চার মাসে এডিপির মাত্র ১৪ শতাংশ বাস্তবায়িত
চলতি ২০১০-১১ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) মাত্র ১৪ শতাংশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
এই সময়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো পাঁচ হাজার ৪০১ কোটি টাকা ব্যয় করতে সমর্থ হয়েছে। তবে তিনটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ কোনো অর্থ খরচ করতে পারেনি।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এদিকে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপি প্রণয়নের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। গত ২৪ নভেম্বর পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগ থেকে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে চিঠি দিয়ে সংশোধিত এডিপি প্রণয়নের নীতিমালা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার গত বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, আগামী জানুয়ারি মাস থেকে সংশোধিত এডিপি প্রণয়নের কাজ শুরু হবে।
জানা গেছে, সংশোধিত এডিপিতে চলমান এডিপির বরাদ্দহীন কোনো প্রকল্প রাখা হবে না। চলমান দারিদ্র্য নিরসন কৌশলপত্র ও ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মূল ধারণার আলোকে সংশোধিত এডিপিতে প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া দারিদ্র্য বিমোচন ও অবকাঠামো খাতের প্রকল্পগুলো সংশোধিত এডিপিতে প্রাধান্য দেওয়া হবে।
আইএমইডি সূত্রে আরও জানা গেছে, জুলাই-অক্টোবর সময়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর অনুকূলে নয় হাজার ৯৪০ কোটি টাকা ছাড় করা হয়েছিল। এর বিপরীতে মাত্র ৫৪ শতাংশ খরচ করা সম্ভব হয়েছে।
এদিকে চলতি অর্থবছরের চার মাসের এডিপি বাস্তবায়ন পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, টাকার অঙ্কে খরচ বাড়লেও গত বছরের তুলনায় বাস্তবায়নের হার কিছুটা কমেছে।
গত অর্থবছরে একই সময়ে ১৬ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। ব্যয় হয়েছে চার হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। ২০০৮-০৯ ও ২০০৭-০৮ অর্থবছরে এই সময়ে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছিল যথাক্রমে ১৩ ও ১১ শতাংশ।
এ বছরের প্রথম চার মাসে স্থানীয় মুদ্রায় দুই হাজার ৯২২ কোটি টাকা এবং প্রকল্প সহায়তার দুই হাজার ১৮ কোটি টাকার খরচ করা সম্ভব হয়েছে।
আইএমইডি সূত্রে জানা গেছে, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ও সরকারি কর্মকমিশন সচিবালয় জুলাই-অক্টোবর সময়কালে কোনো অর্থ খরচ করতে পারেনি। এ বছর প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে ৪০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের অনুকূলে ৩৬ কোটি টাকা ও সরকারি কর্মকমিশন সচিবালয়ের অনুকূলে এক কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে।
এ ছাড়া আটটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অনুকূলে বরাদ্দের ৫ শতাংশের নিচে অর্থ খরচ করেছে। এগুলো হলো: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় (দশমিক ০৯ শতাংশ), নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় (১ শতাংশ), বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় (১ শতাংশ), অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (১ শতাংশ), মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ (১ শতাংশ), সেতু বিভাগ (২ শতাংশ), পরিসংখ্যান বিভাগ (৩ শতাংশ), দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিভাগ (৪ শতাংশ)।
টাকার অঙ্কে বেশি খরচ করেছে এমন শীর্ষ পাঁচটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ হলো: স্থানীয় সরকার বিভাগ (এক হাজার ৩৩০ কোটি টাকা), প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় (৭১৫ কোটি টাকা), স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় (৫১৬ কোটি টাকা), বিদ্যুৎ বিভাগ (৪৪৪ কোটি টাকা) এবং সড়ক ও রেলপথ বিভাগ (২৯৪ কোটি টাকা)।
চলতি অর্থবছরে ৩৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকার এডিপি গ্রহণ করা হয়েছে। এবারের এডিপিতে মোট ৯১৬টি প্রকল্প রয়েছে।
এই সময়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো পাঁচ হাজার ৪০১ কোটি টাকা ব্যয় করতে সমর্থ হয়েছে। তবে তিনটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ কোনো অর্থ খরচ করতে পারেনি।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এদিকে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপি প্রণয়নের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। গত ২৪ নভেম্বর পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগ থেকে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে চিঠি দিয়ে সংশোধিত এডিপি প্রণয়নের নীতিমালা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার গত বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, আগামী জানুয়ারি মাস থেকে সংশোধিত এডিপি প্রণয়নের কাজ শুরু হবে।
জানা গেছে, সংশোধিত এডিপিতে চলমান এডিপির বরাদ্দহীন কোনো প্রকল্প রাখা হবে না। চলমান দারিদ্র্য নিরসন কৌশলপত্র ও ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মূল ধারণার আলোকে সংশোধিত এডিপিতে প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া দারিদ্র্য বিমোচন ও অবকাঠামো খাতের প্রকল্পগুলো সংশোধিত এডিপিতে প্রাধান্য দেওয়া হবে।
আইএমইডি সূত্রে আরও জানা গেছে, জুলাই-অক্টোবর সময়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর অনুকূলে নয় হাজার ৯৪০ কোটি টাকা ছাড় করা হয়েছিল। এর বিপরীতে মাত্র ৫৪ শতাংশ খরচ করা সম্ভব হয়েছে।
এদিকে চলতি অর্থবছরের চার মাসের এডিপি বাস্তবায়ন পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, টাকার অঙ্কে খরচ বাড়লেও গত বছরের তুলনায় বাস্তবায়নের হার কিছুটা কমেছে।
গত অর্থবছরে একই সময়ে ১৬ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। ব্যয় হয়েছে চার হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। ২০০৮-০৯ ও ২০০৭-০৮ অর্থবছরে এই সময়ে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছিল যথাক্রমে ১৩ ও ১১ শতাংশ।
এ বছরের প্রথম চার মাসে স্থানীয় মুদ্রায় দুই হাজার ৯২২ কোটি টাকা এবং প্রকল্প সহায়তার দুই হাজার ১৮ কোটি টাকার খরচ করা সম্ভব হয়েছে।
আইএমইডি সূত্রে জানা গেছে, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ও সরকারি কর্মকমিশন সচিবালয় জুলাই-অক্টোবর সময়কালে কোনো অর্থ খরচ করতে পারেনি। এ বছর প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে ৪০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের অনুকূলে ৩৬ কোটি টাকা ও সরকারি কর্মকমিশন সচিবালয়ের অনুকূলে এক কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে।
এ ছাড়া আটটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অনুকূলে বরাদ্দের ৫ শতাংশের নিচে অর্থ খরচ করেছে। এগুলো হলো: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় (দশমিক ০৯ শতাংশ), নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় (১ শতাংশ), বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় (১ শতাংশ), অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (১ শতাংশ), মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ (১ শতাংশ), সেতু বিভাগ (২ শতাংশ), পরিসংখ্যান বিভাগ (৩ শতাংশ), দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিভাগ (৪ শতাংশ)।
টাকার অঙ্কে বেশি খরচ করেছে এমন শীর্ষ পাঁচটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ হলো: স্থানীয় সরকার বিভাগ (এক হাজার ৩৩০ কোটি টাকা), প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় (৭১৫ কোটি টাকা), স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় (৫১৬ কোটি টাকা), বিদ্যুৎ বিভাগ (৪৪৪ কোটি টাকা) এবং সড়ক ও রেলপথ বিভাগ (২৯৪ কোটি টাকা)।
চলতি অর্থবছরে ৩৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকার এডিপি গ্রহণ করা হয়েছে। এবারের এডিপিতে মোট ৯১৬টি প্রকল্প রয়েছে।
No comments