ফুটবল রোমাঞ্চের হাতছানি
ফুটবলের আনন্দপিয়াসী মন বলছে স্পেন। কিন্তু মস্তিষ্ক বলছে ১২তম বারের মতো সেমিফাইনালে ওঠা জার্মানি। স্বপ্নবিলাসী মন বলছে প্রথমবার শেষ চারে দাঁড়ানো স্পেন। জার্মানির নাম বলছে বাস্তবতা। মাঠে প্রকাশিত ফুটবল ডাকছে জার্মানিকে, অপ্রকাশিত ফুটবলের জাদু হাতছানি দিচ্ছে স্পেনকে।
আজ মোসেজ মাভিদা স্টেডিয়ামে কে জিতবে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল, বলা যাচ্ছে না। জার্মানি জিততেই পারে, স্পেনও পারে। তবে এটা ঠিক, এই বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড়, সবচেয়ে রোমাঞ্চকর, সবচেয়ে স্নায়ুক্ষয়ী ম্যাচটি দেখতে যাচ্ছে ডারবান।
কেপটাউন থেকে ডারবান প্রায় ১৭০০ কিলোমিটার দূরের পথ। দক্ষিণ আফ্রিকায় অপরাধের পর সবচেয়ে সমস্যাসংকুল দিক হলো পরিবহন। অভ্যন্তরীণ বিমানের টিকিট সোনার হরিণ, দূরগামী আরামদায়ক বাসও সহজলভ্য নয়। তবু জার্মানি-স্পেন ম্যাচ দেখার কী আকুতি মানুষের মধ্যে। অনেকেই ব্যক্তিগত গাড়িতে ১৬-১৭ ঘণ্টা ভ্রমণের প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছেন। কেউ কেউ যাত্রা শুরু করেছেন। জার্মানি জিতুক আর স্পেন, তাঁরা সেখান থেকে একটু রোমাঞ্চ নিয়ে ফিরতে চান।
জার্মানির তারুণ্যদীপ্ত দল রোমাঞ্চই উপহার দিয়ে এসেছে এ পর্যন্ত। খেলছে বরং খেলার আনন্দে। এখানেই স্পেন একটু পিছিয়ে। তারা সুন্দর পাসিং ফুটবলের পসরা পুরোপুরি মেলে ধরতে পারেনি। মাঝে মাঝে কিছু ঝলক অবশ্য দেখিয়েছে। প্রথমে দেখাল চিলির বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচে। তারপর পর্তুগালের সঙ্গে দ্বিতীয় রাউন্ডের দ্বিতীয়ার্ধে। কোয়ার্টার ফাইনাল আবার তাদের নামের পাশে প্রশ্নচিহ্ন ঝুলিয়ে দিয়েছে। দুটো পাল্লায় স্পেন ও প্যারাগুয়েকে তুললে প্রায় সমান সমান হওয়ার কথা। কিন্তু অনেক কষ্টে ভিয়ার ভেলায় পার পেল তারা। এই স্পেন জার্মানির সঙ্গে কি করে পারবে?
একটাই আশা, তারা ফুল হয়ে ফুটবে এই ম্যাচে। দেখাবে পাসিং ফুটবলের অনুপম প্রদর্শনী। মাঝমাঠে জাভি, ইনিয়েস্তারা বল নিয়ে খেলবেন জাদুকরের মতো। জাবি আলোনসো, সার্জিও বুসকেটসরা রক্ষণে ঢুকতে দেবেন না পোডলস্কি, ওজিল, ক্লোসাদের। দুই উইংব্যাক সার্জিও রামোস-ক্যাপডেভিয়া আর্জেন্টিনার ওটামেন্ডি-হেইঞ্জের মতো ভীতু হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবেন না। গোলপোস্টের নিচে ইকার ক্যাসিয়াস আবার যেন বিশ্বস্ত শেষ প্রহরী। যাকে ঘিরে রইবে জেরার্ড পিকে ও কার্লোস পুয়োলের প্রতিরক্ষা দেয়াল। আর সামনে ফার্নান্দো তোরেসকে নিয়ে থাকবেন এই বিশ্বকাপকে নিজের করে নিতে মরিয়া গোলবুভুক্ষু ডেভিড ভিয়া।
ফার্নান্দো তোরেস? আগের দিন স্পেন কোচ ভিসেন্তে দেল বস্ক যেমন আভাস দিলেন, তাতে তোরেসের মনে হয় জায়গা হচ্ছে বেঞ্চে। আর্সেনাল প্লে-মেকার সেস ফ্যাব্রিগাসকে নিয়ে তিনি পরিকল্পনা সাজিয়েছেন। আগের ৪-৩-৩ ছকটা বদলে ৪-৫-১ করে ফেলতে পারেন। একমাত্র স্ট্রাইকার ভিয়ার পেছনে থাকবেন ফ্যাব্রিগাস। কোচরা যখন ম্যাচের আগে ছক পর্যন্ত বলে ফেলেন, ধরে নেবেন এটা স্থায়ী কিছু নয়। ম্যাচেই বদলে যেতে পারে তাদের ছক ও পরিকল্পনা। এটা নির্ভর করে পরিস্থিতির ওপর। যে দল যত তাড়াতাড়ি পরিস্থিতি অনুযায়ী কার্যকর পরিকল্পনায় যেতে পারে, সেই দল তত সাফল্যমুখী। জার্মানি যেমন দেখাচ্ছে। ‘ডাই ম্যানশাফট’দের মূল ছক ৪-২-৩-১। কিন্তু কখনো খেলতে খেলতে ৪-৪-২ হয়ে যাচ্ছে, কখনো ৪-৪-১-১। ছক সাজিয়ে কি লাভ হয় সব সময়? আসলে যোগ্য খেলোয়াড়েরাই একটা ছক গড়ে তোলে। ২০০৯ ইউরোপীয় অনূর্ধ্ব-২১ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতা কয়েক তরুণ হঠাৎ করেই যোগ্য খেলোয়াড়ের প্রাচুর্য বয়ে এনেছেন দলে। এই জার্মানি ইঞ্জিন নয়। এরা খেলতে জানে, প্রতিপক্ষকে ধ্বংস করতে জানে। জয়ের আনন্দটা উপভোগ করতে জানে। একুশ-বাইশের তরুণ কাঁধ যেন বত্রিশের মতো ভারবাহী। মাইকেল বালাক সেদিন কেপটাউনের গ্যালারিতে মুগ্ধ চোখে উত্তরসূরিদের দিকে অপলক তাকিয়ে থাকলেন এটি দেখেই।
জার্মানিকে কীভাবে বদলে ফেললেন জোয়াকিম লো! গত বিশ্বকাপে ছিলেন ক্লিন্সমানের সহকারী। খেলেছেন ফ্রেইবুর্গের মতো সাধারণ মানের এক বুন্দেসলিগা দলে, জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন ছিল দূরের বাতিঘর। সেই লোই এখন এক স্বপ্নপুরুষ। পরশু তিনি ফাঁস করে দিলেন রেসিপিটা, ‘আমি এখনো ফুটবলের একজন অনুরক্ত ভক্ত। সব দেশের খেলা দেখি। আমি ইংল্যান্ডের ফুটবল থেকে নিয়েছি গতি। স্পেনের ফুটবল থেকে নিয়েছি স্বতঃস্ফূর্ত প্রবাহ, ইতালির ফুটবল আমাকে দিয়েছে প্রতিরোধের দীক্ষা।’ লো যেটি বলেননি, তা জার্মানির হার না মানা মানসিকতা। স্নায়ুকে ইস্পাতকঠিন করে রাখা। এটাই আসল। যা আপনার চরিত্রের সঙ্গে মিশে আছে, তা আপনি নষ্ট করবেন না। তাহলেই মেকি হয়ে গেলেন। যেমন ব্রাজিল তার সুন্দর ফুটবল ছেড়ে বাস্তুহারা।
ভিসেন্তে দেল বস্ক নিজেদের পাসিং ফুটবলের শক্তিকে অগ্রাহ্য করে আজ কি জার্মান হতে চাইবেন? নিশ্চয়ই একবার ভাববেন, দুবার ভাববেন, বারবার ভেবে ভেবে নিজেদের ঐতিহ্যকেই আঁকড়ে ধরবেন।
স্প্যানিশরা জার্মানিকে ‘ফেবারিট’ বলে চাপটাকে সরিয়ে রাখতে চাইছেন। ইকার ক্যাসিয়াসের কাছে এটি তাঁদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ, ‘আমরা সেমিফাইনালে উঠেই ইতিহাস গড়ে ফেলেছি। কিন্তু এখানেই আটকে থাকতে চাই না। শিরোপা নিয়ে পা ফেলতে চাই মাদ্রিদে। এই ম্যাচ আমাদের কাছে ২০০৮ ইউরোর ফাইনালের চেয়েও বড়।’
পরস্পরের পিঠ চাপড়ানি চলছে। জার্মান গ্রেট জার্ড মুলারকে রেকর্ড বই থেকে সরিয়ে দেওয়ার পথে পা ফেলা মিরোস্লাভ ক্লোসা প্রশংসার ডালি সাজিয়েছেন স্পেনের জন্য, ‘ভিয়া অসাধারণ। ওর খেলা দেখি আর মুগ্ধ হয়ে যাই। স্পেন দলটিই তো প্রতিভায় ভরা। ওদের সঙ্গে খেলা খুব কঠিন।’ প্রশংসা শেষে আসল কথাটা ঠিকই বলে দিয়েছেন বিশ্বকাপের ১৪ গোলের মালিক, ‘স্পেন অসাধারণ, তবে অজেয় নয়। আমাদের এই দলটি গত বিশ্বকাপের চেয়ে আলাদা, গত ইউরোর চেয়েও অন্য রকম।’ ক্লোসার নতুন করে এ কথা বলার দরকারই ছিল না।
কেপটাউন, জোহানেসবার্গ, ডারবান—সারা দক্ষিণ আফ্রিকায় জুয়ার হাউসগুলোয় ব্যবসা রমরমা। বাজিতে জার্মানি এগিয়ে। তবে স্পেনের পক্ষে বাজি ধরে বেশি টাকা কামানোর ধান্ধায় অনেকেই। ৪৪ বছর পর ইউরোজয়ী দলটি প্রথমবার বিশ্বকাপের ফাইনালে তো যেতেই পারে।
আজ মোসেজ মাভিদা স্টেডিয়ামে কে জিতবে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল, বলা যাচ্ছে না। জার্মানি জিততেই পারে, স্পেনও পারে। তবে এটা ঠিক, এই বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড়, সবচেয়ে রোমাঞ্চকর, সবচেয়ে স্নায়ুক্ষয়ী ম্যাচটি দেখতে যাচ্ছে ডারবান।
কেপটাউন থেকে ডারবান প্রায় ১৭০০ কিলোমিটার দূরের পথ। দক্ষিণ আফ্রিকায় অপরাধের পর সবচেয়ে সমস্যাসংকুল দিক হলো পরিবহন। অভ্যন্তরীণ বিমানের টিকিট সোনার হরিণ, দূরগামী আরামদায়ক বাসও সহজলভ্য নয়। তবু জার্মানি-স্পেন ম্যাচ দেখার কী আকুতি মানুষের মধ্যে। অনেকেই ব্যক্তিগত গাড়িতে ১৬-১৭ ঘণ্টা ভ্রমণের প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছেন। কেউ কেউ যাত্রা শুরু করেছেন। জার্মানি জিতুক আর স্পেন, তাঁরা সেখান থেকে একটু রোমাঞ্চ নিয়ে ফিরতে চান।
জার্মানির তারুণ্যদীপ্ত দল রোমাঞ্চই উপহার দিয়ে এসেছে এ পর্যন্ত। খেলছে বরং খেলার আনন্দে। এখানেই স্পেন একটু পিছিয়ে। তারা সুন্দর পাসিং ফুটবলের পসরা পুরোপুরি মেলে ধরতে পারেনি। মাঝে মাঝে কিছু ঝলক অবশ্য দেখিয়েছে। প্রথমে দেখাল চিলির বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচে। তারপর পর্তুগালের সঙ্গে দ্বিতীয় রাউন্ডের দ্বিতীয়ার্ধে। কোয়ার্টার ফাইনাল আবার তাদের নামের পাশে প্রশ্নচিহ্ন ঝুলিয়ে দিয়েছে। দুটো পাল্লায় স্পেন ও প্যারাগুয়েকে তুললে প্রায় সমান সমান হওয়ার কথা। কিন্তু অনেক কষ্টে ভিয়ার ভেলায় পার পেল তারা। এই স্পেন জার্মানির সঙ্গে কি করে পারবে?
একটাই আশা, তারা ফুল হয়ে ফুটবে এই ম্যাচে। দেখাবে পাসিং ফুটবলের অনুপম প্রদর্শনী। মাঝমাঠে জাভি, ইনিয়েস্তারা বল নিয়ে খেলবেন জাদুকরের মতো। জাবি আলোনসো, সার্জিও বুসকেটসরা রক্ষণে ঢুকতে দেবেন না পোডলস্কি, ওজিল, ক্লোসাদের। দুই উইংব্যাক সার্জিও রামোস-ক্যাপডেভিয়া আর্জেন্টিনার ওটামেন্ডি-হেইঞ্জের মতো ভীতু হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবেন না। গোলপোস্টের নিচে ইকার ক্যাসিয়াস আবার যেন বিশ্বস্ত শেষ প্রহরী। যাকে ঘিরে রইবে জেরার্ড পিকে ও কার্লোস পুয়োলের প্রতিরক্ষা দেয়াল। আর সামনে ফার্নান্দো তোরেসকে নিয়ে থাকবেন এই বিশ্বকাপকে নিজের করে নিতে মরিয়া গোলবুভুক্ষু ডেভিড ভিয়া।
ফার্নান্দো তোরেস? আগের দিন স্পেন কোচ ভিসেন্তে দেল বস্ক যেমন আভাস দিলেন, তাতে তোরেসের মনে হয় জায়গা হচ্ছে বেঞ্চে। আর্সেনাল প্লে-মেকার সেস ফ্যাব্রিগাসকে নিয়ে তিনি পরিকল্পনা সাজিয়েছেন। আগের ৪-৩-৩ ছকটা বদলে ৪-৫-১ করে ফেলতে পারেন। একমাত্র স্ট্রাইকার ভিয়ার পেছনে থাকবেন ফ্যাব্রিগাস। কোচরা যখন ম্যাচের আগে ছক পর্যন্ত বলে ফেলেন, ধরে নেবেন এটা স্থায়ী কিছু নয়। ম্যাচেই বদলে যেতে পারে তাদের ছক ও পরিকল্পনা। এটা নির্ভর করে পরিস্থিতির ওপর। যে দল যত তাড়াতাড়ি পরিস্থিতি অনুযায়ী কার্যকর পরিকল্পনায় যেতে পারে, সেই দল তত সাফল্যমুখী। জার্মানি যেমন দেখাচ্ছে। ‘ডাই ম্যানশাফট’দের মূল ছক ৪-২-৩-১। কিন্তু কখনো খেলতে খেলতে ৪-৪-২ হয়ে যাচ্ছে, কখনো ৪-৪-১-১। ছক সাজিয়ে কি লাভ হয় সব সময়? আসলে যোগ্য খেলোয়াড়েরাই একটা ছক গড়ে তোলে। ২০০৯ ইউরোপীয় অনূর্ধ্ব-২১ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতা কয়েক তরুণ হঠাৎ করেই যোগ্য খেলোয়াড়ের প্রাচুর্য বয়ে এনেছেন দলে। এই জার্মানি ইঞ্জিন নয়। এরা খেলতে জানে, প্রতিপক্ষকে ধ্বংস করতে জানে। জয়ের আনন্দটা উপভোগ করতে জানে। একুশ-বাইশের তরুণ কাঁধ যেন বত্রিশের মতো ভারবাহী। মাইকেল বালাক সেদিন কেপটাউনের গ্যালারিতে মুগ্ধ চোখে উত্তরসূরিদের দিকে অপলক তাকিয়ে থাকলেন এটি দেখেই।
জার্মানিকে কীভাবে বদলে ফেললেন জোয়াকিম লো! গত বিশ্বকাপে ছিলেন ক্লিন্সমানের সহকারী। খেলেছেন ফ্রেইবুর্গের মতো সাধারণ মানের এক বুন্দেসলিগা দলে, জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন ছিল দূরের বাতিঘর। সেই লোই এখন এক স্বপ্নপুরুষ। পরশু তিনি ফাঁস করে দিলেন রেসিপিটা, ‘আমি এখনো ফুটবলের একজন অনুরক্ত ভক্ত। সব দেশের খেলা দেখি। আমি ইংল্যান্ডের ফুটবল থেকে নিয়েছি গতি। স্পেনের ফুটবল থেকে নিয়েছি স্বতঃস্ফূর্ত প্রবাহ, ইতালির ফুটবল আমাকে দিয়েছে প্রতিরোধের দীক্ষা।’ লো যেটি বলেননি, তা জার্মানির হার না মানা মানসিকতা। স্নায়ুকে ইস্পাতকঠিন করে রাখা। এটাই আসল। যা আপনার চরিত্রের সঙ্গে মিশে আছে, তা আপনি নষ্ট করবেন না। তাহলেই মেকি হয়ে গেলেন। যেমন ব্রাজিল তার সুন্দর ফুটবল ছেড়ে বাস্তুহারা।
ভিসেন্তে দেল বস্ক নিজেদের পাসিং ফুটবলের শক্তিকে অগ্রাহ্য করে আজ কি জার্মান হতে চাইবেন? নিশ্চয়ই একবার ভাববেন, দুবার ভাববেন, বারবার ভেবে ভেবে নিজেদের ঐতিহ্যকেই আঁকড়ে ধরবেন।
স্প্যানিশরা জার্মানিকে ‘ফেবারিট’ বলে চাপটাকে সরিয়ে রাখতে চাইছেন। ইকার ক্যাসিয়াসের কাছে এটি তাঁদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ, ‘আমরা সেমিফাইনালে উঠেই ইতিহাস গড়ে ফেলেছি। কিন্তু এখানেই আটকে থাকতে চাই না। শিরোপা নিয়ে পা ফেলতে চাই মাদ্রিদে। এই ম্যাচ আমাদের কাছে ২০০৮ ইউরোর ফাইনালের চেয়েও বড়।’
পরস্পরের পিঠ চাপড়ানি চলছে। জার্মান গ্রেট জার্ড মুলারকে রেকর্ড বই থেকে সরিয়ে দেওয়ার পথে পা ফেলা মিরোস্লাভ ক্লোসা প্রশংসার ডালি সাজিয়েছেন স্পেনের জন্য, ‘ভিয়া অসাধারণ। ওর খেলা দেখি আর মুগ্ধ হয়ে যাই। স্পেন দলটিই তো প্রতিভায় ভরা। ওদের সঙ্গে খেলা খুব কঠিন।’ প্রশংসা শেষে আসল কথাটা ঠিকই বলে দিয়েছেন বিশ্বকাপের ১৪ গোলের মালিক, ‘স্পেন অসাধারণ, তবে অজেয় নয়। আমাদের এই দলটি গত বিশ্বকাপের চেয়ে আলাদা, গত ইউরোর চেয়েও অন্য রকম।’ ক্লোসার নতুন করে এ কথা বলার দরকারই ছিল না।
কেপটাউন, জোহানেসবার্গ, ডারবান—সারা দক্ষিণ আফ্রিকায় জুয়ার হাউসগুলোয় ব্যবসা রমরমা। বাজিতে জার্মানি এগিয়ে। তবে স্পেনের পক্ষে বাজি ধরে বেশি টাকা কামানোর ধান্ধায় অনেকেই। ৪৪ বছর পর ইউরোজয়ী দলটি প্রথমবার বিশ্বকাপের ফাইনালে তো যেতেই পারে।
No comments