উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা নেওয়ার বিকল্প নেই: যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্র ও তার এশীয় মিত্ররাষ্ট্রগুলো দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধজাহাজডুবির ঘটনায় উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। ওয়াশিংটন বলেছে, এ ক্ষেত্রে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা কার্যকর নাও হতে পারে। তাই এ ধরনের পরিস্থিতিতে সামরিক ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া কম বিকল্প পথই খোলা রয়েছে। এদিকে পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে সিউলের অব্যাহত কূটনৈতিক তৎপরতার কড়া সমালোচনা করেছে উত্তর কোরিয়া। তারা বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানকে নিয়ে পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে বড় ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে সিউল।
যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী গত শনিবার সিঙ্গাপুরে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা হয়। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা-প্রধানদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘উত্তর কোরিয়ার উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধে আমাদের একতাবদ্ধ থাকাটাই হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ।’
বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে গেটস বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররাষ্ট্রগুলোর কাছে কম বিকল্প পথই খোলা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘বহির্বিশ্ব কী ভাবছে তার তোয়াক্কা করছে না পিয়ংইয়ং। নিজ দেশের জনগণের কল্যাণের কথাও ভাবছে না তারা। কূটনৈতিকভাবে তাদের বিরত রাখা যাবে বলে মনে হয় না। তাই কিছু কিছু ক্ষেত্রে সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণের বিকল্প নেই।’ তিনি আরও বলেন, নিয়ত পরিবর্তনশীল পিয়ংইয়ং যে আবারও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড চালাবে না, এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
গত মার্চ মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি যুদ্ধজাহাজ টর্পেডোর আঘাতে ডুবে যায়। এতে ৪৬ জন নাবিকের প্রাণহানি ঘটে। এ ঘটনায় গঠিত আন্তর্জাতিক তদন্ত দল বলেছে, উত্তর কোরিয়ার ছোড়া টর্পেডোর আঘাতে যুদ্ধজাহাজটি ডুবে যায়।
দক্ষিণ কোরিয়া তাদের জাহাজডুবির ঘটনায় গত শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কাছে পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।
পিয়ংইয়ং জাহাজডুবির ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, এ ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়ার উত্তেজনামূলক কূটনৈতিক তৎপরতা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। উত্তর কোরীয় মুখপাত্র মিনজু জসন বলেন, বিষয়টিকে আন্তর্জাতিকীকরণ করা এবং উত্তর কোরিয়ার লোকজনকে আঘাত ও হত্যা করার ষড়যন্ত্র করে বিশ্বাসঘাতকতা করছে দক্ষিণ কোরিয়া।
দক্ষিণ কোরিয়া বলেছে, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কাছে তাদের দাবি হচ্ছে, উত্তর কোরিয়ার নতুন উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করা। এ ছাড়া তারা পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করাসহ বেশ কিছু সুপারিশ করেছে।
আন্তর্জাতিক তদন্ত দলের প্রতিবেদন প্রকাশের পর পিয়ংইয়ং সতর্ক করে দিয়ে বলেছিল, জাহাজডুবির ঘটনাকে সিউল জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপনের চেষ্টা চালালে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হবে।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপের প্রস্তাব উত্থাপিত হলে তা পাস হতে পাঁচ ভেটো দানকারী দেশের মধ্যে রাশিয়া ও চীনের সমর্থন অবশ্যই লাভ করতে হবে সিউলকে।
তবে রাশিয়া বলেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার জাহাজডুবির ঘটনায় উত্তর কোরিয়া জড়িত বলে যে অভিযোগ উঠেছে মস্কোর এ ব্যাপারে শতভাগ প্রমাণ দরকার। আন্তর্জাতিক তদন্ত দলের প্রতিবেদন যাচাইয়ের জন্য রাশিয়া তাদের নৌবাহিনীর একটি বিশেষজ্ঞ দল সিউলে পাঠিয়েছে। এই দলটি জাহাজডুবির ঘটনাস্থলও পরিদর্শন করবে। দক্ষিণ কোরিয়া বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য চীনের কাছেও তাদের বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে। তবে বেইজিং এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া দেয়নি।
যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী গত শনিবার সিঙ্গাপুরে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা হয়। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা-প্রধানদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘উত্তর কোরিয়ার উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধে আমাদের একতাবদ্ধ থাকাটাই হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ।’
বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে গেটস বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররাষ্ট্রগুলোর কাছে কম বিকল্প পথই খোলা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘বহির্বিশ্ব কী ভাবছে তার তোয়াক্কা করছে না পিয়ংইয়ং। নিজ দেশের জনগণের কল্যাণের কথাও ভাবছে না তারা। কূটনৈতিকভাবে তাদের বিরত রাখা যাবে বলে মনে হয় না। তাই কিছু কিছু ক্ষেত্রে সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণের বিকল্প নেই।’ তিনি আরও বলেন, নিয়ত পরিবর্তনশীল পিয়ংইয়ং যে আবারও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড চালাবে না, এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
গত মার্চ মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি যুদ্ধজাহাজ টর্পেডোর আঘাতে ডুবে যায়। এতে ৪৬ জন নাবিকের প্রাণহানি ঘটে। এ ঘটনায় গঠিত আন্তর্জাতিক তদন্ত দল বলেছে, উত্তর কোরিয়ার ছোড়া টর্পেডোর আঘাতে যুদ্ধজাহাজটি ডুবে যায়।
দক্ষিণ কোরিয়া তাদের জাহাজডুবির ঘটনায় গত শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কাছে পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।
পিয়ংইয়ং জাহাজডুবির ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, এ ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়ার উত্তেজনামূলক কূটনৈতিক তৎপরতা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। উত্তর কোরীয় মুখপাত্র মিনজু জসন বলেন, বিষয়টিকে আন্তর্জাতিকীকরণ করা এবং উত্তর কোরিয়ার লোকজনকে আঘাত ও হত্যা করার ষড়যন্ত্র করে বিশ্বাসঘাতকতা করছে দক্ষিণ কোরিয়া।
দক্ষিণ কোরিয়া বলেছে, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কাছে তাদের দাবি হচ্ছে, উত্তর কোরিয়ার নতুন উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করা। এ ছাড়া তারা পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করাসহ বেশ কিছু সুপারিশ করেছে।
আন্তর্জাতিক তদন্ত দলের প্রতিবেদন প্রকাশের পর পিয়ংইয়ং সতর্ক করে দিয়ে বলেছিল, জাহাজডুবির ঘটনাকে সিউল জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপনের চেষ্টা চালালে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হবে।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপের প্রস্তাব উত্থাপিত হলে তা পাস হতে পাঁচ ভেটো দানকারী দেশের মধ্যে রাশিয়া ও চীনের সমর্থন অবশ্যই লাভ করতে হবে সিউলকে।
তবে রাশিয়া বলেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার জাহাজডুবির ঘটনায় উত্তর কোরিয়া জড়িত বলে যে অভিযোগ উঠেছে মস্কোর এ ব্যাপারে শতভাগ প্রমাণ দরকার। আন্তর্জাতিক তদন্ত দলের প্রতিবেদন যাচাইয়ের জন্য রাশিয়া তাদের নৌবাহিনীর একটি বিশেষজ্ঞ দল সিউলে পাঠিয়েছে। এই দলটি জাহাজডুবির ঘটনাস্থলও পরিদর্শন করবে। দক্ষিণ কোরিয়া বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য চীনের কাছেও তাদের বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে। তবে বেইজিং এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া দেয়নি।
No comments