হকিতে আবার খেলোয়াড়-বিদ্রোহ
মৌসুমি ফলের মতো আবার ফিরে এসেছে হকি খেলোয়াড়দের বিদ্রোহ করার সময়! প্রায় প্রতিবছরই দলবদলের দাবিতে এককাট্টা হন হকি খেলোয়াড়েরা। গতবার হয়েছিলেন। এবারও একই কাহিনি। দলবদল চেয়ে গতকাল ফেডারেশনকে চরমপত্র দেওয়া হয়েছে খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে। দলবদল না হওয়া পর্যন্ত হকির কোনো কার্যক্রমেই খেলোয়াড়েরা নিজেদের যুক্ত করবেন না—খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির নেতারা এই বার্তা দিয়েছেন ফেডারেশনকে।
এমন অগ্নিগর্ভ অবস্থা আঁচ করা যাচ্ছিল কয়েক দিন ধরেই। তা কাল বিস্ফোরিত হলো। মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে এদিন শুরু হওয়ার কথা ছিল আগস্টের শেষ দিকে অনুষ্ঠেয় এশিয়া কাপের ক্যাম্প। কিন্তু হকি স্টেডিয়ামে আবাসন-সমস্যার অজুহাতে পরশু রাতে হঠাৎ সেই ক্যাম্প স্থগিত করা হয়েছে। দলবদল না হলে ওই ক্যাম্পে যোগ না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন খেলোয়াড়েরা। কাজেই ক্যাম্প বর্জন করার পথে হাঁটতে হয়নি।
তবে দলবদলের দাবিতে অটলই আছেন খেলোয়াড়েরা। কাল জাতীয় দলের ১৬-১৭ জন খেলোয়াড় মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে একত্র হয়ে সভা করেন নিজেদের মধ্যে। তার পরই অধিনায়ক জাহিদ হোসেন চরম সিদ্ধান্তটি জানান। খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির সভাপতি জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক রাসেল খান বাপ্পি এর সঙ্গে যোগ করলেন, ‘খেলোয়াড়দের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আন্দোলন ছাড়া উপায় নেই।’
দুই দিন আগে লিগ কমিটির সভায় ঠিক হয়েছে ফেডারেশনের নির্বাচনের এক সপ্তাহ পর হবে দলবদল। মুশকিল হচ্ছে, নির্বাচন কবে হবে, কেউ জানে না। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়নি। ফেডারেশনের বর্তমান এডহক কমিটির কাছে নির্বাচনই আগে। দলবদল এক নম্বর অগ্রাধিকার নয়। এ অবস্থায় দলবদল নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েই গেছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে সর্বশেষ দলবদল হয়েছিল। ১৫ মাস পেরিয়ে যাচ্ছে, আরেকটি দলবদলের খবর নেই। যদিও হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক খাজা রহমতউল্লাহর দাবি, ‘কোনো ক্লাব বলেনি তারা দলবদল করবে না। জুনে নির্বাচন হলে এর পরপরই দলবদল করতে চেয়েছে ক্লাব। জুনে নির্বাচন না হলে আমরা বসে দলবদল এগিয়ে আনব। কাজেই এখানে আন্দোলন করার কিছু নেই। কেউ খেলোয়াড়দের অহেতুক উসকানি দিয়ে মাঠ গরম করছে।’
বাস্তবতা হচ্ছে, হকি খেলোয়াড়েরা দলবদল চেয়ে চেয়ে ক্লান্ত। ক্লাব দোষ দেয় ফেডারেশনের। ফেডারেশন লিগ কমিটি গঠন করেছে এই কদিন আগে। সভা হয়েছে মাত্র দুটি। তাহলে এত দিন ফেডারেশন কী করল? এটা বড় প্রশ্ন।
ওদিকে ফেডারেশন বল ঠেলে ক্লাবের কোর্টে। সর্বশেষ লিগ কমিটির সভায় এসে মোহামেডানের প্রতিনিধি প্রিন্স (সাবেক খেলোয়াড় আরিফুল হক প্রিন্স) নাকি নির্বাচনের পর দলবদল চেয়েছেন। এখন তিনি খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক হয়ে নির্বাচনের আগে দলবদল চাইছেন বলে বিস্ময় প্রকাশ করেন রহমত। আরিফুল হক অবশ্য রহমতউল্লাহর বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, ‘আমার কথাকে ভুল ব্যাখ্যা করে রহমত ভাই অসত্য কথা বলেছেন। নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে এখন তিনি এসব বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন।’
ক্লাব-ফেডারেশনের মাঝখানে পড়ে খেলোয়াড়দের হাঁসফাঁস অবস্থা। বছর খানেক ধরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দারুণ খেলা জিমি-জাহিদদের এখন জীবিকার জন্য নামতে হয়েছে অন্য লড়াইয়ে। জার্মানিতে খেলে এসে পরশুই ঢাকায় ফেরা স্ট্রাইকার জিমি কাল হকি স্টেডিয়ামে আক্ষেপ করে বলছিলেন, ‘প্রতিবছরই দলবদলের জন্য এমন কাণ্ডকারখানা হবে, এটা নিয়মই হয়ে গেছে। এর অবসান হওয়া দরকার।’
খেলোয়াড়দের এসব আকুতি অরণ্যে রোদনই হয়ে পড়ছে। একই সঙ্গে বছর বছর মঞ্চায়িত হচ্ছে নাটক। গত এক বছরে হকিতে ইতিবাচক অর্জনগুলো আবার ভেস্তে যেতে বসেছে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বের দেয়ালে ঠোক্কর খেয়ে!
এমন অগ্নিগর্ভ অবস্থা আঁচ করা যাচ্ছিল কয়েক দিন ধরেই। তা কাল বিস্ফোরিত হলো। মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে এদিন শুরু হওয়ার কথা ছিল আগস্টের শেষ দিকে অনুষ্ঠেয় এশিয়া কাপের ক্যাম্প। কিন্তু হকি স্টেডিয়ামে আবাসন-সমস্যার অজুহাতে পরশু রাতে হঠাৎ সেই ক্যাম্প স্থগিত করা হয়েছে। দলবদল না হলে ওই ক্যাম্পে যোগ না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন খেলোয়াড়েরা। কাজেই ক্যাম্প বর্জন করার পথে হাঁটতে হয়নি।
তবে দলবদলের দাবিতে অটলই আছেন খেলোয়াড়েরা। কাল জাতীয় দলের ১৬-১৭ জন খেলোয়াড় মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে একত্র হয়ে সভা করেন নিজেদের মধ্যে। তার পরই অধিনায়ক জাহিদ হোসেন চরম সিদ্ধান্তটি জানান। খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির সভাপতি জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক রাসেল খান বাপ্পি এর সঙ্গে যোগ করলেন, ‘খেলোয়াড়দের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আন্দোলন ছাড়া উপায় নেই।’
দুই দিন আগে লিগ কমিটির সভায় ঠিক হয়েছে ফেডারেশনের নির্বাচনের এক সপ্তাহ পর হবে দলবদল। মুশকিল হচ্ছে, নির্বাচন কবে হবে, কেউ জানে না। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়নি। ফেডারেশনের বর্তমান এডহক কমিটির কাছে নির্বাচনই আগে। দলবদল এক নম্বর অগ্রাধিকার নয়। এ অবস্থায় দলবদল নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েই গেছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে সর্বশেষ দলবদল হয়েছিল। ১৫ মাস পেরিয়ে যাচ্ছে, আরেকটি দলবদলের খবর নেই। যদিও হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক খাজা রহমতউল্লাহর দাবি, ‘কোনো ক্লাব বলেনি তারা দলবদল করবে না। জুনে নির্বাচন হলে এর পরপরই দলবদল করতে চেয়েছে ক্লাব। জুনে নির্বাচন না হলে আমরা বসে দলবদল এগিয়ে আনব। কাজেই এখানে আন্দোলন করার কিছু নেই। কেউ খেলোয়াড়দের অহেতুক উসকানি দিয়ে মাঠ গরম করছে।’
বাস্তবতা হচ্ছে, হকি খেলোয়াড়েরা দলবদল চেয়ে চেয়ে ক্লান্ত। ক্লাব দোষ দেয় ফেডারেশনের। ফেডারেশন লিগ কমিটি গঠন করেছে এই কদিন আগে। সভা হয়েছে মাত্র দুটি। তাহলে এত দিন ফেডারেশন কী করল? এটা বড় প্রশ্ন।
ওদিকে ফেডারেশন বল ঠেলে ক্লাবের কোর্টে। সর্বশেষ লিগ কমিটির সভায় এসে মোহামেডানের প্রতিনিধি প্রিন্স (সাবেক খেলোয়াড় আরিফুল হক প্রিন্স) নাকি নির্বাচনের পর দলবদল চেয়েছেন। এখন তিনি খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক হয়ে নির্বাচনের আগে দলবদল চাইছেন বলে বিস্ময় প্রকাশ করেন রহমত। আরিফুল হক অবশ্য রহমতউল্লাহর বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, ‘আমার কথাকে ভুল ব্যাখ্যা করে রহমত ভাই অসত্য কথা বলেছেন। নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে এখন তিনি এসব বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন।’
ক্লাব-ফেডারেশনের মাঝখানে পড়ে খেলোয়াড়দের হাঁসফাঁস অবস্থা। বছর খানেক ধরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দারুণ খেলা জিমি-জাহিদদের এখন জীবিকার জন্য নামতে হয়েছে অন্য লড়াইয়ে। জার্মানিতে খেলে এসে পরশুই ঢাকায় ফেরা স্ট্রাইকার জিমি কাল হকি স্টেডিয়ামে আক্ষেপ করে বলছিলেন, ‘প্রতিবছরই দলবদলের জন্য এমন কাণ্ডকারখানা হবে, এটা নিয়মই হয়ে গেছে। এর অবসান হওয়া দরকার।’
খেলোয়াড়দের এসব আকুতি অরণ্যে রোদনই হয়ে পড়ছে। একই সঙ্গে বছর বছর মঞ্চায়িত হচ্ছে নাটক। গত এক বছরে হকিতে ইতিবাচক অর্জনগুলো আবার ভেস্তে যেতে বসেছে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বের দেয়ালে ঠোক্কর খেয়ে!
No comments