্যাংকঋণের মাশুলও বেড়েছে এবং সুদের হার বেড়েছে ১৬ থেকে ১৮ শতাংশ। এ অবস্থায় নতুন করে বর্ধিত হারে উৎসে আয়কর দিলে এই শিল্পের ঝুঁকি বাড়বে।
সফিউল ইসলাম জানান, পোশাক খাতের এসব সমস্যা বিবেচনা করে বিকল্প সহায়তার হার ১৫ শতাংশ নির্ধারণসহ তা ২০১৫ সাল পর্যন্ত বহাল রাখা, পণ্যের বহুমুখীকরণ উৎসাহিত ও তুলার ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে পলিয়েস্টার, ভিসকস স্ট্যাপল ফাইবার, অ্যাক্রিলিক টো এবং টপস, পেট-চিপস এবং চিপসের শুল্কসহ আনুষঙ্গিক কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা প্রয়োজন।
এ ছাড়া সভায় সরকার ঘোষিত বিদ্যুৎ বিলের বিপরীতে ১০ শতাংশ হারে ছাড়, নতুন বাজারে রপ্তানি প্রণোদনা এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের রপ্তানি প্রণোদনার অর্থ ছাড়, বাড়িভাড়ার ওপর আরোপিত ৯ শতাংশ হারে মূসক প্রত্যাহার, ফার্নেস অয়েলের মূল্য লিটারপ্রতি ২২ টাকা নির্ধারণ, বস্ত্র খাতকে কর অবকাশসুবিধার আওতাভুক্ত করাসহ বিভিন্ন দাবি জানানো হয়।
No comments