খ্রিষ্টানদের ওপর হামলাকে বৈধ ঘোষণা করেছে আল-কায়েদা
আল-কায়েদার ইরাকভিত্তিক একটি জঙ্গি শাখা সংগঠন খ্রিষ্টানদেরকে হামলার ‘বৈধ লক্ষ্যবস্তু’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। খ্রিষ্ট ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হওয়া একাধিক নারীকে মিসরের কপটিক গির্জার পাদ্রিরা আটকে রেখেছেন দাবি করে ওই সংগঠন সম্প্রতি তাঁদের মুক্তির জন্য সময়সীমা বেঁধে দেয়। সময়সীমা পার হওয়ার পর ইসলামিক স্টেট অব ইরাক (আইএসআই) নামের সংগঠনটি এ ঘোষণা দেয়। সন্ত্রাসবাদীদের ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণকারী যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মনিটরিং গ্রুপ সাইট গতকাল বুধবার এ কথা জানিয়েছে। অন্যদিকে, মিসরের ডানপন্থী দল মুসলিম ব্রাদারহুড সে দেশের সরকারকে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।
ইরাকের রাজধানী বাগদাদে গত রোববার একটি গির্জায় ঢুকে প্রার্থনাকারীদের জিম্মি করা এবং সেখানকার পুরোহিতসহ কয়েক ডজন প্রার্থনাকারীকে হত্যা করার বিষয়ে আইএসআই ইতিমধ্যেই দায় স্বীকার করেছে।
সাইটটি বলেছে, আল-কায়েদার শাখা সংগঠন আইএসআই ইন্টারনেটে পাঠানো এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেছে, মিসরের গির্জাগুলোতে যে নারীদের আটক করে রাখা হয়েছে, তাঁদের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে ধর্মযাজকদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাঁরা এ বিষয়ে মুখ খোলেননি।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সব ধরনের খ্রিষ্টান কেন্দ্র, সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান মুজাহিদিনদের বৈধ লক্ষ্যবস্তু। যেখানে যেভাবে তাঁদের ওপর হামলা করা সম্ভব মুজাহিদিনরা তা করবে। ধর্মান্ধ উৎপীড়কদের মূল হোতা ভ্যাটিকানকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে মিসরের গির্জাগুলোর যাজকেরা সেখানে যা করছে তার সঙ্গে তাঁদের সংশ্লিষ্টতা নেই বলে নিজেদের নির্দোষ ঘোষণা না করা পর্যন্ত ভ্যাটিকানের কোনো অনুসারীর ঘাড়ের ওপর থেকে কতলের তরবারি নামবে না।’
মিসরে ক্যামিলা সেহাতা এবং ওয়াফা কনস্ট্যান্টাইন নামের দুই নওমুসলিম নারীকে গির্জা কর্তৃপক্ষ আটকে রেখেছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ায় দেশটিতে বিক্ষোভ শুরু হয়।
তাঁদের মধ্যে ক্যামিলা গত জুলাই মাসে এবং ওয়াফা ২০০৪ সালে নিখোঁজ হন। মিসরের মুসলমানদের একটি বড় অংশের অভিযোগ, তাঁরা দুজনই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। সে কারণে গির্জা কর্তৃপক্ষ তাঁদের বন্দী করে রেখেছে।
এদিকে মুসলিম ব্রাদারহুড বলেছে, তারা খ্রিষ্টানদের উপাসনালয়ে যেকোনো ধরনের জঙ্গি হামলা ঠেকাতে বদ্ধপরিকর। তারা এ বিষয়ে মিসর সরকার ও মুসলিম জনগণের প্রতিও এগিয়ে আসার আহ্বান জানায়।
ইরাকের রাজধানী বাগদাদে গত রোববার একটি গির্জায় ঢুকে প্রার্থনাকারীদের জিম্মি করা এবং সেখানকার পুরোহিতসহ কয়েক ডজন প্রার্থনাকারীকে হত্যা করার বিষয়ে আইএসআই ইতিমধ্যেই দায় স্বীকার করেছে।
সাইটটি বলেছে, আল-কায়েদার শাখা সংগঠন আইএসআই ইন্টারনেটে পাঠানো এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেছে, মিসরের গির্জাগুলোতে যে নারীদের আটক করে রাখা হয়েছে, তাঁদের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে ধর্মযাজকদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাঁরা এ বিষয়ে মুখ খোলেননি।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সব ধরনের খ্রিষ্টান কেন্দ্র, সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান মুজাহিদিনদের বৈধ লক্ষ্যবস্তু। যেখানে যেভাবে তাঁদের ওপর হামলা করা সম্ভব মুজাহিদিনরা তা করবে। ধর্মান্ধ উৎপীড়কদের মূল হোতা ভ্যাটিকানকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে মিসরের গির্জাগুলোর যাজকেরা সেখানে যা করছে তার সঙ্গে তাঁদের সংশ্লিষ্টতা নেই বলে নিজেদের নির্দোষ ঘোষণা না করা পর্যন্ত ভ্যাটিকানের কোনো অনুসারীর ঘাড়ের ওপর থেকে কতলের তরবারি নামবে না।’
মিসরে ক্যামিলা সেহাতা এবং ওয়াফা কনস্ট্যান্টাইন নামের দুই নওমুসলিম নারীকে গির্জা কর্তৃপক্ষ আটকে রেখেছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ায় দেশটিতে বিক্ষোভ শুরু হয়।
তাঁদের মধ্যে ক্যামিলা গত জুলাই মাসে এবং ওয়াফা ২০০৪ সালে নিখোঁজ হন। মিসরের মুসলমানদের একটি বড় অংশের অভিযোগ, তাঁরা দুজনই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। সে কারণে গির্জা কর্তৃপক্ষ তাঁদের বন্দী করে রেখেছে।
এদিকে মুসলিম ব্রাদারহুড বলেছে, তারা খ্রিষ্টানদের উপাসনালয়ে যেকোনো ধরনের জঙ্গি হামলা ঠেকাতে বদ্ধপরিকর। তারা এ বিষয়ে মিসর সরকার ও মুসলিম জনগণের প্রতিও এগিয়ে আসার আহ্বান জানায়।
No comments