ইসরায়েলি নারী বিয়ে করা পুরুষের নাগরিকত্ব রদের তাগিদ
ইসরায়েলি নারীদের বিয়ে করা মিসরীয় পুরুষদের নাগরিকত্ব বাতিল করা-সংক্রান্ত নিম্ন আদালতের রায় বহাল রেখেছেন কায়রোর একটি উচ্চ আদালত। আদালত এসব মিসরীয় পুরুষ ও তাঁদের সন্তানদের নাগরিকত্ব বাতিল করার বিষয়টি বিবেচনা করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
গত বছর একটি নিম্ন আদালত নাগরিকত্ব আইনের একটি বিশেষ ধারা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন। ওই আইনের আওতায় ইসরায়েলের সেনাবাহিনীতে কাজ করেছে অথবা জায়নবাদের (ইহুদি জাতীয়তাবাদী আন্দোলন) সমর্থক এমন কাউকে বিয়ে করা মিসরীয়র নাগরিকত্ব বাতিলের বিধান রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিম্ন আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করেছিল। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কায়রোর একটি উচ্চ আদালত গতকাল রোববার এ রায় দেন।
নিম্ন আদালতের রায়ে বলা হয়েছিল, কর্মকর্তারা সব কেস মন্ত্রিসভায় পাঠাবেন এবং আলাদা আলাদাভাবে তা বিবেচনা করা হবে।
আদালতের এ রায়কে ১৯৭৯ সালের শান্তি চুক্তি সত্ত্বেও প্রতিবেশী ইসরায়েলের প্রতি মিসরের নেতিবাচক মনোভাবের প্রতিফলন হিসেবে দেখা হচ্ছে। ফিলিস্তিনের গাজার জন্য ত্রাণবাহী নৌবহরে সাম্প্রতিক ইসরায়েলি হামলার ঘটনায় মিসরে এ মুহূর্তে তীব্র ইসরায়েলবিরোধী মনোভাব বিরাজ করছে।
নাগরিকত্ব আইন বাস্তবায়নের দাবিতে নাবিহ ইল-ওয়াহাস নামের একজন আইনজীবী মামলাটি করেছিলেন। তিনি বলেন, মিসরের তরুণ-তরুণীদের সুরক্ষা ও জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তিনি এ মামলা করেছেন। তিনি আরও বলেন, মিসরীয় পুরুষ ও ইসরায়েলি নারীর সন্তানদের মিসরের সেনাবাহিনীতে নিয়োগ দেওয়া উচিত নয়। আরব বিশ্ব ও মিসরের প্রতি অনুগত নয়, এমন একটি প্রজন্ম সৃষ্টি করা ঠিক হবে না।
উচ্চ আদালতের এ রায়ে অনেকে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। নেগাদ আল-বোরাই নামের একজন আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী আদালতের এ রায়ে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছেন, কেবল দেশের বিরুদ্ধে কেউ গুপ্তচরবৃত্তি করলে তাঁর নাগরিকত্ব বাতিলের বিধান রয়েছে। আদালত এ রায়ের মাধ্যমে একজন ইসরায়েলিকে বিয়ে করাকে গুপ্তচরবৃত্তির সমান বিবেচনা করছেন।
প্রায় ৩০ হাজার মিসরীয় ইসরায়েলি নারীদের বিয়ে করেছেন।
গত বছর একটি নিম্ন আদালত নাগরিকত্ব আইনের একটি বিশেষ ধারা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন। ওই আইনের আওতায় ইসরায়েলের সেনাবাহিনীতে কাজ করেছে অথবা জায়নবাদের (ইহুদি জাতীয়তাবাদী আন্দোলন) সমর্থক এমন কাউকে বিয়ে করা মিসরীয়র নাগরিকত্ব বাতিলের বিধান রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিম্ন আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করেছিল। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কায়রোর একটি উচ্চ আদালত গতকাল রোববার এ রায় দেন।
নিম্ন আদালতের রায়ে বলা হয়েছিল, কর্মকর্তারা সব কেস মন্ত্রিসভায় পাঠাবেন এবং আলাদা আলাদাভাবে তা বিবেচনা করা হবে।
আদালতের এ রায়কে ১৯৭৯ সালের শান্তি চুক্তি সত্ত্বেও প্রতিবেশী ইসরায়েলের প্রতি মিসরের নেতিবাচক মনোভাবের প্রতিফলন হিসেবে দেখা হচ্ছে। ফিলিস্তিনের গাজার জন্য ত্রাণবাহী নৌবহরে সাম্প্রতিক ইসরায়েলি হামলার ঘটনায় মিসরে এ মুহূর্তে তীব্র ইসরায়েলবিরোধী মনোভাব বিরাজ করছে।
নাগরিকত্ব আইন বাস্তবায়নের দাবিতে নাবিহ ইল-ওয়াহাস নামের একজন আইনজীবী মামলাটি করেছিলেন। তিনি বলেন, মিসরের তরুণ-তরুণীদের সুরক্ষা ও জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তিনি এ মামলা করেছেন। তিনি আরও বলেন, মিসরীয় পুরুষ ও ইসরায়েলি নারীর সন্তানদের মিসরের সেনাবাহিনীতে নিয়োগ দেওয়া উচিত নয়। আরব বিশ্ব ও মিসরের প্রতি অনুগত নয়, এমন একটি প্রজন্ম সৃষ্টি করা ঠিক হবে না।
উচ্চ আদালতের এ রায়ে অনেকে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। নেগাদ আল-বোরাই নামের একজন আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী আদালতের এ রায়ে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছেন, কেবল দেশের বিরুদ্ধে কেউ গুপ্তচরবৃত্তি করলে তাঁর নাগরিকত্ব বাতিলের বিধান রয়েছে। আদালত এ রায়ের মাধ্যমে একজন ইসরায়েলিকে বিয়ে করাকে গুপ্তচরবৃত্তির সমান বিবেচনা করছেন।
প্রায় ৩০ হাজার মিসরীয় ইসরায়েলি নারীদের বিয়ে করেছেন।
No comments