সেই বেলেই বিপন্ন ইন্টার
দুই ম্যাচ হাতে রেখেই নকআউট পর্ব নিশ্চিত করার হাতছানি নিয়ে মাঠে নেমেছিল তিনটি দল। কিন্তু ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইন্টার মিলান, দুবারের চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা বা ফরাসি অলিম্পিক লিওঁ—কোনো দলই নকআউট পর্ব নিশ্চিত করতে পারেনি।
রাফায়েল বেনিতেজ সাবেক লিভারপুল কোচ এবার হোয়াইট হার্ট লেনে গেছেন ইন্টারকে নিয়ে। কিন্তু টটেনহাম ‘কুফা’ তাঁর কাটল না। এবার হেরে এলেন ৩-১ গোলে। বার্সেলোনাকে ১-১ গোলের ড্রতে বেঁধে ফেলল এফসি কোপেনহেগেন। আর ৭ গোলের এক রোমাঞ্চকর ম্যাচে অলিম্পিক লিওঁকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে দিয়েছে পর্তুগালের বেনফিকা।
তবে যে বড় দলের ম্যাচটি পরশু আলোচনায় ছিল কম, তারাই মাঠে আলো ফেলেছে বেশি—সেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তিনবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ বিজয়ী অ্যালেক্স ফার্গুসনের দল বুর্সাসপরকে ৩-০ গোলে হারিয়ে প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে নকআউট পর্ব। বুর্সাসপরের মাঠে গোল করেছেন ফ্লেচার, ওবারটান আর কোরেইরা। ৪ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে ‘সি’ গ্রুপের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ‘রেড ডেভিল’রা। সমান ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ভ্যালেন্সিয়া। পরের দুটি দল রেঞ্জার্স (৫) ও বুর্সাসপর (০)।
শেষ ষোলোয় চোখ রেখে মাঠে নামা ইন্টারকে শীর্ষস্থানটিই হারাতে হয়েছে টটেনহামের কাছে। ৪ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট ইন্টারের। সমান পয়েন্ট টটেনহামেরও। তবে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় শীর্ষে ‘স্পার’রা। নিজেদের মাঠে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নের মতো খেলেছে টটেনহাম। কোচ হ্যারি রেডনাপ তো রীতিমতো উড়ছেন, ‘আমরা তাদের উড়িয়ে দিয়েছি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমরাই ছিলাম ম্যাচের সেরা দল।’
যাঁকে বেশি ভয় পাচ্ছিল ইন্টার, সেই গ্যারেথ বেলই এ ম্যাচেও ছিলেন টটেনহামের এক্স-ফ্যাক্টর। সান সিরোতে আগের ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেও দলকে জেতাতে পারেননি, এদিন অবশ্য গোল না করেও দলের জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন বেল। ফন ডার ভার্টের করা প্রথম গোলটিতেই শুধু ছোঁয়া নেই ওয়েলশ উইংব্যাকের। তবে পিটার ক্রাউচ আর পাভলিউচেঙ্কোর করা দলের শেষ দুটি গোলের উৎস তিনিই। ম্যাচ শেষে তাই কোচের প্রশংসায়ও ভেসেছেন বেল, ‘গ্যারেথ অসাধারণ খেলেছে। রাইটব্যাক মাইকনকে অসম্মান করছি না, তবে বেল ওকে কঠিন সময়ই উপহার দিয়েছে। এটা দেখতে পাওয়া ছিল দারুণ!’
৬১ মিনিটের মধ্যে টটেনহাম ২-০-তে এগিয়ে যাওয়ার পর ইন্টারের পক্ষে একটি গোল শোধ দিয়েছেন স্যামুয়েল ইতো। কিন্তু এটা চ্যাম্পিয়নস লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা ইতোর (৭) গোলসংখ্যাই বাড়িয়েছে, ইন্টারকে ম্যাচে ফেরাতে পারেনি।
কোপেনহেগেনের বিপক্ষে লিগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা লিওনেল মেসির (৫) গোলে প্রথমে এগিয়ে গিয়েছিল বার্সেলোনাই। কিন্তু এক মিনিটের মধ্যেই সেটি ফিরিয়ে দেন স্বাগতিক দলটির ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার ক্লদেমির। দুর্দান্ত বার্সার সঙ্গে পেরে ওঠা সম্ভব না হলেও তাদের সমীহ কুড়িয়েছে কোপেনহেগেন। তবে মেসি চরিত্রবিরোধীভাবে দুটি গোল মিস না করলে কিংবা দুবার পোস্ট বাধা হয়ে না দাঁড়ালে জয় নিয়েই ফিরত স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নরা।
যা হয়েছে তাতেও অবশ্য অখুশি নন বার্সা অধিনায়ক কার্লোস পুয়োল, ‘খুব কঠিন ম্যাচ ছিল, দুর্ভাগ্যবশত ওরা খুব দ্রুতই সমতা এনে ফেলেছে। তবে সব মিলিয়ে একটা ভালো ম্যাচই আমরা খেলেছি।’ কোচ গার্দিওলা খুশি হতে পেরেছেন বলে মনে হয় না। আর না হলে কি ম্যাচ শেষে কোপেনহেগেনের নরওয়েজিয়ান কোচ স্টেল সোলবাকেনের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন!
রাফায়েল বেনিতেজ সাবেক লিভারপুল কোচ এবার হোয়াইট হার্ট লেনে গেছেন ইন্টারকে নিয়ে। কিন্তু টটেনহাম ‘কুফা’ তাঁর কাটল না। এবার হেরে এলেন ৩-১ গোলে। বার্সেলোনাকে ১-১ গোলের ড্রতে বেঁধে ফেলল এফসি কোপেনহেগেন। আর ৭ গোলের এক রোমাঞ্চকর ম্যাচে অলিম্পিক লিওঁকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে দিয়েছে পর্তুগালের বেনফিকা।
তবে যে বড় দলের ম্যাচটি পরশু আলোচনায় ছিল কম, তারাই মাঠে আলো ফেলেছে বেশি—সেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তিনবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ বিজয়ী অ্যালেক্স ফার্গুসনের দল বুর্সাসপরকে ৩-০ গোলে হারিয়ে প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে নকআউট পর্ব। বুর্সাসপরের মাঠে গোল করেছেন ফ্লেচার, ওবারটান আর কোরেইরা। ৪ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে ‘সি’ গ্রুপের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ‘রেড ডেভিল’রা। সমান ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ভ্যালেন্সিয়া। পরের দুটি দল রেঞ্জার্স (৫) ও বুর্সাসপর (০)।
শেষ ষোলোয় চোখ রেখে মাঠে নামা ইন্টারকে শীর্ষস্থানটিই হারাতে হয়েছে টটেনহামের কাছে। ৪ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট ইন্টারের। সমান পয়েন্ট টটেনহামেরও। তবে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় শীর্ষে ‘স্পার’রা। নিজেদের মাঠে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নের মতো খেলেছে টটেনহাম। কোচ হ্যারি রেডনাপ তো রীতিমতো উড়ছেন, ‘আমরা তাদের উড়িয়ে দিয়েছি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমরাই ছিলাম ম্যাচের সেরা দল।’
যাঁকে বেশি ভয় পাচ্ছিল ইন্টার, সেই গ্যারেথ বেলই এ ম্যাচেও ছিলেন টটেনহামের এক্স-ফ্যাক্টর। সান সিরোতে আগের ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেও দলকে জেতাতে পারেননি, এদিন অবশ্য গোল না করেও দলের জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন বেল। ফন ডার ভার্টের করা প্রথম গোলটিতেই শুধু ছোঁয়া নেই ওয়েলশ উইংব্যাকের। তবে পিটার ক্রাউচ আর পাভলিউচেঙ্কোর করা দলের শেষ দুটি গোলের উৎস তিনিই। ম্যাচ শেষে তাই কোচের প্রশংসায়ও ভেসেছেন বেল, ‘গ্যারেথ অসাধারণ খেলেছে। রাইটব্যাক মাইকনকে অসম্মান করছি না, তবে বেল ওকে কঠিন সময়ই উপহার দিয়েছে। এটা দেখতে পাওয়া ছিল দারুণ!’
৬১ মিনিটের মধ্যে টটেনহাম ২-০-তে এগিয়ে যাওয়ার পর ইন্টারের পক্ষে একটি গোল শোধ দিয়েছেন স্যামুয়েল ইতো। কিন্তু এটা চ্যাম্পিয়নস লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা ইতোর (৭) গোলসংখ্যাই বাড়িয়েছে, ইন্টারকে ম্যাচে ফেরাতে পারেনি।
কোপেনহেগেনের বিপক্ষে লিগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা লিওনেল মেসির (৫) গোলে প্রথমে এগিয়ে গিয়েছিল বার্সেলোনাই। কিন্তু এক মিনিটের মধ্যেই সেটি ফিরিয়ে দেন স্বাগতিক দলটির ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার ক্লদেমির। দুর্দান্ত বার্সার সঙ্গে পেরে ওঠা সম্ভব না হলেও তাদের সমীহ কুড়িয়েছে কোপেনহেগেন। তবে মেসি চরিত্রবিরোধীভাবে দুটি গোল মিস না করলে কিংবা দুবার পোস্ট বাধা হয়ে না দাঁড়ালে জয় নিয়েই ফিরত স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নরা।
যা হয়েছে তাতেও অবশ্য অখুশি নন বার্সা অধিনায়ক কার্লোস পুয়োল, ‘খুব কঠিন ম্যাচ ছিল, দুর্ভাগ্যবশত ওরা খুব দ্রুতই সমতা এনে ফেলেছে। তবে সব মিলিয়ে একটা ভালো ম্যাচই আমরা খেলেছি।’ কোচ গার্দিওলা খুশি হতে পেরেছেন বলে মনে হয় না। আর না হলে কি ম্যাচ শেষে কোপেনহেগেনের নরওয়েজিয়ান কোচ স্টেল সোলবাকেনের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন!
No comments