ব্যাংককে সেনাবাহিনীর হুমকির মুখে পিছু হটল বিক্ষোভকারীরা
থাইল্যান্ডে সেনাবাহিনীর হুমকির মুখে সাময়িকভাবে পিছু হটেছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা। ব্যাংককের বাণিজ্যিক এলাকায় বিক্ষোভের পরিকল্পনা বাতিল করেছে তারা। ওই এলাকায় বিক্ষোভ করলে কাঁদানে গ্যাস ও সরাসরি গুলি ছোড়া হবে—এমন হুমকির পর গতকাল মঙ্গলবার ওই পরিকল্পনা বাতিল করে বিক্ষোভকারীরা।
ক্ষমাতচ্যুত প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার সমর্থকদের প্রায় চার সপ্তাহ ধরে চলা বিক্ষোভে রাজধানী ব্যাংককের অনেক এলাকায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তারা জোর করে বিভিন্ন বিপণিবিতান বন্ধ রাখতে ব্যবসায়ীদের বাধ্য করছে। বিক্ষোভের কারণে দেশটিতে পর্যটক কমে গেছে। সব মিলিয়ে বড় ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়েছে দেশটি।
সেনাবাহিনীও বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল সানসার্ন কায়েকুমনার্ড বলেন, ‘বাণিজ্যিক এলাকায় বিক্ষোভ করতে গেলে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাদের ঠেকাতে প্রথমে কাঁদানে গ্যাস ছুড়বে। এতে ঠেকানো না গেলে চূড়ান্ত পদক্ষেপ হিসেবে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হবে।’ ১০ এপ্রিলের সহিংসতার কথা উল্লেখ করে এর জন্য দায়ী রাজনৈতিক দুই পক্ষকে ‘সন্ত্রাসী’ বলে আখ্যা দেন সানসার্ন। সেনাপ্রধান অনুপং পাওজিনতার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভা শেষে বেরিয়ে সানসার্ন বলেন, গোয়েন্দাদের কাছ থেকে আমরা খবর পেয়েছি সন্ত্রাসীরা অস্ত্র, হাতবোমা ও অ্যাসিড নিয়ে প্রস্তুতি নিয়েছে।
জাতীয় নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত উপপ্রধানমন্ত্রী সুথেপ থাউগসুবান বিক্ষোভ ঠেকাতে ব্যাংককের বিভিন্ন স্থানে নিয়োজিত সেনাদের নিজেদের নিরাপত্তায় প্রয়োজনে গুলি করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, যেকোনো পরিস্থিতিতে সরকার প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেবে। দেশের সম্পদ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমাতে খুব সতর্কভাবে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বিক্ষোভকারীদের নেতা নাট্টাওট সাইকুয়ার বলেন, বিক্ষোভকারীরা বাণিজ্যিক এলাকা সিলমে বিক্ষোভ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিক্ষোভ ঠেকাতে সরকার ওই এলাকায় হাজার হাজার সশস্ত্র সেনা মোতায়েন করেছে। তারা সব সড়ক দখল করে রেখেছে। আমরা বিক্ষোভ কর্মসূচির জন্য আপাতত কোনো বিকল্প পরিকল্পনাও করছি না। নাট্টাওট আরও বলেন, বড় ধরনের বিক্ষোভে যেতে হলে আমাদের শক্তি অর্জন করতে হবে। কারণ, ওই পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী আমাদের ওপর আক্রমণ চালাবে।
সোমবার রাতে এক টেলিভিশন ভাষণে প্রধানমন্ত্রী অভিজিৎ ভেজ্জাজিভা বলেন, সরকার ও দেশের জনগণ যত দ্রুত সম্ভব এই বিক্ষোভের অবসান চায়। সরকার বিক্ষোভে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমানোর চেষ্টা করছে।
ব্যাংককে প্রায় চার সপ্তাহ ধরে চলা বিক্ষোভে এ পর্যন্ত ২৫ জন নিহত ও ৮০০ জন আহত হয়েছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন ২০০৬ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন। সম্প্রতি দেশটির সর্বোচ্চ আদালত থাকসিন সিনাওয়াত্রার ১৪০ কোটি ডলারের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর সমর্থকেরা পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে।
ক্ষমাতচ্যুত প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার সমর্থকদের প্রায় চার সপ্তাহ ধরে চলা বিক্ষোভে রাজধানী ব্যাংককের অনেক এলাকায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তারা জোর করে বিভিন্ন বিপণিবিতান বন্ধ রাখতে ব্যবসায়ীদের বাধ্য করছে। বিক্ষোভের কারণে দেশটিতে পর্যটক কমে গেছে। সব মিলিয়ে বড় ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়েছে দেশটি।
সেনাবাহিনীও বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল সানসার্ন কায়েকুমনার্ড বলেন, ‘বাণিজ্যিক এলাকায় বিক্ষোভ করতে গেলে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাদের ঠেকাতে প্রথমে কাঁদানে গ্যাস ছুড়বে। এতে ঠেকানো না গেলে চূড়ান্ত পদক্ষেপ হিসেবে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হবে।’ ১০ এপ্রিলের সহিংসতার কথা উল্লেখ করে এর জন্য দায়ী রাজনৈতিক দুই পক্ষকে ‘সন্ত্রাসী’ বলে আখ্যা দেন সানসার্ন। সেনাপ্রধান অনুপং পাওজিনতার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভা শেষে বেরিয়ে সানসার্ন বলেন, গোয়েন্দাদের কাছ থেকে আমরা খবর পেয়েছি সন্ত্রাসীরা অস্ত্র, হাতবোমা ও অ্যাসিড নিয়ে প্রস্তুতি নিয়েছে।
জাতীয় নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত উপপ্রধানমন্ত্রী সুথেপ থাউগসুবান বিক্ষোভ ঠেকাতে ব্যাংককের বিভিন্ন স্থানে নিয়োজিত সেনাদের নিজেদের নিরাপত্তায় প্রয়োজনে গুলি করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, যেকোনো পরিস্থিতিতে সরকার প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেবে। দেশের সম্পদ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমাতে খুব সতর্কভাবে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বিক্ষোভকারীদের নেতা নাট্টাওট সাইকুয়ার বলেন, বিক্ষোভকারীরা বাণিজ্যিক এলাকা সিলমে বিক্ষোভ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিক্ষোভ ঠেকাতে সরকার ওই এলাকায় হাজার হাজার সশস্ত্র সেনা মোতায়েন করেছে। তারা সব সড়ক দখল করে রেখেছে। আমরা বিক্ষোভ কর্মসূচির জন্য আপাতত কোনো বিকল্প পরিকল্পনাও করছি না। নাট্টাওট আরও বলেন, বড় ধরনের বিক্ষোভে যেতে হলে আমাদের শক্তি অর্জন করতে হবে। কারণ, ওই পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী আমাদের ওপর আক্রমণ চালাবে।
সোমবার রাতে এক টেলিভিশন ভাষণে প্রধানমন্ত্রী অভিজিৎ ভেজ্জাজিভা বলেন, সরকার ও দেশের জনগণ যত দ্রুত সম্ভব এই বিক্ষোভের অবসান চায়। সরকার বিক্ষোভে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমানোর চেষ্টা করছে।
ব্যাংককে প্রায় চার সপ্তাহ ধরে চলা বিক্ষোভে এ পর্যন্ত ২৫ জন নিহত ও ৮০০ জন আহত হয়েছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন ২০০৬ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন। সম্প্রতি দেশটির সর্বোচ্চ আদালত থাকসিন সিনাওয়াত্রার ১৪০ কোটি ডলারের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর সমর্থকেরা পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে।
No comments