‘চ্যাম্পিয়ন’ হওয়ার পর...
কানে হেডফোন। হাতে দামি মুঠোফোন। সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইট ফেসবুকে মগ্ন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের স্ট্রাইকার আবদুল বাতেন (কোমল)। ছোট ভাই আবদুল আহাদ প্রথম আলোয় ছাপা হওয়া গতকালের শিরোপা উৎসবের ছবি ফেসবুকে তুলে দিয়ে নিচে লিখেছেন, ‘আসলেই কি তোমরা চ্যাম্পিয়ন?’
প্রশ্নটা শুধু আহাদেরই নয়। লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরও শেখ জামালের এই শিরোপা-উৎসবের সামনে এখনো একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন রয়ে গেছে পাতানো খেলার ‘অভিযোগে’।
ধানমন্ডিতে শেখ জামাল ক্লাবে শিরোপা জয়ের পরের দিনটিতে গিয়ে সে রকম আনন্দ-উল্লাস দেখা গেল না। তাদের বিরুদ্ধে পাতানো খেলার অভিযোগের তদন্ত চলছেই বলে কি ক্লাবটি জয় দিয়ে লিগ শেষ করার পরের দিনটিতে অপ্রত্যাশিত রকমের বিষণ্ন?
তরুণ স্টপার রেজা এই আনন্দের দিনে ম্যাচ পাতানো নিয়ে কথা বলতে চাইলেন না, ‘আমি রহমতগঞ্জের ম্যাচের দিন ছুটি নিয়ে বাড়ি গিয়েছিলাম। আমি কিছুই জানি না।’ মামুনুল দাবি করলেন, ‘আমরা পাতানো খেলিনি। আমরা যে দল, তাতে পাতানো খেলা কেন লাগবে?’ প্রথমবারের মতো পেশাদার লিগে পা রেখেই চ্যাম্পিয়ন, ইতিহাস গড়ার পরও ক্লাবে যেন প্রাণের ছোঁয়া নেই। রং নেই। সমর্থকদের আনাগোনা নেই। শুধু কয়েক ডজন মরিচাবাতি ক্লাবের দেয়াল, দেবদারু আর কদমগাছের ওপর ছড়ানো। যৎসামান্য উৎসবের উপলক্ষ এসবই।
আমিনুল হককে পাওয়া গেল তাঁর কক্ষের সামনেই। কিন্তু ‘ব্যক্তিগত কাজে একটু বাইরে যাচ্ছি’—বলেই চলে গেলেন দলের অধিনায়ক।
উৎসব যে হয়নি তা নয়, তবে হয়েছে আগের রাতে। মাঠ থেকে ফেরার পর। ক্লাবে ফিরেই খেলোয়াড়েরা শুভেচ্ছাসিক্ত হয়েছেন। ক্লাব সভাপতি মনজুর কাদের ও অন্য কর্মকর্তারা শুভেচ্ছা জানান খেলোয়াড়দের। এরপর ক্লাব মাঠে হয়েছে স্থানীয় শিল্পীদের নিয়ে কনসার্ট। সেই কনসার্টে ওয়ালি ফয়সাল গেয়েছেন, ‘আই অ্যাম এ ডিসকো ড্যান্সার’। সঙ্গে নেচেছেন মামুন, আরিফ, কোমল, শাকিল, এমিলি, সুজনরা। অনেক রাত পর্যন্ত চলেছে সেই উৎসব। স্টপার রেজার এটাই প্রথম লিগ শিরোপা। অন্যদের চেয়ে তাই একটু বেশিই খুশি তিনি। রেজার মতো ছোট ক্লাব থেকে এসেছেন তরুণ স্ট্রাইকার তৌহিদুল আলমও (সবুজ)। প্রথম চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য হয়ে এমন আনন্দ করেছেন যে ঘুমিয়েছেন ভোরে। প্রথম পর্বে সাতটি ম্যাচ খেললেও দ্বিতীয় পর্বে একটিও খেলেননি। এই নিয়ে তাঁর আক্ষেপ আছে, তবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে সব দূর হয়ে গেছে। সবুজের মতো বেঞ্চে কাটানো জাহিদও একটু মনঃক্ষুণ্ন। মামুনুল বললেন, ‘আমাদের খেলোয়াড়েরা অনেক স্যাক্রিফাইস করেছে।’ জাতীয় দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড় নিয়ে গড়া শেখ জামাল এখন জাতীয় দলের ক্যাম্পের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
প্রশ্নটা শুধু আহাদেরই নয়। লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরও শেখ জামালের এই শিরোপা-উৎসবের সামনে এখনো একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন রয়ে গেছে পাতানো খেলার ‘অভিযোগে’।
ধানমন্ডিতে শেখ জামাল ক্লাবে শিরোপা জয়ের পরের দিনটিতে গিয়ে সে রকম আনন্দ-উল্লাস দেখা গেল না। তাদের বিরুদ্ধে পাতানো খেলার অভিযোগের তদন্ত চলছেই বলে কি ক্লাবটি জয় দিয়ে লিগ শেষ করার পরের দিনটিতে অপ্রত্যাশিত রকমের বিষণ্ন?
তরুণ স্টপার রেজা এই আনন্দের দিনে ম্যাচ পাতানো নিয়ে কথা বলতে চাইলেন না, ‘আমি রহমতগঞ্জের ম্যাচের দিন ছুটি নিয়ে বাড়ি গিয়েছিলাম। আমি কিছুই জানি না।’ মামুনুল দাবি করলেন, ‘আমরা পাতানো খেলিনি। আমরা যে দল, তাতে পাতানো খেলা কেন লাগবে?’ প্রথমবারের মতো পেশাদার লিগে পা রেখেই চ্যাম্পিয়ন, ইতিহাস গড়ার পরও ক্লাবে যেন প্রাণের ছোঁয়া নেই। রং নেই। সমর্থকদের আনাগোনা নেই। শুধু কয়েক ডজন মরিচাবাতি ক্লাবের দেয়াল, দেবদারু আর কদমগাছের ওপর ছড়ানো। যৎসামান্য উৎসবের উপলক্ষ এসবই।
আমিনুল হককে পাওয়া গেল তাঁর কক্ষের সামনেই। কিন্তু ‘ব্যক্তিগত কাজে একটু বাইরে যাচ্ছি’—বলেই চলে গেলেন দলের অধিনায়ক।
উৎসব যে হয়নি তা নয়, তবে হয়েছে আগের রাতে। মাঠ থেকে ফেরার পর। ক্লাবে ফিরেই খেলোয়াড়েরা শুভেচ্ছাসিক্ত হয়েছেন। ক্লাব সভাপতি মনজুর কাদের ও অন্য কর্মকর্তারা শুভেচ্ছা জানান খেলোয়াড়দের। এরপর ক্লাব মাঠে হয়েছে স্থানীয় শিল্পীদের নিয়ে কনসার্ট। সেই কনসার্টে ওয়ালি ফয়সাল গেয়েছেন, ‘আই অ্যাম এ ডিসকো ড্যান্সার’। সঙ্গে নেচেছেন মামুন, আরিফ, কোমল, শাকিল, এমিলি, সুজনরা। অনেক রাত পর্যন্ত চলেছে সেই উৎসব। স্টপার রেজার এটাই প্রথম লিগ শিরোপা। অন্যদের চেয়ে তাই একটু বেশিই খুশি তিনি। রেজার মতো ছোট ক্লাব থেকে এসেছেন তরুণ স্ট্রাইকার তৌহিদুল আলমও (সবুজ)। প্রথম চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য হয়ে এমন আনন্দ করেছেন যে ঘুমিয়েছেন ভোরে। প্রথম পর্বে সাতটি ম্যাচ খেললেও দ্বিতীয় পর্বে একটিও খেলেননি। এই নিয়ে তাঁর আক্ষেপ আছে, তবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে সব দূর হয়ে গেছে। সবুজের মতো বেঞ্চে কাটানো জাহিদও একটু মনঃক্ষুণ্ন। মামুনুল বললেন, ‘আমাদের খেলোয়াড়েরা অনেক স্যাক্রিফাইস করেছে।’ জাতীয় দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড় নিয়ে গড়া শেখ জামাল এখন জাতীয় দলের ক্যাম্পের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
No comments