আইএমইডিকে শক্তিশালী করতে লোকবল বাড়ানোর প্রস্তাব
উন্নয়ন কার্যক্রমের গুণগতমান উন্নত ও বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার উদ্যোগের অংশ হিসেবে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগকে (আইএমইডি) শক্তিশালী করতে যাচ্ছে সরকার।
এই বিভাগে লোকবল বাড়ানোর জন্য ৬৩০টি নতুন পদ সৃষ্টি করা হবে বলেও জানা গেছে।
আইএমইডির সচিব মো. আবদুল মালেক বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে বলেছেন, ‘যদি উন্নয়ন প্রকল্পের তদারকি জোরদার করা যায়, তাহলে গুণগতমানও নিশ্চিত করা যাবে। আইএমইডিকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে এ বিবেচনাকেই জোর দেওয়া হচ্ছে।’
সচিব আরও জানান, বর্তমান লোকবল ও অনুষঙ্গ নিয়ে কোনোভাবেই সবগুলো উন্নয়ন প্রকল্প তদারক করা সম্ভব নয়। গুণগতমান নিশ্চিত করা তো আরও সম্ভব নয়।
উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, যদি একজন কর্মকর্তাকে ঢাকা থেকে সিলেটে গিয়ে কোনো একটি প্রকল্প তদারক করতে হয়, তাহলে পরিবহন থেকে আরম্ভ করে নানা ধরনের ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হয়।
আইএমইডিকে শক্তিশালী করার জন্য ইতিমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অধীনে প্রশাসন ও উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটির কাছে একটি প্রস্তাব করা হয়েছে। এই প্রস্তাবে সাতটি বিভাগীয় শহর ও ২১টি পুরোনো জেলায় আইএমইডির শাখা কার্যালয় স্থাপনের কথা বলা হয়েছে।
অন্যদিকে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের কাছে আইএমইডিতে নতুনভাবে ৬৩০টি পদ সৃষ্টির জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ১৭২টি প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তার পদ এবং ৪৫৮টি অধীনস্থ কর্মীর পদ।
বর্তমানে আইএমইডিতে ৯১ জন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা আছেন। এদের মধ্যে ৫৪ জন অর্থনৈতিক ক্যাডারের, ছয়জন প্রশাসন ক্যাডারের ও ৩১ জন ক্যাডারবহির্ভূত।
আইএমইডির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করছেন, যদি নতুন পদ সৃষ্টির তথা লোকবল বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়, তাহলে বিভাগের পক্ষে বিভিন্ন ধরনের থোক বরাদ্দের ব্যয় তদারকি করাও সম্ভব হবে।
বর্তমানে যে লোকবল ও অনুষঙ্গ আছে, তার মাধ্যমে মোট প্রকল্পের ২০ শতাংশও তদারক করা সম্ভব নয় বলে মনে করেন আইএমইডি সচিব।
আইএমডিকে শক্তিশালী করার জন্য যেসব প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়ন করা হলে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদে বিভিন্ন ধরনের সুফল আসবে বলে মনে করে বিভাগের সংশ্লিষ্টরা।
স্বল্পমেয়াদে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ ও পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে যথাসময়ে প্রতিবেদন দাখিল, জরুরিভিত্তিতে দ্রুত মাঠপর্যায় থেকে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তথ্য সরবরাহ এবং দেশি-বিদেশি পরামর্শকদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিবেদনের মান উন্নত করা সম্ভব হবে।
মধ্যমেয়াদে দারিদ্র্য বিমোচনমূলক কর্মকাণ্ডগুলোর নিবিড় পর্যবেক্ষণ হবে, প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব রোধ হবে এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় বাড়বে।
আর দীর্ঘমেয়াদে এসে আঞ্চলিক বৈষম্য ও আয়-বৈষম্য হ্রাস, নারীর ক্ষমতায়ন, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য (এমডিজি) অর্জনের মতো গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়নে আইএমইডি শক্তিশালীকরণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে ১৯৯৯ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইএমইডিকে শক্তিশালী করার জন্য পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তবে তাতে তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি।
এবার আবার ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইএমইডিকে শক্তিশালী করার জন্য প্রস্তাব দাখিল করতে নির্দেশ দেন।
এই বিভাগে লোকবল বাড়ানোর জন্য ৬৩০টি নতুন পদ সৃষ্টি করা হবে বলেও জানা গেছে।
আইএমইডির সচিব মো. আবদুল মালেক বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে বলেছেন, ‘যদি উন্নয়ন প্রকল্পের তদারকি জোরদার করা যায়, তাহলে গুণগতমানও নিশ্চিত করা যাবে। আইএমইডিকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে এ বিবেচনাকেই জোর দেওয়া হচ্ছে।’
সচিব আরও জানান, বর্তমান লোকবল ও অনুষঙ্গ নিয়ে কোনোভাবেই সবগুলো উন্নয়ন প্রকল্প তদারক করা সম্ভব নয়। গুণগতমান নিশ্চিত করা তো আরও সম্ভব নয়।
উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, যদি একজন কর্মকর্তাকে ঢাকা থেকে সিলেটে গিয়ে কোনো একটি প্রকল্প তদারক করতে হয়, তাহলে পরিবহন থেকে আরম্ভ করে নানা ধরনের ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হয়।
আইএমইডিকে শক্তিশালী করার জন্য ইতিমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অধীনে প্রশাসন ও উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটির কাছে একটি প্রস্তাব করা হয়েছে। এই প্রস্তাবে সাতটি বিভাগীয় শহর ও ২১টি পুরোনো জেলায় আইএমইডির শাখা কার্যালয় স্থাপনের কথা বলা হয়েছে।
অন্যদিকে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের কাছে আইএমইডিতে নতুনভাবে ৬৩০টি পদ সৃষ্টির জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ১৭২টি প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তার পদ এবং ৪৫৮টি অধীনস্থ কর্মীর পদ।
বর্তমানে আইএমইডিতে ৯১ জন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা আছেন। এদের মধ্যে ৫৪ জন অর্থনৈতিক ক্যাডারের, ছয়জন প্রশাসন ক্যাডারের ও ৩১ জন ক্যাডারবহির্ভূত।
আইএমইডির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করছেন, যদি নতুন পদ সৃষ্টির তথা লোকবল বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়, তাহলে বিভাগের পক্ষে বিভিন্ন ধরনের থোক বরাদ্দের ব্যয় তদারকি করাও সম্ভব হবে।
বর্তমানে যে লোকবল ও অনুষঙ্গ আছে, তার মাধ্যমে মোট প্রকল্পের ২০ শতাংশও তদারক করা সম্ভব নয় বলে মনে করেন আইএমইডি সচিব।
আইএমডিকে শক্তিশালী করার জন্য যেসব প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়ন করা হলে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদে বিভিন্ন ধরনের সুফল আসবে বলে মনে করে বিভাগের সংশ্লিষ্টরা।
স্বল্পমেয়াদে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ ও পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে যথাসময়ে প্রতিবেদন দাখিল, জরুরিভিত্তিতে দ্রুত মাঠপর্যায় থেকে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তথ্য সরবরাহ এবং দেশি-বিদেশি পরামর্শকদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিবেদনের মান উন্নত করা সম্ভব হবে।
মধ্যমেয়াদে দারিদ্র্য বিমোচনমূলক কর্মকাণ্ডগুলোর নিবিড় পর্যবেক্ষণ হবে, প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব রোধ হবে এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় বাড়বে।
আর দীর্ঘমেয়াদে এসে আঞ্চলিক বৈষম্য ও আয়-বৈষম্য হ্রাস, নারীর ক্ষমতায়ন, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য (এমডিজি) অর্জনের মতো গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়নে আইএমইডি শক্তিশালীকরণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে ১৯৯৯ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইএমইডিকে শক্তিশালী করার জন্য পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তবে তাতে তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি।
এবার আবার ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইএমইডিকে শক্তিশালী করার জন্য প্রস্তাব দাখিল করতে নির্দেশ দেন।
No comments