শুধুই অ্যাশেজ-প্রস্তুতি নয়
গ্রীষ্মের শুরু, আকাশে প্রায়ই মেঘের ঘনঘটা, উঁচু সিমের ডিউক বল আর ইংল্যান্ড। এই সবকিছুর একসঙ্গে মিলে যাওয়া মানে ব্যাটসম্যানদের বিপদ। ইংলিশ গ্রীষ্মের শুরুতে ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের চেয়ে চ্যালেঞ্জিং কিছু ক্রিকেটে খুব কমই আছে। আর দুই দলেই যদি থাকে সুইং বোলারের ছড়াছড়ি, তাহলে তো কথাই নেই। ব্যাটসম্যানদের জন্য সেই বিপদসংকেত বাজিয়ে আজ লর্ডস টেস্ট দিয়ে শুরু হচ্ছে ইংলিশ গ্রীষ্ম। টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের দুই নম্বর দল ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ আটে থাকা নিউজিল্যান্ড।
র্যাঙ্কিংয়ের উঁচুতলার দলের সঙ্গে তলানির দলের লড়াইয়ে আগ্রহ এমনিতে খুব একটা থাকার কথা নয়। কিন্তু এই সিরিজে থাকছে। থাকছে বেশ কিছু কারণে। অ্যাশেজ গ্রীষ্মে ইংল্যান্ডে ম্লান হয়ে যায় আর সব সিরিজই। জুলাইতেই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মহারণ, ইংলিশ সংবাদমাধ্যম অনেক আগে থেকেই এই সিরিজকে বলছিল অ্যাশেজ প্রস্তুতির সিরিজ। তবে নিজেদের স্রেফ প্রস্তুতির গুটি ভাবতে যথেষ্টই আঁতে ঘা লাগছে কিউইদের। ইংল্যান্ডে পা দিয়েই সহ-অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন বলেছিলেন, ‘অ্যাশেজ নিয়ে আমাদের বলার বা ভাবার কিছু নেই। আমাদের লক্ষ্য সিরিজ জয়।’ কোচ মাইক হেসনের কণ্ঠেও ছিল একই কথা।
র্যাঙ্কিংয়ে নিউজিল্যান্ড যতই পিছিয়ে থাকুক, শুধু প্রস্তুতির সিরিজ ভাবলে ভুলই করবে ইংলিশরা। গত মার্চে দুই দলের সর্বশেষ সিরিজটাই উপহার দিয়েছিল অভাবনীয় ফলাফল। ভারত জয়ে উড়তে থাকা ইংলিশদের মাটিতে নামিয়ে এনেছিল কিউইরা। সম্ভাব্য ধবলধোলাই হওয়ার সিরিজটা নিউজিল্যান্ড ড্র করে ফেলে ০-০ তে! শেষ টেস্টে ম্যাট প্রায়র অসাধারণ এক ইনিংস খেলে ম্যাচ না বাঁচালে তো সিরিজই জিতে যেত নিউজিল্যান্ড! এই সিরিজেও পরিষ্কার ফেবারিট ইংল্যান্ড, কিন্তু আগের সিরিজটার তরতাজা স্মৃতিই আবার বলে দিচ্ছে, হতে পারে যেকোনো কিছুই!
এই সিরিজ নিয়ে আগ্রহের আরেকটা কারণ দুই দলের পেস আক্রমণ। অ্যান্ডারসন-ব্রড-ফিন-ব্রেসনানদের সঙ্গে সাউদি-বোল্ট-ওয়াগনার-ব্রেসওয়েলদের লড়াই। এমনিতে লর্ডসের উইকেটের পক্ষপাত ব্যাটসম্যানদের দিকেই বেশি থাকে। তবে গ্রীষ্মের শুরুতে ক্রিকেট তীর্থের উইকেটেও সুইং মেলে যথেষ্ট। আর আকাশের মন ভার হলে তো পেসারদের পোয়াবারো, শুরু হয়ে যায় বলের নাচানাচি। নামে-মানে অ্যান্ডারসনদের সঙ্গে হয়তো সাউদিদের তুলনাই চলে না। কিন্তু মার্চে দুই দলের সর্বশেষ সিরিজে অপেক্ষাকৃত মন্থর উইকেটেই ইংলিশদের চেয়ে বেশি সুইং আদায় করে নিয়েছিলেন কিউই পেসাররা। ইংল্যান্ডে এই সময়ে তাঁদের আরও কার্যকর হওয়ার কথা। সুইংয়ের লড়াইটা তাই এবার হয়তো হবে জমজমাট। পেসারদের পারফরম্যান্সই ভাগ্য গড়ে দিতে পারে দুই টেস্টের সিরিজের।
গ্রায়েম সোয়ান ফিট হয়ে ফেরায় তিন পেসার নিয়ে খেলবে ইংল্যান্ড, তৃতীয় পেসারের জায়গার লড়াইয়ে ফিন ও ব্রেসনান। কেভিন পিটারসেন থাকছেন না, নিশ্চিত হয়েছিল অনেক আগেই। তবে তাঁর জায়গায় যিনি খেলবেন, সেই জো রুট আছেন দুর্দান্ত ফর্মে। কাউন্টি মৌসুমের প্রথম দুই ম্যাচে ৪৯, ১৮২ ও ২৩৬ করার পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে করেছেন ১৭৯। তিন ম্যাচে রান ৬৪৬! কিউইদের চার পেসার নিয়ে খেলার সম্ভাবনাই বেশি। শেষ মুহূর্তে উইকেট শুষ্ক থাকলে ব্রেসওয়েলের জায়গায় খেলবেন বাঁহাতি স্পিনার ব্রুস মার্টিন।
শক্তি-সামর্থ্যের মতো ইতিহাসও ইংলিশদের পক্ষে। দুই দলের ৯৭ টেস্টের ৪৫টি জিতেছে ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড মাত্র আটটি। সর্বশেষ ১০ সিরিজের আটটি জিতেছে ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড একটি, সেটাও সেই ১৯৯৯ সালে। এই সিরিজেও সেটা বদলানোর সম্ভাবনা কমই। তবে জাত লড়াকু কিউইরা যে চমকে দিতে পারে, সেটার প্রমাণ তো গত মার্চের সিরিজটাই। আর সিরিজের ফলাফল যা-ই হোক, সুইং বোলিংয়ের পসরা অন্তত আশা করাই যায় এই সিরিজে।
র্যাঙ্কিংয়ের উঁচুতলার দলের সঙ্গে তলানির দলের লড়াইয়ে আগ্রহ এমনিতে খুব একটা থাকার কথা নয়। কিন্তু এই সিরিজে থাকছে। থাকছে বেশ কিছু কারণে। অ্যাশেজ গ্রীষ্মে ইংল্যান্ডে ম্লান হয়ে যায় আর সব সিরিজই। জুলাইতেই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মহারণ, ইংলিশ সংবাদমাধ্যম অনেক আগে থেকেই এই সিরিজকে বলছিল অ্যাশেজ প্রস্তুতির সিরিজ। তবে নিজেদের স্রেফ প্রস্তুতির গুটি ভাবতে যথেষ্টই আঁতে ঘা লাগছে কিউইদের। ইংল্যান্ডে পা দিয়েই সহ-অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন বলেছিলেন, ‘অ্যাশেজ নিয়ে আমাদের বলার বা ভাবার কিছু নেই। আমাদের লক্ষ্য সিরিজ জয়।’ কোচ মাইক হেসনের কণ্ঠেও ছিল একই কথা।
র্যাঙ্কিংয়ে নিউজিল্যান্ড যতই পিছিয়ে থাকুক, শুধু প্রস্তুতির সিরিজ ভাবলে ভুলই করবে ইংলিশরা। গত মার্চে দুই দলের সর্বশেষ সিরিজটাই উপহার দিয়েছিল অভাবনীয় ফলাফল। ভারত জয়ে উড়তে থাকা ইংলিশদের মাটিতে নামিয়ে এনেছিল কিউইরা। সম্ভাব্য ধবলধোলাই হওয়ার সিরিজটা নিউজিল্যান্ড ড্র করে ফেলে ০-০ তে! শেষ টেস্টে ম্যাট প্রায়র অসাধারণ এক ইনিংস খেলে ম্যাচ না বাঁচালে তো সিরিজই জিতে যেত নিউজিল্যান্ড! এই সিরিজেও পরিষ্কার ফেবারিট ইংল্যান্ড, কিন্তু আগের সিরিজটার তরতাজা স্মৃতিই আবার বলে দিচ্ছে, হতে পারে যেকোনো কিছুই!
এই সিরিজ নিয়ে আগ্রহের আরেকটা কারণ দুই দলের পেস আক্রমণ। অ্যান্ডারসন-ব্রড-ফিন-ব্রেসনানদের সঙ্গে সাউদি-বোল্ট-ওয়াগনার-ব্রেসওয়েলদের লড়াই। এমনিতে লর্ডসের উইকেটের পক্ষপাত ব্যাটসম্যানদের দিকেই বেশি থাকে। তবে গ্রীষ্মের শুরুতে ক্রিকেট তীর্থের উইকেটেও সুইং মেলে যথেষ্ট। আর আকাশের মন ভার হলে তো পেসারদের পোয়াবারো, শুরু হয়ে যায় বলের নাচানাচি। নামে-মানে অ্যান্ডারসনদের সঙ্গে হয়তো সাউদিদের তুলনাই চলে না। কিন্তু মার্চে দুই দলের সর্বশেষ সিরিজে অপেক্ষাকৃত মন্থর উইকেটেই ইংলিশদের চেয়ে বেশি সুইং আদায় করে নিয়েছিলেন কিউই পেসাররা। ইংল্যান্ডে এই সময়ে তাঁদের আরও কার্যকর হওয়ার কথা। সুইংয়ের লড়াইটা তাই এবার হয়তো হবে জমজমাট। পেসারদের পারফরম্যান্সই ভাগ্য গড়ে দিতে পারে দুই টেস্টের সিরিজের।
গ্রায়েম সোয়ান ফিট হয়ে ফেরায় তিন পেসার নিয়ে খেলবে ইংল্যান্ড, তৃতীয় পেসারের জায়গার লড়াইয়ে ফিন ও ব্রেসনান। কেভিন পিটারসেন থাকছেন না, নিশ্চিত হয়েছিল অনেক আগেই। তবে তাঁর জায়গায় যিনি খেলবেন, সেই জো রুট আছেন দুর্দান্ত ফর্মে। কাউন্টি মৌসুমের প্রথম দুই ম্যাচে ৪৯, ১৮২ ও ২৩৬ করার পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে করেছেন ১৭৯। তিন ম্যাচে রান ৬৪৬! কিউইদের চার পেসার নিয়ে খেলার সম্ভাবনাই বেশি। শেষ মুহূর্তে উইকেট শুষ্ক থাকলে ব্রেসওয়েলের জায়গায় খেলবেন বাঁহাতি স্পিনার ব্রুস মার্টিন।
শক্তি-সামর্থ্যের মতো ইতিহাসও ইংলিশদের পক্ষে। দুই দলের ৯৭ টেস্টের ৪৫টি জিতেছে ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড মাত্র আটটি। সর্বশেষ ১০ সিরিজের আটটি জিতেছে ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড একটি, সেটাও সেই ১৯৯৯ সালে। এই সিরিজেও সেটা বদলানোর সম্ভাবনা কমই। তবে জাত লড়াকু কিউইরা যে চমকে দিতে পারে, সেটার প্রমাণ তো গত মার্চের সিরিজটাই। আর সিরিজের ফলাফল যা-ই হোক, সুইং বোলিংয়ের পসরা অন্তত আশা করাই যায় এই সিরিজে।
No comments