শেষ পর্যন্ত ইউরোপেরই বিশ্বকাপ
দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপটা শুরু থেকেই বড় বিভ্রান্ত করে আসছে। ফ্রান্স, ইতালি ও ইংল্যান্ডের মতো তিন ইউরোপিয়ান পরাশক্তির পতনের পর মনে হলো, এবার ইউরোপের কপালে দুঃখ আছে। শেষ আটে যখন চারটি লাতিন দল উঠে এল, মনে হলো, এবার লাতিনরাই বাজিমাত করবে।
অথচ কী বিস্ময়কর ব্যাপার! সেই টুর্নামেন্টই গত পরশু লাতিনশূন্য হয়ে গেল। প্রথম সেমিফাইনালে হল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে উরুগুয়ের বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে নিশ্চিত হয়ে গেল, বিশ্বকাপ ইউরোপেই যাচ্ছে। ইউরোপিয়ানদের জয় নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও কতগুলো ব্যাপার নিশ্চিত হয়ে গেল। ১৯৬৬ সাল থেকে চলে আসা একটা চক্র ভেঙে গেল। সেবার ইংল্যান্ডের শিরোপা জয়ের পর থেকে একবার ইউরোপ, একবার লাতিন; এই ছিল বিশ্বকাপের গন্তব্য। ২০০৬ সালে ইতালির পর এবার আবার কোনো ইউরোপিয়ান দেশই শিরোপা জিততে যাচ্ছে।
একই সঙ্গে ইউরোপের নতুন একটা কীর্তিও হচ্ছে—এই প্রথম নিজ মহাদেশের বাইরে বিশ্বকাপ জিতছে তারা। এর আগে নিজের এলাকার বাইরে থেকে বিশ্বকাপ জিতে আনার কৃতিত্ব ছিল শুধু ব্রাজিলিয়ানদের।
এবার তিন ইউরোপীয় দেশের সেমিফাইনালে উঠে আসাটা কী প্রমাণ করে? না, একটা-দুটি বিশ্বকাপ দেখে ‘আধিপত্য প্রতিষ্ঠা হয়ে গেছে’ এ রকম সিদ্ধান্তে পৌঁছানো ঠিক হবে না। তবে একটা সিদ্ধান্তে মিশেল প্লাতিনি পৌঁছে গেছেন—স্পেন, জার্মানি ও হল্যান্ডের এই উত্থান প্রমাণ করে বয়সভিত্তিক দলগুলো নিয়ে দীর্ঘ মেয়াদে কাজ করার বিকল্প নেই।
ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা উয়েফার সভাপতি, ফরাসি কিংবদন্তি প্লাতিনি বলছেন, ‘গত ১০ বছরে বিশ্বের অধিকাংশ যুব টুর্নামেন্টের শিরোপা জেতা দল তিনটিই সেমিফাইনালে পৌঁছেছে। পুরো ব্যাপারটাকে সৌভাগ্য বলে বোঝাতে পারবেন? আমার মনে হয় না। এতে আমি শুধু খুশি হচ্ছি তা নয়, এই দুর্দান্ত দল তিনটি আমাকে খুব তৃপ্তও করছে। সবচেয়ে বড় কথা, এই তিনটি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দীর্ঘ মেয়াদে যে পরিকল্পনা করেছে, ফুটবল শিক্ষা ও ট্রেনিংয়ে যে বিনিয়োগ করেছে, তার পুরস্কার পাচ্ছে এখন।’
ইউরোপের এই সাফল্য উয়েফা প্রেসিডেন্টের জন্য এমন তৃপ্তিরই ঘটনা। কিন্তু এ ঘটনা একই সঙ্গে লাতিনদের জন্য সতর্কবার্তাও কি দিচ্ছে না? এটা নিশ্চিত, লাতিনদের দিন ফুরিয়েছে, এমন বালখিল্য চিন্তার সুযোগ নেই। কিন্তু লাতিনদের নতুন করে ভাবার সময় চলে এসেছে।
আগামী বিশ্বকাপ লাতিন আমেরিকায়—খোদ ফুটবল-স্বর্গ ব্রাজিলে। এখনই সতর্ক না হলে লাতিন আমেরিকাতেই না লাতিনদের ভরাডুবি হয়ে যায়!
অথচ কী বিস্ময়কর ব্যাপার! সেই টুর্নামেন্টই গত পরশু লাতিনশূন্য হয়ে গেল। প্রথম সেমিফাইনালে হল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে উরুগুয়ের বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে নিশ্চিত হয়ে গেল, বিশ্বকাপ ইউরোপেই যাচ্ছে। ইউরোপিয়ানদের জয় নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও কতগুলো ব্যাপার নিশ্চিত হয়ে গেল। ১৯৬৬ সাল থেকে চলে আসা একটা চক্র ভেঙে গেল। সেবার ইংল্যান্ডের শিরোপা জয়ের পর থেকে একবার ইউরোপ, একবার লাতিন; এই ছিল বিশ্বকাপের গন্তব্য। ২০০৬ সালে ইতালির পর এবার আবার কোনো ইউরোপিয়ান দেশই শিরোপা জিততে যাচ্ছে।
একই সঙ্গে ইউরোপের নতুন একটা কীর্তিও হচ্ছে—এই প্রথম নিজ মহাদেশের বাইরে বিশ্বকাপ জিতছে তারা। এর আগে নিজের এলাকার বাইরে থেকে বিশ্বকাপ জিতে আনার কৃতিত্ব ছিল শুধু ব্রাজিলিয়ানদের।
এবার তিন ইউরোপীয় দেশের সেমিফাইনালে উঠে আসাটা কী প্রমাণ করে? না, একটা-দুটি বিশ্বকাপ দেখে ‘আধিপত্য প্রতিষ্ঠা হয়ে গেছে’ এ রকম সিদ্ধান্তে পৌঁছানো ঠিক হবে না। তবে একটা সিদ্ধান্তে মিশেল প্লাতিনি পৌঁছে গেছেন—স্পেন, জার্মানি ও হল্যান্ডের এই উত্থান প্রমাণ করে বয়সভিত্তিক দলগুলো নিয়ে দীর্ঘ মেয়াদে কাজ করার বিকল্প নেই।
ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা উয়েফার সভাপতি, ফরাসি কিংবদন্তি প্লাতিনি বলছেন, ‘গত ১০ বছরে বিশ্বের অধিকাংশ যুব টুর্নামেন্টের শিরোপা জেতা দল তিনটিই সেমিফাইনালে পৌঁছেছে। পুরো ব্যাপারটাকে সৌভাগ্য বলে বোঝাতে পারবেন? আমার মনে হয় না। এতে আমি শুধু খুশি হচ্ছি তা নয়, এই দুর্দান্ত দল তিনটি আমাকে খুব তৃপ্তও করছে। সবচেয়ে বড় কথা, এই তিনটি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দীর্ঘ মেয়াদে যে পরিকল্পনা করেছে, ফুটবল শিক্ষা ও ট্রেনিংয়ে যে বিনিয়োগ করেছে, তার পুরস্কার পাচ্ছে এখন।’
ইউরোপের এই সাফল্য উয়েফা প্রেসিডেন্টের জন্য এমন তৃপ্তিরই ঘটনা। কিন্তু এ ঘটনা একই সঙ্গে লাতিনদের জন্য সতর্কবার্তাও কি দিচ্ছে না? এটা নিশ্চিত, লাতিনদের দিন ফুরিয়েছে, এমন বালখিল্য চিন্তার সুযোগ নেই। কিন্তু লাতিনদের নতুন করে ভাবার সময় চলে এসেছে।
আগামী বিশ্বকাপ লাতিন আমেরিকায়—খোদ ফুটবল-স্বর্গ ব্রাজিলে। এখনই সতর্ক না হলে লাতিন আমেরিকাতেই না লাতিনদের ভরাডুবি হয়ে যায়!
No comments