'উৎসবের আমেজ সময়ের সংস্কৃতির' by শামসুজ্জামান খান
বাংলাদেশ এখন এক জটিল ক্রান্তিকালের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। সামাজিক-রাজনৈতিক শক্তিগুলো যেভাবে বিন্যস্ত হয়েছে তাতে দ্বন্দ্ব-বিরোধ-বিভেদ ও অসূয়ারই প্রাধান্য।
ফলে এ ভূখণ্ডের মানুষের হাজার বছরের যাপিত জীবনের অভিজ্ঞতালব্ধ অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ ও বহুত্ববাদী জীবনদর্শন এক গুরুতর চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। পরমতসহিষ্ণুতা, উদার মানবিক চিন্তাধারা ও সমন্বিত সংস্কৃতির উপাদানে গঠিত যে বাঙালি জীবন তাকেই আজ স্বাধীনতাবিরোধী এবং তথাকথিত (মুসলিম) জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক আধিপত্যবাদী অপশক্তি অগ্রাহ্য করতে চাইছে।
ওই আধিপত্যবাদী শক্তি রাজনৈতিক ও ক্ষমতাকেন্দ্রিক স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে ক্ষুদ্র ধর্মীয় উগ্রবাদী গোষ্ঠীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে প্রায় চালকের আসনে বসিয়েছে। ফলে ঐতিহ্যগতভাবে বিকশিত বাঙালি সংস্কৃতি নানাভাবে নাড়া খেয়ে এখন অনেকাংশে নিরক্ত ও নিষ্প্রভ। তবুও বৃহত্তর জনসমাজের দীর্ঘদিনের সাংস্কৃতিক বোধ, বিশ্বাস ও ঐতিহ্যের সুদৃঢ় অবস্থা ও অবস্থানগত কারণে বড় ধরনের সাংস্কৃতিক বিপর্যয় এখনো হয়নি। বর্তমান ক্ষমতাসীনরাও এ ব্যাপারে বাঙালির হাজার বছরের অর্জনের পক্ষেই আছেন। এ প্রেক্ষাপটের কথা মনে রেখে সাম্প্রতিক সংস্কৃতিচর্চার ওপর আলোকপাত করতে আমরা প্রয়াস পাবো।
ওই আধিপত্যবাদী শক্তি রাজনৈতিক ও ক্ষমতাকেন্দ্রিক স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে ক্ষুদ্র ধর্মীয় উগ্রবাদী গোষ্ঠীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে প্রায় চালকের আসনে বসিয়েছে। ফলে ঐতিহ্যগতভাবে বিকশিত বাঙালি সংস্কৃতি নানাভাবে নাড়া খেয়ে এখন অনেকাংশে নিরক্ত ও নিষ্প্রভ। তবুও বৃহত্তর জনসমাজের দীর্ঘদিনের সাংস্কৃতিক বোধ, বিশ্বাস ও ঐতিহ্যের সুদৃঢ় অবস্থা ও অবস্থানগত কারণে বড় ধরনের সাংস্কৃতিক বিপর্যয় এখনো হয়নি। বর্তমান ক্ষমতাসীনরাও এ ব্যাপারে বাঙালির হাজার বছরের অর্জনের পক্ষেই আছেন। এ প্রেক্ষাপটের কথা মনে রেখে সাম্প্রতিক সংস্কৃতিচর্চার ওপর আলোকপাত করতে আমরা প্রয়াস পাবো।
সাহিত্য-শিল্প ও মনন বিশ্ব
সংস্কৃতির এ গুরুত্বপূর্ণ শাখায় সৃজনপ্রক্রিয়া চলে শিল্পসাধকের ব্যক্তিজীবনের নিভৃতিতে। বড় মাপের প্রতিভা শ্রমে-সাধনায় অভিনিবেশে নির্মাণ করেন কালজয়ী নানা সৃষ্টি। এ ক্ষেত্রে আমাদের অর্জন মাঝারি মানের। ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিপুল-বিশাল ঘটনাপ্রবাহের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেলেও এ ভূখণ্ডের মানুষের জীবন নিয়ে এখনো কোনো মহত্তম উপন্যাস সৃষ্টি হয়নি বাংলাদেশে। সহসা হবে এমনও মনে হয় না। আখতারুজ্জামান ইলিয়াস 'চিলেকোঠার সেপাই' থেকে 'খোয়াবনামা'য় যে গভীরতার দিকে যাচ্ছিলেন তাঁর অকালমৃত্যু সে পথ রুদ্ধ করে দিয়েছে। শামসুদ্দীন আবুল কালামও শেষ জীবনে 'কাঞ্চনগ্রামে' বড় কাজের প্রয়াসী হওয়ার দীপ্ত স্বাক্ষর রেখে গেছেন। কই, বিশালতার স্বাক্ষরবাহী আর তো তেমন কিছুই দেখা যাচ্ছে না। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'জননী'র পর শওকত ওসমান 'জননী' লিখে বাংলা উপন্যাসের একটি উপেক্ষিত দিকের উন্মোচন ঘটিয়েছিলেন। শহীদুল্লা কায়সার 'সংশপ্তক'-কে এবং রশীদ করীম, সৈয়দ শামসুল হক ও হাসান আজিজুল হক তাঁদের কোনো কোনো উপন্যাসে জীবনের গভীরতম বোধকে ধরতে চেয়েছেন আন্তরিক নিষ্ঠায়। সেলিনা হোসেন ও নাসরীন জাহানও আমাদের আশা জাগিয়ে রেখেছেন। কবিতায় শামসুর রাহমান, আল মাহমুদের পর অন্যদের কাজও দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তবে আমরা পিছিয়ে আছি চিন্তাচর্চায়। আগের প্রজন্মের শিখাগোষ্ঠীর পর আবদুল হক, আহমদ শরীফ এবং ষাটের দশকে নতুন করে বিদ্রোহী ভূমিকায় অবতীর্ণ আবুল ফজল ও বদরুদ্দীন উমরের (সাম্প্রদায়িকতা, সাংস্কৃতিক সাম্প্রদায়িকতা) যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে সাম্প্রতিককালে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন হুমায়ুন আজাদ। তিনি যেভাবে ধর্মান্ধতা মোকাবিলা করে জঙ্গি ইসলামপন্থীদের বিনাশী আক্রমণের শিকার হয়ে শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন তা আমাদের সংস্কৃতি ও চিন্তার স্বাধীনতার ওপর এক গুরুতর আঘাত। এ আঘাতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে সহজে তা পূরণ হবে না।
চিত্রকলা, সংগীত, শর্টফিল্ম, নাটক
এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বাঙালির অর্জন প্রশংসনীয়। মাত্র পঞ্চাশ বছরে জয়নুল আবেদিন, সফিউদ্দীন আহমদ, আনওয়ারুল হক, কামরুল হাসান, মোহাম্মদ কিবরিয়া, আমিনুল ইসলাম, কাইয়ুম চৌধুরী থেকে মনিরুল ইসলাম, রফিকুন নবী, হাশেম খান, শাহাবুদ্দিনের আবির্ভাব খুব সামান্য ব্যাপার নয়। বস্তুতপক্ষে চিত্রকলা বা চারুকলাই এখন আন্তর্জাতিক সংস্কৃতি অঙ্গনে বাংলাদেশের দাঁড়াবার একমাত্র জায়গা। শিল্পকলা একাডেমীর এশীয় চারুকলা উৎসব এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে। এ শিল্পমাধ্যমটির ভাষা, শৈলী ও আঙ্গিকের আন্তর্জাতিক বোধগম্যতা এ ক্ষেত্রে সহায়ক হয়েছে। ঠিক একই কারণে বাংলাদেশের লোকসংগীত এবং শর্টফিল্ম ও বিকল্পধারার চলচ্চিত্র বিশ্বসংস্কৃতি অঙ্গনে সম্মানজনক আসন লাভ করেছে। আমাদের লোকসংগীতের সৌন্দর্য, ভাবগভীরতা, সর্বজনীন মানবিকতার বোধ এবং সরল জীবনচেতনার দীপ্রতায় যেকোনো অনুভূতিশীল মানুষকে সহজেই মুগ্ধ করার ক্ষমতা রাখে। অন্যদিকে আমাদের মূলধারার চলচ্চিত্র বিকৃত রুচির শিকার হলেও বিকল্পধারায় চলচ্চিত্র ও নিরীক্ষাধর্মী শর্টফিল্ম নান্দনিক দৃষ্টিভঙ্গি, উন্নত শিল্পবোধ ও জীবনঘনিষ্ঠতার প্রভাবে বিশ্বনন্দিত হয়েছে। সাম্প্রতিককালে তারেক মাসুদের 'মাটির ময়না', তানভীর মোকাম্মেলের 'লালন', সাইফুল আনাম টুটুলের 'আধিয়ার' এবং কাওসার চৌধুরীর ভিডিও ফিল্ম 'সেই রাতের কথা বলতে এসেছি' দেশে-বিদেশে দর্শক-সমালোচকের প্রশংসায় ধন্য হয়েছে।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর মঞ্চনাটকে আমাদের অর্জন প্রশংসনীয়। এ ক্ষেত্রে গ্রুপ থিয়েটারের কর্মী-সংগঠক, অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অঙ্গীকার ও নিষ্ঠা আমাদের মঞ্চাভিনয়ে বড় রকমের সাফল্য এনে দিয়েছে। সাম্প্রতিককালে শিল্পকলা একাডেমীর উদ্যোগে এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী বেশ আলোড়ন তুলেছিল। ব্যক্তিগতভাবে দারুণ অভিভূত হয়েছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটমণ্ডপে অনুষ্ঠিত ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা ও সংগীত বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের দ্বারা অভিনীত এবং বিভাগীয় শিক্ষক ও উদ্ভাবনাময় নাট্য ও মঞ্চ নির্দেশক সৈয়দ জামিল আহমদ নির্দেশিত 'বেহুলা' দেখে। বিভাগের আনকোরা অভিনেতা, বিশেষ করে অভিনেত্রীদের আন্তরিক ও প্রাণস্পর্শী অভিনয় দেড় ঘণ্টা ধরে আমাদের ঘোরের মধ্যে রাখে। বিপ্লববালার নাট্যরূপ অভিনয় ও নির্দেশনাগুণে অনবদ্য হয়ে ওঠে।
তথ্যপ্রযুক্তি ফ্যাশন ডিজাইন
তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে আমাদের নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা বিশেষ আগ্রহী। এ ক্ষেত্রে উদ্ভাবনাময় ও মেধাবী তরুণ-তরুণীরও অভাব নেই। কিন্তু বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা গ্রহণ করে এবং আঞ্চলিক উদ্যোগকে সহায়তা দিয়ে প্রাণচঞ্চল একটি পরিবেশ এখনো সৃষ্টি করতে পারেনি। বাংলাদেশ ফাইবার অপটিকস হাইওয়েতে ঢুকেছে তবে যে বৃহৎ উল্লম্ফনের প্রয়োজন হবে তার জন্য দেশে নেটওয়ার্কিংসহ যাবতীয় অবকাঠামোগত প্রস্তুতি শক্তিশালী নয়। উৎসবকেন্দ্রিক ফ্যাশন ডিজাইন এবং পেশা হিসেবে ফ্যাশন ডিজাইন আমাদের সংস্কৃতিচর্চার এক নতুন দিক। তরুণ প্রতিভাবান ডিজাইনাররা এ ক্ষেত্রে এক বিপ্লব এনেছেন বলা যায়। শুধু প্রতিভাময়ী ডিজাইনার বিবি রাসেলই নন, অনেক তরুণ প্রতিভার আগমনে এ ক্ষেত্রটি শিল্প ও ব্যবসা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়ে শক্ত আর্থিক ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। দু-একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিজাইনের কোর্স খোলায় এটি পেশা হিসেবেও দাঁড়িয়ে যাবে বলে আশা করা যায়।
তথ্যপ্রযুক্তির বিপুল উন্নতির ফলে সংস্কৃতি উপাদানের প্রদর্শন, সংরক্ষণ উপভোগের যেমন ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তেমনি সংস্কৃতি-সংক্রান্ত গবেষণা ও যোগাযোগকে সহজ করে দিয়েছে। অডিও-ভিডিও ক্যাসেট, সিডি, সিডিরম, ডিভিডি এবং কম্পিউটার, ইন্টারনেট, ই-মেইল এ ক্ষেত্রে বিশ্বকে হাতের মুঠোয় আনার বিপ্লব সম্পন্ন করেছে।
জাদুঘর ও প্রত্নতত্ত্ব
সংস্কৃতির এ দুটি ক্ষেত্রেও মৌলিক পরিবর্তন এসেছে। জাদুঘরে এযাবৎকাল দৃশ্যবস্তুই শুধু প্রদর্শনের জন্য রাখা হতো। ফলে জাদুঘর ছিল শুধু ঞধহমরনষব ঐবৎরঃধমব, গধঃবৎরধষ ঈঁষঃঁৎব-এর সংগ্রহশালা, এত দিন ওহঃধহমরনষব ঐবৎরঃধমব বা ঙৎধষ ঞৎধফরঃরড়হ জাদুঘরে জায়গা পায়নি। ফলে জাদুঘর ছিল সংস্কৃতির খণ্ডাংশের সংগ্রহ ও প্রদর্শনশালা_সামগ্রিক ঐতিহ্যভাণ্ডার নয়। সেই অপূর্ণতা দূর করার লক্ষ্যে কয়েক বছর আগে আন্তর্জাতিক জাদুঘর পরিষদ (ওঈঙগ) এ অবস্তুগত সংস্কৃতি বা ফোকলোরের মৌখিক উপাদানকে (ঙৎধষ ঞৎধরঃ) জাদুঘরে স্থান দিতে বলেছে। কারণ তা না হলে মানবসভ্যতার একটা বড় অংশ জাদুঘর-দর্শকদের দৃষ্টির বাইরে থেকে যায় এবং মানব-সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও প্রদর্শন হয় খণ্ডিত ও আংশিক। বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘরে ইতিহাস বিকৃতির যে ভয়াবহতা চলছিল এখন নতুন বিন্যাসে তার অবসান ঘটেছে।
আমাদের প্রত্নতাত্তি্বক চর্চায়ও কিছু নতুনত্ব এসেছে, বিশেষ করে দু-একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ খোলার পর। এরা ওয়ারী-বটেশ্বরে খননকাজও করেছে, তবে তাদের ওই কাজে যে সাফল্য দাবি করা হয়েছে পণ্ডিতমহলে তা তেমন স্বীকৃতি পায়নি। প্রত্নতত্ত্বের ক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা চুরি ও পাচার। এ পথে দেশের বহু মূল্যবান প্রত্নসম্পদ দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। এটা প্রতিরোধ করতে না পারলে আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এক মূল্যবান সম্পদ হাতছাড়া হয়ে যাবে। কোনো সরকারই এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেয়নি। সম্প্রতি ফরাসি প্রত্নতত্ত্ববিদরা মহাস্থানগড়ে যে খননকাজ করেছেন তার বিস্তৃত রিপোর্ট জনসমক্ষে প্রকাশিত হওয়া প্রয়োজন।
স্থাপত্যকাজেও নানা অভিনবত্ব লক্ষ করছি। অ্যাপার্টমেন্ট কালচার ও মূল সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত হচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও অন্য দু-একটি শহরের মানুষ। তবে নগর পরিকল্পনার শৃঙ্খলা, পরিবেশ ও নান্দনিক চেতনা বিবেচনায় না থাকায় নগরায়ণ হচ্ছে অস্বস্তিকর এবং প্রয়োজনীয় উন্মুক্ত পরিসর, আলো-বাতাস ও বৃক্ষ-পুষ্পবিহীন। তাই নন্দনকানন না হয়ে শহর হচ্ছে কংক্রিটের জঙ্গল। শেরেবাংলা নগর ছিল স্থপতি লুই কানের স্বপ্নের নগর। এখন তা জিয়ার মাজার আর স্পিকার, ডেপুটি স্পিকারের অপরিকল্পিত বাড়ি নির্মাণে সামঞ্জস্যহীন ও অসুন্দর হয়ে উঠেছে।
এ-ও রাজনৈতিক আধিপত্যজনিত এক স্বৈরাচার। এই যে মহামূল্যবান জমি, বিপুল অর্থ ও রুচির অপচয় ও বিনষ্টি ঘটছে তা এক বিরাট জাতীয় ক্ষতি।
ছায়ানটের মতো বাঙালির ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান হাসিনা সরকারের (১৯৯৬-২০০১) দেওয়া জমিতে জনগণের চাঁদার টাকায় ভবন তুলে দাঁড়িয়েছে, কিন্তু অর্থাভাবে দাঁড়াতে পারছে না সদ্যপ্রয়াত কিংবদন্তিপ্রতিম শিল্পী কলিম শরাফীর সংগীত ভবন। বাংলা একাডেমী বহু নতুন কাজে হাত দিয়েছে_ জাতীয় সাহিত্য ও লেখক জাদুঘর, ভাষা আন্দোলন জাদুঘর, বাঙালির ইতিহাস প্রকল্প, ব্যাকরণ প্রকল্প, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস প্রভৃতি। যাহোক, বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত বিনোদন শিল্প আশুলিয়া ফ্যান্টাসি কিংডমের থিম পার্ক এবং ঢাকা ও ঢাকার বাইরের দু-একটি বিনোদন (দিনাজপুর) ও সাফারি পার্ক (ডুলাহাজারা) উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। অন্যদিকে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন চিত্রকলার প্রদর্শন, সংরক্ষণ, চিত্রকলা ও সাহিত্য-সংস্কৃতিবিষয়ক পত্রিকা প্রকাশ এবং সংগীতের ক্যাসেট, সিডি ইত্যাদি প্রকাশের মাধ্যমে যে কার্যক্রম পরিচালনা করছে তার সাংস্কৃতিক তাৎপর্য ও গুরুত্ব সামান্য নয়। বর্তমান সরকার সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের জন্য ১০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ দিয়েছে। এ টাকায় দেশব্যাপী সংস্কৃতি ও লোক-উৎসবসহ ব্যাপক সাংস্কৃতিক কর্মযজ্ঞ সহসাই শুরু হবে। এই বিপুল সরকারি অর্থের সদ্ব্যবহার হলে সংস্কৃতি ক্ষেত্রে তা দারুণ প্রভাব ফেলবে।
=========================
গল্প- 'কাজল রানীর হারেম' by পাপড়ি রহমান রাজনৈতিক আলোচনা- 'এক-এগারোর প্রেতাত্মা চারপাশেই ঘুরছে by আবেদ খান খবর- মহাজোট আছে মহাজোট নেই!' by পার্থ প্রতীম ভট্টাচায্য আলোচনা- 'বাঙ্গালির বদলে যাওয়া' by সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম খবর- আফগানিস্তান শান্তি কত দূর?' by তৌহিদ আজিজ গল্প- 'ঝল্সে ওঠে জরিণ ফিতা' by রফিকুর রশীদ ফিচার- ‘আক্রান্ত' by জাফর তালুকদার স্মরণ- 'একজন বিস্মৃতপ্রায় বুদ্ধিজীবী' by আহমাদ মাযহার গল্প- 'অলৌকিক উপাখ্যান' by হাসান মোস্তাফিজুর রহমান গল্প- 'জয়মন্টপের জায়াজননী' by জামাল উদ্দীন আলোচনা- 'তুর্গিয়েনেফ প্রসাদাৎ' by হায়াৎ মামুদ গল্প- 'একটাই জীবন' by হাজেরা নজরুল ফিচার- 'এটি একটি সংখ্যামাত্র' by রণজিৎ বিশ্বাস গল্প- 'সোনালি চিল' by সৈয়দ মোফাজ্জেল হোসেন গল্প- 'বোবা ইশারা' by মণীশ রায় গল্প- 'চিরদিনের' by মঈনুল আহসান সাবের স্মরণ- 'আবদুল মান্নান সৈয়দ সাহিত্যের এক সর্বসত্তা আলোচনা- 'বাংলা চর্চা পরিচর্যা ও ইংরেজি শেখা' আলোচনা- 'আমার ছেলেবেলার ঈদ আর বুড়োবেলার ঈদ' আলোচনা- 'নৈতিক চেতনা : ধর্ম ও মতাদর্শ' by আবুল কাসেম ফজলুল হক খবর- গণতান্ত্রিক সব শক্তির সঙ্গে কাজ করতে চাই: সু চি
কালের কণ্ঠ এর সৌজন্য
লেখকঃ শামসুজ্জামান খান
এই লিখা'টি পড়া হয়েছে...
গল্প- 'কাজল রানীর হারেম' by পাপড়ি রহমান রাজনৈতিক আলোচনা- 'এক-এগারোর প্রেতাত্মা চারপাশেই ঘুরছে by আবেদ খান খবর- মহাজোট আছে মহাজোট নেই!' by পার্থ প্রতীম ভট্টাচায্য আলোচনা- 'বাঙ্গালির বদলে যাওয়া' by সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম খবর- আফগানিস্তান শান্তি কত দূর?' by তৌহিদ আজিজ গল্প- 'ঝল্সে ওঠে জরিণ ফিতা' by রফিকুর রশীদ ফিচার- ‘আক্রান্ত' by জাফর তালুকদার স্মরণ- 'একজন বিস্মৃতপ্রায় বুদ্ধিজীবী' by আহমাদ মাযহার গল্প- 'অলৌকিক উপাখ্যান' by হাসান মোস্তাফিজুর রহমান গল্প- 'জয়মন্টপের জায়াজননী' by জামাল উদ্দীন আলোচনা- 'তুর্গিয়েনেফ প্রসাদাৎ' by হায়াৎ মামুদ গল্প- 'একটাই জীবন' by হাজেরা নজরুল ফিচার- 'এটি একটি সংখ্যামাত্র' by রণজিৎ বিশ্বাস গল্প- 'সোনালি চিল' by সৈয়দ মোফাজ্জেল হোসেন গল্প- 'বোবা ইশারা' by মণীশ রায় গল্প- 'চিরদিনের' by মঈনুল আহসান সাবের স্মরণ- 'আবদুল মান্নান সৈয়দ সাহিত্যের এক সর্বসত্তা আলোচনা- 'বাংলা চর্চা পরিচর্যা ও ইংরেজি শেখা' আলোচনা- 'আমার ছেলেবেলার ঈদ আর বুড়োবেলার ঈদ' আলোচনা- 'নৈতিক চেতনা : ধর্ম ও মতাদর্শ' by আবুল কাসেম ফজলুল হক খবর- গণতান্ত্রিক সব শক্তির সঙ্গে কাজ করতে চাই: সু চি
কালের কণ্ঠ এর সৌজন্য
লেখকঃ শামসুজ্জামান খান
এই লিখা'টি পড়া হয়েছে...
No comments