আরেক ‘এল লোকো’
স্প্যানিশ ‘লোকো’ শব্দের সরল বাংলা—পাগল! কারও পাগলামি বিখ্যাত হয়ে গেলে তাঁর নামের আগে লাতিন আমেরিকানরা ভালোবেসে এ বিশেষণ বসিয়ে ডাকে—এল লোকো বা দ্য ম্যাড।
মার্সেলো বিয়েলসা, রেনে হিগুইতা অনেকের নামের আগেই বিশেষণটা বসেছে। এবার বিশ্বকাপ আরেকজন ‘এল লোকো’কে পেয়ে গেছে। উরুগুয়ের ‘পাগল’ সেবাস্টিয়ান আব্রু। একটার পর একটা ক্লাব বদল করে এই খ্যাতি আগেই পেয়ে গেছেন। এবার তাঁর ‘পাগলামি’ নিয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে পেনাল্টি শট নেওয়ার ধরনের কারণে।
উরুগুয়ে-ঘানা কোয়ার্টার ফাইনালে টাইব্রেকারে ম্যাচ নির্ধারণী শটটি নেওয়ার দায়িত্ব পড়েছিল আব্রুর ওপর। দেখে মনেই হলো না, তিনি ব্যাপারটিকে আদৌ কোনো গুরুত্ব দিচ্ছেন। বলটা আস্তে করে সোজা তুলে দিলেন তিনি। গোলরক্ষক ডানদিকে ঝাঁপ দেওয়ায় সেটিই আনন্দে ভাসিয়ে দিল উরুগুয়েকে।
ঘানার গোলরক্ষক রিচার্ড কিংসন পর্যন্ত বিস্মিত হয়ে বলছেন, ‘ও এ রকম কিছু করে ফেলতে পারে, এটা কল্পনাও করিনি।’ আর আব্রু ‘কিচ্ছু হয়নি’ এমন ভাব করে ব্যাখ্যা দিলেন, ‘আমি দেখেছিলাম, ও প্রতিটি শট নেওয়ার আগেই লাফ দিচ্ছে। যেহেতু ও জানে, এই শটটাই সেমিফাইনালের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেবে, আমি নিশ্চিত ছিলাম ও দাঁড়িয়ে থাকবে না।’
কিন্তু যদি গোলরক্ষক ঝাঁপ না দিতেন! জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকলেই তো বল আটকে যায়। এমন ঝুঁকি নেওয়ার মানে কী! এটাই কি পাগলামি না? আব্রু মনে হয় নিজেকে ‘লোকো’ বলে মানতে রাজি না।
এই পেনাল্টি নেওয়ার জন্য তাঁকে ‘পাগল’ বলায় আব্রু সামনে নিয়ে এলেন জিদানের প্রসঙ্গ। গত বিশ্বকাপ ফাইনালে এমন করেই একটা পেনাল্টি শট নিয়ে ইতালির বিপক্ষে গোল করেছিলেন জিনেদিন জিদান। আব্রুর প্রশ্ন হলো, ‘জিদানের পেনাল্টির ক্ষেত্রে কী বিশেষণ দিয়েছিলেন? পাগল? না, বলেছিলেন জাদু। তাহলে আব্রুর এটাও জাদু নয় কেন?’
তাহলে আব্রুকেও ‘জাদুকর’ বলা যাক! কিন্তু নিজের ফুটবল ক্যারিয়ার নিয়ে যা করেছেন, তাতে ‘লোকো’ নামটা মোছা সহজ হবে না। ১৯৯৬ সালে উরুগুয়ের ডিফেনসর স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে শুরু করেছিলেন ক্যারিয়ার। এরপর আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, স্পেন, মেক্সিকো, গ্রিস, ইসরায়েল—সব মিলিয়ে সাতটি ভিন্ন ভিন্ন দেশে ঘরোয়া ফুটবল খেলেছেন ১৭টি ক্লাবের হয়ে। স্পেনের দেপোর্তিভো লা করুনাতে থাকা অবস্থায় ধারেই খেলেছেন ছয়টি ভিন্ন ভিন্ন ক্লাবের হয়ে!
এই বৈচিত্র্যময় ক্যারিয়ারে জাতীয় দল ও ক্লাব মিলিয়ে ৩০৫ গোল করেছেন। এই বিশ্বকাপে থিয়েরি অঁরিকে টপকে সবচেয়ে বেশি গোল করা খেলোয়াড় হয়ে এসেছিলেন তিনি। সব মিলিয়ে এমন লোককে পাগল না বলে উপায় কী!
অবশ্য এই ‘পাগল’কে নিয়ে মোটেও অশান্তিতে নেই উরুগুয়ে। আজ লুইস সুয়ারেজের অনুপস্থিতিতে শুরু থেকেই হয়তো মাঠে থাকবেন আব্রু। তাঁর পাগলামির ওপর ভরসাই রাখছেন অধিনায়ক ডিয়েগো লুগানো, ‘আমরা ওর পাগলামির সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। এমন পাগলামি ও এই প্রথম করল না। এটা অবশ্যই ওর একটা গুণ। কিন্তু সন্দেহ নেই যে, ও খুব প্রতিভাবান পাগল।’
তার মানে কি আজও কিছু পাগলামি দেখা যাবে? আজও পেনাল্টি পেলে অমন কিছু করবেন? অবশ্যই। অদ্ভুত কিছু যে করবেন, সে নিশ্চয়তা আব্রু দিয়ে দিয়েছেন, ‘আমার জন্য গোল করার এটাই সবচেয়ে ভালো উপায়। কারণ, আমি সব সময় এ রকমভাবেই পেনাল্টি শট নিই। আমি উরুগুয়ের পাঁচ পেনাল্টি শ্যুটারের মধ্যে সব সময় থাকি। এবং ভবিষ্যতে আমি এভাবেই চালিয়ে যাব।’
তা চালিয়ে গেলে বিশ্বকাপে কিছু লাতিন গন্ধ অন্তত থাকবে আব্রুর কল্যাণে!
মার্সেলো বিয়েলসা, রেনে হিগুইতা অনেকের নামের আগেই বিশেষণটা বসেছে। এবার বিশ্বকাপ আরেকজন ‘এল লোকো’কে পেয়ে গেছে। উরুগুয়ের ‘পাগল’ সেবাস্টিয়ান আব্রু। একটার পর একটা ক্লাব বদল করে এই খ্যাতি আগেই পেয়ে গেছেন। এবার তাঁর ‘পাগলামি’ নিয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে পেনাল্টি শট নেওয়ার ধরনের কারণে।
উরুগুয়ে-ঘানা কোয়ার্টার ফাইনালে টাইব্রেকারে ম্যাচ নির্ধারণী শটটি নেওয়ার দায়িত্ব পড়েছিল আব্রুর ওপর। দেখে মনেই হলো না, তিনি ব্যাপারটিকে আদৌ কোনো গুরুত্ব দিচ্ছেন। বলটা আস্তে করে সোজা তুলে দিলেন তিনি। গোলরক্ষক ডানদিকে ঝাঁপ দেওয়ায় সেটিই আনন্দে ভাসিয়ে দিল উরুগুয়েকে।
ঘানার গোলরক্ষক রিচার্ড কিংসন পর্যন্ত বিস্মিত হয়ে বলছেন, ‘ও এ রকম কিছু করে ফেলতে পারে, এটা কল্পনাও করিনি।’ আর আব্রু ‘কিচ্ছু হয়নি’ এমন ভাব করে ব্যাখ্যা দিলেন, ‘আমি দেখেছিলাম, ও প্রতিটি শট নেওয়ার আগেই লাফ দিচ্ছে। যেহেতু ও জানে, এই শটটাই সেমিফাইনালের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেবে, আমি নিশ্চিত ছিলাম ও দাঁড়িয়ে থাকবে না।’
কিন্তু যদি গোলরক্ষক ঝাঁপ না দিতেন! জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকলেই তো বল আটকে যায়। এমন ঝুঁকি নেওয়ার মানে কী! এটাই কি পাগলামি না? আব্রু মনে হয় নিজেকে ‘লোকো’ বলে মানতে রাজি না।
এই পেনাল্টি নেওয়ার জন্য তাঁকে ‘পাগল’ বলায় আব্রু সামনে নিয়ে এলেন জিদানের প্রসঙ্গ। গত বিশ্বকাপ ফাইনালে এমন করেই একটা পেনাল্টি শট নিয়ে ইতালির বিপক্ষে গোল করেছিলেন জিনেদিন জিদান। আব্রুর প্রশ্ন হলো, ‘জিদানের পেনাল্টির ক্ষেত্রে কী বিশেষণ দিয়েছিলেন? পাগল? না, বলেছিলেন জাদু। তাহলে আব্রুর এটাও জাদু নয় কেন?’
তাহলে আব্রুকেও ‘জাদুকর’ বলা যাক! কিন্তু নিজের ফুটবল ক্যারিয়ার নিয়ে যা করেছেন, তাতে ‘লোকো’ নামটা মোছা সহজ হবে না। ১৯৯৬ সালে উরুগুয়ের ডিফেনসর স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে শুরু করেছিলেন ক্যারিয়ার। এরপর আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, স্পেন, মেক্সিকো, গ্রিস, ইসরায়েল—সব মিলিয়ে সাতটি ভিন্ন ভিন্ন দেশে ঘরোয়া ফুটবল খেলেছেন ১৭টি ক্লাবের হয়ে। স্পেনের দেপোর্তিভো লা করুনাতে থাকা অবস্থায় ধারেই খেলেছেন ছয়টি ভিন্ন ভিন্ন ক্লাবের হয়ে!
এই বৈচিত্র্যময় ক্যারিয়ারে জাতীয় দল ও ক্লাব মিলিয়ে ৩০৫ গোল করেছেন। এই বিশ্বকাপে থিয়েরি অঁরিকে টপকে সবচেয়ে বেশি গোল করা খেলোয়াড় হয়ে এসেছিলেন তিনি। সব মিলিয়ে এমন লোককে পাগল না বলে উপায় কী!
অবশ্য এই ‘পাগল’কে নিয়ে মোটেও অশান্তিতে নেই উরুগুয়ে। আজ লুইস সুয়ারেজের অনুপস্থিতিতে শুরু থেকেই হয়তো মাঠে থাকবেন আব্রু। তাঁর পাগলামির ওপর ভরসাই রাখছেন অধিনায়ক ডিয়েগো লুগানো, ‘আমরা ওর পাগলামির সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। এমন পাগলামি ও এই প্রথম করল না। এটা অবশ্যই ওর একটা গুণ। কিন্তু সন্দেহ নেই যে, ও খুব প্রতিভাবান পাগল।’
তার মানে কি আজও কিছু পাগলামি দেখা যাবে? আজও পেনাল্টি পেলে অমন কিছু করবেন? অবশ্যই। অদ্ভুত কিছু যে করবেন, সে নিশ্চয়তা আব্রু দিয়ে দিয়েছেন, ‘আমার জন্য গোল করার এটাই সবচেয়ে ভালো উপায়। কারণ, আমি সব সময় এ রকমভাবেই পেনাল্টি শট নিই। আমি উরুগুয়ের পাঁচ পেনাল্টি শ্যুটারের মধ্যে সব সময় থাকি। এবং ভবিষ্যতে আমি এভাবেই চালিয়ে যাব।’
তা চালিয়ে গেলে বিশ্বকাপে কিছু লাতিন গন্ধ অন্তত থাকবে আব্রুর কল্যাণে!
No comments