আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা ঘোষণা ছিল ভুল
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সিনেটর জো লিবারম্যান বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা ঘোষণা করে ভুল করেছেন। এতে আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষ এবং তালেবান জঙ্গি উভয় পক্ষের কাছেই ভুল সংকেত পৌঁছেছে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর পরই ওবামা ২০১১ সালের জুলাই থেকে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু হবে বলে যে ঘোষণা দেন, সে সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে ডেমোক্রেটিক সিনেটর লিবারম্যান এ কথা বলেন। তিনি বলেন, তাঁর ধারণা, প্রেসিডেন্ট ওবামা ওই ঘোষণার মধ্য দিয়ে আফগান জনগণকে বোঝাতে চেয়েছিলেন, মার্কিন সেনাবাহিনী সেখানে স্থায়ী ঘাঁটি গেড়ে চিরকালের জন্য অবস্থান করবে না।
যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান সফরের প্রাক্কালে ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সিনেটর লিবারম্যান বলেন, প্রেসিডেন্ট ওবামার ঘোষণায় সাধারণ আফগান থেকে শুরু করে তালেবান সদস্যরা ধরে নিয়েছে, মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনী ঘোষিত সময়ের মধ্যেই সেখান থেকে সরে আসবে। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি মোটেও সে রকম নয়।
লিবারম্যান বলেন, আফগানিস্তানে মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনীর নবনিযুক্ত প্রধান ডেভিড পেট্রাউস ইতিমধ্যে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, ২০১১ সালের জুলাইয়ে আফগানিস্তানের সার্বিক পরিস্থিতি কেমন থাকবে, তার ওপর ভিত্তি করেই সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত হবে।
লিবারম্যান বলেন, ‘গত ডিসেম্বরে প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেছেন, আফগানিস্তান ইস্যু যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব নিরাপত্তা ও জাতীয় স্বার্থের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সেখানে আমাদের পূর্ণ বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। আর তা অর্জনে কোনো সময়সীমা নিশ্চিতভাবে বেঁধে দেওয়া ঠিক হবে না।’
লিবারম্যান বলেন, প্রেসিডেন্ট ওবামা গত কয়েক সপ্তাহ আগেই তাঁর আগের বক্তব্য থেকে সরে এসেছেন। তিনি নিজেও বলছেন, পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই আফগানিস্তান থেকে সেনা সরানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, তাঁর দেশ যত শিগগির সম্ভব সেনা সরিয়ে আনার ব্যাপারে আন্তরিক। কিন্তু জুলাইয়ের মধ্যে সে রকম অনুকূল অবস্থা সৃষ্টি না হলে তাঁরা সেখানে অবস্থান করবেন।
লিবারম্যান জানান, তিনি ডেভিড পেট্রাউসকে বলেছেন, তিনি যেন মাঠ পর্যায়ের বাস্তবতার ওপর ভিত্তি করে স্বাধীনভাবে কাজ চালিয়ে যান। তিনি যদি মনে করেন, সেখানে আরও বেশি সেনা মোতায়েন জরুরি, তাহলে জরুরি ভত্তিতে তাঁকে সে সহায়তা দেওয়া হবে।
লিবারম্যান বলেন, নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে খোদ আফগানরাই চায়, সেখানে মার্কিন বাহিনী দীর্ঘমেয়াদে অবস্থান করুক। তিনি জানান, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই ওয়াশিংটন সফর করার সময় তাঁর সঙ্গে তিনি এ বিষয়ে আলাপ করেছেন।
যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান সফরের প্রাক্কালে ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সিনেটর লিবারম্যান বলেন, প্রেসিডেন্ট ওবামার ঘোষণায় সাধারণ আফগান থেকে শুরু করে তালেবান সদস্যরা ধরে নিয়েছে, মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনী ঘোষিত সময়ের মধ্যেই সেখান থেকে সরে আসবে। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি মোটেও সে রকম নয়।
লিবারম্যান বলেন, আফগানিস্তানে মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনীর নবনিযুক্ত প্রধান ডেভিড পেট্রাউস ইতিমধ্যে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, ২০১১ সালের জুলাইয়ে আফগানিস্তানের সার্বিক পরিস্থিতি কেমন থাকবে, তার ওপর ভিত্তি করেই সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত হবে।
লিবারম্যান বলেন, ‘গত ডিসেম্বরে প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেছেন, আফগানিস্তান ইস্যু যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব নিরাপত্তা ও জাতীয় স্বার্থের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সেখানে আমাদের পূর্ণ বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। আর তা অর্জনে কোনো সময়সীমা নিশ্চিতভাবে বেঁধে দেওয়া ঠিক হবে না।’
লিবারম্যান বলেন, প্রেসিডেন্ট ওবামা গত কয়েক সপ্তাহ আগেই তাঁর আগের বক্তব্য থেকে সরে এসেছেন। তিনি নিজেও বলছেন, পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই আফগানিস্তান থেকে সেনা সরানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, তাঁর দেশ যত শিগগির সম্ভব সেনা সরিয়ে আনার ব্যাপারে আন্তরিক। কিন্তু জুলাইয়ের মধ্যে সে রকম অনুকূল অবস্থা সৃষ্টি না হলে তাঁরা সেখানে অবস্থান করবেন।
লিবারম্যান জানান, তিনি ডেভিড পেট্রাউসকে বলেছেন, তিনি যেন মাঠ পর্যায়ের বাস্তবতার ওপর ভিত্তি করে স্বাধীনভাবে কাজ চালিয়ে যান। তিনি যদি মনে করেন, সেখানে আরও বেশি সেনা মোতায়েন জরুরি, তাহলে জরুরি ভত্তিতে তাঁকে সে সহায়তা দেওয়া হবে।
লিবারম্যান বলেন, নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে খোদ আফগানরাই চায়, সেখানে মার্কিন বাহিনী দীর্ঘমেয়াদে অবস্থান করুক। তিনি জানান, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই ওয়াশিংটন সফর করার সময় তাঁর সঙ্গে তিনি এ বিষয়ে আলাপ করেছেন।
No comments