‘হ্যাটট্রিক’ হতে দেবে না বায়ার্ন
ইতিহাসে প্রথমবার ট্রেবল জয়ের সম্ভাবনার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে বায়ার্ন মিউনিখ। পাশাপাশি অন্য রকম একটা ‘হাতছানি’ও আছে। চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে হ্যাটট্রিক পরাজয়ের! ২০১০ সালের পর গত মৌসুমেও চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে বায়ার্নকে পেতে হয়েছে হারের তিক্ত স্বাদ। ২৫ মে ওয়েম্বলির ফাইনালে হারলেই হয়ে যাবে হারের হ্যাটট্রিক। এমন হতাশার রেকর্ড কে-ই বা গড়তে চায়। নেতিবাচক এই ভাবনাকে বায়ার্নও মনে ঠাঁই দিচ্ছে না। কোচ ইয়ুপ হেইঙ্কেস স্পষ্টই বলে দিয়েছেন, তাঁদের পূর্ণ মনোযোগ ওয়েম্বলির ফাইনালের দিকে। হারের কথাটা তাঁদের ভাবনাতেই নেই। টমাস মুলারেরও বক্তব্য, সময় এখন হারের বদনাম মুছে ফেলার।
মৌসুম শেষেই আর বায়ার্নের কোচ থাকছেন না হেইঙ্কেস। তাঁর পরিবর্তে বায়ার্নের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন বার্সেলোনার সাবেক কোচ পেপ গার্দিওলা। শুধু বায়ার্ন থেকেই নয়, ৬৮ বছর বয়সী হেইঙ্কেসের অবসরে চলে যাওয়ারও সম্ভাবনা আছে। তাই বিদায়বেলায় হারের হ্যাটট্রিক তিক্ততা নয়, দলকে ইউরোপ-সেরার মুকুটই এনে দিতে ব্যাকুল হেইঙ্কেস। শিষ্যদের ওপরও তাঁর অগাধ আস্থা, ‘কোনো কিছুই আমাদের মনোযোগ ভিন্নমুখী করতে পারবে না। শারীরিক ও মানসিক দিক দিয়ে খেলোয়াড়েরা খুবই শক্ত অবস্থায় আছে। আমাদের একটা লক্ষ্য আছে। কেউই আমাদের এই লক্ষ্য থেকে সরিয়ে দিতে পারবে না। দলের পুরো মনোযোগই জয়ের দিকে। আমার ক্যারিয়ারে এমনটা আমি দেখিনি।’
গত মৌসুমেও ট্রেবল জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল বায়ার্ন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত লিগ, কাপ ও চ্যাম্পিয়নস লিগ—তিনটিতেই তারা হয়েছিল রানার্সআপ। নিজেদের মাঠে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে ভালো খেলেও টাইব্রেকারে হারতে হয় চেলসির কাছে। চরম ওই হতাশার পরও ভেঙে না পড়ে বায়ার্ন এ মৌসুমে যেন আরও বেশি উজ্জীবিত। জয়ের জন্য আরও বেশি ক্ষুধার্ত। রেকর্ড গড়ে লিগ শিরোপা পুনরুদ্ধার করে তার প্রমাণও রেখেছে। হেইঙ্কেস আশাবাদী, বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালেও তাঁর দলই হাসবে বিজয়ীর হাসি।
মুলার, আরিয়েন রোবেন, বাস্তিয়ান শোয়েনস্টেইগারদের কণ্ঠেও কোচের কথারই প্রতিধ্বনি। মুলার তো চ্যাম্পিয়নস লিগে আরেকবার হারের কথা ভাবতেই পারছেন না, ‘সময় এখন শিরোপা জয়ের। কারণ, আমরা যদি তৃতীয়বারও হেরে যাই, হারা দলের অপবাদটাই আমাদের দিয়ে দেওয়া হবে। এবং নিশ্চিতভাবেই আমরা তা চাই না।’ গত বছর ফাইনালে গোল করে দলকে এগিয়েও দিয়েছিলেন মুলার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়তে হয় পরাজয় নিয়েই। মাত্র ২৩ বছর বয়সেই তৃতীয় চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকা মুলারের কথা, ‘আমি এখনো তরুণ। আশা করি, আমি হয়তো আরও কয়েক বছর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলতে পারব। কিন্তু এবারই আমরা শিরোপাটা জিততে চাই।’
গত মৌসুমে ফাইনালের হারের দুঃখটা মুলারের চেয়েও রোবেনের বোধ হয় বেশি। অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টি পেয়েও রোবেন সেটি তুলে দিয়েছিলেন চেলসি গোলরক্ষক পিওতর চেকের হাতে! এবার শিরোপা জিতেই সেই দুঃখটা মাটিচাপা দিতে চান বায়ার্নের ডাচ তারকা, ‘দুবার হেরেছি, যথেষ্ট হয়েছে।’ টাইব্রেকারে গোল করতে না পারা মিডফিল্ডার শোয়েনস্টেইগারের কথা, ‘প্রতিটা জয়ই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি প্রতিদিনই ফাইনালে উঠতে পারবেন না। চার বছরে তিনবার ওঠাটা নিশ্চিতভাবেই নয়। এবার এটাই আমাদের শিরোপা জিততে আরও বেশি অনুপ্রাণিত করছে।
মৌসুম শেষেই আর বায়ার্নের কোচ থাকছেন না হেইঙ্কেস। তাঁর পরিবর্তে বায়ার্নের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন বার্সেলোনার সাবেক কোচ পেপ গার্দিওলা। শুধু বায়ার্ন থেকেই নয়, ৬৮ বছর বয়সী হেইঙ্কেসের অবসরে চলে যাওয়ারও সম্ভাবনা আছে। তাই বিদায়বেলায় হারের হ্যাটট্রিক তিক্ততা নয়, দলকে ইউরোপ-সেরার মুকুটই এনে দিতে ব্যাকুল হেইঙ্কেস। শিষ্যদের ওপরও তাঁর অগাধ আস্থা, ‘কোনো কিছুই আমাদের মনোযোগ ভিন্নমুখী করতে পারবে না। শারীরিক ও মানসিক দিক দিয়ে খেলোয়াড়েরা খুবই শক্ত অবস্থায় আছে। আমাদের একটা লক্ষ্য আছে। কেউই আমাদের এই লক্ষ্য থেকে সরিয়ে দিতে পারবে না। দলের পুরো মনোযোগই জয়ের দিকে। আমার ক্যারিয়ারে এমনটা আমি দেখিনি।’
গত মৌসুমেও ট্রেবল জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল বায়ার্ন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত লিগ, কাপ ও চ্যাম্পিয়নস লিগ—তিনটিতেই তারা হয়েছিল রানার্সআপ। নিজেদের মাঠে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে ভালো খেলেও টাইব্রেকারে হারতে হয় চেলসির কাছে। চরম ওই হতাশার পরও ভেঙে না পড়ে বায়ার্ন এ মৌসুমে যেন আরও বেশি উজ্জীবিত। জয়ের জন্য আরও বেশি ক্ষুধার্ত। রেকর্ড গড়ে লিগ শিরোপা পুনরুদ্ধার করে তার প্রমাণও রেখেছে। হেইঙ্কেস আশাবাদী, বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালেও তাঁর দলই হাসবে বিজয়ীর হাসি।
মুলার, আরিয়েন রোবেন, বাস্তিয়ান শোয়েনস্টেইগারদের কণ্ঠেও কোচের কথারই প্রতিধ্বনি। মুলার তো চ্যাম্পিয়নস লিগে আরেকবার হারের কথা ভাবতেই পারছেন না, ‘সময় এখন শিরোপা জয়ের। কারণ, আমরা যদি তৃতীয়বারও হেরে যাই, হারা দলের অপবাদটাই আমাদের দিয়ে দেওয়া হবে। এবং নিশ্চিতভাবেই আমরা তা চাই না।’ গত বছর ফাইনালে গোল করে দলকে এগিয়েও দিয়েছিলেন মুলার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়তে হয় পরাজয় নিয়েই। মাত্র ২৩ বছর বয়সেই তৃতীয় চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকা মুলারের কথা, ‘আমি এখনো তরুণ। আশা করি, আমি হয়তো আরও কয়েক বছর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলতে পারব। কিন্তু এবারই আমরা শিরোপাটা জিততে চাই।’
গত মৌসুমে ফাইনালের হারের দুঃখটা মুলারের চেয়েও রোবেনের বোধ হয় বেশি। অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টি পেয়েও রোবেন সেটি তুলে দিয়েছিলেন চেলসি গোলরক্ষক পিওতর চেকের হাতে! এবার শিরোপা জিতেই সেই দুঃখটা মাটিচাপা দিতে চান বায়ার্নের ডাচ তারকা, ‘দুবার হেরেছি, যথেষ্ট হয়েছে।’ টাইব্রেকারে গোল করতে না পারা মিডফিল্ডার শোয়েনস্টেইগারের কথা, ‘প্রতিটা জয়ই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি প্রতিদিনই ফাইনালে উঠতে পারবেন না। চার বছরে তিনবার ওঠাটা নিশ্চিতভাবেই নয়। এবার এটাই আমাদের শিরোপা জিততে আরও বেশি অনুপ্রাণিত করছে।
No comments