‘জার্মান ক্যাসিয়াস’
নিয়তি! নিয়তি কারও সামনে পর্বত হয়ে দাঁড়িয়ে যায়। আবার নিয়তিই কারও সামনের ‘পর্বতমালা’ গুঁড়িয়ে দিয়ে মসৃণ পথ বানিয়ে দেয়। নিয়তি ভিক্টর ভালদেজের সামনে বাধা হিসেবে দাঁড় করিয়ে দেয় ইকার ক্যাসিয়াস আর পেপে রেইনার মতো দুই পর্বতকে। আবার নিয়তিই এসে পাশে দাঁড়ায় জার্মানির ম্যানুয়েল নয়্যারের।
যে ম্যানুয়েল নয়্যারের এই বিশ্বকাপে হয়ে থাকার কথা ছিল তৃতীয় গোলরক্ষক, সেই নয়্যার জার্মানির ‘এক নম্বর’ হয়ে ওঠেন। দু-দুটো দুর্ঘটনা সরিয়ে দেয় নয়্যারের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা দুই পর্বতকে। মাত্র ৫টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে বিশ্বকাপে এসে তিনি সংবাদমাধ্যমে পরিচিত হয়ে ওঠেন ‘জার্মানির ক্যাসিয়াস’ নামে!
কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত মাত্র দুটি গোল হজম করেছেন, বিপরীতে ঠেকিয়েছেন ১৮টি শট। খোদ ক্যাসিয়াসও ২টি গোল হজম করেছেন, কিন্তু তাঁকে ঠেকাতে হয়েছে মাত্র ১০টি শট। এই পরিসংখ্যানই বলছে, নয়্যার ‘জার্মান ক্যাসিয়াস’ খেতাব পাওয়ার কত উপযুক্ত।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমের দেওয়া এই উপাধি মাথায় পেতে নিচ্ছেন নয়্যার। কিন্তু কণ্ঠে তাঁর দারুণ বিনয়, ‘আমি নিজে এ রকম কিছু শুনিনি। কিন্তু ক্যাসিয়াসের সঙ্গে আমাকে তুলনা করে থাকলে, সেটা বিরাট সম্মানের ব্যাপার। উনি তো অবিশ্বাস্য ভালো একজন গোলরক্ষক। জীবনে অনেক সাফল্যই পেয়েছেন। আমি অবশ্য জিরো ফোরে (নয়্যারের ক্লাব) যেমন খেলি, তেমনই খেলছি। আমরা টুর্নামেন্টে যে মাত্র দুটি গোল খেয়েছি সে জন্য আমি ধন্যবাদ দেব আমাদের দুর্দান্ত রক্ষণভাগকে।’
বিনয় যতই করুন ২৪ বছর বয়সী এই জার্মান তরুণ, এরই মধ্যে তারকা হয়ে গেছেন। অথচ ছয় মাস আগেও তাঁর পোস্টের নিচে দাঁড়ানোর কোনো নিশ্চয়তা ছিল না।
গত বছর লেম্যানের ভাবশিষ্য নয়্যার জাতীয় দলে এসেছিলেন তৃতীয় গোলরক্ষক হিসেবে। জার্মানির এক নম্বর গোলরক্ষক তখন রবার্ট এনকে, পরের জন রেনে এডলার। গত নভেম্বরে এনকের আলোচিত আত্মহত্যা নয়্যারকে দুই নম্বর গোলরক্ষক বানিয়ে ফেলল।
শালকে জিরো ফোরের এই গোলরক্ষক তখনো কল্পনা করেননি, বিশ্বকাপেই পোস্টের নিচে দাঁড়াতে হবে তাঁকে। এডলারকে বিশ্রাম দিতে গিয়ে কোচ জোয়াকিম লো দু-একটা ম্যাচে মাঠে নামিয়েছিলেন নয়্যারকে। কিন্তু তিনি মনে মনে সাইড বেঞ্চের প্রস্তুতিই নিয়ে রেখেছিলেন।
আরেকবার নিয়তি নয়্যারের হয়ে হাসল। এবার পাঁজরের চোট এডলারকে ছিটকে দিল বিশ্বকাপ থেকে। ‘এক নম্বর’ হয়ে গেলেন নয়্যার। পরিসংখ্যানই বলছে, এখনো পর্যন্ত এক নম্বর জার্সিটার মান দারুণভাবে রাখতে পেরেছেন। সেমিফাইনালে পৌঁছানো চার গোলরক্ষকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শট সেভ করে এসেছেন। এখন অপেক্ষা শীর্ষে পৌঁছানোর।
শীর্ষে পৌঁছাতে গেলে আজ ক্যাসিয়াসকেই টপকাতে হবে ‘জার্মান ক্যাসিয়াস’ নয়্যারকে। চ্যালেঞ্জটা নিতে প্রস্তুত তিনি। ক্যাসিয়াসকে মাথায় তুলে রেখেও বলছেন, ‘প্রতিপক্ষকে দেখিয়ে দিতে হবে সেরা কে! সেটা করতে পারলেই তো কিছু অর্জন করা হয়ে গেল।’
দেখা যাক, দুই ‘ক্যাসিয়াসে’র লড়াইয়ে কে জেতে!
যে ম্যানুয়েল নয়্যারের এই বিশ্বকাপে হয়ে থাকার কথা ছিল তৃতীয় গোলরক্ষক, সেই নয়্যার জার্মানির ‘এক নম্বর’ হয়ে ওঠেন। দু-দুটো দুর্ঘটনা সরিয়ে দেয় নয়্যারের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা দুই পর্বতকে। মাত্র ৫টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে বিশ্বকাপে এসে তিনি সংবাদমাধ্যমে পরিচিত হয়ে ওঠেন ‘জার্মানির ক্যাসিয়াস’ নামে!
কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত মাত্র দুটি গোল হজম করেছেন, বিপরীতে ঠেকিয়েছেন ১৮টি শট। খোদ ক্যাসিয়াসও ২টি গোল হজম করেছেন, কিন্তু তাঁকে ঠেকাতে হয়েছে মাত্র ১০টি শট। এই পরিসংখ্যানই বলছে, নয়্যার ‘জার্মান ক্যাসিয়াস’ খেতাব পাওয়ার কত উপযুক্ত।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমের দেওয়া এই উপাধি মাথায় পেতে নিচ্ছেন নয়্যার। কিন্তু কণ্ঠে তাঁর দারুণ বিনয়, ‘আমি নিজে এ রকম কিছু শুনিনি। কিন্তু ক্যাসিয়াসের সঙ্গে আমাকে তুলনা করে থাকলে, সেটা বিরাট সম্মানের ব্যাপার। উনি তো অবিশ্বাস্য ভালো একজন গোলরক্ষক। জীবনে অনেক সাফল্যই পেয়েছেন। আমি অবশ্য জিরো ফোরে (নয়্যারের ক্লাব) যেমন খেলি, তেমনই খেলছি। আমরা টুর্নামেন্টে যে মাত্র দুটি গোল খেয়েছি সে জন্য আমি ধন্যবাদ দেব আমাদের দুর্দান্ত রক্ষণভাগকে।’
বিনয় যতই করুন ২৪ বছর বয়সী এই জার্মান তরুণ, এরই মধ্যে তারকা হয়ে গেছেন। অথচ ছয় মাস আগেও তাঁর পোস্টের নিচে দাঁড়ানোর কোনো নিশ্চয়তা ছিল না।
গত বছর লেম্যানের ভাবশিষ্য নয়্যার জাতীয় দলে এসেছিলেন তৃতীয় গোলরক্ষক হিসেবে। জার্মানির এক নম্বর গোলরক্ষক তখন রবার্ট এনকে, পরের জন রেনে এডলার। গত নভেম্বরে এনকের আলোচিত আত্মহত্যা নয়্যারকে দুই নম্বর গোলরক্ষক বানিয়ে ফেলল।
শালকে জিরো ফোরের এই গোলরক্ষক তখনো কল্পনা করেননি, বিশ্বকাপেই পোস্টের নিচে দাঁড়াতে হবে তাঁকে। এডলারকে বিশ্রাম দিতে গিয়ে কোচ জোয়াকিম লো দু-একটা ম্যাচে মাঠে নামিয়েছিলেন নয়্যারকে। কিন্তু তিনি মনে মনে সাইড বেঞ্চের প্রস্তুতিই নিয়ে রেখেছিলেন।
আরেকবার নিয়তি নয়্যারের হয়ে হাসল। এবার পাঁজরের চোট এডলারকে ছিটকে দিল বিশ্বকাপ থেকে। ‘এক নম্বর’ হয়ে গেলেন নয়্যার। পরিসংখ্যানই বলছে, এখনো পর্যন্ত এক নম্বর জার্সিটার মান দারুণভাবে রাখতে পেরেছেন। সেমিফাইনালে পৌঁছানো চার গোলরক্ষকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শট সেভ করে এসেছেন। এখন অপেক্ষা শীর্ষে পৌঁছানোর।
শীর্ষে পৌঁছাতে গেলে আজ ক্যাসিয়াসকেই টপকাতে হবে ‘জার্মান ক্যাসিয়াস’ নয়্যারকে। চ্যালেঞ্জটা নিতে প্রস্তুত তিনি। ক্যাসিয়াসকে মাথায় তুলে রেখেও বলছেন, ‘প্রতিপক্ষকে দেখিয়ে দিতে হবে সেরা কে! সেটা করতে পারলেই তো কিছু অর্জন করা হয়ে গেল।’
দেখা যাক, দুই ‘ক্যাসিয়াসে’র লড়াইয়ে কে জেতে!
No comments