আলোচনা- 'শিল্পনীতি-২০১০:সামর্থ্যের অপব্যবহারে পঙ্গুত্বের বিকাশ' by মেহেদী হাসান
‘শিল্পনীতি-২০১০ এর গুরুত্বপূর্ণ অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্যসমূহ হচ্ছে উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা, নারীদের শিল্পায়ন-প্রক্রিয়ার মূলধারায় নিয়ে আসা এবং দারিদ্র্য দূরীকরণ।
এ লক্ষ্যে যেখানে সম্ভব সেখানে পুঁজিঘন শিল্পের পরিবর্তে শ্রমঘন শিল্প স্থাপনকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে শিল্পনীতিতে কুটিরশিল্প, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের প্রসারের পদক্ষেপ উল্লেখ করা। পাটের বহুমুখী ব্যবহার ও পাটশিল্পকে লাভজনক করতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ।’ (২.১৩, শিল্পনীতি আদেশ-২০১০)। এ জন্য সরকার কৃষিভিত্তিক কর্মকান্ড এবং কৃষিপণ্য/প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের তালিকায় ৩৬টি উপাদানকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। লক্ষ্য হলো শিল্পায়ন এবং শিল্পের প্রসার। কথাগুলো নতুন নয় কিংবা বাংলাদেশের মানুষ বহুদিন যাবৎই এ কথাগুলো শুনে আসছে। যে সরকার যখন ক্ষমতায় যায় তারাই তখন শিল্পবান্ধব, দারিদ্র্যবিমোচনে অগ্রপথিক হওয়ার কথা বলে। সাধারণের মনে এ কথাগুলো গেঁথে দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা লক্ষ্য করা যায়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে সফলও হয়। পাশাপাশি খবরে আমরা দেখি-‘সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা, ব্যাংকঋণ ও প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতার অভাবে সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও শেরপুরে কৃষিভিত্তিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে না। ফলে জেলার হাজার হাজার শিক্ষিত, অল্পশিক্ষিত যুবক-যুবতী বেকার জীবনযাপন করছে। অনেকে মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও চোরাকারবারে জড়িয়ে পড়ছে। অথচ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ জেলায় দ্রুত কৃষিভিত্তিক শিল্প স্থাপন করা সম্ভব। (শুক্রবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১০, ukbdnews.com)।’একদিকে সম্ভাবনা তৈরি হওয়া আবার অন্যদিকে অমিত সম্ভাবনার মৃত্যু-বাংলাদেশ জন্মের পর থেকে এ ধরনের বৈপরীত্যের মধ্যে এ দেশের মানুষ বসবাস করছে। মানুষ বাড়ছে, শ্রমবাজারে নতুন শক্তি যোগ হচ্ছে কিন্তু রাষ্ট্রীয় তরফে কর্মক্ষম এই জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের কোনো ব্যবস্থা নেই। দারিদ্র্যবিমোচনের কর্মসূচি আছে ফলস্বরূপ পুরস্কার পাওয়ার হিড়িক আছে আবার দারিদ্র্য বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। জাতীয় প্রতিষ্ঠান গড়া কিংবা বিকশিত করার উদ্যোগ নেই; পঙ্গু করার নীতি বহাল আছে। ফলে অনেকটা বাধ্য হয়েই নিজেদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নিজেদেরই করে নিতে হচ্ছে। বাজারের চাহিদা অনুযায়ী কাজ খুঁজে নিতে হচ্ছে যাকে অসংগঠিত খাত বলা হয়; যেখানে অনিশ্চয়তা, উদ্বেগ, ঝুঁকি প্রতিনিয়ত কাজ করে। সীমাহীন এই অনিশ্চয়তা কিংবা উদ্বেগ থাকার কোনো কারণ কিন্তু ছিল না। যে শক্তি, সম্পদ রয়েছে তা দিয়ে খুব সহজেই এ অবস্থার মোকাবিলা করা যেত। শুধু মোকাবিলা করা যেতই না বরং বিশ্ব অর্থনীতিতে স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্য এবং মেরুদন্ড নিয়ে শক্তিশালীভাবে টিকে থাকতে পারত। কিন্তু হয়েছে তার বিপরীত। উদাহরণ হিসেবে পাটের কথাই ধরা যায়।
ছোটবেলায় আমরা শুনেছি পাট হলো বাংলাদেশের সোনালি অাঁশ। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আহরণের মূল খাত। এ ছাড়া চা, চামড়া, আখকে কেন্দ্র করে শিল্প গড়ে উঠেছিল। তবে পাটশিল্প এগুলোর মধ্যে কেন্দ্রীয় অবস্থানে ছিল, বিশেষ করে আদমজী পাটকলের মতো বড় মিলের কারণে। কিন্তু উত্তরোত্তর এই শিল্পের বিকাশ সাধন না করে, লোকসানের অজুহাত দেখিয়ে তিন দশকে সরকারি মালিকানাধীন ৫৮টি পাটকল বিক্রি করা হয়েছে। সবশেষ বন্ধ করা হয়েছে আদমজী জুটমিল বিশ্বব্যাংকের ‘জুট অ্যাডজাস্টমেন্ট ক্রেডিট’ প্রকল্পের আওতায়, ২০০২ সালে। এ জন্য নেওয়া হয়েছিল ‘পাটখাত সমন্বয় ঋণ’ এবং ‘সহজ শর্তে’ গ্রহণ করা হয়েছিল এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ‘শিল্পায়ন’ ও ‘উন্নয়ন’কে ‘সহায়তা’র নামে যেসব প্রকল্প বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবি, ইউএসএইডের ঋণে চালু আছে সে ধরনেরই একটি প্রকল্প ছিল এটি। সে ক্ষেত্রে সাধারণভাবে ধরে নেওয়া যেতে পারে, যেহেতু পাটখাতের ‘উন্নয়ন’-এর জন্য ঋণ সুতরাং পাটশিল্প চাঙ্গা হবে। প্রতিবছর ২০০ কোটি টাকা লোকসানের কথা বলা হয়েছে, তাহলে সেই লোকসান কাটিয়ে এর উত্তরোত্তর বিকাশ হবে। সেগুলো না হয়ে বন্ধ হলো কেন? কেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে আদমজী বন্ধের জন্য বাহবা পান? কাদের অদৃশ্য চাপের কারণে রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পকারখানা বন্ধ হয়?
শিল্পকারখানাগুলো কেন একের পর এক বন্ধ হচ্ছে কিংবা বন্ধ করে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে কিংবা কেন রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে পঙ্গু করে দেওয়ার নীতি বহাল রাখতে হচ্ছে এবং কাদের স্বার্থে-তা বোঝার জন্য সে সময়ের এক আদমজী বন্ধসংক্রান্ত ‘ঋণ প্রকল্প’-এর কাগজপত্র ঘাঁটলেই পাওয়া যাবে। সেখানে স্পষ্টভাবেই আছে : ‘ক. ২৯টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের মধ্যে নয়টি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া এবং দুটো বৃহৎ পাটকলকে ছেঁটে ফেলা, খ. রাষ্ট্রায়ত্ত খাত থেকে কমপক্ষে ২০ হাজার শ্রমিক ছাঁটাই করা এবং গ. বাকি যে ২০টি মিল তার মধ্যে ১৮টি বেসরকারি খাতে দিয়ে দেওয়া।’ (আনু মুহাম্মদ, বাংলাদেশের অর্থনীতির গতিমুখ, ২০০৫)। তার মানে ঋণ নেওয়া হয়েছে কিংবা বাংলাদেশের মানুষ এই ঋণের সুদ প্রদান করছে মিল করবার জন্য নয়; মিল বন্ধ করবার জন্য, নতুন কর্মসংস্থান নয় বরং শ্রমিক ছাঁটাই করবার জন্য! বাংলাদেশের মানুষের ঘাড়ে ঋণের বোঝা চেপে বসেছে কৃষির সঙ্গে সম্পর্কিত হাজার হাজার কৃষককে সর্বস্বান্ত করার জন্য!
২৫ বছরে বাংলাদেশে পাটজাত পণ্যের উৎপাদন কমেছে প্রায় ৫৬ ভাগ। ১৯৭০ সালে প্রায় ছয় লাখ টন পাট উৎপাদন হয়েছিল। এর সিংহভাগ যেত জুটমিলগুলোতে এবং এই মিলের সহকারী খাত হিসেবে জুট প্রেস, বেলিং প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছিল। কর্মসংস্থান ছিল প্রচুর শ্রমিকের। দেশজ সংস্কৃতির অন্যতম একটি অঙ্গ ছিল এই পাট। খুলনা, মাদারীপুর, নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলে একে কেন্দ্র করে অনেক কারখানা গড়ে উঠেছিল। অথচ, তুলনামূলক সুবিধা থাকা সত্ত্বেও পাটের উৎপাদন বর্তমানে আড়াই লাখ টনে নেমে এসেছে। একই সময়ে ভারতে পাটের উৎপাদন বেড়েছে ১৯.৪৬ ভাগ আর পাটজাত পণ্যের উৎপাদন বেড়েছে ৩২.৩২ ভাগ। যেসব মিল, প্রেস, বেলিং কারখানা গড়ে উঠেছিল সেগুলো বন্ধ। অপরদিকে ভারতে পাটকে কেন্দ্র করে সহকারী খাতগুলো বিকশিত হচ্ছে। বাংলাদেশে মিল বন্ধ করে দিয়ে তার জায়গায় ঠাঁই নিয়েছে রিয়েল এস্টেট কোম্পানির হাউজিং প্রকল্প। কারখানার জমি দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। উৎপাদনের পরিবর্তে সেবা-পরিষেবার বাণিজ্য ঘাড়ের ওপর চেপে বসেছে।
অপরদিকে, যখন বাংলাদেশে একের পর এক পাটকল বন্ধ হচ্ছে সে সময় ভারতে বিশ্বব্যাংকেরই সহায়তায় গড়ে তোলা হয়েছে বড় বড় পাটকল। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এই খাতকে বিকশিত করার নানা আয়োজন চলছে। একদিকে ভারতে পাটভিত্তিক শিল্প গড়ে ওঠা এবং এ দেশের পাটসহ দেশীয় কৃষিভিত্তিক শিল্প খাত ধ্বংসের নানা আয়োজন-এর মধ্যে একটি যোগসূত্র আছে। বৃহৎ বহুজাতিক পুঁজি হলো সেই যোগসূত্র। যেহেতু নিজস্ব শক্তি-সম্পদের ওপর ভর করা হয়নি তাই আন্তর্জাতিক পুঁজির প্রয়োজন অনুযায়ী এখানে শিল্পের বিনাশ-বিকাশ নির্ধারিত হয়। এ প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক পুঁজির আঞ্চলিক পরিকল্পনায় বাংলাদেশকে এমন একটি অঞ্চলে পরিণত করা হয়েছে যেখানে তার কাজ কাঁচামাল জোগান দেওয়া, প্রক্রিয়াজাত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সস্তা শ্রমশক্তির উৎপাদিত পণ্য কেন্দ্রীয় বাজারে সস্তায় জোগান দেওয়া এবং এই প্রয়োজনে এখানে তৈরি পোশাকশিল্পের মতো রফতানিমুখী শিল্পকারখানা গড়ে তোলায় উৎসাহী করা হয়েছে। কৃষিজমি ধ্বংস করে চিংড়ির ঘের করা হয়েছে। অপরদিকে, যদিও আগের তুলনায় উৎপাদন কম তবুও যতটুকু পাট উৎপাদন করা হচ্ছে তা মূলত ভারতের গড়ে ওঠা পাটশিল্পের জোগানদার হিসেবে। আর এর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণভাবে কমিশন এজেন্সি, পাট রফতানিকারকদের রমরমা বাণিজ্য বিস্তৃত হয়েছে।
রফতানিমুখী কিংবা সরকারের ভাষায় শ্রমঘন শিল্পের কর্মসংস্থানের বিষয়টিও প্রশ্নের সম্মুখীন। বড় এবং মাঝারি শিল্পকারখানা বন্ধ হওয়ায় যে পরিমাণ মানুষ কর্ম হারালো কিংবা অনিশ্চিত জীবনের মধ্যে নিক্ষিপ্ত হলো তাদের কোনো ধরনের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চোখে পড়ে না। বরং বেকার লোকের পরিমাণের আরো স্ফীতি ঘটে। অন্যদিকে যেসব রফতানিমুখী শিল্প গড়ে উঠেছে আশির দশক থেকে-কাঠামোগত সংস্কার কর্মসূচির আওতায়-সেখানেও যে পরিমাণ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে তা ধ্বংসপ্রাপ্ত শিল্প খাতের শ্রমিকদের ছাড়িয়ে যেতে পারেনি। নতুন কর্মসংস্থান এবং বন্ধ বা রুগ্ণ করার কারণে কর্মসংস্থান কমে যাওয়ার সম্মিলিত প্রভাবে কর্মসংস্থান যোগ হয়নি বরং উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমেছে। ‘উন্নয়ন’ এবং ‘সংস্কার’ কর্মসূচির সামগ্রিক ফলাফল হলো এই, তিন দশকে নতুন কর্মসংস্থান হওয়ার থেকে অনেক বেশি কর্মসংস্থান বিনষ্ট হয়েছে।
শিল্পপুঁজি নিজের বিকাশের স্বার্থেই কৃষি উৎপাদন বিকাশে উদ্যোগী হয়। কৃষি উৎপাদন বিকাশের জন্য কৃষিবিপ্লব সম্পন্ন করতে হয়, শিল্প খাত বিকাশের পূর্বশর্ত তা। এর ফলে প্রাকপুঁজিবাদী সম্পর্কের অবসান ঘটে। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার হয়। বৃহদায়তন উৎপাদন সম্ভবপর হয়। বর্ধিত হারে কাঁচামাল উৎপাদন শিল্প খাতে বিনিয়োজিত হয়। অপরদিকে শিল্পপণ্যের অভ্যন্তরীণ বাজার সৃষ্টির মাধ্যমে কৃষি খাত শিল্প বিকাশের প্রধান সহযোগী হয়ে ওঠে। যাদের আমরা শিল্পোন্নত দেশ বলি সেসব দেশে এ কাজগুলো হয়েছে, বাংলাদেশে তা হয়নি। বিভিন্ন সময় এখানে ভূমি ‘সংস্কার’ হয়েছে, নামে মাত্র। সংস্কারের নামে সিলিং নির্ধারণ করা হয়েছে। বাস্তবত আগের সম্পর্কের ক্ষেত্রে তা কোনো ভিন্নতা সৃষ্টি করেনি। কৃষকের হাতে জমি যায়নি। অধিকাংশ জমি কেন্দ্রীভূত হয়েছে অল্পকিছু অকৃষক, অনুপস্থিত ভূমিমালিকের হাতে। একদিকে কৃষি সংস্কারের অভাব অন্যদিকে অভ্যন্তরীণ বাজারের বিস্তৃতি না ঘটার ফাঁকে রফতানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠান জায়গা করে নিয়েছে। আন্তর্জাতিক পুঁজির চাহিদা অনুযায়ী যে উৎপাদনের হ্রাস বৃদ্ধি কিংবা গতি-প্রকৃতি নির্ধারিত এবং বিভিন্ন সরকার সে কারণেই শিল্প, কৃষিক্ষেত্রসহ সব ক্ষেত্রে রফতানিমুখী উৎপাদনকে উৎসাহিত করছে।
এ ছাড়া বর্তমান শিল্পনীতিতে ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প প্রসারের কথা বলা হয়েছে। দেশী সরকার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার পক্ষ থেকে কথার প্রচার যত হয়েছে বাস্তবে শিল্পের প্রসারের পক্ষে কোনো প্রমাণ মেলে না। কেন না, রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের শিল্পপ্রতিষ্ঠান যেসব নীতির কারণে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে সেসব নীতির কারণেই বেসরকারি খাতে শিল্প বিকাশের কোনো সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পের প্রায় পুরোটাই বেসরকারি খাতে। অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, যখন সরকারি নীতি, দুর্নীতি ইত্যাদির কারণে রাষ্ট্রায়ত্ত খাত রুগ্ণ হচ্ছে, ধসে পড়ছে, ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে কিংবা নাটবল্টু পর্যন্ত বিক্রি করে দিয়ে নিশ্চিহ্ন করা হচ্ছে ঠিক একই সময়ে বেসরকারি খাতের ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পও ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে কিংবা ভগ্নদশা তৈরি হচ্ছে।
আরেকদিকে ভগ্নদশাকে উসিলা করে কৃষি বিকাশের কথা বলে সরকারি ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে লোপাট করে দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সঙ্গে সম্পর্কিত ক্ষমতাবানদের যোগসাজশে এ কাজটি খুব ভালোভাবেই হয়েছে। মেরে দেওয়া কিংবা খেলাপি ঋণের অর্থে বিলাসবহুল বাড়ি; কোটি টাকা দামের গাড়ি কিনেছে, বিদেশের মাটিতে নিজ সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করেছে কোটি সন্তানের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে। তারাই আবার সংসদে বসে আইন পাস করে ভূমি সংস্কারের। বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ‘মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার’ অঙ্গীকারসম্পন্ন শিল্পনীতি ঘোষণা করে।===============================আলোচনা- যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদিদের স্বার্থ রক্ষাকারী ইসরাইল লবি ইভটিজং আলোচনা- নারী উৎপীড়ক সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া রাজনৈতিক আলোচনা- 'ছাত্ররাজনীতি তার হারানো গৌরব ফিরে পাক by ফরহাদ মাহমুদ আলোচনা- 'দেশ কাঁপানো নূরজাহান' by আবদুল হামিদ মাহবুব ইতিহাস- 'বাংলা ভাষার স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গ' by রফিকুল ইসলাম গল্পালোচনা- 'অরণ্যে যুদ্ধ' by অরুন্ধতী রায় রাজনৈতিক আলোচনা- 'বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা আর ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ নিবন্ধ- 'আইলা, কৃষি এবং কোপেনহেগেন প্রাপ্তি' গল্পিতিহাস- 'এত যে সফলতা, তবুও বিফলতা' by সনৎ কুমার সাহা আলোচনা- 'মুনাফার মালা গলায় ঝুলিয়ে পুঁজিবাদীরা মানবজাতি ধবংসের ব্যবস্থা করছে by বদরুদ্দীন উমর গল্পালোচনা- 'স্বাধীনতাটাকে খুঁজছি' by লে. জেনারেল মাহবুবুর রহমান আলোচনা- 'টেলিভিশন কি পত্রিকার প্রতিদ্বন্দ্বী সাপ্তাহিক বুধবার এর সৌজন্যে
লেখকঃ মেহেদী হাসানএই আলোচনা'টি পড়া হয়েছে...
No comments