ছোটদের জন্যলিখে মিলল পুরস্কার by তানজিল রিমন
৪ মার্চ, বিকেল সাড়ে তিনটা। কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের দ্বিতীয় তলার সেমিনারকক্ষে আসতে থাকেন দেশের শিশুসাহিত্যিকেরা। তরুণ থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠিত লেখক-কবি-সাহিত্যিকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে কক্ষটি। কারণ, ‘ছোটদের মেলা’ সদ্য শেষ হওয়া অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত বই থেকে কয়েকটি বিভাগে সেরা বই নির্বাচন করেছে। সেরা বইয়ের লেখকদের পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। ‘ছোটদের মেলা’ সংগঠনটি ‘ছোটদের আনন্দময় ভুবন’ স্লোগানকে সামনে রেখে বিভিন্ন সৃজনশীল কাজ করে আসছে। এর মধ্যে প্রতিষ্ঠিত লেখকদের পাশাপাশি ছোটদের বই প্রকাশ, পত্রিকা প্রকাশ, শিশুসাহিত্য চর্চা উল্লেখযোগ্য। ছোটদের মেলার সঙ্গে আমার পরিচয় আজ থেকে কয়েক বছর আগে। তখন আমি দশম শ্রেণীতে পড়ি। ছোটদের মেলা থেকে প্রকাশিত হয়েছিল ছোটদের লেখা ছড়ার বই ছড়াগুলো লিখেছে ছোটরা। এত দিন পর এসে বইটির প্রকাশক ছোটদের মেলার প্রধান আবু হাসান শাহীনের সঙ্গে পরিচিত হলাম। তিনি সেই বইয়ের আরও একজন লেখক উম্মে হাবীবাহ্ নাসরীনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন। আরেক লেখক জাহিদুল হাসান রুমানও এসেছিলেন। কথা হচ্ছিল তাদের সঙ্গে। এরই একপর্যায়ে অনুষ্ঠান শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়। শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন ছোটদের মেলার প্রধান নির্বাহী আবু হাসান শাহীন।
দুই পর্বের অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে শুরু হয় দশ তরুণের বই আলোচনা। এবারের বইমেলায় প্রকাশিত দশজন তরুণ লেখকের বই আলোচনা শুরু হয়। এই পর্বে সভাপতি ছিলেন ছড়াকার ফারুক নওয়াজ। দশ বইয়ের মধ্যে শরীফ উদ্দিন সবুজের লীন হয়ে যায় প্রিয় নগর বইটি এনায়েত রসূল, রুবামা ইয়াসমিন সুইটির একটা সাদা বক পাখি বইটি আহমেদ জসিম, আদিত্য রুপুর ছড়াপুরের রেলগাড়িটা বইটি তপন বাগচী, মালেক মাহমুদের ছড়ার বই ছড়া কই বইটি রহীম শাহ, আবিদ আজমের আমাদের ক্লাসে একটা পরী আছে বইটি মনি হায়দার, সাজ্জাদ হুসাইনের ফুলবাবু ভুলবাবু বইটি নিয়ে জগলুল হায়দার আলোচনা করেন। আলোচনা-সমালোচনায় জমে ওঠে অনুষ্ঠান। এ পর্বে তরুণ লেখকদের উদ্দেশে কথা বলেন ছড়াকার লুত্ফর রহমান রিটন ও আহমাদ মাযহার। প্রথম পর্ব শেষ হয় সভাপতির বক্তব্যের মাধ্যমে। এরপর কবিতা আবৃত্তি করতে মঞ্চে আসেন মনিরুজ্জামান পলাশ। তিনি ফারুক নওয়াজের সত্যি সত্যি মা এবং লুত্ফর রহমান রিটনের খোকার কাছে বাবার চিঠি আবৃত্তি করেন।
এরপর দ্বিতীয় পর্ব পুরস্কার বিতরণ। কিন্তু এই পর্বের সভাপতি দ্বিজেন শর্মা এখনো এসে উপস্থিত হননি। তিনি রাস্তায় যানজটে আটকা পড়েছেন। আসতে দেরি হচ্ছে। এ অবস্থায়ই এই পর্ব শুরু হলো। বিশেষ অতিথি কবি নাসির আহমেদ বলেন, ‘ছোটদের বইগুলো বড়রাও পড়তে পারে। বড়রাও মজা পায়। আমাদের সময় কেউ এভাবে পুরস্কার দেয়নি। এখন দিচ্ছে। এতে তরুণরা উত্সাহ পাবে।’ সাংবাদিক জাহীদ রেজা নূর বলেন, ‘প্রত্যেকটা বড় মানুষের ভেতরেই রয়েছে ছোট মানুষ। তারা একসময় ছোট ছিল। এ জন্য শিশুসাহিত্য সবার জন্যই উপযোগী। তবে পুরস্কার যেন কখনো অযোগ্য ব্যক্তির কাছে না যায়। যোগ্য ব্যক্তি পুরস্কার পেলে তাতে আনন্দ অনেক বেশি থাকে।’ এ ছাড়া বক্তব্য রাখেন কবি সিরাজুল ফরিদ, মোস্তফা হোসাইন প্রমুখ। বক্তব্য শুরু হতে হতেই অবশ্য চলে এসেছেন অনুষ্ঠানের সভাপতি প্রকৃতিবিজ্ঞানী দ্বিজেন শর্মা।
এরপর সেরা বইয়ের লেখকদের হাতে অতিথিরা তুলে দেন পুরস্কার। চারটি ক্যাটাগরিতে মোট পনেরটি পুরস্কার জয়ীরা হলেন—প্রতিষ্ঠিত লেখক ক্যাটাগরিতে উপন্যাসে সেলিনা হোসেন, গল্পে ইমদাদুল হক মিলন, ছড়ায় মাহমুদউল্লাহ, রূপকথায় আমীরুল ইসলাম, মুক্তিযুদ্ধে শরীফ খান, প্রবন্ধে খন্দকার মাহমুদুল হাসান, গোয়েন্দা সাহিত্যে মোস্তফা মামুন, রহস্য সাহিত্যে আহমেদ রিয়াজ। তরুণ লেখক ক্যাটাগরিতে নাসিরুদ্দীন তুসী, কামাল হোসাইন, দেওয়ান আজিজ, আশিক মুস্তফা। প্রথম সেরা বই ক্যাটাগরিতে মিজানুর রহমান মিথুন ও রিফাত কামাল সাইফ এবং সেরা আঁকিয়ে ক্যাটাগরিতে সব্যসাচী হাজরা। পুরস্কার নেওয়ার পাশাপাশি লেখকেরা তাঁদের অনুভূতি জানান। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান তাঁর শৈশবের স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বলেন, ‘তরুণদের সঙ্গে কথা বলতে আমার খুবই ভালো লাগে। তরুণেরা যেন প্রাণসঞ্চার করে। তাঁদের দেখলেই নতুন করে জীবন ফিরে পাই। পাই উচ্ছলতা। তরুণদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য এই পুরস্কার প্রেরণা জোগাবে।’ তিনি বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী ছড়া উত্সব করার ঘোষণা দেন। এই আয়োজনের জন্য তিনি ছোটদের মেলাকে ধন্যবাদ জানান। এরপর সভাপতির বক্তবে প্রকৃতি বিজ্ঞানী ও লেখক দ্বিজেন শর্মা বলেন, ‘যাঁরা শৈশব স্মৃতিকে অবিকল ধারণ করতে পারেন তাঁরাই শিশুসাহিত্যিক হতে পারেন। আর যাঁরা তরুণ সাহিত্যিক তাঁদের দেখলে আমি সব সময়ই আকৃষ্ট হই।’ তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপনী ঘোষণা করেন।
দুই পর্বের অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে শুরু হয় দশ তরুণের বই আলোচনা। এবারের বইমেলায় প্রকাশিত দশজন তরুণ লেখকের বই আলোচনা শুরু হয়। এই পর্বে সভাপতি ছিলেন ছড়াকার ফারুক নওয়াজ। দশ বইয়ের মধ্যে শরীফ উদ্দিন সবুজের লীন হয়ে যায় প্রিয় নগর বইটি এনায়েত রসূল, রুবামা ইয়াসমিন সুইটির একটা সাদা বক পাখি বইটি আহমেদ জসিম, আদিত্য রুপুর ছড়াপুরের রেলগাড়িটা বইটি তপন বাগচী, মালেক মাহমুদের ছড়ার বই ছড়া কই বইটি রহীম শাহ, আবিদ আজমের আমাদের ক্লাসে একটা পরী আছে বইটি মনি হায়দার, সাজ্জাদ হুসাইনের ফুলবাবু ভুলবাবু বইটি নিয়ে জগলুল হায়দার আলোচনা করেন। আলোচনা-সমালোচনায় জমে ওঠে অনুষ্ঠান। এ পর্বে তরুণ লেখকদের উদ্দেশে কথা বলেন ছড়াকার লুত্ফর রহমান রিটন ও আহমাদ মাযহার। প্রথম পর্ব শেষ হয় সভাপতির বক্তব্যের মাধ্যমে। এরপর কবিতা আবৃত্তি করতে মঞ্চে আসেন মনিরুজ্জামান পলাশ। তিনি ফারুক নওয়াজের সত্যি সত্যি মা এবং লুত্ফর রহমান রিটনের খোকার কাছে বাবার চিঠি আবৃত্তি করেন।
এরপর দ্বিতীয় পর্ব পুরস্কার বিতরণ। কিন্তু এই পর্বের সভাপতি দ্বিজেন শর্মা এখনো এসে উপস্থিত হননি। তিনি রাস্তায় যানজটে আটকা পড়েছেন। আসতে দেরি হচ্ছে। এ অবস্থায়ই এই পর্ব শুরু হলো। বিশেষ অতিথি কবি নাসির আহমেদ বলেন, ‘ছোটদের বইগুলো বড়রাও পড়তে পারে। বড়রাও মজা পায়। আমাদের সময় কেউ এভাবে পুরস্কার দেয়নি। এখন দিচ্ছে। এতে তরুণরা উত্সাহ পাবে।’ সাংবাদিক জাহীদ রেজা নূর বলেন, ‘প্রত্যেকটা বড় মানুষের ভেতরেই রয়েছে ছোট মানুষ। তারা একসময় ছোট ছিল। এ জন্য শিশুসাহিত্য সবার জন্যই উপযোগী। তবে পুরস্কার যেন কখনো অযোগ্য ব্যক্তির কাছে না যায়। যোগ্য ব্যক্তি পুরস্কার পেলে তাতে আনন্দ অনেক বেশি থাকে।’ এ ছাড়া বক্তব্য রাখেন কবি সিরাজুল ফরিদ, মোস্তফা হোসাইন প্রমুখ। বক্তব্য শুরু হতে হতেই অবশ্য চলে এসেছেন অনুষ্ঠানের সভাপতি প্রকৃতিবিজ্ঞানী দ্বিজেন শর্মা।
এরপর সেরা বইয়ের লেখকদের হাতে অতিথিরা তুলে দেন পুরস্কার। চারটি ক্যাটাগরিতে মোট পনেরটি পুরস্কার জয়ীরা হলেন—প্রতিষ্ঠিত লেখক ক্যাটাগরিতে উপন্যাসে সেলিনা হোসেন, গল্পে ইমদাদুল হক মিলন, ছড়ায় মাহমুদউল্লাহ, রূপকথায় আমীরুল ইসলাম, মুক্তিযুদ্ধে শরীফ খান, প্রবন্ধে খন্দকার মাহমুদুল হাসান, গোয়েন্দা সাহিত্যে মোস্তফা মামুন, রহস্য সাহিত্যে আহমেদ রিয়াজ। তরুণ লেখক ক্যাটাগরিতে নাসিরুদ্দীন তুসী, কামাল হোসাইন, দেওয়ান আজিজ, আশিক মুস্তফা। প্রথম সেরা বই ক্যাটাগরিতে মিজানুর রহমান মিথুন ও রিফাত কামাল সাইফ এবং সেরা আঁকিয়ে ক্যাটাগরিতে সব্যসাচী হাজরা। পুরস্কার নেওয়ার পাশাপাশি লেখকেরা তাঁদের অনুভূতি জানান। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান তাঁর শৈশবের স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বলেন, ‘তরুণদের সঙ্গে কথা বলতে আমার খুবই ভালো লাগে। তরুণেরা যেন প্রাণসঞ্চার করে। তাঁদের দেখলেই নতুন করে জীবন ফিরে পাই। পাই উচ্ছলতা। তরুণদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য এই পুরস্কার প্রেরণা জোগাবে।’ তিনি বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী ছড়া উত্সব করার ঘোষণা দেন। এই আয়োজনের জন্য তিনি ছোটদের মেলাকে ধন্যবাদ জানান। এরপর সভাপতির বক্তবে প্রকৃতি বিজ্ঞানী ও লেখক দ্বিজেন শর্মা বলেন, ‘যাঁরা শৈশব স্মৃতিকে অবিকল ধারণ করতে পারেন তাঁরাই শিশুসাহিত্যিক হতে পারেন। আর যাঁরা তরুণ সাহিত্যিক তাঁদের দেখলে আমি সব সময়ই আকৃষ্ট হই।’ তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপনী ঘোষণা করেন।
No comments