গত অর্থবছরে প্রবাসী-আয় বাড়ল ১৩.২৫%
সদ্য সমাপ্ত ২০০৯-১০ অর্থবছরে প্রবাসী-আয়ের প্রবাহ তার আগের অর্থবছরের তুলনায় সোয়া ১৩ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রাপ্ত পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে প্রবাসে কর্মরত বাংলাদেশিরা ব্যাংকব্যবস্থার মাধ্যমে এক হাজার ৯৭ কোটি ৩২ লাখ ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন।
আর ২০০৮-০৯ অর্থবছরে তাঁরা পাঠিয়েছিলেন ৯৬৮ কোটি ৯২ লাখ ডলারের সমপরিমাণ অর্থ।
গত অর্থবছরের মাসওয়ারি প্রবাসী-আয় পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, নভেম্বর মাসে সর্বোচ্চ ১০৫ কোটি ডলারের সমপরিমাণ প্রবাসী-আয় পাওয়া গেছে। আর ফেব্রুয়ারি মাসে সর্বনিম্ন ৮২ কোটি ৩৮ লাখ ডলারের প্রবাসী-আয় এসেছে।
প্রবাসী-আয়ের উচ্চপ্রবাহ দেশের চলতি হিসাবের ভারসাম্যে উদ্বৃত্তাবস্থা বজায় রাখতে সহায়তা করছে।
২০০৯-১০ অর্থবছরের পুরো ১২ মাসের লেনদেনের ভারসাম্যের পরিসংখ্যান এখনো পাওয়া যায়নি। তবে ১০ মাসের মানে জুলাই-এপ্রিল সময়কালের যে পরিসংখ্যান তাতে দেখা যায়, এই সময়কালে চলতি হিসাবের ভারসাম্যে উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে ২৮৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
চলতি হিসাবে মূলত কোনো দেশের নিয়মিত বৈদেশিক লেনদেনের হিসাব প্রতিফলিত হয়। নিয়মিত আমদানি-রপ্তানিসহ অন্যান্য আয়-ব্যয় এতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে। চলতি হিসাবের ভারসাম্যে উদ্বৃত্ত মানে নিয়মিত লেনদেনের ক্ষেত্রে দেশকে কোনো ঋণ করতে হয় না।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ২০০৪-০৫ অর্থবছরের পর আর কোনো অর্থবছরই বাংলাদেশকে চলতি হিসাবের ভারসাম্যে ঘাটতির সম্মুখীন হতে হয়নি। বরং প্রতিবছরই উদ্বৃত্তাবস্থা বেড়েছে।
সর্বশেষ ২০০৮-০৯ অর্থবছরে চলতি হিসাবের ভারসাম্যে রেকর্ড ২৫৩ কোটি ৬০ লাখ ডলারের উদ্বৃত্ত দেখা দেয়। এটি ছিল তার আগের অর্থবছর ২০০৭-০৮-এর ৬৮ কোটি ডলারের সমপরিমাণ উদ্বৃত্তের চেয়ে প্রায় চার গুণ বেশি।
গত এক দশকের প্রবাসী-আয়ের পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় আরও দেখা যায়, গড়ে প্রতি চার বছরে প্রবাসী-আয় দ্বিগুণ হয়ে যায়।
যেমন ২০০৪-০৫ অর্থবছরে দেশে মোট প্রবাসী-আয়ের পরিমাণ ছিল ৪৮০ কোটি ডলার। এটি ২০০৮-০৯ অর্থবছরে এসে দ্বিগুণ হয়ে গেছে।
তবে উচ্চ হারে প্রবাসী-আয়ের প্রবাহ দেশের অর্থনীতিতে কিছু ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা তৈরি করেছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্প্রতি একাধিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে। প্রবাসী-আয় বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণসঞ্চারিণী হলেও উৎপাদনশীল খাতে এর সীমিত ব্যবহার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করে।
এর ফলে আর্থিক বাজারে বাড়তি তারল্য তৈরি হয়েছে এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার ওপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে। বাড়তি তারল্য থেকে রিয়েল এস্টেটসহ বিভিন্ন খাতে ঝুঁকিপূর্ণ ফাটকা বিনিয়োগের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
উচ্চ হারে প্রবাসী-আয় দেশের বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হারের ওপর চাপ তৈরি করেছে এবং স্থানীয় মুদ্রার মানকে ক্রমশ শক্তিশালী করছে, যা আবার আয়-গ্রহীতা ও রপ্তানিকারকদের জন্য সহায়ক হচ্ছে না।
সরকার অবশ্য প্রবাসী-আয় উৎপাদনশীল খাতে ব্যবহারের জন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে। ইতিমধ্যে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক আইন অনুমোদন করা হয়েছে। এই ব্যাংক স্থাপন করা হলে এর মাধ্যমে প্রবাসীরা যে অর্থ পাঠাবেন, তা আবার ব্যাংকের মাধ্যমেই উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগের জন্য প্রেরক ও প্রাপকদের উৎসাহিত করা হবে।
প্রাপ্ত পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে প্রবাসে কর্মরত বাংলাদেশিরা ব্যাংকব্যবস্থার মাধ্যমে এক হাজার ৯৭ কোটি ৩২ লাখ ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন।
আর ২০০৮-০৯ অর্থবছরে তাঁরা পাঠিয়েছিলেন ৯৬৮ কোটি ৯২ লাখ ডলারের সমপরিমাণ অর্থ।
গত অর্থবছরের মাসওয়ারি প্রবাসী-আয় পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, নভেম্বর মাসে সর্বোচ্চ ১০৫ কোটি ডলারের সমপরিমাণ প্রবাসী-আয় পাওয়া গেছে। আর ফেব্রুয়ারি মাসে সর্বনিম্ন ৮২ কোটি ৩৮ লাখ ডলারের প্রবাসী-আয় এসেছে।
প্রবাসী-আয়ের উচ্চপ্রবাহ দেশের চলতি হিসাবের ভারসাম্যে উদ্বৃত্তাবস্থা বজায় রাখতে সহায়তা করছে।
২০০৯-১০ অর্থবছরের পুরো ১২ মাসের লেনদেনের ভারসাম্যের পরিসংখ্যান এখনো পাওয়া যায়নি। তবে ১০ মাসের মানে জুলাই-এপ্রিল সময়কালের যে পরিসংখ্যান তাতে দেখা যায়, এই সময়কালে চলতি হিসাবের ভারসাম্যে উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে ২৮৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
চলতি হিসাবে মূলত কোনো দেশের নিয়মিত বৈদেশিক লেনদেনের হিসাব প্রতিফলিত হয়। নিয়মিত আমদানি-রপ্তানিসহ অন্যান্য আয়-ব্যয় এতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে। চলতি হিসাবের ভারসাম্যে উদ্বৃত্ত মানে নিয়মিত লেনদেনের ক্ষেত্রে দেশকে কোনো ঋণ করতে হয় না।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ২০০৪-০৫ অর্থবছরের পর আর কোনো অর্থবছরই বাংলাদেশকে চলতি হিসাবের ভারসাম্যে ঘাটতির সম্মুখীন হতে হয়নি। বরং প্রতিবছরই উদ্বৃত্তাবস্থা বেড়েছে।
সর্বশেষ ২০০৮-০৯ অর্থবছরে চলতি হিসাবের ভারসাম্যে রেকর্ড ২৫৩ কোটি ৬০ লাখ ডলারের উদ্বৃত্ত দেখা দেয়। এটি ছিল তার আগের অর্থবছর ২০০৭-০৮-এর ৬৮ কোটি ডলারের সমপরিমাণ উদ্বৃত্তের চেয়ে প্রায় চার গুণ বেশি।
গত এক দশকের প্রবাসী-আয়ের পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় আরও দেখা যায়, গড়ে প্রতি চার বছরে প্রবাসী-আয় দ্বিগুণ হয়ে যায়।
যেমন ২০০৪-০৫ অর্থবছরে দেশে মোট প্রবাসী-আয়ের পরিমাণ ছিল ৪৮০ কোটি ডলার। এটি ২০০৮-০৯ অর্থবছরে এসে দ্বিগুণ হয়ে গেছে।
তবে উচ্চ হারে প্রবাসী-আয়ের প্রবাহ দেশের অর্থনীতিতে কিছু ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা তৈরি করেছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্প্রতি একাধিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে। প্রবাসী-আয় বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণসঞ্চারিণী হলেও উৎপাদনশীল খাতে এর সীমিত ব্যবহার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করে।
এর ফলে আর্থিক বাজারে বাড়তি তারল্য তৈরি হয়েছে এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার ওপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে। বাড়তি তারল্য থেকে রিয়েল এস্টেটসহ বিভিন্ন খাতে ঝুঁকিপূর্ণ ফাটকা বিনিয়োগের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
উচ্চ হারে প্রবাসী-আয় দেশের বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হারের ওপর চাপ তৈরি করেছে এবং স্থানীয় মুদ্রার মানকে ক্রমশ শক্তিশালী করছে, যা আবার আয়-গ্রহীতা ও রপ্তানিকারকদের জন্য সহায়ক হচ্ছে না।
সরকার অবশ্য প্রবাসী-আয় উৎপাদনশীল খাতে ব্যবহারের জন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে। ইতিমধ্যে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক আইন অনুমোদন করা হয়েছে। এই ব্যাংক স্থাপন করা হলে এর মাধ্যমে প্রবাসীরা যে অর্থ পাঠাবেন, তা আবার ব্যাংকের মাধ্যমেই উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগের জন্য প্রেরক ও প্রাপকদের উৎসাহিত করা হবে।
No comments