ভারতজুড়ে ১২ ঘণ্টার বন্ধ্ পালন
জ্বালানি তেল, গ্যাস ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে গতকাল সোমবার ভারতজুড়ে সকাল-সন্ধ্যা বন্ধ্ পালিত হয়েছে। ভারতের চারটি বাম দল এবং বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ পৃথকভাবে এই বনেধর ডাক দেয়। সকাল ছয়টা থেকে গোটা ভারতে শুরু হয় এই বন্ধ্ কর্মসূচি, চলে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত।
বন্ধ্ পালনকে ঘিরে রাজধানী নয়াদিল্লি, পাটনা ও লক্ষৌয়ে বনেধর সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ বন্ধ্-সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। লক্ষৌয়ে পুলিশ বিজেপি নেতা অরুণ জেটলি, মুকতার আব্বাস নকভি, লালজি ট্যান্ডন ও সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবকে গ্রেপ্তার করে। অন্ধ্র প্রদেশের রাজধানী হায়দরাবাদে গ্রেপ্তার করা হয় তেলেগু দেশম পার্টির নেতা চন্দ্রবাবু নাইডুকে। দিল্লিতে গ্রেপ্তার করা হয় বিজেপির সভাপতি নীতিন গড়কারিকে। মহারাষ্ট্রে গ্রেপ্তার করা হয় বিজেপির নেতা গোপীনাথ মুন্ডেকে। মহারাষ্ট্রে এ ছাড়াও এক হাজার ৬০০ সমর্থককে আটক করা হয়। মধ্যপ্রদেশে আটক করা হয় ২০০ সমর্থককে। ওডিশায় আটক করা হয় ৮০০ জনকে। পুনেতে বনেধর সমর্থনকারীরা পাথর ছুড়ে শহরের ১২টি বাসের ক্ষতিসাধন করে। এই বনেধর সমর্থনে বাম দলের ডাকে দিল্লির নয়টি স্থানে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। প্রতিবাদ সভা করেছে বিজেপি দিল্লির চাঁদনিচকে। কলকাতায় পুলিশ এসইউসিআইয়ের শতাধিক কর্মীসহ দলীয় সাংসদ তপন মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে।
বনেধর ফলে ভারতের অধিকাংশ শহরের জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়ে। দিল্লি, লক্ষৌ, পাটনা, কলকাতা, মুম্বাই, তিরুবনন্তপুরম, অমৃতসর, চেন্নাই, বরোদা, আহমেদাবাদ, এলাহাবাদ, ভোপাল, বেঙ্গালুরু, জয়পুর, ভুবনেশ্বর, পুনে, গুয়াহাটি, চণ্ডীগড়, রায়পুর, গোয়া, সিমলা, বারানসি শহরে বনেধর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে। এসব শহরে বনেধর সমর্থকেরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানায়, সড়ক ও রেল অবরোধ করে। ফলে বিভিন্ন স্টেশনে আটকে পড়ে ট্রেন। সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বনেধর জেরে কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের জীবনযাত্রা সম্পূর্ণরূপে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। সকাল থেকেই কলকাতার রাস্তা থেকে উধাও হয়ে যায় বাস, ট্যাক্সিসহ সব ধরনের যানবাহন; চলেনি ট্রেনও। রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে আটকা পড়ে দূরপাল্লার ট্রেন। জেলায়ও চলেনি কোনো যানবাহন। সেখানেও চলছে বন্ধ্। কলকাতা বিমানবন্দরে ব্যাহত হয়েছে বিমান পরিষেবা। কাজ হয়নি শিল্পাঞ্চলে। কলকাতাসহ গোটা পশ্চিমবঙ্গে খোলেনি হাটবাজার। বন্ধ ছিল স্কুল-কলেজ। বেনাপোল সীমান্তে বন্ধ ছিল আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। এর ফলে এই সীমান্তে আটকে পড়েছে বাংলাদেশগামী কয়েক শ পণ্যবাহী ট্রাক।
একই চিত্র ছিল বামশাসিত কেরালা রাজ্যেও। উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, ছত্তিশগড়, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, আসাম, গোয়া, রাজস্থান, ওডিশা ও বিহারে ভালোই সাড়া মিলেছে বনেধর।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ জুন কেন্দ্রীয় সরকার পেট্রলের মূল্য এক ধাপে ৩ দশমিক ৬৫, ডিজেল ১ দশমিক ৯৫, কেরোসিন ২ দশমিক ৯৭ এবং রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার প্রতি ৩৬ দশমিক ৪০ বাড়িয়ে দেয়। এই মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ভারত বনেধর ডাক দেয় বাম দল ও বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ। এর আগে বামপন্থীদের ডাকে গত ২৬ জুন ২৪ ঘণ্টা বন্ধ্ পালিত হয় পশ্চিমবঙ্গে, ১২ ঘণ্টার বন্ধ্ পালিত হয় কেরালায় এবং ২৮ জুন ১২ ঘণ্টার বন্ধ্ পালিত হয় ত্রিপুরায়।
বন্ধ্ পালনকে ঘিরে রাজধানী নয়াদিল্লি, পাটনা ও লক্ষৌয়ে বনেধর সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ বন্ধ্-সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। লক্ষৌয়ে পুলিশ বিজেপি নেতা অরুণ জেটলি, মুকতার আব্বাস নকভি, লালজি ট্যান্ডন ও সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবকে গ্রেপ্তার করে। অন্ধ্র প্রদেশের রাজধানী হায়দরাবাদে গ্রেপ্তার করা হয় তেলেগু দেশম পার্টির নেতা চন্দ্রবাবু নাইডুকে। দিল্লিতে গ্রেপ্তার করা হয় বিজেপির সভাপতি নীতিন গড়কারিকে। মহারাষ্ট্রে গ্রেপ্তার করা হয় বিজেপির নেতা গোপীনাথ মুন্ডেকে। মহারাষ্ট্রে এ ছাড়াও এক হাজার ৬০০ সমর্থককে আটক করা হয়। মধ্যপ্রদেশে আটক করা হয় ২০০ সমর্থককে। ওডিশায় আটক করা হয় ৮০০ জনকে। পুনেতে বনেধর সমর্থনকারীরা পাথর ছুড়ে শহরের ১২টি বাসের ক্ষতিসাধন করে। এই বনেধর সমর্থনে বাম দলের ডাকে দিল্লির নয়টি স্থানে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। প্রতিবাদ সভা করেছে বিজেপি দিল্লির চাঁদনিচকে। কলকাতায় পুলিশ এসইউসিআইয়ের শতাধিক কর্মীসহ দলীয় সাংসদ তপন মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে।
বনেধর ফলে ভারতের অধিকাংশ শহরের জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়ে। দিল্লি, লক্ষৌ, পাটনা, কলকাতা, মুম্বাই, তিরুবনন্তপুরম, অমৃতসর, চেন্নাই, বরোদা, আহমেদাবাদ, এলাহাবাদ, ভোপাল, বেঙ্গালুরু, জয়পুর, ভুবনেশ্বর, পুনে, গুয়াহাটি, চণ্ডীগড়, রায়পুর, গোয়া, সিমলা, বারানসি শহরে বনেধর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে। এসব শহরে বনেধর সমর্থকেরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানায়, সড়ক ও রেল অবরোধ করে। ফলে বিভিন্ন স্টেশনে আটকে পড়ে ট্রেন। সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বনেধর জেরে কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের জীবনযাত্রা সম্পূর্ণরূপে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। সকাল থেকেই কলকাতার রাস্তা থেকে উধাও হয়ে যায় বাস, ট্যাক্সিসহ সব ধরনের যানবাহন; চলেনি ট্রেনও। রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে আটকা পড়ে দূরপাল্লার ট্রেন। জেলায়ও চলেনি কোনো যানবাহন। সেখানেও চলছে বন্ধ্। কলকাতা বিমানবন্দরে ব্যাহত হয়েছে বিমান পরিষেবা। কাজ হয়নি শিল্পাঞ্চলে। কলকাতাসহ গোটা পশ্চিমবঙ্গে খোলেনি হাটবাজার। বন্ধ ছিল স্কুল-কলেজ। বেনাপোল সীমান্তে বন্ধ ছিল আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। এর ফলে এই সীমান্তে আটকে পড়েছে বাংলাদেশগামী কয়েক শ পণ্যবাহী ট্রাক।
একই চিত্র ছিল বামশাসিত কেরালা রাজ্যেও। উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, ছত্তিশগড়, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, আসাম, গোয়া, রাজস্থান, ওডিশা ও বিহারে ভালোই সাড়া মিলেছে বনেধর।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ জুন কেন্দ্রীয় সরকার পেট্রলের মূল্য এক ধাপে ৩ দশমিক ৬৫, ডিজেল ১ দশমিক ৯৫, কেরোসিন ২ দশমিক ৯৭ এবং রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার প্রতি ৩৬ দশমিক ৪০ বাড়িয়ে দেয়। এই মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ভারত বনেধর ডাক দেয় বাম দল ও বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ। এর আগে বামপন্থীদের ডাকে গত ২৬ জুন ২৪ ঘণ্টা বন্ধ্ পালিত হয় পশ্চিমবঙ্গে, ১২ ঘণ্টার বন্ধ্ পালিত হয় কেরালায় এবং ২৮ জুন ১২ ঘণ্টার বন্ধ্ পালিত হয় ত্রিপুরায়।
No comments