জামায়াত-শিবিরের ভাঙচুর -নৈরাজ্য সৃষ্টির সব চেষ্টাই অগ্রহণযোগ্য
গত রোববার বিকেলে চট্টগ্রামের হালিশহরে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা হঠাৎ লাঠিসোঁটা নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েন। মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীসহ কেন্দ্রীয় তিন নেতার মুক্তির দাবিতে তাঁরা বিক্ষোভ মিছিল, চোরাগোপ্তা হামলা ও ভাঙচুর চালান। নেতাদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের ক্ষোভ থাকতেই পারে। কিন্তু দাবিদাওয়া প্রকাশের নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ পদ্ধতি বাদ দিয়ে এ ধরনের চোরাগোপ্তা হামলা ও ভাঙচুর চালানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সহিংসতা, সম্পদের ক্ষতি ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি প্রতিবাদ জানানোর কোনো উপায় হতে পারে না।
সেদিন তাঁদের ক্ষোভের লক্ষ্য হয়ে ওঠে যানবাহন ও দোকানপাট। প্রথম আলোর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তার উভয় পাশে অটোরিকশা, মোটরগাড়ি, ট্রাক, বাস, টেম্পো, মালবোঝাই ট্রাক-লরিসহ সামনে যা পড়েছে, তা-ই ভাঙচুর করেছেন। সড়কের উভয় পাশের দোকানপাট ও প্রতিষ্ঠানও বাদ যায়নি। এই হিংসাত্মক ঘটনায় ভাঙচুর হয়েছে ৫০-৬০টি গাড়ি ও দোকান। এমন সংঘবদ্ধ হামলার কাছে নিরীহ জনগণ একেবারে অসহায়। শক্তি প্রয়োগ করার এই মানসিকতা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অগণতান্ত্রিক চরিত্রেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। এমন দায়িত্বহীন আচরণ শান্তিপ্রিয় নাগরিকেরা প্রত্যাশা করেন না।
অবশ্য এ ধরনের দুঃখজনক ঘটনা নতুন নয়, প্রায়ই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে। আমাদের দেশে কয়েক দশক ধরে রাজনৈতিক দলগুলোর হিংসা-হানাহানি, অসহিষ্ণুতা ও ক্ষমতার অপব্যবহার গণতন্ত্র ও উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে হরতাল নিয়ে সহিংসতা, গাজীপুরে রাজউকের কথিত প্রকল্পের গুজবের জের ধরে সহিংসতার ঘটনায় আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করে সম্পাদকীয় লিখেছি। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, নানা অজুহাতে এ ধরনের ঘটনা ঘটেই চলেছে। আমরা যেকোনো ধরনের সংঘাত-সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের পক্ষে। এ ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। জীবন ও জনগণের সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। প্রতিবাদের নামে নির্বিচারে গাড়ি ভাঙচুর ও সম্পদহানি গণতন্ত্রের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়।
বিক্ষোভের নামে কারও বাড়াবাড়ি মেনে নেওয়া যায় না। সম্পদ বিনষ্ট করার এ ধরনের ঘটনা ঠেকাতে রাজনীতিকদের দায়িত্বশীল আচরণ কাম্য। তাঁদের অবিবেচনাপ্রসূত কার্যকলাপে সাধারণ মানুষের জানমালের যেন কোনো ক্ষতি না হয়, তা দেখতে হবে সরকারকে। রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য সহিংসতার উদ্দেশ্যে শক্তি প্রয়োগ করার এই মানসিকতার অবসান ঘটানোর কোনো বিকল্প নেই।
সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত বা কর্মকাণ্ড কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর পছন্দ না হওয়া অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু তাই বলে নিরীহ জনগণের এবং তাদের সম্পদের ওপর চড়াও হওয়া কোনো গণতান্ত্রিক দলের নেতা-কর্মীদের আচরণ হতে পারে না। চট্টগ্রামে যারা হামলা ও ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। যেকোনো হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণই এ ধরনের হামলার পুনরাবৃত্তি রোধে ভূমিকা পালন করতে পারে।
সেদিন তাঁদের ক্ষোভের লক্ষ্য হয়ে ওঠে যানবাহন ও দোকানপাট। প্রথম আলোর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তার উভয় পাশে অটোরিকশা, মোটরগাড়ি, ট্রাক, বাস, টেম্পো, মালবোঝাই ট্রাক-লরিসহ সামনে যা পড়েছে, তা-ই ভাঙচুর করেছেন। সড়কের উভয় পাশের দোকানপাট ও প্রতিষ্ঠানও বাদ যায়নি। এই হিংসাত্মক ঘটনায় ভাঙচুর হয়েছে ৫০-৬০টি গাড়ি ও দোকান। এমন সংঘবদ্ধ হামলার কাছে নিরীহ জনগণ একেবারে অসহায়। শক্তি প্রয়োগ করার এই মানসিকতা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অগণতান্ত্রিক চরিত্রেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। এমন দায়িত্বহীন আচরণ শান্তিপ্রিয় নাগরিকেরা প্রত্যাশা করেন না।
অবশ্য এ ধরনের দুঃখজনক ঘটনা নতুন নয়, প্রায়ই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে। আমাদের দেশে কয়েক দশক ধরে রাজনৈতিক দলগুলোর হিংসা-হানাহানি, অসহিষ্ণুতা ও ক্ষমতার অপব্যবহার গণতন্ত্র ও উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে হরতাল নিয়ে সহিংসতা, গাজীপুরে রাজউকের কথিত প্রকল্পের গুজবের জের ধরে সহিংসতার ঘটনায় আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করে সম্পাদকীয় লিখেছি। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, নানা অজুহাতে এ ধরনের ঘটনা ঘটেই চলেছে। আমরা যেকোনো ধরনের সংঘাত-সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের পক্ষে। এ ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। জীবন ও জনগণের সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। প্রতিবাদের নামে নির্বিচারে গাড়ি ভাঙচুর ও সম্পদহানি গণতন্ত্রের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়।
বিক্ষোভের নামে কারও বাড়াবাড়ি মেনে নেওয়া যায় না। সম্পদ বিনষ্ট করার এ ধরনের ঘটনা ঠেকাতে রাজনীতিকদের দায়িত্বশীল আচরণ কাম্য। তাঁদের অবিবেচনাপ্রসূত কার্যকলাপে সাধারণ মানুষের জানমালের যেন কোনো ক্ষতি না হয়, তা দেখতে হবে সরকারকে। রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য সহিংসতার উদ্দেশ্যে শক্তি প্রয়োগ করার এই মানসিকতার অবসান ঘটানোর কোনো বিকল্প নেই।
সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত বা কর্মকাণ্ড কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর পছন্দ না হওয়া অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু তাই বলে নিরীহ জনগণের এবং তাদের সম্পদের ওপর চড়াও হওয়া কোনো গণতান্ত্রিক দলের নেতা-কর্মীদের আচরণ হতে পারে না। চট্টগ্রামে যারা হামলা ও ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। যেকোনো হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণই এ ধরনের হামলার পুনরাবৃত্তি রোধে ভূমিকা পালন করতে পারে।
No comments