একজন তরুণ চিকিৎসককে বাঁচান -মানুষ মানুষের জন্য by শুভাগত চৌধুরী
মনটা খারাপ হয়ে গেল। আমার একজন ছাত্র, চিকিৎসক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে চলেছে, তার বড় ভাই মো. ফজলে রাব্বী, তিনিও চিকিৎসক, ভয়ানক অসুস্থ। ক্রমে ক্রমে একদিন কখন যে তাঁর বড় ভাইয়ের লিভার নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে, ভালো করে বুঝতেও পারিনি। বারডেমে আমার ল্যাবে টেস্ট করানোর জন্য এসেছিল তাঁর বড় ভাইয়ের, রক্তের নমুনা আনা হলো, টেস্ট করা হলো, ফলাফল বড় উদ্বেগের ব্যাপার হয়ে দাঁড়াল। এর আগে চিকিৎসা হয়েছে ঢাকার বাইরে, এখন চিকিৎসা চলছে ঢাকার শ্রেষ্ঠ একটি প্রতিষ্ঠানে। সেখানকার চিকিৎসকেরা বলে দিয়েছেন, লিভারের যে অবস্থা, ট্রান্সপ্লান্ট করানো ছাড়া উপায় নেই। দেশে এখন ট্রান্সপ্লান্ট শুরু হয়নি, তাই ভারতের শ্রীগঙ্গারাম হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে তাঁকে।
কিন্তু এত টাকা কোথায় পাবে তারা। আমার যে ছাত্র চিকিৎসক, তার অর্থবিত্ত এত নেই, মাত্র পেশাগত জীবনের শুরু, আর তার চিকিৎসক ভাইয়ের সংগতি আরও কম। শিশুরোগ বিদ্যায় কনসালট্যান্ট হিসেবে প্রত্যন্ত স্থানে তাঁর পোস্টিং হয়েছিল। কয়েক মাস খুব কষ্ট গেছে শরীর ও মনে। এবার শিশুরোগ পেশা ছেড়ে দিয়ে তিনি মৌলিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর শিক্ষা নিচ্ছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। একদিন প্রবল জ্বর। জন্ডিস। বিলিরুবিন বেড়ে ৩৬। খুব দুর্বল ও কাহিল শরীর। মৃতপ্রায় অবস্থা। ঢাকায় নিয়ে আসা হলো। লিভারের কাজকর্ম ক্রমেই নিঃশেষ হয়ে আসছিল। বড় হাসপাতালে ভর্তি হলেন। এরপর চিকিৎসাও হলো, বড় বড় চিকিৎসকও দেখলেন। উন্নতি হলো না। অন্যান্য টেস্টের ফলাফল দুর্যোগের মুখোমুখি করেছে শরীরকে। আর এবার তো যেতে হবে বাইরে। চিকিৎসকেরা বললেন, ট্রান্সপ্লান্ট ছাড়া বাঁচার পথ নেই। বাঁচাতে হবে ভাইকে। কিন্তু অনেক টাকা। চিকিৎসক ভাই একা তো পারবে না। আমার ছাত্রটি বলল, ‘স্যার, আপনি কি একটু লিখবেন? কেউ যদি আমাদের ওর জীবন বাঁচাতে সাহায্য করে, বড় কৃতজ্ঞ থাকব আমরা। এত অর্থ কোথায় পাব, স্যার?’ বললাম, লিখব। জানি এমন মানুষ আছে যারা বিপন্ন মানুষের জন্য এগিয়ে আসে। এমন উপকারী মানুষ এ দেশে অনেক আছে। কেউ এমন ইচ্ছা প্রকাশ করলে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, শান্তিনগর শাখা, অ্যাকাউন্ট নম্বর ১০৮.১০১.২৭১৯৮১ হিসাবে অর্থসাহায্য জমা করতে পারেন। এটুকু সহানুভূতি মানুষ নিশ্চয়ই পেতে পারে। বিষণ্ন, ম্লান মুখে যদি একদিন হাসির ঝিলিক দেখা যেতে পারে এ জন্য...।
শুভাগত চৌধুরী: পরিচালক, ল্যাবরেটরি সার্ভিসেস, বারডেম; অধ্যাপক, ইব্রাহিম মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ।
কিন্তু এত টাকা কোথায় পাবে তারা। আমার যে ছাত্র চিকিৎসক, তার অর্থবিত্ত এত নেই, মাত্র পেশাগত জীবনের শুরু, আর তার চিকিৎসক ভাইয়ের সংগতি আরও কম। শিশুরোগ বিদ্যায় কনসালট্যান্ট হিসেবে প্রত্যন্ত স্থানে তাঁর পোস্টিং হয়েছিল। কয়েক মাস খুব কষ্ট গেছে শরীর ও মনে। এবার শিশুরোগ পেশা ছেড়ে দিয়ে তিনি মৌলিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর শিক্ষা নিচ্ছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। একদিন প্রবল জ্বর। জন্ডিস। বিলিরুবিন বেড়ে ৩৬। খুব দুর্বল ও কাহিল শরীর। মৃতপ্রায় অবস্থা। ঢাকায় নিয়ে আসা হলো। লিভারের কাজকর্ম ক্রমেই নিঃশেষ হয়ে আসছিল। বড় হাসপাতালে ভর্তি হলেন। এরপর চিকিৎসাও হলো, বড় বড় চিকিৎসকও দেখলেন। উন্নতি হলো না। অন্যান্য টেস্টের ফলাফল দুর্যোগের মুখোমুখি করেছে শরীরকে। আর এবার তো যেতে হবে বাইরে। চিকিৎসকেরা বললেন, ট্রান্সপ্লান্ট ছাড়া বাঁচার পথ নেই। বাঁচাতে হবে ভাইকে। কিন্তু অনেক টাকা। চিকিৎসক ভাই একা তো পারবে না। আমার ছাত্রটি বলল, ‘স্যার, আপনি কি একটু লিখবেন? কেউ যদি আমাদের ওর জীবন বাঁচাতে সাহায্য করে, বড় কৃতজ্ঞ থাকব আমরা। এত অর্থ কোথায় পাব, স্যার?’ বললাম, লিখব। জানি এমন মানুষ আছে যারা বিপন্ন মানুষের জন্য এগিয়ে আসে। এমন উপকারী মানুষ এ দেশে অনেক আছে। কেউ এমন ইচ্ছা প্রকাশ করলে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, শান্তিনগর শাখা, অ্যাকাউন্ট নম্বর ১০৮.১০১.২৭১৯৮১ হিসাবে অর্থসাহায্য জমা করতে পারেন। এটুকু সহানুভূতি মানুষ নিশ্চয়ই পেতে পারে। বিষণ্ন, ম্লান মুখে যদি একদিন হাসির ঝিলিক দেখা যেতে পারে এ জন্য...।
শুভাগত চৌধুরী: পরিচালক, ল্যাবরেটরি সার্ভিসেস, বারডেম; অধ্যাপক, ইব্রাহিম মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ।
No comments