যে রহস্যের ব্যাখ্যা নেই!
বৃষ্টির কারণে খেলা শুরু হতে হতে লাঞ্চের পর। কাল সকালের সময়টা বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের কাটল টেলিভিশন রিপ্লেতে প্রথম ইনিংসের আউটগুলো দেখে। ব্যাটসম্যানরা সেগুলো দেখেছেন, কিন্তু কেউ কোনো কথা বলেননি। বলবেন কি? ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টে বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয়ের আসলেই কি কোনো ব্যাখ্যা হয়!
প্রথম ইনিংসে ওপেনিং জুটিতে ১২৬ রান, এর পর মাত্র ৯০ রানের ব্যবধানেই অলআউট! দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৪.১ ওভারে ১২৩ রানে অলআউট হয়ে এক ইনিংস ও ৮০ রানে হারেরই বা কী ব্যাখ্যা আছে?
পরশু মাঠ ছাড়ার সময় টিম বাসে উঠতে উঠতে একটা ব্যাখ্যা অবশ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন কোচ জেমি সিডন্স, ‘ওদের স্পিনটাই সমস্যা করেছে। বল অনেক বেশি টার্ন করেছে। আর যখনই বল বেশি টার্ন করে আমাদের এ রকম অবস্থা হয়। এই জায়গায় উন্নতির দরকার আছে।’ লর্ডসের পর এখানেও সেঞ্চুরি করা ওপেনার তামিম ইকবালও একই ঢাল ধরলেন সতীর্থদের বাঁচাতে, ‘বল আসলেই অনেক টার্ন করেছে।’
অবিশ্বাস্য শোনাল—ইংলিশ কন্ডিশনে বাংলাদেশ কি না অজুহাত দিচ্ছে স্পিনিং উইকেটের! বছরের পর বছর যে ধরনের উইকেটে খেলে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা অভ্যস্ত, ইংল্যান্ডে এসে সেটা পেয়ে কোথায় তাঁরা একটু খুশি হবেন, তা না উল্টো সে উইকেটেই ভেঙে পড়লেন তাসের ঘরের মতো! উইকেট পেস বোলারদের হলে বাউন্স-মুভমেন্টে সমস্যা হয়, টার্নিং হলেও ব্যাটসম্যানরা খেলতে পারেন না—বাংলাদেশের হোম কন্ডিশন যে কোনটা!
পরশু ওল্ড ট্রাফোর্ডের উইকেটে যে টার্নিং ছিল, সেটা মিথ্যে নয়। দিন শেষের সংবাদ সম্মেলনে ৫ উইকেট পাওয়া গ্রায়েম সোয়ানও উইকেট থেকে বাড়তি টার্ন পাওয়ার কথা বলেছেন। এক সেশনে ১০ উইকেট পড়ার ঘটনাও নাকি এবারই প্রথম দেখলেন এই ইংলিশ অফ স্পিনার! সবকিছু মেনেও ওল্ড ট্রাফোর্ডে বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতা মেনে নেওয়া যায় না। একে তো স্পিন উইকেটে খেলে ব্যাটসম্যানরা অভ্যস্ত, তার ওপর ওল্ড ট্রাফোর্ডের উইকেট যে এ রকম হবে বাংলাদেশ দল আগে থেকেই সেটা অনুমান করতে পেরেছিল। যে কারণে তাদের গেম প্ল্যানটাও ছিল স্পিনকেন্দ্রিক। তিন পেসারের জায়গায় খেলানো হলো দুই পেসার, নেওয়া হলো একজন বাড়তি স্পিনার। আর ইতিহাসও তো বলে, এই উইকেট মাঝে মাঝেই স্পিনারদের স্বর্গরাজ্য! এ মাঠেই এক টেস্টে ১৯ উইকেট নেওয়ার কীর্তি আছে ইংল্যান্ডের সাবেক অফ স্পিনার জিম লেকারের। স্পিন উইকেটের অজুহাতটা তাই কানে বড় লাগে।
মনে মনে হয়তো জেমি সিডন্সও সেটাই মনে করেন। বাইরে উইকেটের অজুহাত দাঁড় করালেও পরশু টিম মিটিংয়ে কোচ নাকি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিলেন ব্যাটসম্যানদের ওপরই। একের পর এক যেভাবে উইকেট বিসর্জনের খেলা চলল, কোচ মেনে নিতে পারেননি সেটা। অফ স্পিনের বিপরীতে ড্রাইভ কিংবা অকারণে পুল খেলার চেষ্টা—ব্যাটসম্যানদের কাছে এসবের ব্যাখ্যা চেয়েও কিছু পাননি কোচ। ব্যাটসম্যানরা নাকি ব্যাটিং ব্যর্থতার জন্য কেবল দুঃখই প্রকাশ করেছেন।
দুঃখ প্রকাশ করে লাভ? কাল তো আরও লজ্জাজনকই হলো বাংলাদেশের ব্যাটিং! যে ব্রিটিশ মিডিয়া আগের দিন তামিমের সেঞ্চুরি দেখে অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে ছিল মাঠের দিকে, তারাই কাল জহুরুল-আশরাফুলদের আউট দেখে প্রেসবক্সে গলা ফাটিয়ে হাসছেন। যেন বাংলাদেশের এ রকম ব্যাটিংই করার কথা, লর্ডস বা ওল্ড ট্রাফোর্ডে তামিমের ব্যাটিংটা ব্যতিক্রম মাত্র।
ভালো কথা, বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস ধসিয়ে দিতে আর স্পিনারদের ভরসা করতে হয়নি ইংল্যান্ড অধিনায়ক অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসকে। বৃষ্টির কারণে লাঞ্চের পর খেলা শুরু হয়ে চা-বিরতির আগেই ১২৩ রানে শেষ হওয়া বাংলাদেশ ইনিংসের ৯টি উইকেটই পেসারদের। স্টিভেন ফিন আবার ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন ৪২ রানে। বাকি ৫ উইকেটের চারটিও নিয়েছেন দুই পেসার অ্যান্ডারসন (৩/১৬) ও শাহজাদ (১/১৮)। আগের ইনিংসের ঘাতক সোয়ান নিয়েছেন শুধু রাজ্জাকের উইকেটটি।
ওল্ড ট্রাফোর্ডের উইকেট আসলেই রহস্যময়, অন্তত বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের কাছে তো অবশ্যই।
প্রথম ইনিংসে ওপেনিং জুটিতে ১২৬ রান, এর পর মাত্র ৯০ রানের ব্যবধানেই অলআউট! দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৪.১ ওভারে ১২৩ রানে অলআউট হয়ে এক ইনিংস ও ৮০ রানে হারেরই বা কী ব্যাখ্যা আছে?
পরশু মাঠ ছাড়ার সময় টিম বাসে উঠতে উঠতে একটা ব্যাখ্যা অবশ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন কোচ জেমি সিডন্স, ‘ওদের স্পিনটাই সমস্যা করেছে। বল অনেক বেশি টার্ন করেছে। আর যখনই বল বেশি টার্ন করে আমাদের এ রকম অবস্থা হয়। এই জায়গায় উন্নতির দরকার আছে।’ লর্ডসের পর এখানেও সেঞ্চুরি করা ওপেনার তামিম ইকবালও একই ঢাল ধরলেন সতীর্থদের বাঁচাতে, ‘বল আসলেই অনেক টার্ন করেছে।’
অবিশ্বাস্য শোনাল—ইংলিশ কন্ডিশনে বাংলাদেশ কি না অজুহাত দিচ্ছে স্পিনিং উইকেটের! বছরের পর বছর যে ধরনের উইকেটে খেলে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা অভ্যস্ত, ইংল্যান্ডে এসে সেটা পেয়ে কোথায় তাঁরা একটু খুশি হবেন, তা না উল্টো সে উইকেটেই ভেঙে পড়লেন তাসের ঘরের মতো! উইকেট পেস বোলারদের হলে বাউন্স-মুভমেন্টে সমস্যা হয়, টার্নিং হলেও ব্যাটসম্যানরা খেলতে পারেন না—বাংলাদেশের হোম কন্ডিশন যে কোনটা!
পরশু ওল্ড ট্রাফোর্ডের উইকেটে যে টার্নিং ছিল, সেটা মিথ্যে নয়। দিন শেষের সংবাদ সম্মেলনে ৫ উইকেট পাওয়া গ্রায়েম সোয়ানও উইকেট থেকে বাড়তি টার্ন পাওয়ার কথা বলেছেন। এক সেশনে ১০ উইকেট পড়ার ঘটনাও নাকি এবারই প্রথম দেখলেন এই ইংলিশ অফ স্পিনার! সবকিছু মেনেও ওল্ড ট্রাফোর্ডে বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতা মেনে নেওয়া যায় না। একে তো স্পিন উইকেটে খেলে ব্যাটসম্যানরা অভ্যস্ত, তার ওপর ওল্ড ট্রাফোর্ডের উইকেট যে এ রকম হবে বাংলাদেশ দল আগে থেকেই সেটা অনুমান করতে পেরেছিল। যে কারণে তাদের গেম প্ল্যানটাও ছিল স্পিনকেন্দ্রিক। তিন পেসারের জায়গায় খেলানো হলো দুই পেসার, নেওয়া হলো একজন বাড়তি স্পিনার। আর ইতিহাসও তো বলে, এই উইকেট মাঝে মাঝেই স্পিনারদের স্বর্গরাজ্য! এ মাঠেই এক টেস্টে ১৯ উইকেট নেওয়ার কীর্তি আছে ইংল্যান্ডের সাবেক অফ স্পিনার জিম লেকারের। স্পিন উইকেটের অজুহাতটা তাই কানে বড় লাগে।
মনে মনে হয়তো জেমি সিডন্সও সেটাই মনে করেন। বাইরে উইকেটের অজুহাত দাঁড় করালেও পরশু টিম মিটিংয়ে কোচ নাকি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিলেন ব্যাটসম্যানদের ওপরই। একের পর এক যেভাবে উইকেট বিসর্জনের খেলা চলল, কোচ মেনে নিতে পারেননি সেটা। অফ স্পিনের বিপরীতে ড্রাইভ কিংবা অকারণে পুল খেলার চেষ্টা—ব্যাটসম্যানদের কাছে এসবের ব্যাখ্যা চেয়েও কিছু পাননি কোচ। ব্যাটসম্যানরা নাকি ব্যাটিং ব্যর্থতার জন্য কেবল দুঃখই প্রকাশ করেছেন।
দুঃখ প্রকাশ করে লাভ? কাল তো আরও লজ্জাজনকই হলো বাংলাদেশের ব্যাটিং! যে ব্রিটিশ মিডিয়া আগের দিন তামিমের সেঞ্চুরি দেখে অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে ছিল মাঠের দিকে, তারাই কাল জহুরুল-আশরাফুলদের আউট দেখে প্রেসবক্সে গলা ফাটিয়ে হাসছেন। যেন বাংলাদেশের এ রকম ব্যাটিংই করার কথা, লর্ডস বা ওল্ড ট্রাফোর্ডে তামিমের ব্যাটিংটা ব্যতিক্রম মাত্র।
ভালো কথা, বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস ধসিয়ে দিতে আর স্পিনারদের ভরসা করতে হয়নি ইংল্যান্ড অধিনায়ক অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসকে। বৃষ্টির কারণে লাঞ্চের পর খেলা শুরু হয়ে চা-বিরতির আগেই ১২৩ রানে শেষ হওয়া বাংলাদেশ ইনিংসের ৯টি উইকেটই পেসারদের। স্টিভেন ফিন আবার ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন ৪২ রানে। বাকি ৫ উইকেটের চারটিও নিয়েছেন দুই পেসার অ্যান্ডারসন (৩/১৬) ও শাহজাদ (১/১৮)। আগের ইনিংসের ঘাতক সোয়ান নিয়েছেন শুধু রাজ্জাকের উইকেটটি।
ওল্ড ট্রাফোর্ডের উইকেট আসলেই রহস্যময়, অন্তত বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের কাছে তো অবশ্যই।
No comments