অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার অঙ্গীকার ওবামা-মেদভেদেভের
দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার অঙ্গীকার করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। গত বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে দুই নেতার বৈঠকের পর বারাক ওবামা বলেন, তাঁরা দুই দেশের সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করতে সফল হয়েছেন।
ওবামা জানান, অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে রাশিয়া আবার মার্কিন পোলট্রি-সামগ্রী আমদানি করতে রাজি হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) রাশিয়ার অন্তর্ভুক্তিতে সমর্থনের অঙ্গীকার করেছে।
রুশ-মার্কিন দুই নেতাই সম্পর্ক উন্নয়নের কথা বারবার উল্লেখ করেন। এ সময় ওবামা বলেন, সাবেক মার্কিন সরকারের সময় এ সম্পর্ক কিছুটা শিথিল হয়ে গিয়েছিল।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম হোয়াইট হাউসে গেলেন মেদভেদেভ। এর আগে এপ্রিলে ৪৭ দেশের পরমাণু অস্ত্রবিষয়ক সম্মেলনে অংশ নিতে ওয়াশিংটন সফর করেছিলেন তিনি।
হোয়াইট হাউসে বৈঠকের পর সারা দিনের ব্যস্ত কর্মসূচির অংশ হিসেবে যৌথ সংবাদ সম্মেলন ও যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া ব্যবসায়িক পরিষদের বৈঠকেও যোগ দেন দুই নেতা। হোয়াইট হাউসে বৈঠকের পর দুই প্রেসিডেন্ট একই গাড়িতে চড়ে ভার্জিনিয়া শহরতলির জনপ্রিয় একটি ফাস্টফুডের দোকানে বার্গার খেতে যান। এভাবে প্রটোকল শিথিল করে এক গাড়িতে চড়ে সাধারণ রেস্তোরাঁয় বার্গার খেতে যাওয়াকে পর্যবেক্ষকেরা সম্পর্ক সহজ করার একটি উদ্যোগ হিসেবেই দেখছেন।
সফরকালে মার্কিন তথ্যপ্রযুক্তিশিল্পের প্রাণকেন্দ্র ক্যালিফোর্নিয়ার সিলিকন ভ্যালি পরিদর্শন করেন মেদভেদেভ।
ওবামা-মেদভেদেভ বৈঠকে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা, ইরান ও উত্তর কোরিয়ার বিতর্কিত পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা, সন্ত্রাসবাদের হুমকি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্থান পায়। দুই নেতাই বলেন, একুশ শতকে বিশ্ব একটি শক্তিশালী রুশ-মার্কিন সম্পর্ক দেখতে চায়। ওবামা উল্লেখ করেন, আগের সরকারের আমলে দুই দেশের সম্পর্কে কিছুটা টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছিল।
সংবাদ সম্মেলনে ওবামা বলেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) রাশিয়ার অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে সমর্থন জানাবে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি তিনি ঘোষণা করেন, রাশিয়া পোলট্রি-পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে। ছয় মাস আগে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেশটি।
ওবামা সাংবাদিকদের আরও বলেন, ‘আমাদের দেশ এবং বিশ্ব আরও বেশি নিরাপদ হবে, যদি রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে এগিয়ে চলে।’ তবে দুই দেশের মধ্যে বেশ কিছু বিষয়ে মতানৈক্য রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এর মধ্যে একটি বিষয় হচ্ছে জর্জিয়ার সংকট।
অন্যদিকে স্থিতিশীল আফগানিস্তান গঠনের মার্কিন লক্ষ্যে সমর্থন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন মেদভেদেভ।
জাতিগত দাঙ্গাকবলিত কিরগিজস্তানে মানবিক সহায়তা পাঠানোর ব্যাপারে একমত হন ওবামা ও মেদভেদেভ। আশঙ্কা প্রকাশ করে মেদভেদেভ বলেন, কিরগিজস্তানের পরিস্থিতি এখনো নাজুক। সেখানকার কট্টরপন্থীরা আবারও সহিংসতায় জড়িয়ে পড়তে পারে।
ওবামা রাশিয়ায় আরও বেশি মার্কিনপণ্য রপ্তানির সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। অন্যদিকে মেদভেদেভ রাশিয়ায় আরও বেশি মার্কিন বিনিয়োগের আহ্বান জানান। বিশেষ করে, রাশিয়ার তথ্যপ্রযুক্তি খাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
উন্নত দেশগুলোর জোট জি-৮-এর সম্মেলনে যোগ দিতে বৃহস্পতিবারই কানাডার উদ্দেশে রওনা দেন মেদভেদেভ। ওবামাও জি-৮ সম্মেলনে অংশ নেবেন।
ওবামা জানান, অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে রাশিয়া আবার মার্কিন পোলট্রি-সামগ্রী আমদানি করতে রাজি হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) রাশিয়ার অন্তর্ভুক্তিতে সমর্থনের অঙ্গীকার করেছে।
রুশ-মার্কিন দুই নেতাই সম্পর্ক উন্নয়নের কথা বারবার উল্লেখ করেন। এ সময় ওবামা বলেন, সাবেক মার্কিন সরকারের সময় এ সম্পর্ক কিছুটা শিথিল হয়ে গিয়েছিল।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম হোয়াইট হাউসে গেলেন মেদভেদেভ। এর আগে এপ্রিলে ৪৭ দেশের পরমাণু অস্ত্রবিষয়ক সম্মেলনে অংশ নিতে ওয়াশিংটন সফর করেছিলেন তিনি।
হোয়াইট হাউসে বৈঠকের পর সারা দিনের ব্যস্ত কর্মসূচির অংশ হিসেবে যৌথ সংবাদ সম্মেলন ও যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া ব্যবসায়িক পরিষদের বৈঠকেও যোগ দেন দুই নেতা। হোয়াইট হাউসে বৈঠকের পর দুই প্রেসিডেন্ট একই গাড়িতে চড়ে ভার্জিনিয়া শহরতলির জনপ্রিয় একটি ফাস্টফুডের দোকানে বার্গার খেতে যান। এভাবে প্রটোকল শিথিল করে এক গাড়িতে চড়ে সাধারণ রেস্তোরাঁয় বার্গার খেতে যাওয়াকে পর্যবেক্ষকেরা সম্পর্ক সহজ করার একটি উদ্যোগ হিসেবেই দেখছেন।
সফরকালে মার্কিন তথ্যপ্রযুক্তিশিল্পের প্রাণকেন্দ্র ক্যালিফোর্নিয়ার সিলিকন ভ্যালি পরিদর্শন করেন মেদভেদেভ।
ওবামা-মেদভেদেভ বৈঠকে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা, ইরান ও উত্তর কোরিয়ার বিতর্কিত পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা, সন্ত্রাসবাদের হুমকি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্থান পায়। দুই নেতাই বলেন, একুশ শতকে বিশ্ব একটি শক্তিশালী রুশ-মার্কিন সম্পর্ক দেখতে চায়। ওবামা উল্লেখ করেন, আগের সরকারের আমলে দুই দেশের সম্পর্কে কিছুটা টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছিল।
সংবাদ সম্মেলনে ওবামা বলেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) রাশিয়ার অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে সমর্থন জানাবে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি তিনি ঘোষণা করেন, রাশিয়া পোলট্রি-পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে। ছয় মাস আগে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেশটি।
ওবামা সাংবাদিকদের আরও বলেন, ‘আমাদের দেশ এবং বিশ্ব আরও বেশি নিরাপদ হবে, যদি রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে এগিয়ে চলে।’ তবে দুই দেশের মধ্যে বেশ কিছু বিষয়ে মতানৈক্য রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এর মধ্যে একটি বিষয় হচ্ছে জর্জিয়ার সংকট।
অন্যদিকে স্থিতিশীল আফগানিস্তান গঠনের মার্কিন লক্ষ্যে সমর্থন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন মেদভেদেভ।
জাতিগত দাঙ্গাকবলিত কিরগিজস্তানে মানবিক সহায়তা পাঠানোর ব্যাপারে একমত হন ওবামা ও মেদভেদেভ। আশঙ্কা প্রকাশ করে মেদভেদেভ বলেন, কিরগিজস্তানের পরিস্থিতি এখনো নাজুক। সেখানকার কট্টরপন্থীরা আবারও সহিংসতায় জড়িয়ে পড়তে পারে।
ওবামা রাশিয়ায় আরও বেশি মার্কিনপণ্য রপ্তানির সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। অন্যদিকে মেদভেদেভ রাশিয়ায় আরও বেশি মার্কিন বিনিয়োগের আহ্বান জানান। বিশেষ করে, রাশিয়ার তথ্যপ্রযুক্তি খাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
উন্নত দেশগুলোর জোট জি-৮-এর সম্মেলনে যোগ দিতে বৃহস্পতিবারই কানাডার উদ্দেশে রওনা দেন মেদভেদেভ। ওবামাও জি-৮ সম্মেলনে অংশ নেবেন।
No comments