দুপচাঁচিয়া মোকামে চালের বেচাকেনা বন্ধ
অব্যাহতভাবে চালবোঝাই ট্রাক ছিনতাই ও ট্রাকচালক নিহত হওয়ার প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার থেকে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া মোকামের ব্যবসায়ীরা চাল বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে ট্রাক মালিক সমিতির আহ্বানে ট্রাকচালকেরাও চাল ওঠানো-নামানো থেকে বিরত রয়েছেন।
এর ফলে দুপচাঁচিয়া উপজেলার প্রায় ৬০০ চাতাল ও ৩৫টি আড়তের ১২ হাজার এবং ট্রাকের ৪০০ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন।
চাল ব্যবসায়ী ও ট্রাক-মালিক ও চালকেরা জানান, গত এক বছরে দুপচাঁচিয়া মোকাম থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার পথে অন্তত ১০টি চাল বোঝাই ট্রাক ছিনতাইয়ের শিকার হয়। এর মধ্যে গত মে মাসে বছির উদ্দিন এবং জুনে মোখলেছার রহমান নামে দুজন চালক ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে নিহত হন। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করেও এখনো পর্যন্ত কোনো প্রতিকার হয়নি।
দুপচাঁচিয়ার আড়তদাররা প্রথম আলোকে জানান, এখান থেকে প্রতিদিন ৩৫ থেকে ৪০ ট্রাক চাল ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন মোকামে যায়।
গৌতম রাইস মিলের শ্রমিক সর্দার শাহাদত আলী জানান, চাল লোড-আনলোড বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আড়তদারের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে তাঁদের সংসার চালাতে হচ্ছে।
উপজেলা সম্মিলিত ট্রাক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি মহিদুল ইসলাম বলেন, সড়কে নিরাপত্তা না থাকায় কোনো চালকই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক চালাতে চাইছে না।
আড়তদার সমিতির সভাপতি হাজী আজিমুদ্দিন বলেন, প্রশাসন ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা না দিলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুফিয়া নাজিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা চাল কেনাবেচা বন্ধ করে দিয়েছে, সেটা আমার জানা নাই। তবে ট্রাকসহ চাল ছিনতাইয়ের ঘটনা আমার থানায় ঘটেনি। তার পরও বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।’
এর ফলে দুপচাঁচিয়া উপজেলার প্রায় ৬০০ চাতাল ও ৩৫টি আড়তের ১২ হাজার এবং ট্রাকের ৪০০ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন।
চাল ব্যবসায়ী ও ট্রাক-মালিক ও চালকেরা জানান, গত এক বছরে দুপচাঁচিয়া মোকাম থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার পথে অন্তত ১০টি চাল বোঝাই ট্রাক ছিনতাইয়ের শিকার হয়। এর মধ্যে গত মে মাসে বছির উদ্দিন এবং জুনে মোখলেছার রহমান নামে দুজন চালক ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে নিহত হন। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করেও এখনো পর্যন্ত কোনো প্রতিকার হয়নি।
দুপচাঁচিয়ার আড়তদাররা প্রথম আলোকে জানান, এখান থেকে প্রতিদিন ৩৫ থেকে ৪০ ট্রাক চাল ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন মোকামে যায়।
গৌতম রাইস মিলের শ্রমিক সর্দার শাহাদত আলী জানান, চাল লোড-আনলোড বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আড়তদারের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে তাঁদের সংসার চালাতে হচ্ছে।
উপজেলা সম্মিলিত ট্রাক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি মহিদুল ইসলাম বলেন, সড়কে নিরাপত্তা না থাকায় কোনো চালকই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক চালাতে চাইছে না।
আড়তদার সমিতির সভাপতি হাজী আজিমুদ্দিন বলেন, প্রশাসন ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা না দিলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুফিয়া নাজিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা চাল কেনাবেচা বন্ধ করে দিয়েছে, সেটা আমার জানা নাই। তবে ট্রাকসহ চাল ছিনতাইয়ের ঘটনা আমার থানায় ঘটেনি। তার পরও বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।’
No comments