বাংলাদেশকে ভোলেননি হোয়াটমোর
কুমিল্লার মানুষের জন্য খবরটা চমকে যাওয়ার মতোই। বাংলাদেশের কোচ থাকার সময়ও যিনি রাজধানীর কাছের এই শহরটায় কখনো পা রাখেননি, সেই হোয়াটমোর হঠাৎ কুমিল্লায়!
কুমিল্লার হোয়াটমোর-দর্শন আসলে পশ্চিমবঙ্গের ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল, সংক্ষেপে সিএবি অনূর্ধ্ব-১৭ দলের কুমিল্লা সফর উপলক্ষে। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ দলের বিপক্ষে তিন দিনের ম্যাচ খেলতে আসা সিএবি দলটির কোচ গৌতম সোম বাবার অসুস্থতার কারণে দেশে ফিরে যাওয়ায় সিএবি আপৎকালীন কোচ হিসেবে পাঠিয়েছে হোয়াটমোরকে। আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের কোচ হিসেবে বছরে মাত্র দুই মাস ব্যস্ততা। হোয়াটমোর তাই শাহরুখ খানের দলের দেখভালের পাশাপাশি সিএবির কোচিং ডিরেক্টরও।
তো সেই হোয়াটমোর যখন কুমিল্লায় কিংবা বাংলাদেশে সেটি নিয়ে আলোচনা তো হবেই। কুমিল্লা ক্লাবে বসে ঢাকার পরিচিত সাংবাদিকদের সঙ্গে সেসব নিয়েই দীর্ঘ আড্ডায় মেতে উঠলেন জাতীয় দলের সাবেক কোচ। তাঁর সময়ের যেসব খেলোয়াড় এখন আর খেলায় নেই, তাদের খোঁজ নিলেন। সে সময়ের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের আর কে কে এল জাতীয় দলে, বর্তমান নির্বাচক কমিটিতে কারা আছেন—হোয়াটমোরের কত কৌতূহল! কোথায় সাংবাদিকেরা বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে তাঁর বর্তমান ভাবনা জানবেন, তা না হোয়াটমোরের প্রশ্নই শেষ হয় না।
পাল্টা প্রশ্নের প্রথমেই অনুরোধ, ‘জটিল কোনো প্রশ্ন নয়। জেমি সিডন্স এখন দলের কোচ। তাঁর নিশ্চয়ই একটা পরিকল্পনা আছে, দলটার ভালোর জন্য কাজ করছে সিডন্স আর তাঁর কোচিং স্টাফ। কাজেই এসব নিয়ে আমার কথা না বলাই ভালো।’ তবে জানালেন, দূরে গেলেও বাংলাদেশের ক্রিকেটের খোঁজখবর রাখেন। এ দেশের ক্রিকেটের উন্নতির গ্রাফটা তাঁর চোখেও পড়ছে, ‘সবাই চায় ধারাবাহিকতা। আমি যখন ছিলাম, তখনো প্রত্যাশা এটাই ছিল। এখন জেমি সিডন্সও তাই বলছেন। তবে ধারাবাহিকতা হতে হবে জয়ের, ভালো পারফরম্যান্সের। পরাজয় বা বাজে পারফরম্যান্সের নয়। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বলছে তারা উন্নতি করছে। তবে হ্যাঁ, সবাই যা আশা করে, ধারাবাহিকতা ধরে রাখার কাজটা করতে হয়তো আরও সময় লাগবে।’
মাঠের পারফরম্যান্সের সঙ্গে বর্তমান ক্রিকেটারদের মানসিকতারও প্রশংসা করেছেন সাবেক কোচ, ‘নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪-০-তে সিরিজ জয় চাট্টিখানি কথা নয়। একটার পর একটা ম্যাচ তারা জিতেছে এবং পরের ম্যাচের জন্য সংকল্পবদ্ধ হয়েছে। আগেই সিরিজ জিতে যাওয়ায় শেষ ম্যাচটা না জিতলেও চলত। কিন্তু দেখুন, দারুণ ক্রিকেট খেলে বাংলাদেশ সেটাও জিতে নিল।’ বাংলাদেশের প্রশংসার সঙ্গে একটু হতাশাও ঝরেছে হোয়াটমোরের কণ্ঠে। সেটা একসময়ের প্রিয় ছাত্র মাশরাফি বিন মুর্তজার ইনজুরি নিয়ে, ‘পাগলার (মাশরাফিকে এ নামেই ডাকতেন হোয়াটমোর) এমন অ্যাঙ্কেলের ইনজুরিটা যে কারও হতে পারে। তবে ও একটু দুর্ভাগা। আর আমার মনে হয়, ওর বারবার ইনজুরিতে পড়া নিয়ে এত দিনে আরও কিছু কাজ হওয়া উচিত ছিল।’
শ্রীলঙ্কাকে ’৯৬ বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন। ২০০৭ বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে সুপার এইটে তোলার নেপথ্য-নায়কও তিনি। এরপর ভারতের জাতীয় একাডেমি হয়ে হোয়াটমোর এখন কেকেআর এবং সিএবি নিয়ে আছেন। হাই-প্রোফাইল কোচ হিসেবে হোয়াটমোরের জন্য কাজটা হয়তো নগণ্যই। যদিও তিনি বলছেন, ‘সব কাজেই চ্যালেঞ্জ আছে।’ অল্প সময়ের জন্য এসে কুমিল্লায় সিএবি অনূর্ধ্ব-১৭ দলের সঙ্গেও সময়টা খারাপ কাটছে না অস্ট্রেলিয়ান কোচের। নিজে না গেলেও দলের খেলোয়াড়দের কাল বিকেলে কুমিল্লা বার্ডে ঘুরতে পাঠালেন। তিন দিনের ম্যাচের পর কুমিল্লায় একটা ওয়ানডে হওয়ার কথা ছিল। তবে এখন সব ওয়ানডেই হবে সিলেটে। পরশু কুমিল্লায় ম্যাচ শেষে তাই সিলেট হয়ে হোয়াটমোর ঢাকা যাবেন ১৩ নভেম্বর, বাংলাদেশ ছাড়বেন তার পরদিন। যাওয়ার সময় সাড়ে তিন বছর আগের স্মৃতির সঙ্গে বাড়তি কিছু যোগ হবে নিশ্চিত।
কুমিল্লার হোয়াটমোর-দর্শন আসলে পশ্চিমবঙ্গের ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল, সংক্ষেপে সিএবি অনূর্ধ্ব-১৭ দলের কুমিল্লা সফর উপলক্ষে। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ দলের বিপক্ষে তিন দিনের ম্যাচ খেলতে আসা সিএবি দলটির কোচ গৌতম সোম বাবার অসুস্থতার কারণে দেশে ফিরে যাওয়ায় সিএবি আপৎকালীন কোচ হিসেবে পাঠিয়েছে হোয়াটমোরকে। আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের কোচ হিসেবে বছরে মাত্র দুই মাস ব্যস্ততা। হোয়াটমোর তাই শাহরুখ খানের দলের দেখভালের পাশাপাশি সিএবির কোচিং ডিরেক্টরও।
তো সেই হোয়াটমোর যখন কুমিল্লায় কিংবা বাংলাদেশে সেটি নিয়ে আলোচনা তো হবেই। কুমিল্লা ক্লাবে বসে ঢাকার পরিচিত সাংবাদিকদের সঙ্গে সেসব নিয়েই দীর্ঘ আড্ডায় মেতে উঠলেন জাতীয় দলের সাবেক কোচ। তাঁর সময়ের যেসব খেলোয়াড় এখন আর খেলায় নেই, তাদের খোঁজ নিলেন। সে সময়ের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের আর কে কে এল জাতীয় দলে, বর্তমান নির্বাচক কমিটিতে কারা আছেন—হোয়াটমোরের কত কৌতূহল! কোথায় সাংবাদিকেরা বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে তাঁর বর্তমান ভাবনা জানবেন, তা না হোয়াটমোরের প্রশ্নই শেষ হয় না।
পাল্টা প্রশ্নের প্রথমেই অনুরোধ, ‘জটিল কোনো প্রশ্ন নয়। জেমি সিডন্স এখন দলের কোচ। তাঁর নিশ্চয়ই একটা পরিকল্পনা আছে, দলটার ভালোর জন্য কাজ করছে সিডন্স আর তাঁর কোচিং স্টাফ। কাজেই এসব নিয়ে আমার কথা না বলাই ভালো।’ তবে জানালেন, দূরে গেলেও বাংলাদেশের ক্রিকেটের খোঁজখবর রাখেন। এ দেশের ক্রিকেটের উন্নতির গ্রাফটা তাঁর চোখেও পড়ছে, ‘সবাই চায় ধারাবাহিকতা। আমি যখন ছিলাম, তখনো প্রত্যাশা এটাই ছিল। এখন জেমি সিডন্সও তাই বলছেন। তবে ধারাবাহিকতা হতে হবে জয়ের, ভালো পারফরম্যান্সের। পরাজয় বা বাজে পারফরম্যান্সের নয়। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বলছে তারা উন্নতি করছে। তবে হ্যাঁ, সবাই যা আশা করে, ধারাবাহিকতা ধরে রাখার কাজটা করতে হয়তো আরও সময় লাগবে।’
মাঠের পারফরম্যান্সের সঙ্গে বর্তমান ক্রিকেটারদের মানসিকতারও প্রশংসা করেছেন সাবেক কোচ, ‘নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪-০-তে সিরিজ জয় চাট্টিখানি কথা নয়। একটার পর একটা ম্যাচ তারা জিতেছে এবং পরের ম্যাচের জন্য সংকল্পবদ্ধ হয়েছে। আগেই সিরিজ জিতে যাওয়ায় শেষ ম্যাচটা না জিতলেও চলত। কিন্তু দেখুন, দারুণ ক্রিকেট খেলে বাংলাদেশ সেটাও জিতে নিল।’ বাংলাদেশের প্রশংসার সঙ্গে একটু হতাশাও ঝরেছে হোয়াটমোরের কণ্ঠে। সেটা একসময়ের প্রিয় ছাত্র মাশরাফি বিন মুর্তজার ইনজুরি নিয়ে, ‘পাগলার (মাশরাফিকে এ নামেই ডাকতেন হোয়াটমোর) এমন অ্যাঙ্কেলের ইনজুরিটা যে কারও হতে পারে। তবে ও একটু দুর্ভাগা। আর আমার মনে হয়, ওর বারবার ইনজুরিতে পড়া নিয়ে এত দিনে আরও কিছু কাজ হওয়া উচিত ছিল।’
শ্রীলঙ্কাকে ’৯৬ বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন। ২০০৭ বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে সুপার এইটে তোলার নেপথ্য-নায়কও তিনি। এরপর ভারতের জাতীয় একাডেমি হয়ে হোয়াটমোর এখন কেকেআর এবং সিএবি নিয়ে আছেন। হাই-প্রোফাইল কোচ হিসেবে হোয়াটমোরের জন্য কাজটা হয়তো নগণ্যই। যদিও তিনি বলছেন, ‘সব কাজেই চ্যালেঞ্জ আছে।’ অল্প সময়ের জন্য এসে কুমিল্লায় সিএবি অনূর্ধ্ব-১৭ দলের সঙ্গেও সময়টা খারাপ কাটছে না অস্ট্রেলিয়ান কোচের। নিজে না গেলেও দলের খেলোয়াড়দের কাল বিকেলে কুমিল্লা বার্ডে ঘুরতে পাঠালেন। তিন দিনের ম্যাচের পর কুমিল্লায় একটা ওয়ানডে হওয়ার কথা ছিল। তবে এখন সব ওয়ানডেই হবে সিলেটে। পরশু কুমিল্লায় ম্যাচ শেষে তাই সিলেট হয়ে হোয়াটমোর ঢাকা যাবেন ১৩ নভেম্বর, বাংলাদেশ ছাড়বেন তার পরদিন। যাওয়ার সময় সাড়ে তিন বছর আগের স্মৃতির সঙ্গে বাড়তি কিছু যোগ হবে নিশ্চিত।
No comments