‘বিজয়ী’দের দেশে ফেরা
রাত সাড়ে নয়টায় বিমানটা পৌঁছানোর কথা। কিন্তু দুপুর থেকে ভিড় জমতে শুরু হলো। কারও মুখে ভুভুজেলা, কারও হাতে ঢোল, কারও হাতে বিকট আকারের ঢাক—সব মিলিয়ে যেন ‘আফ্রিকান কার্নিভাল’ চলছে। চলছে তো চলছেই। মাঝে একবার বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানাল, বিমান দুই ঘণ্টা দেরিতে পৌঁছাবে। তাতে কার কী!
উৎসবে ভাটা পড়ে না। বরং উৎসব আরও জমে ওঠে। সাদা-সোনালি-সবুজ পোশাক পরে, হাতে পতাকা নিয়ে আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে তুলছে তারা। হঠাৎ ঘোষণা এল, বিমান এসে গেছে। যেন আকাশ ভেঙে পড়ল ঘানার কোটোকা বিমানবন্দরে। গগনবিদারী আওয়াজ উঠল, ‘উই লাভ ঘানা, উই লাভ স্টারস’।
বিমান থেকে বেরিয়ে ঘানার ‘ব্ল্যাক স্টার’রা মহাবিস্ময়ে দেখলেন, দেশের লোকজন বিশ্বকাপজয়ীর মতো বরণ করে নিতে এসেছে তাঁদের। সোমবার দেশে ফিরে আসলেই যেন বিশ্বকাপজয়ীদের মতো সংবর্ধনা পেলেন ঘানার খেলোয়াড়েরা!
ক্যামেরুন, সেনেগালের পর আফ্রিকার তৃতীয় দেশ হিসেবে বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালে খেলাটাই ঘানার সংবর্ধনা পাওয়ার যথেষ্ট কারণ হতে পারত। কিন্তু ঘানাইয়ানরা যে সেমিফাইনাল খেলতে পারল না স্রেফ ভাগ্যের দোষে! সুয়ারেজ হাত দিয়ে বল না ঠেকালে কিংবা জিয়ান পেনাল্টি মিস না করলে সরাসরিই তো ম্যাচ জিতে যায় ঘানা। অন্তত টাইব্রেকারে তো ঘানার পক্ষে হাসতে পারতেন ফুটবল-বিধাতা।
এ নিয়ে ঘানাইয়ানদের আফসোস আছে, শোক আছে; কিন্তু দলের ওপর কোনো ক্ষোভ নেই। মাইকেল এসিয়েনের মতো তারকাকে ছাড়া বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে ঘানার খেলোয়াড়েরা যা করেছেন, তাতেই মহা খুশি দেশের লোকজন। এমনকি দেশটির রাষ্ট্রপতি জন ইভান আটা মিলস পর্যন্ত বলছেন, দলের পরাজয়ে দুঃখিত না হয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়াতে, ‘আমাদের দল যা অর্জন করেছে আসুন আমরা তারই প্রশংসা করি এবং ওদের পাশে দাঁড়াই। শুক্রবারের ম্যাচে একটা দলই জিততে পারত, দুর্ভাগ্যজনকভাবে ব্ল্যাক স্টাররা পারেনি।’
প্রেসিডেন্টের আহ্বানের দরকার ছিল কি না কে জানে! কারণ, লোকজন তো স্বতঃস্ফূর্তভাবেই এসে দাঁড়াল ঘানার ফুটবলারদের নামে স্লোগান দিয়ে। কাওসি আমপোনসাহ নামের এক সমর্থক বলছিলেন, ‘ছেলেরা যা করল, সেটাই এই দেশ এবং পুরো পৃথিবী সারা জীবন মনে রাখবে। ওরা দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছে। হেরেছে শুধু ভাগ্যের কাছে।’
৫৩ বছর বয়স্ক শিক্ষক ফেলিসিয়া আসেমপং উল্লাস করতে করতেই বললেন, ‘স্টাররা দুঃসাহসিকতার সঙ্গে খেলেছে। ওরা শুধু ঘানাকে নয়, পুরো আফ্রিকাকে গৌরবান্বিত করেছে।’ ৪২ বছর বয়স্ক টনি বাকাহ নাচতে নাচতে বলছিলেন, সদ্য জন্ম নেওয়া ছেলের নাম রেখেছেন তিনি ঘানার গোলরক্ষক রিচার্ড কিংসনের ডাক নামের সঙ্গে মিলিয়ে—ওলেলে। বাকাহ বললেন, ‘এভাবে আমি স্টারদের পারফরম্যান্সকে মনে রাখতে চাই।’
ঘানার লোকজন খুশি খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে, আর খেলোয়াড়েরা আপ্লুত নেলসন ম্যান্ডেলাকে দেখতে পেয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফেরা ঘানার খেলোয়াড়দের কাছে বিশ্বকাপ সাফল্যের চেয়েও বড় অর্জন যেন নেলসন ম্যান্ডেলার সাক্ষাৎ পাওয়া। সবার মুখে ম্যান্ডেলাকে দেখতে পাওয়ার বিস্ময়। কেভিন-প্রিন্স বোয়াটেং বলছেন, ‘আমাদের স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। এটা আমাদের জন্য বিরাট একটা ব্যাপার। আমরা সবাই খুব আনন্দিত যে আমরা সেই মহান মানুষটাকে দেখতে পেয়েছি।’
বিশ্বকাপে ইতিহাস তৈরি, অর্থ পুরস্কার, ম্যান্ডেলার সাক্ষাৎ—আনন্দের শেষ নেই। তবে সব আনন্দের সেরা মানুষের ভালোবাসা। দেশের মানুষ তাদের এমন সাদরে বরণ করে নেওয়ায় আপ্লুত ঘানার খেলোয়াড়েরা। অধিনায়ক স্টিফেন আপিয়াহ বিমানবন্দরে নেমে বললেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। কিন্তু ভাগ্য পক্ষে ছিল না। তবে ২০১৪ সালে ব্রাজিলে আমরা শিরোপার দাবি নিয়ে যাব।’
উৎসবে ভাটা পড়ে না। বরং উৎসব আরও জমে ওঠে। সাদা-সোনালি-সবুজ পোশাক পরে, হাতে পতাকা নিয়ে আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে তুলছে তারা। হঠাৎ ঘোষণা এল, বিমান এসে গেছে। যেন আকাশ ভেঙে পড়ল ঘানার কোটোকা বিমানবন্দরে। গগনবিদারী আওয়াজ উঠল, ‘উই লাভ ঘানা, উই লাভ স্টারস’।
বিমান থেকে বেরিয়ে ঘানার ‘ব্ল্যাক স্টার’রা মহাবিস্ময়ে দেখলেন, দেশের লোকজন বিশ্বকাপজয়ীর মতো বরণ করে নিতে এসেছে তাঁদের। সোমবার দেশে ফিরে আসলেই যেন বিশ্বকাপজয়ীদের মতো সংবর্ধনা পেলেন ঘানার খেলোয়াড়েরা!
ক্যামেরুন, সেনেগালের পর আফ্রিকার তৃতীয় দেশ হিসেবে বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালে খেলাটাই ঘানার সংবর্ধনা পাওয়ার যথেষ্ট কারণ হতে পারত। কিন্তু ঘানাইয়ানরা যে সেমিফাইনাল খেলতে পারল না স্রেফ ভাগ্যের দোষে! সুয়ারেজ হাত দিয়ে বল না ঠেকালে কিংবা জিয়ান পেনাল্টি মিস না করলে সরাসরিই তো ম্যাচ জিতে যায় ঘানা। অন্তত টাইব্রেকারে তো ঘানার পক্ষে হাসতে পারতেন ফুটবল-বিধাতা।
এ নিয়ে ঘানাইয়ানদের আফসোস আছে, শোক আছে; কিন্তু দলের ওপর কোনো ক্ষোভ নেই। মাইকেল এসিয়েনের মতো তারকাকে ছাড়া বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে ঘানার খেলোয়াড়েরা যা করেছেন, তাতেই মহা খুশি দেশের লোকজন। এমনকি দেশটির রাষ্ট্রপতি জন ইভান আটা মিলস পর্যন্ত বলছেন, দলের পরাজয়ে দুঃখিত না হয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়াতে, ‘আমাদের দল যা অর্জন করেছে আসুন আমরা তারই প্রশংসা করি এবং ওদের পাশে দাঁড়াই। শুক্রবারের ম্যাচে একটা দলই জিততে পারত, দুর্ভাগ্যজনকভাবে ব্ল্যাক স্টাররা পারেনি।’
প্রেসিডেন্টের আহ্বানের দরকার ছিল কি না কে জানে! কারণ, লোকজন তো স্বতঃস্ফূর্তভাবেই এসে দাঁড়াল ঘানার ফুটবলারদের নামে স্লোগান দিয়ে। কাওসি আমপোনসাহ নামের এক সমর্থক বলছিলেন, ‘ছেলেরা যা করল, সেটাই এই দেশ এবং পুরো পৃথিবী সারা জীবন মনে রাখবে। ওরা দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছে। হেরেছে শুধু ভাগ্যের কাছে।’
৫৩ বছর বয়স্ক শিক্ষক ফেলিসিয়া আসেমপং উল্লাস করতে করতেই বললেন, ‘স্টাররা দুঃসাহসিকতার সঙ্গে খেলেছে। ওরা শুধু ঘানাকে নয়, পুরো আফ্রিকাকে গৌরবান্বিত করেছে।’ ৪২ বছর বয়স্ক টনি বাকাহ নাচতে নাচতে বলছিলেন, সদ্য জন্ম নেওয়া ছেলের নাম রেখেছেন তিনি ঘানার গোলরক্ষক রিচার্ড কিংসনের ডাক নামের সঙ্গে মিলিয়ে—ওলেলে। বাকাহ বললেন, ‘এভাবে আমি স্টারদের পারফরম্যান্সকে মনে রাখতে চাই।’
ঘানার লোকজন খুশি খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে, আর খেলোয়াড়েরা আপ্লুত নেলসন ম্যান্ডেলাকে দেখতে পেয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফেরা ঘানার খেলোয়াড়দের কাছে বিশ্বকাপ সাফল্যের চেয়েও বড় অর্জন যেন নেলসন ম্যান্ডেলার সাক্ষাৎ পাওয়া। সবার মুখে ম্যান্ডেলাকে দেখতে পাওয়ার বিস্ময়। কেভিন-প্রিন্স বোয়াটেং বলছেন, ‘আমাদের স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। এটা আমাদের জন্য বিরাট একটা ব্যাপার। আমরা সবাই খুব আনন্দিত যে আমরা সেই মহান মানুষটাকে দেখতে পেয়েছি।’
বিশ্বকাপে ইতিহাস তৈরি, অর্থ পুরস্কার, ম্যান্ডেলার সাক্ষাৎ—আনন্দের শেষ নেই। তবে সব আনন্দের সেরা মানুষের ভালোবাসা। দেশের মানুষ তাদের এমন সাদরে বরণ করে নেওয়ায় আপ্লুত ঘানার খেলোয়াড়েরা। অধিনায়ক স্টিফেন আপিয়াহ বিমানবন্দরে নেমে বললেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। কিন্তু ভাগ্য পক্ষে ছিল না। তবে ২০১৪ সালে ব্রাজিলে আমরা শিরোপার দাবি নিয়ে যাব।’
No comments