কুক পোড়ালেন অস্ট্রেলিয়াকে
অসহ্য গরম। অ্যাডিলেডের গনগনে সূর্য ৩৭ ডিগ্রি পর্যন্ত উত্তাপ ছড়াল। অস্ট্রেলিয়া অবশ্য পুড়ল অন্য এক সূর্যের প্রখরতায়। ব্রিসবেনের দ্বিতীয় ইনিংসে ২৩৫ রানে অপরাজিত অ্যালিস্টার কুক কাল সারা দিন ব্যাটিং করে অপরাজিত থেকেই ফিরলেন, আরেকটি ডাবল সেঞ্চুরির হাতছানি তাঁর সামনে। ১৮ মাস পর টেস্ট সেঞ্চুরির হাতছানি ৮৫ রানে অপরাজিত কেভিন পিটারসেনের সামনেও। আর ইংল্যান্ডের সামনে হাতছানি অ্যাডিলেড টেস্টে জিতে সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার।
ব্যাটিং-স্বর্গ অ্যাডিলেডে ২ উইকেটে ৩১৭ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করা ইংল্যান্ড এরই মধ্যে ৭২ রানের লিড পেয়ে গেছে। হাতে ৮ উইকেট। কাল সারা দিন পুড়তে পুড়তে ক্লান্ত-বিধ্বস্ত অস্ট্রেলীয় বোলাররা আজ উজ্জীবিত হওয়ার রসদ পাবেন সামান্যই।
কাল দিনের শুরুটা অবশ্য ভালোই হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার। তৃতীয় বলেই ডগ বলিঞ্জারের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান স্ট্রাউস। তিন নম্বরে নামা জোনাথন ট্রটকেও দ্রুত ফেরাতে পারত অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু ৬ রানে রানআউটের হাত থেকে বেঁচে যান ট্রট। আগের দিন কিন্তু এমনই একটা রানআউট থেকে শুরু হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার আকস্মিক পতন।
ট্রট জীবন পেয়েছেন আরও দুবার। ১২ রানে গালিতে তাঁর ক্যাচ ফেলেছেন মাইক হাসি। পরেরবার বেঁচে গেছেন ব্র্যাড হাডিনের সৌজন্যে। ভাগ্যের পরশ পেয়ে ট্রট যেন দ্রুতই টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। শেষ পর্যন্ত ৭৮ রানে তাঁকে ফিরিয়েছেন রায়ান হ্যারিস। ততক্ষণে অবশ্য কুকের সঙ্গে ১৭৩ রানের জুটি গড়া হয়ে গেছে তাঁর।
ট্রট সেঞ্চুরি হাতছাড়া করলেও কুক ভুল করেননি। একেবারেই নিখুঁত একটা ইনিংস খেলেছেন। ডোহার্টিকে চার মেরে পূর্ণ করেছেন ১৫তম সেঞ্চুরি। ১৩৬ রানের ইনিংসটি এখন টানা দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরির রূপ পাওয়ার অপেক্ষায়।
প্রায় নিখুঁত বলতে হবে পিটারসেনের ইনিংসটাকেও। একবারই একটু অসহায় মনে হয়েছে তাঁকে। ডোহার্টিকে এগিয়ে এসে ড্রাইভ করতে গিয়ে বল ব্যাটের কানায় লেগে উঠে গিয়েছিল ক্যাচ। ভাগ্য ভালো জায়গামতো ওত পেতে ছিল না কোনো অস্ট্রেলীয় হাত। এ ঘটনা বাদ দিলে পিটারসেন চার বছর আগে অ্যাডিলেডে তাঁর ১৫৮ রানের ইনিংসটার কথাই যেন মনে করিয়ে দিয়েছেন।
কুক-পিটারসেনের অবিচ্ছিন্ন এই ১৪১ রানের জুটি বড় বিপদের পূর্বাভাসই দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়াকে। দিন শেষে কুক সাংবাদিকদের বলেছেন, অস্ট্রেলিয়াকে সামান্য সুযোগ দেওয়ার বোকামি তাঁর দল করবে না। ১৫০তম টেস্টে খেলতে নেমে প্রথম বলে আউট হওয়া পন্টিংয়ের জন্য সম্ভবত আরও বিস্মরণযোগ্য দুঃস্মৃতিই অপেক্ষা করছে উপহার হিসেবে!
ব্যাটিং-স্বর্গ অ্যাডিলেডে ২ উইকেটে ৩১৭ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করা ইংল্যান্ড এরই মধ্যে ৭২ রানের লিড পেয়ে গেছে। হাতে ৮ উইকেট। কাল সারা দিন পুড়তে পুড়তে ক্লান্ত-বিধ্বস্ত অস্ট্রেলীয় বোলাররা আজ উজ্জীবিত হওয়ার রসদ পাবেন সামান্যই।
কাল দিনের শুরুটা অবশ্য ভালোই হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার। তৃতীয় বলেই ডগ বলিঞ্জারের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান স্ট্রাউস। তিন নম্বরে নামা জোনাথন ট্রটকেও দ্রুত ফেরাতে পারত অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু ৬ রানে রানআউটের হাত থেকে বেঁচে যান ট্রট। আগের দিন কিন্তু এমনই একটা রানআউট থেকে শুরু হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার আকস্মিক পতন।
ট্রট জীবন পেয়েছেন আরও দুবার। ১২ রানে গালিতে তাঁর ক্যাচ ফেলেছেন মাইক হাসি। পরেরবার বেঁচে গেছেন ব্র্যাড হাডিনের সৌজন্যে। ভাগ্যের পরশ পেয়ে ট্রট যেন দ্রুতই টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। শেষ পর্যন্ত ৭৮ রানে তাঁকে ফিরিয়েছেন রায়ান হ্যারিস। ততক্ষণে অবশ্য কুকের সঙ্গে ১৭৩ রানের জুটি গড়া হয়ে গেছে তাঁর।
ট্রট সেঞ্চুরি হাতছাড়া করলেও কুক ভুল করেননি। একেবারেই নিখুঁত একটা ইনিংস খেলেছেন। ডোহার্টিকে চার মেরে পূর্ণ করেছেন ১৫তম সেঞ্চুরি। ১৩৬ রানের ইনিংসটি এখন টানা দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরির রূপ পাওয়ার অপেক্ষায়।
প্রায় নিখুঁত বলতে হবে পিটারসেনের ইনিংসটাকেও। একবারই একটু অসহায় মনে হয়েছে তাঁকে। ডোহার্টিকে এগিয়ে এসে ড্রাইভ করতে গিয়ে বল ব্যাটের কানায় লেগে উঠে গিয়েছিল ক্যাচ। ভাগ্য ভালো জায়গামতো ওত পেতে ছিল না কোনো অস্ট্রেলীয় হাত। এ ঘটনা বাদ দিলে পিটারসেন চার বছর আগে অ্যাডিলেডে তাঁর ১৫৮ রানের ইনিংসটার কথাই যেন মনে করিয়ে দিয়েছেন।
কুক-পিটারসেনের অবিচ্ছিন্ন এই ১৪১ রানের জুটি বড় বিপদের পূর্বাভাসই দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়াকে। দিন শেষে কুক সাংবাদিকদের বলেছেন, অস্ট্রেলিয়াকে সামান্য সুযোগ দেওয়ার বোকামি তাঁর দল করবে না। ১৫০তম টেস্টে খেলতে নেমে প্রথম বলে আউট হওয়া পন্টিংয়ের জন্য সম্ভবত আরও বিস্মরণযোগ্য দুঃস্মৃতিই অপেক্ষা করছে উপহার হিসেবে!
No comments