আস্থা তবু তোরেসেই
জাভি হার্নান্দেজের পাসটা ধরে এগোতে থাকলেন বিদ্যুৎগতিতে, তাঁর গতির সঙ্গে পেরে উঠলেন না ডিফেন্ডার ফিলিপ লাম। সামনে এগিয়ে এসে ডাইভ দেওয়া গোলকিপার ইয়েন্স লেম্যানের ওপর দিয়ে বল পাঠিয়ে দিলেন জালে—স্পেনের ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্তগুলোর একটি। প্রতিপক্ষ স্ট্রাইকারের গতিতে ওভাবে ভিরমি খেতে দেখে লামকে নিয়ে সবাই বলাবলি শুরু করছিল, ‘চব্বিশেই ও বুড়ো হয়ে গেছে।’ ২০০৮ ইউরোর ফাইনালের দুই বছর পর দুদল যখন আবার মুখোমুখি হচ্ছে, সেই লামই দলের অধিনায়ক, এই বিশ্বকাপের সবচেয়ে উজ্জ্বল তারাগুলোর একটি। আর লামকে ‘বুড়ো’ বানিয়ে দেওয়া সেই মুহূর্তটির নায়ক ফার্নান্দো তোরেস বিবর্ণ।
যাকে মনে করা হয় বর্তমান বিশ্বের হাতে গোনা পরিপূর্ণ স্ট্রাইকারদের একজন, তাঁরই এমন দুর্দশা!
নিজের দুর্দশার জন্য তোরেস দায়ী করছেন ফিটনেসকেই। তবে আশাবাদী, খুব শিগগিরই ফিরে পাবেন নিজেকে, ‘টুর্নামেন্টটা আমার জন্য আসলেই কঠিন যাচ্ছে, কারণ ফিটনেসটা এখনো সেরা পর্যায়ে আসেনি। ফিটনেসের জন্যই আমাকে ভুগতে হচ্ছে, তবে উন্নতি কিন্তু হচ্ছে। প্যারাগুয়ের বিপক্ষে যেমন খেলেছি, তাতে আমি খুশি, উন্নতি হয়েছিল আগের ম্যাচটাতেও। আগের চেয়ে এখন ভালো বোধ করছি, তবে এখনো অনেক উন্নতি করতে হবে।’ তোরেসের এই দাবিকে অবশ্য উড়িয়ে দেওয়া যায় না। গ্রুপ পর্বের চেয়ে নকআউট পর্বের দুই ম্যাচে উন্নতির ছাপ ছিল স্পষ্ট, আগের চেয়ে অনেকটাই চনমনে মনে হয়েছে তাঁকে।
তোরেসের জন্য বড় স্বস্তি খারাপ সময়ে পাশে পাচ্ছেন কোচ, টিম ম্যানেজমেন্ট ও সতীর্থদের। দুরন্ত ফর্মে থাকা ডেভিড ভিয়া তো তোরেস খারাপ ফর্মে আছেন, এটা মানতেই নারাজ। প্যারাগুয়ে ম্যাচের আগেও ভিসেন্তে দেল বস্ক তোরেসেই আস্থা রাখার কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন। স্প্যানিশ কোচ আবারও বলছেন, আস্থা আছে এখনো, ‘তোরেস এখনো আমাদের সেরা খেলোয়াড়দের একজন। অন্য আর দশটা স্ট্রাইকারের মতো ওরও একটু খারাপ সময় যাচ্ছে, এই তো। আগেও বলেছিলাম, এখনো বলছি, তোরেসই আমাদের মূল স্ট্রাইকার। ওর প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে।’
প্রতিপক্ষ আবারও সেই জার্মানি। ৪৪ বছর পর স্পেনকে বড় কোনো শিরোপা এনে দেওয়া সেই মুহূর্তটি জাগিয়ে তুলবে তোরেসকে, স্প্যানিশদের প্রত্যাশা এমনটাই। নিজের গোলের চেয়েও অবশ্য তোরেস বেশি করে চাইছেন দলের জয়, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো স্পেন জার্মানিকে হারাতে পারে কিনা, গোল কে করল এটা কোনো ব্যাপার না। আশা করি, আমরা তা পারব, আর আবারও যদি জয়সূচক গোলটি আমি করতে পারি তাহলে সেটা হবে দারুণ।’
ভিয়া এগিয়ে যাচ্ছেন অপ্রতিরোধ্য গতিতে, সঙ্গে যদি জেগে ওঠেন তোরেসও, স্পেনকে আটকানো কিন্তু মুশকিল হয়ে পড়বে!
যাকে মনে করা হয় বর্তমান বিশ্বের হাতে গোনা পরিপূর্ণ স্ট্রাইকারদের একজন, তাঁরই এমন দুর্দশা!
নিজের দুর্দশার জন্য তোরেস দায়ী করছেন ফিটনেসকেই। তবে আশাবাদী, খুব শিগগিরই ফিরে পাবেন নিজেকে, ‘টুর্নামেন্টটা আমার জন্য আসলেই কঠিন যাচ্ছে, কারণ ফিটনেসটা এখনো সেরা পর্যায়ে আসেনি। ফিটনেসের জন্যই আমাকে ভুগতে হচ্ছে, তবে উন্নতি কিন্তু হচ্ছে। প্যারাগুয়ের বিপক্ষে যেমন খেলেছি, তাতে আমি খুশি, উন্নতি হয়েছিল আগের ম্যাচটাতেও। আগের চেয়ে এখন ভালো বোধ করছি, তবে এখনো অনেক উন্নতি করতে হবে।’ তোরেসের এই দাবিকে অবশ্য উড়িয়ে দেওয়া যায় না। গ্রুপ পর্বের চেয়ে নকআউট পর্বের দুই ম্যাচে উন্নতির ছাপ ছিল স্পষ্ট, আগের চেয়ে অনেকটাই চনমনে মনে হয়েছে তাঁকে।
তোরেসের জন্য বড় স্বস্তি খারাপ সময়ে পাশে পাচ্ছেন কোচ, টিম ম্যানেজমেন্ট ও সতীর্থদের। দুরন্ত ফর্মে থাকা ডেভিড ভিয়া তো তোরেস খারাপ ফর্মে আছেন, এটা মানতেই নারাজ। প্যারাগুয়ে ম্যাচের আগেও ভিসেন্তে দেল বস্ক তোরেসেই আস্থা রাখার কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন। স্প্যানিশ কোচ আবারও বলছেন, আস্থা আছে এখনো, ‘তোরেস এখনো আমাদের সেরা খেলোয়াড়দের একজন। অন্য আর দশটা স্ট্রাইকারের মতো ওরও একটু খারাপ সময় যাচ্ছে, এই তো। আগেও বলেছিলাম, এখনো বলছি, তোরেসই আমাদের মূল স্ট্রাইকার। ওর প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে।’
প্রতিপক্ষ আবারও সেই জার্মানি। ৪৪ বছর পর স্পেনকে বড় কোনো শিরোপা এনে দেওয়া সেই মুহূর্তটি জাগিয়ে তুলবে তোরেসকে, স্প্যানিশদের প্রত্যাশা এমনটাই। নিজের গোলের চেয়েও অবশ্য তোরেস বেশি করে চাইছেন দলের জয়, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো স্পেন জার্মানিকে হারাতে পারে কিনা, গোল কে করল এটা কোনো ব্যাপার না। আশা করি, আমরা তা পারব, আর আবারও যদি জয়সূচক গোলটি আমি করতে পারি তাহলে সেটা হবে দারুণ।’
ভিয়া এগিয়ে যাচ্ছেন অপ্রতিরোধ্য গতিতে, সঙ্গে যদি জেগে ওঠেন তোরেসও, স্পেনকে আটকানো কিন্তু মুশকিল হয়ে পড়বে!
No comments