বাতিস্তার চোখ বিশ্বকাপে
এল পেলুসা’র হাত ঘুরে পাকাপাকিভাবে চেয়ারটায় বসে পড়লেন ‘এল চেচো’। আনুষ্ঠানিকভাবে ডিয়েগো ম্যারাডোনার উত্তরসূরি হিসেবে ঘোষণা করা হলো তাঁরই ১৯৮৬ বিশ্বকাপ দলের সতীর্থ সার্জিও বাতিস্তার নাম।
এ ঘোষণাটাই শুধু বাকি ছিল। বাতিস্তা যে দলের দায়িত্ব পাচ্ছেন সেটা নিশ্চিত হওয়া গিয়েছিল আগেই। আগামী বিশ্বকাপ পর্যন্ত দায়িত্ব পেলেও বড় পরীক্ষায় বাতিস্তাকে পড়তে হচ্ছে আগামী বছরেই। ২০১১ কোপা আমেরিকার আয়োজক আর্জেন্টিনা। সর্বশেষ ১৯৯৩ সালে এই টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছে দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। পরের ১৭ বছরে আর কোনো টুর্নামেন্টেরই শিরোপা আসেনি আর্জেন্টিনার ঘরে।
তবে এরও আগে একটা প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা হয়ে যাচ্ছে বাতিস্তার। আর কদিন পরেই, ১৭ নভেম্বর প্রীতি ম্যাচে ব্রাজিলের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। পূর্ণ কোচ হিসেবে ওটাই হবে বাতিস্তার প্রথম ম্যাচ। প্রথম ম্যাচেই ব্রাজিল! অভিষেকেই আগুনের তাপ!!
পরশু সংবাদ সম্মেলনে স্মিত হাসি ধরে রাখা বাতিস্তা অবশ্য জানালেন, ছোটখাটো এসব চ্যালেঞ্জ নয়, তিনি প্রস্তুত মহারণের জন্য। একটা চোখ তাঁর সব সময়ই থাকবে বিশ্বকাপে, ‘যেন একটা স্বপ্ন, আমার জীবনের বৃহত্তর লক্ষ্যটাই পূরণ হচ্ছে। আমি ২০১৪ বিশ্বকাপ জিততেই চাই, ফাইনালে ব্রাজিলকে হারিয়েই।’
ম্যারাডোনার সতীর্থ হলেও দুজনের মধ্যে মিল খুঁজতে যাওয়া বোকামি। সব জায়গায় একটু মিলের মধ্যেই যেন অমিলের স্রোত। যেমন ধরুন, তিনিও মিডফিল্ডার ছিলেন, তবে ম্যারাডোনার মতো নন। ছিলেন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। তাঁরও ক্যারিয়ার শুরু আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্সে। কিন্তু ম্যারাডোনার মতো দ্রুতই ক্লাবটি ছেড়ে বোকায় নাম লেখাননি। বরং এই ক্লাবের হয়ে দীর্ঘদিন খেলেছেন। দুবার লিগ জিতেছেন, একবার কোপা লিবার্তোদোরেস। মিশেল প্লাতিনির জুভেন্টাসের বিপক্ষে ইন্টার কন্টিনেন্টাল কাপের ফাইনালে হেরে গিয়েছিলেন টাইব্রেকারে। ফলে ক্লাব পর্যায়ে ম্যারাডোনার মতো অমন সাফল্য পাননি।
ব্যক্তিজীবনে ম্যারাডোনার মতোই ড্রাগের অন্ধকার জীবনে পা বাড়িয়ে দ্রুতই আবার ফিরেও আসেন। বাবার মৃত্যুই ধ্বংসের পথে ঠেলে দিয়েছিল তাঁকে। কথা বলেন খুবই কম, আচার-আচরণেও ম্যারাডোনার ঠিক উল্টো। এ মাসের ৯ তারিখ ৪৮ পূর্ণ করতে চলা বাতিস্তা কোচ হিসেবে অন্তত ম্যারাডোনার চেয়ে অভিজ্ঞ। ২০০৭ সালে আর্জেন্টিনা যুবদলের দায়িত্ব নেওয়ার আগে ছয়টি ক্লাবে কাজ করেছেন বিচ্ছিন্ন মেয়াদে। সাম্প্রতিক সময়ে আর্জেন্টিনার ফুটবল দলের একমাত্র যে সাফল্য, ২০০৮ অলিম্পিকে সোনা জয়, সেই দলের কোচ ছিলেন বাতিস্তাই। কোচ হিসেবে লিওনেল মেসি যে ম্যারাডোনার চেয়ে বাতিস্তাকেই বেশি পছন্দ করেন, এও আর অজানা নেই।
দেখাই যাক, এবার মেসি-বাতিস্তা জুটি কেমন জমে!
এ ঘোষণাটাই শুধু বাকি ছিল। বাতিস্তা যে দলের দায়িত্ব পাচ্ছেন সেটা নিশ্চিত হওয়া গিয়েছিল আগেই। আগামী বিশ্বকাপ পর্যন্ত দায়িত্ব পেলেও বড় পরীক্ষায় বাতিস্তাকে পড়তে হচ্ছে আগামী বছরেই। ২০১১ কোপা আমেরিকার আয়োজক আর্জেন্টিনা। সর্বশেষ ১৯৯৩ সালে এই টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছে দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। পরের ১৭ বছরে আর কোনো টুর্নামেন্টেরই শিরোপা আসেনি আর্জেন্টিনার ঘরে।
তবে এরও আগে একটা প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা হয়ে যাচ্ছে বাতিস্তার। আর কদিন পরেই, ১৭ নভেম্বর প্রীতি ম্যাচে ব্রাজিলের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। পূর্ণ কোচ হিসেবে ওটাই হবে বাতিস্তার প্রথম ম্যাচ। প্রথম ম্যাচেই ব্রাজিল! অভিষেকেই আগুনের তাপ!!
পরশু সংবাদ সম্মেলনে স্মিত হাসি ধরে রাখা বাতিস্তা অবশ্য জানালেন, ছোটখাটো এসব চ্যালেঞ্জ নয়, তিনি প্রস্তুত মহারণের জন্য। একটা চোখ তাঁর সব সময়ই থাকবে বিশ্বকাপে, ‘যেন একটা স্বপ্ন, আমার জীবনের বৃহত্তর লক্ষ্যটাই পূরণ হচ্ছে। আমি ২০১৪ বিশ্বকাপ জিততেই চাই, ফাইনালে ব্রাজিলকে হারিয়েই।’
ম্যারাডোনার সতীর্থ হলেও দুজনের মধ্যে মিল খুঁজতে যাওয়া বোকামি। সব জায়গায় একটু মিলের মধ্যেই যেন অমিলের স্রোত। যেমন ধরুন, তিনিও মিডফিল্ডার ছিলেন, তবে ম্যারাডোনার মতো নন। ছিলেন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। তাঁরও ক্যারিয়ার শুরু আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্সে। কিন্তু ম্যারাডোনার মতো দ্রুতই ক্লাবটি ছেড়ে বোকায় নাম লেখাননি। বরং এই ক্লাবের হয়ে দীর্ঘদিন খেলেছেন। দুবার লিগ জিতেছেন, একবার কোপা লিবার্তোদোরেস। মিশেল প্লাতিনির জুভেন্টাসের বিপক্ষে ইন্টার কন্টিনেন্টাল কাপের ফাইনালে হেরে গিয়েছিলেন টাইব্রেকারে। ফলে ক্লাব পর্যায়ে ম্যারাডোনার মতো অমন সাফল্য পাননি।
ব্যক্তিজীবনে ম্যারাডোনার মতোই ড্রাগের অন্ধকার জীবনে পা বাড়িয়ে দ্রুতই আবার ফিরেও আসেন। বাবার মৃত্যুই ধ্বংসের পথে ঠেলে দিয়েছিল তাঁকে। কথা বলেন খুবই কম, আচার-আচরণেও ম্যারাডোনার ঠিক উল্টো। এ মাসের ৯ তারিখ ৪৮ পূর্ণ করতে চলা বাতিস্তা কোচ হিসেবে অন্তত ম্যারাডোনার চেয়ে অভিজ্ঞ। ২০০৭ সালে আর্জেন্টিনা যুবদলের দায়িত্ব নেওয়ার আগে ছয়টি ক্লাবে কাজ করেছেন বিচ্ছিন্ন মেয়াদে। সাম্প্রতিক সময়ে আর্জেন্টিনার ফুটবল দলের একমাত্র যে সাফল্য, ২০০৮ অলিম্পিকে সোনা জয়, সেই দলের কোচ ছিলেন বাতিস্তাই। কোচ হিসেবে লিওনেল মেসি যে ম্যারাডোনার চেয়ে বাতিস্তাকেই বেশি পছন্দ করেন, এও আর অজানা নেই।
দেখাই যাক, এবার মেসি-বাতিস্তা জুটি কেমন জমে!
No comments