পরিশ্রমের ফল পাচ্ছেন রাজ ভাই
সবাই জানে বাংলাদেশ বাঁহাতি স্পিনারদের দেশ। রাজ ভাইয়ের (আবদুর রাজ্জাক) হ্যাটট্রিক সেটারই একটা স্বীকৃতি বলতে পারেন। আমরা যত দিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছি, বাঁহাতি হোক বা ডানহাতি, সব সময় স্পিন বোলাররাই ভালো করেছে। স্পিন বোলিংয়ের কোনো না কোনো জায়গায় তো আমাদের এগিয়ে থাকতেই হবে। ওয়ানডেতে বাঁহাতি স্পিনারদের মধ্যে প্রথম হ্যাটট্রিক করে রাজ ভাই-ই করলেন সেই কাজটা।
বাঁহাতি স্পিনারদের মধ্যে প্রথম হ্যাটট্রিকম্যান বলে নয়, রাজ ভাই অনেক কারণেই ব্যতিক্রম। আমি দলে আসার পর কখনোই দেখিনি উনি খুব খারাপ বল করেছেন। মাঝখানে অ্যাকশনের কারণে একটু সমস্যা হয়েছিল। কিন্তু নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকে উনি আবার ছন্দে ফেরা শুরু করেছেন। অ্যাকশন বদলালে ছন্দে ফিরতে সময় লাগবে স্বাভাবিক। সেই সময়টা পার করে উনি আবার আগের জায়গায় ফিরে আসছেন বলে মনে হচ্ছে।
রাজ ভাইয়ের মধ্যে কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন দেখছি আমি। আগে উনি শুধু জোরের ওপর বল করতেন, এখন আস্তে বল করতে পারেন, ফ্লাইটটাও অনেক ভালো দিচ্ছেন। অনেক বৈচিত্র্যও এনেছেন বোলিংয়ে। আগে হয়তো উইকেটের জন্য বল করতেন, এখন সেটা করেন না। এটাই সবচেয়ে ভালো দিক মনে হয় আমার। উইকেটের জন্য বল করলেই উইকেট পাওয়াটা বেশি কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। ওয়ানডেতে যদি চিন্তা করি, রান না দিয়ে বল করব, উইকেট এমনিতেই আসবে।
রাজ ভাই নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকেই এটা ধারাবাহিকভাবে করছেন। আরেকটা কথা—ওনার বড় গুণ উইকেট নেওয়ার অসাধারণ ক্ষমতা। খুব কম সময়ই দেখেছি যে উনি উইকেট পাননি। ম্যাচ হিসাব করলেও দেখবেন অন্যদের তুলনায় রাজ ভাইয়ের উইকেট অনেক বেশি।
আগেও অনেকবার বলেছি, রাজ ভাই ও আমি সব সময় নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে বল করি। আজ উইকেটটা এমন, এখানে এই বলটা ভালো হচ্ছে বা ওটা হচ্ছে না...সব সময়ই এই মতামতগুলো আদান-প্রদান হয়। এসবের জন্য লম্বা সময় ধরে কথা বলার দরকার নেই। শুধু বলা, এ রকম হলে ও রকম হচ্ছে, আপনি একটু এটা করে দেখতে পারেন—এই তো!
শুরু থেকেই দেখেছি রাজ ভাই দলের কথা খুব ভাবেন। এখনো কোনো কিছু মনে হলে আমাকে এসে বোঝান, তোর এটা করা উচিত, এটা করলে মনে হয় ভালো হয়। তাঁর মধ্যে নেতৃত্বগুণ আছে, যেটা মাঠের মধ্যে দারুণ কাজে লাগে। কেউ মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়লে কাছে গিয়ে হয়তো বলেন, ‘ভাই ছাড়িস না। ধরে রাখ...।’ একজন সিনিয়র ক্রিকেটারের এ রকম ভূমিকা দলের জন্য অনেক বড় ব্যাপার।
মানসিকভাবে খুবই শক্ত রাজ ভাই। অ্যাকশনে সমস্যা হওয়ার পর সেটা বদলে ফিরে আসা, তারপর আবার একই পরিস্থিতিতে পড়ে আবারও কামব্যাক করা—দু-দুবার এ রকম পরিস্থিতির মধ্যে পড়া এবং সেটা ভালোভাবে সামলে ওঠা ভীষণ কঠিন কাজ। এটা রাজ ভাইয়ের বিশেষ গুণ, এখানে উনি ব্যতিক্রমও। অ্যাকশন বদলে ফেরার পর খুব বেশি খেলোয়াড় কিন্তু সফল হয় না। ব্যাটিংয়ে ছোটখাটো অনেক টেকনিক বদলানো যায়, কিন্তু বোলিং অ্যাকশন খুব বেশি বোলার বদলায় না। ড্যানিয়েল ভেট্টোরির অ্যাকশন দেখেন, সেই শুরুতে যেমন ছিল, এখনো তেমনই আছে।
একটা জায়গায় মুত্তিয়া মুরালিধরনের চেয়েও আমাদের রাজ ভাইকে এগিয়ে রাখব আমি। মুরালিকে অনেক বিতর্কের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে ঠিক, কিন্তু তাঁকে কখনো অ্যাকশন বদলাতে হয়নি। রাজ ভাইকে সেটা করতে হয়েছে। কাজটা খুবই কঠিন ছিল। আমি নিজে দেখেছি বল করতে করতে তাঁর আঙুল ছিলে গিয়েছিল, তার পরও থামেননি। কখনো নতুন বলে, কখনো পুরোনো বলে বল করেই গেছেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করে সেই কষ্টেরই ফল পেলেন রাজ ভাই। সিরিজে ম্যাচ আছে আরও তিনটি। বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনের সামনে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা যেভাবে ভেঙে পড়ছে, সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে রাজ ভাই-ই হতে পারেন আমাদের বড় অস্ত্র।
বাঁহাতি স্পিনারদের মধ্যে প্রথম হ্যাটট্রিকম্যান বলে নয়, রাজ ভাই অনেক কারণেই ব্যতিক্রম। আমি দলে আসার পর কখনোই দেখিনি উনি খুব খারাপ বল করেছেন। মাঝখানে অ্যাকশনের কারণে একটু সমস্যা হয়েছিল। কিন্তু নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকে উনি আবার ছন্দে ফেরা শুরু করেছেন। অ্যাকশন বদলালে ছন্দে ফিরতে সময় লাগবে স্বাভাবিক। সেই সময়টা পার করে উনি আবার আগের জায়গায় ফিরে আসছেন বলে মনে হচ্ছে।
রাজ ভাইয়ের মধ্যে কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন দেখছি আমি। আগে উনি শুধু জোরের ওপর বল করতেন, এখন আস্তে বল করতে পারেন, ফ্লাইটটাও অনেক ভালো দিচ্ছেন। অনেক বৈচিত্র্যও এনেছেন বোলিংয়ে। আগে হয়তো উইকেটের জন্য বল করতেন, এখন সেটা করেন না। এটাই সবচেয়ে ভালো দিক মনে হয় আমার। উইকেটের জন্য বল করলেই উইকেট পাওয়াটা বেশি কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। ওয়ানডেতে যদি চিন্তা করি, রান না দিয়ে বল করব, উইকেট এমনিতেই আসবে।
রাজ ভাই নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকেই এটা ধারাবাহিকভাবে করছেন। আরেকটা কথা—ওনার বড় গুণ উইকেট নেওয়ার অসাধারণ ক্ষমতা। খুব কম সময়ই দেখেছি যে উনি উইকেট পাননি। ম্যাচ হিসাব করলেও দেখবেন অন্যদের তুলনায় রাজ ভাইয়ের উইকেট অনেক বেশি।
আগেও অনেকবার বলেছি, রাজ ভাই ও আমি সব সময় নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে বল করি। আজ উইকেটটা এমন, এখানে এই বলটা ভালো হচ্ছে বা ওটা হচ্ছে না...সব সময়ই এই মতামতগুলো আদান-প্রদান হয়। এসবের জন্য লম্বা সময় ধরে কথা বলার দরকার নেই। শুধু বলা, এ রকম হলে ও রকম হচ্ছে, আপনি একটু এটা করে দেখতে পারেন—এই তো!
শুরু থেকেই দেখেছি রাজ ভাই দলের কথা খুব ভাবেন। এখনো কোনো কিছু মনে হলে আমাকে এসে বোঝান, তোর এটা করা উচিত, এটা করলে মনে হয় ভালো হয়। তাঁর মধ্যে নেতৃত্বগুণ আছে, যেটা মাঠের মধ্যে দারুণ কাজে লাগে। কেউ মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়লে কাছে গিয়ে হয়তো বলেন, ‘ভাই ছাড়িস না। ধরে রাখ...।’ একজন সিনিয়র ক্রিকেটারের এ রকম ভূমিকা দলের জন্য অনেক বড় ব্যাপার।
মানসিকভাবে খুবই শক্ত রাজ ভাই। অ্যাকশনে সমস্যা হওয়ার পর সেটা বদলে ফিরে আসা, তারপর আবার একই পরিস্থিতিতে পড়ে আবারও কামব্যাক করা—দু-দুবার এ রকম পরিস্থিতির মধ্যে পড়া এবং সেটা ভালোভাবে সামলে ওঠা ভীষণ কঠিন কাজ। এটা রাজ ভাইয়ের বিশেষ গুণ, এখানে উনি ব্যতিক্রমও। অ্যাকশন বদলে ফেরার পর খুব বেশি খেলোয়াড় কিন্তু সফল হয় না। ব্যাটিংয়ে ছোটখাটো অনেক টেকনিক বদলানো যায়, কিন্তু বোলিং অ্যাকশন খুব বেশি বোলার বদলায় না। ড্যানিয়েল ভেট্টোরির অ্যাকশন দেখেন, সেই শুরুতে যেমন ছিল, এখনো তেমনই আছে।
একটা জায়গায় মুত্তিয়া মুরালিধরনের চেয়েও আমাদের রাজ ভাইকে এগিয়ে রাখব আমি। মুরালিকে অনেক বিতর্কের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে ঠিক, কিন্তু তাঁকে কখনো অ্যাকশন বদলাতে হয়নি। রাজ ভাইকে সেটা করতে হয়েছে। কাজটা খুবই কঠিন ছিল। আমি নিজে দেখেছি বল করতে করতে তাঁর আঙুল ছিলে গিয়েছিল, তার পরও থামেননি। কখনো নতুন বলে, কখনো পুরোনো বলে বল করেই গেছেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করে সেই কষ্টেরই ফল পেলেন রাজ ভাই। সিরিজে ম্যাচ আছে আরও তিনটি। বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনের সামনে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা যেভাবে ভেঙে পড়ছে, সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে রাজ ভাই-ই হতে পারেন আমাদের বড় অস্ত্র।
No comments