আমার ফেবারিট উরুগুয়ে
ইতালির বিদায়ে যখন আকাশ ভারী হয়ে আছে, ঠিক তখনই আমাকে লিখতে হচ্ছে দ্বিতীয় রাউন্ড নিয়ে। যে দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলবে না চ্যাম্পিয়ন ইতালি, আমার ইতালি!
পেশাদারির কাছে আবেগের মূল্য ঠুনকো। তাই আবেগ চাপা দিয়েই এখন আমাদের তাকাতে হবে শেষ ষোলোতে। দুঃখ-ব্যথা নিশ্চয়ই ভুলে যাবে ফুটবলের উত্তেজনায়। দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই যে শুরু হচ্ছে নকআউট পর্ব। একটা ম্যাচে খারাপ করা মানেই ইতালির পথ ধরে বাড়ি ফেরা। সেটি সত্যি হয়ে যেতে পারে যেকোনো বড় দলের জন্যই।
প্রথম দিনেই রঙ্গমঞ্চে আবির্ভূত হবে উরুগুয়ে-দক্ষিণ কোরিয়া আর যুক্তরাষ্ট্র-ঘানার গ্লাডিয়েটররা। কোচ অস্কার তাবারেজ এই দলটাকে অটল, আক্রমণাত্মক করে গড়ে তুলেছেন। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই এই রাউন্ডে এসেছে ওরা। যদিও আমার মনে হয়, এখনো ওরা ওদের সামর্থ্যের সবটুকু দেখাতে পারেনি।
মাঝখানে ফোরলান, দুই পাশে লুইস সুয়ারেজ আর কাভানি—ওদের আক্রমণভাগটিকে আমার এই টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরাই মনে হয়। মাঝমাঠে আছে পেরেইরা, পেরেজ আর আরেভালোর মতো খেলোয়াড়, যারা শ্রমিকের মতো অক্লান্ত, শিল্পীর মতো সৃষ্টিশীল। ওদের রক্ষণভাগকেও কিন্তু প্রাপ্য কৃতিত্ব দিতে হবে। এখন পর্যন্ত একটা গোলও ওরা খায়নি। সেখানে আছে অভিজ্ঞ অধিনায়ক লুগানো। গোলরক্ষক মুসলেরাও আস্থার প্রতীক। দলটা ভারসাম্যপূর্ণ এবং যেকোনো মুহূর্তে গোলের মুখ খুলে দেওয়ার সামর্থ্য যে ওদের আছে, সেটি মেক্সিকো আর দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে দেখা গেছে।
দক্ষিণ কোরিয়া দ্বিতীয় পর্বের টিকিট পেয়েছে গ্রিসের বিপক্ষে জিতে আর নাইজেরিয়ার সঙ্গে ড্র করে। আক্রমণে দুই পার্ক—ম্যানইউ তারকা পার্ক জি-সুং আর মনাকোর পার্ক চু-ইয়ং। কোরীয়রা ৪-৩-২-১-এর দ্রুত মুভ করে এমন একটা ছক নিয়ে খেলে। শারীরিকভাবেও দলটা শক্তপোক্ত।
কোরীয়দের দুর্বলতা ওদের রক্ষণ। গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচে ছয়টি গোল খেয়ে এসেছে। তবে ছয় গোলের চারটিই তারা হজম করেছে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে এক ম্যাচেই। ফলে খুব বেশি দুশ্চিন্তার কিছু নেই। যদিও আরেক দক্ষিণ আমেরিকান দলই আজ তাদের প্রতিপক্ষ। নিজেদের রক্ষণ সামলে রাখার পাশাপাশি কোরীয়দের তাই মনোযোগ দিতে হবে উরুগুয়ের রক্ষণ নিয়েও। দুই দলের মধ্যে অভিন্ন যে মিলটি আছে, তারা আক্রমণ চালায় উইং ব্যবহার করে। এই ম্যাচে আমার ফেবারিট উরুগুয়ে। ওদের সেরা আটে দেখব বলেই আশা করছি।
যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় রাউন্ডে এসেছে ৯২ মিনিটে ল্যান্ডন ডনোভানের গোলে ভর করে। ঘানাও ভাগ্যের পরশ পেয়েছে বৈকি। শেষ ম্যাচে হেরেও দ্বিতীয় রাউন্ডে এসেছে তারা। ওদের গ্রুপটাতেই আসলে শেষ পর্যন্ত জমজমাট লড়াই হয়েছে। এই দুই দলই শেষ না হওয়া পর্যন্ত হার মানে না। ফলে একটা দুর্দান্ত ম্যাচের গ্যারান্টি আপনাকে দিতে পারি। ম্যাচটা হবে দ্রুতগতির, শক্তির ব্যবহার থাকবে, থাকবে শরীরের ব্যবহারও।
ঘানাই একমাত্র দল হিসেবে আফ্রিকার প্রতিনিধিত্ব করছে। ফলে বিশাল সমর্থন ওদের পেছনে থাকবে। ম্যাচে এই দিক দিয়ে তারা এগিয়েই আছে। জার্মানির বিপক্ষে ঘানার রক্ষণকে প্রায়ই ঝামেলায় পড়তে দেখা গেছে। আজ যুক্তরাষ্ট্রও তাদের একই রকম সমস্যায় ফেলতে চাইবে।
ডনোভানদের দলটা খুবই পরিশ্রমী। তবে এই ম্যাচে তারা কেমন খেলছে সেটাই নির্ধারণ করে দেবে ফলাফল। মার্কিনদের খেলার ধরনটাই এমন, ধীরে ধীরে ওরা ম্যাচের লাগাম মুঠোয় পোরে। ম্যাচটায় দুই পক্ষই আমার চোখে সমশক্তির, কিন্তু ঘানার যা আছে সেটি যুক্তরাষ্ট্রের নেই—আফ্রিকার বিশাল জনগোষ্ঠীর নিঃস্বার্থ সমর্থন।
পেশাদারির কাছে আবেগের মূল্য ঠুনকো। তাই আবেগ চাপা দিয়েই এখন আমাদের তাকাতে হবে শেষ ষোলোতে। দুঃখ-ব্যথা নিশ্চয়ই ভুলে যাবে ফুটবলের উত্তেজনায়। দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই যে শুরু হচ্ছে নকআউট পর্ব। একটা ম্যাচে খারাপ করা মানেই ইতালির পথ ধরে বাড়ি ফেরা। সেটি সত্যি হয়ে যেতে পারে যেকোনো বড় দলের জন্যই।
প্রথম দিনেই রঙ্গমঞ্চে আবির্ভূত হবে উরুগুয়ে-দক্ষিণ কোরিয়া আর যুক্তরাষ্ট্র-ঘানার গ্লাডিয়েটররা। কোচ অস্কার তাবারেজ এই দলটাকে অটল, আক্রমণাত্মক করে গড়ে তুলেছেন। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই এই রাউন্ডে এসেছে ওরা। যদিও আমার মনে হয়, এখনো ওরা ওদের সামর্থ্যের সবটুকু দেখাতে পারেনি।
মাঝখানে ফোরলান, দুই পাশে লুইস সুয়ারেজ আর কাভানি—ওদের আক্রমণভাগটিকে আমার এই টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরাই মনে হয়। মাঝমাঠে আছে পেরেইরা, পেরেজ আর আরেভালোর মতো খেলোয়াড়, যারা শ্রমিকের মতো অক্লান্ত, শিল্পীর মতো সৃষ্টিশীল। ওদের রক্ষণভাগকেও কিন্তু প্রাপ্য কৃতিত্ব দিতে হবে। এখন পর্যন্ত একটা গোলও ওরা খায়নি। সেখানে আছে অভিজ্ঞ অধিনায়ক লুগানো। গোলরক্ষক মুসলেরাও আস্থার প্রতীক। দলটা ভারসাম্যপূর্ণ এবং যেকোনো মুহূর্তে গোলের মুখ খুলে দেওয়ার সামর্থ্য যে ওদের আছে, সেটি মেক্সিকো আর দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে দেখা গেছে।
দক্ষিণ কোরিয়া দ্বিতীয় পর্বের টিকিট পেয়েছে গ্রিসের বিপক্ষে জিতে আর নাইজেরিয়ার সঙ্গে ড্র করে। আক্রমণে দুই পার্ক—ম্যানইউ তারকা পার্ক জি-সুং আর মনাকোর পার্ক চু-ইয়ং। কোরীয়রা ৪-৩-২-১-এর দ্রুত মুভ করে এমন একটা ছক নিয়ে খেলে। শারীরিকভাবেও দলটা শক্তপোক্ত।
কোরীয়দের দুর্বলতা ওদের রক্ষণ। গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচে ছয়টি গোল খেয়ে এসেছে। তবে ছয় গোলের চারটিই তারা হজম করেছে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে এক ম্যাচেই। ফলে খুব বেশি দুশ্চিন্তার কিছু নেই। যদিও আরেক দক্ষিণ আমেরিকান দলই আজ তাদের প্রতিপক্ষ। নিজেদের রক্ষণ সামলে রাখার পাশাপাশি কোরীয়দের তাই মনোযোগ দিতে হবে উরুগুয়ের রক্ষণ নিয়েও। দুই দলের মধ্যে অভিন্ন যে মিলটি আছে, তারা আক্রমণ চালায় উইং ব্যবহার করে। এই ম্যাচে আমার ফেবারিট উরুগুয়ে। ওদের সেরা আটে দেখব বলেই আশা করছি।
যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় রাউন্ডে এসেছে ৯২ মিনিটে ল্যান্ডন ডনোভানের গোলে ভর করে। ঘানাও ভাগ্যের পরশ পেয়েছে বৈকি। শেষ ম্যাচে হেরেও দ্বিতীয় রাউন্ডে এসেছে তারা। ওদের গ্রুপটাতেই আসলে শেষ পর্যন্ত জমজমাট লড়াই হয়েছে। এই দুই দলই শেষ না হওয়া পর্যন্ত হার মানে না। ফলে একটা দুর্দান্ত ম্যাচের গ্যারান্টি আপনাকে দিতে পারি। ম্যাচটা হবে দ্রুতগতির, শক্তির ব্যবহার থাকবে, থাকবে শরীরের ব্যবহারও।
ঘানাই একমাত্র দল হিসেবে আফ্রিকার প্রতিনিধিত্ব করছে। ফলে বিশাল সমর্থন ওদের পেছনে থাকবে। ম্যাচে এই দিক দিয়ে তারা এগিয়েই আছে। জার্মানির বিপক্ষে ঘানার রক্ষণকে প্রায়ই ঝামেলায় পড়তে দেখা গেছে। আজ যুক্তরাষ্ট্রও তাদের একই রকম সমস্যায় ফেলতে চাইবে।
ডনোভানদের দলটা খুবই পরিশ্রমী। তবে এই ম্যাচে তারা কেমন খেলছে সেটাই নির্ধারণ করে দেবে ফলাফল। মার্কিনদের খেলার ধরনটাই এমন, ধীরে ধীরে ওরা ম্যাচের লাগাম মুঠোয় পোরে। ম্যাচটায় দুই পক্ষই আমার চোখে সমশক্তির, কিন্তু ঘানার যা আছে সেটি যুক্তরাষ্ট্রের নেই—আফ্রিকার বিশাল জনগোষ্ঠীর নিঃস্বার্থ সমর্থন।
No comments