জার্মানি-ইংল্যান্ড ‘ফাইনাল’ কাল
১১ জুলাই বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন? তর সইছে না? ফাইনালের মহারণের জন্য প্রতিটি পল-অনুপল আপনার জন্য একেকটি প্রলম্বিত প্রহর হয়ে আসছে? অপেক্ষার কী দরকার! কালকেই দেখে ফেলুন না ফাইনাল!
না, বিশ্বকাপের সূচিতে রদবদল করে ফাইনালটা আগেই নিয়ে আসা হয়নি। তবে কিনা কাল দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে যখন মুখোমুখি হওয়া দল দুটোর নাম জার্মানি আর ইংল্যান্ড; সেটিকে ফাইনাল বলাই বরং ভালো!
দুই দলের লড়াইয়ের ইতিহাসটা অনেক পুরোনো। এই দীর্ঘ পথে এখানে-ওখানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে স্নায়ুক্ষরা অসংখ্য লড়াইয়ের ইতিহাস। বিশ্বকাপেই যেমন এই দুই দল যে চারটি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে, তার দুটিরই ফল নির্ধারিত হয়েছে অতিরিক্ত সময়ে, আরেকটি ম্যাচ নিষ্পত্তি হয়েছে টাইব্রেকে।
আগামীকাল ব্লুমফন্টেইনে এমনই আরও একটা ধ্রুপদী লড়াই-ই কি দেখবে সবাই? জার্মান অধিনায়ক ফিলিপ লাম আশাবাদী, ‘ইংল্যান্ডের সঙ্গে লড়াই মানেই একটা ক্লাসিক ম্যাচ। এই ম্যাচ ঘিরে প্রত্যাশার পারদ সব সময়ই উঁচুতে থাকে। আমরা ম্যাচটা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। তবে আমরা এও জানি, ভালো করতে চাইলে আমাদের অবশ্যই নিজেদের খেলার মান আরও বাড়াতে হবে।’
এই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মুখোমুখি হওয়ার আগে চলে কথার লড়াই। লামের কথাবার্তায় অবশ্য কূটনৈতিক সুর। জার্মান অধিনায়ককে আসলে তোপটোপ দাগাতে হচ্ছে না। বাকিরাই যে তাঁর হয়ে কাজটি করে দিচ্ছেন!
ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার সেই কবেই ‘ইংলিশদের খেলা সেই প্রাগৈতিহাসিক যুগে ফিরে গেছে’ মন্তব্য করে উসকে দিয়েছিলেন। এরপর পাল্টা জবাব এসেছে। মাঝখানে বেকেনবাওয়ার আবারও খোঁটা দিয়েছেন এই বলে, ইংলিশদের ভুলের কারণেই সেমিফাইনালে যে ম্যাচ হওয়ার কথা সেটি হচ্ছে দ্বিতীয় রাউন্ডে। ‘ক্লান্ত’ ইংলিশ ফুটবলাররা ম্যাচটা জমাতে পারবে কি না, এ নিয়েও সংশয় দেখিয়েছেন ‘কাইজার’।
ইটের জবাব অবশ্য পাটকেলে আসেনি। বেকেনবাওয়ারের মাপের একজনকে জার্মেইন ডিফোর মতো একজনের পাল্টা জবাব দেওয়া হয়তো শোভা পায় না। ভদ্রতার খোলসে এই ইংলিশ স্ট্রাইকার জবাব দিলেন, ‘সব সময়ই সবাই আপনার প্রশংসা করবে, এমনটা আশা করা বাড়াবাড়ি। তবে আমার কিন্তু নিজেকে মোটেও ক্লান্ত লাগছে না। শরীর দেখভাল করার উপায় জানলে সেটা লাগারও কথা নয়।’
আগের ম্যাচে গোল করা ডিফো এই ম্যাচে জার্মানদের জন্য হুমকি। ইংলিশদের জন্যও হুমকি গত ম্যাচে গোল করা মেসুত ওজিল। জুজুর ভয় দেখাতে জার্মানরা ‘মেসুত’ নামটা ঘষেমেজে বলছে ‘মেসি’! ইংলিশদের আবার অন্য কোনো খেলোয়াড়ের নাম ধার করতে হচ্ছে না। তাঁদের তো ওয়েইন রুনি আছে। ক্লাব ফুটবলে দুর্দান্ত একটা মৌসুম কাটিয়ে বিশ্বকাপে আসা রুনি অবশ্য এখন পর্যন্ত নিজের ছায়া হয়েই আছেন। ইংলিশদের দাবি, এটাই বরং জার্মানদের জন্য আরও বড় ভয়ের কারণ। মেসি-রোনালদো-কাকারা এরই মধ্যে ঝলক দেখিয়েছেন বলে তাঁর ভেতরে আছে ভালো করার তাড়া। কে জানে, আগামীকাল দিনটা রুনিরই কিনা!
জার্মানরা রুনিকে আসলেই ভয় পাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কোনো লুকোছাপাও নেই। দলের হয়ে সেন্টারব্যাক আরনে ফ্রেডরিখ খোলাখুলিই সেটা স্বীকার করে নিয়েছেন? নাকি এও একটা জার্মান কৌশল। রুনির ওপর আরও মণ কয়েক প্রত্যাশার বোঝা চাপিয়ে দেওয়া। এরই মধ্যে ‘ইংল্যান্ড ফেবারিট’ কোরাস তুলে যেমন ক্যাপেলোর দলকে চাপে ফেলার কৌশল নিয়েছে তারা।
কথা এবং মনস্তাত্ত্বিক লড়াই যে জমে উঠেছে সেটি আর না বললেও চলে। এবার মাঠের খেলাটাও জমে উঠল বলে!
না, বিশ্বকাপের সূচিতে রদবদল করে ফাইনালটা আগেই নিয়ে আসা হয়নি। তবে কিনা কাল দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে যখন মুখোমুখি হওয়া দল দুটোর নাম জার্মানি আর ইংল্যান্ড; সেটিকে ফাইনাল বলাই বরং ভালো!
দুই দলের লড়াইয়ের ইতিহাসটা অনেক পুরোনো। এই দীর্ঘ পথে এখানে-ওখানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে স্নায়ুক্ষরা অসংখ্য লড়াইয়ের ইতিহাস। বিশ্বকাপেই যেমন এই দুই দল যে চারটি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে, তার দুটিরই ফল নির্ধারিত হয়েছে অতিরিক্ত সময়ে, আরেকটি ম্যাচ নিষ্পত্তি হয়েছে টাইব্রেকে।
আগামীকাল ব্লুমফন্টেইনে এমনই আরও একটা ধ্রুপদী লড়াই-ই কি দেখবে সবাই? জার্মান অধিনায়ক ফিলিপ লাম আশাবাদী, ‘ইংল্যান্ডের সঙ্গে লড়াই মানেই একটা ক্লাসিক ম্যাচ। এই ম্যাচ ঘিরে প্রত্যাশার পারদ সব সময়ই উঁচুতে থাকে। আমরা ম্যাচটা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। তবে আমরা এও জানি, ভালো করতে চাইলে আমাদের অবশ্যই নিজেদের খেলার মান আরও বাড়াতে হবে।’
এই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মুখোমুখি হওয়ার আগে চলে কথার লড়াই। লামের কথাবার্তায় অবশ্য কূটনৈতিক সুর। জার্মান অধিনায়ককে আসলে তোপটোপ দাগাতে হচ্ছে না। বাকিরাই যে তাঁর হয়ে কাজটি করে দিচ্ছেন!
ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার সেই কবেই ‘ইংলিশদের খেলা সেই প্রাগৈতিহাসিক যুগে ফিরে গেছে’ মন্তব্য করে উসকে দিয়েছিলেন। এরপর পাল্টা জবাব এসেছে। মাঝখানে বেকেনবাওয়ার আবারও খোঁটা দিয়েছেন এই বলে, ইংলিশদের ভুলের কারণেই সেমিফাইনালে যে ম্যাচ হওয়ার কথা সেটি হচ্ছে দ্বিতীয় রাউন্ডে। ‘ক্লান্ত’ ইংলিশ ফুটবলাররা ম্যাচটা জমাতে পারবে কি না, এ নিয়েও সংশয় দেখিয়েছেন ‘কাইজার’।
ইটের জবাব অবশ্য পাটকেলে আসেনি। বেকেনবাওয়ারের মাপের একজনকে জার্মেইন ডিফোর মতো একজনের পাল্টা জবাব দেওয়া হয়তো শোভা পায় না। ভদ্রতার খোলসে এই ইংলিশ স্ট্রাইকার জবাব দিলেন, ‘সব সময়ই সবাই আপনার প্রশংসা করবে, এমনটা আশা করা বাড়াবাড়ি। তবে আমার কিন্তু নিজেকে মোটেও ক্লান্ত লাগছে না। শরীর দেখভাল করার উপায় জানলে সেটা লাগারও কথা নয়।’
আগের ম্যাচে গোল করা ডিফো এই ম্যাচে জার্মানদের জন্য হুমকি। ইংলিশদের জন্যও হুমকি গত ম্যাচে গোল করা মেসুত ওজিল। জুজুর ভয় দেখাতে জার্মানরা ‘মেসুত’ নামটা ঘষেমেজে বলছে ‘মেসি’! ইংলিশদের আবার অন্য কোনো খেলোয়াড়ের নাম ধার করতে হচ্ছে না। তাঁদের তো ওয়েইন রুনি আছে। ক্লাব ফুটবলে দুর্দান্ত একটা মৌসুম কাটিয়ে বিশ্বকাপে আসা রুনি অবশ্য এখন পর্যন্ত নিজের ছায়া হয়েই আছেন। ইংলিশদের দাবি, এটাই বরং জার্মানদের জন্য আরও বড় ভয়ের কারণ। মেসি-রোনালদো-কাকারা এরই মধ্যে ঝলক দেখিয়েছেন বলে তাঁর ভেতরে আছে ভালো করার তাড়া। কে জানে, আগামীকাল দিনটা রুনিরই কিনা!
জার্মানরা রুনিকে আসলেই ভয় পাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কোনো লুকোছাপাও নেই। দলের হয়ে সেন্টারব্যাক আরনে ফ্রেডরিখ খোলাখুলিই সেটা স্বীকার করে নিয়েছেন? নাকি এও একটা জার্মান কৌশল। রুনির ওপর আরও মণ কয়েক প্রত্যাশার বোঝা চাপিয়ে দেওয়া। এরই মধ্যে ‘ইংল্যান্ড ফেবারিট’ কোরাস তুলে যেমন ক্যাপেলোর দলকে চাপে ফেলার কৌশল নিয়েছে তারা।
কথা এবং মনস্তাত্ত্বিক লড়াই যে জমে উঠেছে সেটি আর না বললেও চলে। এবার মাঠের খেলাটাও জমে উঠল বলে!
No comments