যশোরে যুবলীগের কর্মী খুন
মাত্র এক মাস আগে যশোর জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দলীয় কোন্দলে খুন হন ছাত্রলীগের এক কর্মী। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের দুটি পক্ষের কোন্দলে তখন মুহুর্মুহু গুলি আর বোমাবর্ষণ চলে, শহরজুড়ে সৃষ্টি হয় ত্রাস। আর এবার গুলি করে ও বোমা মেরে হত্যা করা হয়েছে যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত একজনকে। আগের হত্যাকাণ্ডের মতোই এবারও সাংসদ খালেদুর রহমান টিটো ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের মধ্যকার বিরোধের জেরে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ক্ষমতাসীন দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের এমন সহিংস প্রকাশ শুধু সরকার ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জন্যই নয়, জনগণের জন্যও এক অশনিসংকেত।
বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতাসীন হয়েছে আওয়ামী লীগ। দিনবদলের অঙ্গীকার করে ক্ষমতায় এলেও দলের নেতা-কর্মী আর যুবলীগ ও ছাত্রলীগের লাগামহীন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে মনে হচ্ছে, পুরোনো রাজনৈতিক সংস্কৃতির আবর্তেই রয়ে গেছে আওয়ামী লীগ। পুরোনো সেই রাজনীতির ছায়া বারবার দেখা যাচ্ছে দল এবং এর সহযোগীদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বেও। এসব দ্বন্দ্বের কেন্দ্রে আদর্শের লেশমাত্র নেই, আছে কেবল ক্ষমতা ও প্রভাব-প্রতিপত্তি নিশ্চিত করার আকাঙ্ক্ষা।
ব্যক্তি ও গোষ্ঠীস্বার্থের যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি দেশে কায়েম আছে, তা বদলানোর তাগিদ আজ সর্বজনস্বীকৃত। দলীয় সংস্কৃতি ও নেতা-কর্মীদের আচরণ বদলানোর প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে খোদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামও সম্প্রতি বলেছেন, ‘দেশ বদলাতে হবে, তবে তার আগে আওয়ামী লীগকে বদলাতে হবে। আওয়ামী লীগ বদলালেই দেশ বদলে যাবে।’ তিনি আরও বলেছেন, নেতৃত্ব নির্বাচনে আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে আমূল পরিবর্তন আনতে চায়। কিন্তু সেই বদলের লক্ষণ কই? আমাদের হতাশ না হয়ে উপায় থাকে না, যখন দলীয় কোন্দলে হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটে। এই সংস্কৃতি বদলাতে সরকারের বিশেষ তৎপরতা দেখা যায় না, আর প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও সন্ত্রাস, খুন চলতেই থাকে।
কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা নিয়ে কেবল যশোরেই নয়, সারা দেশেই আওয়ামী লীগের ভেতর এ রকম দ্বন্দ্ব আছে। এসবের পেছনে নিজের বা নিজেদের আখের গোছানোর প্রশ্নটিই প্রধান। রাজনীতির এসব বিবাদ যখন যশোরের এই ঘটনার মতো সহিংস হয়ে ওঠে, তখন তা নাগরিক জীবনে অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এ দিকটিই জনগণের জন্য বিশেষ উদ্বেগের। তাই পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আগেই সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের এ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা দরকার।
বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতাসীন হয়েছে আওয়ামী লীগ। দিনবদলের অঙ্গীকার করে ক্ষমতায় এলেও দলের নেতা-কর্মী আর যুবলীগ ও ছাত্রলীগের লাগামহীন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে মনে হচ্ছে, পুরোনো রাজনৈতিক সংস্কৃতির আবর্তেই রয়ে গেছে আওয়ামী লীগ। পুরোনো সেই রাজনীতির ছায়া বারবার দেখা যাচ্ছে দল এবং এর সহযোগীদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বেও। এসব দ্বন্দ্বের কেন্দ্রে আদর্শের লেশমাত্র নেই, আছে কেবল ক্ষমতা ও প্রভাব-প্রতিপত্তি নিশ্চিত করার আকাঙ্ক্ষা।
ব্যক্তি ও গোষ্ঠীস্বার্থের যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি দেশে কায়েম আছে, তা বদলানোর তাগিদ আজ সর্বজনস্বীকৃত। দলীয় সংস্কৃতি ও নেতা-কর্মীদের আচরণ বদলানোর প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে খোদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামও সম্প্রতি বলেছেন, ‘দেশ বদলাতে হবে, তবে তার আগে আওয়ামী লীগকে বদলাতে হবে। আওয়ামী লীগ বদলালেই দেশ বদলে যাবে।’ তিনি আরও বলেছেন, নেতৃত্ব নির্বাচনে আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে আমূল পরিবর্তন আনতে চায়। কিন্তু সেই বদলের লক্ষণ কই? আমাদের হতাশ না হয়ে উপায় থাকে না, যখন দলীয় কোন্দলে হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটে। এই সংস্কৃতি বদলাতে সরকারের বিশেষ তৎপরতা দেখা যায় না, আর প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও সন্ত্রাস, খুন চলতেই থাকে।
কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা নিয়ে কেবল যশোরেই নয়, সারা দেশেই আওয়ামী লীগের ভেতর এ রকম দ্বন্দ্ব আছে। এসবের পেছনে নিজের বা নিজেদের আখের গোছানোর প্রশ্নটিই প্রধান। রাজনীতির এসব বিবাদ যখন যশোরের এই ঘটনার মতো সহিংস হয়ে ওঠে, তখন তা নাগরিক জীবনে অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এ দিকটিই জনগণের জন্য বিশেষ উদ্বেগের। তাই পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আগেই সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের এ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা দরকার।
No comments