থানাহাজতে শিশুর নিরাপত্তা -জেনেশুনে পুলিশ আইন ভঙ্গ করছে
কোনো শিশু যখন অপরাধে লিপ্ত হয়, তখন বুঝতে হবে তার অধঃপতনের জন্য সে নিজে যতটা দায়ী, এর চেয়েও বেশি দায়ী সমাজের নানা গলদ ও অব্যবস্থাপনা। শিশুর যখন বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার কথা, তখন তাদের অনেককে জীবিকার সন্ধানে পথে পথে ঘুরতে হয়। এভাবেই সে অপরাধীদের পাল্লায় পড়ে। যে শিশুর নিষ্পাপ থাকার কথা, সে নিষ্পাপ থাকতে পারে না, সমাজ তাকে কলুষিত করে। তাই দেশে শিশুদের জন্য আলাদা আইন রয়েছে। শিশু আইন, ১৯৭৪-এর বিভিন্ন ধারায় অভিযুক্ত শিশুর ব্যাপারে নির্দিষ্ট করণীয় নির্দেশ করা হয়েছে। কিন্তু দেখা গেছে, অনেক ক্ষেত্রে পুলিশ এসব আইনের বাধ্যবাধকতা মেনে চলে না।
শিশু আইন অনুযায়ী, কোনো অভিযোগে শিশুকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে হাজির করতে সমস্যা দেখা দিলে তাকে নিরাপদ স্থানে ও নিরাপদ ব্যক্তির অধীনে রাখতে হবে। কিন্তু প্রথম আলোয় সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন থানা ও আদালতের হাজতে শিশুদের রাখার জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা নেই। ফলে অভিযুক্ত শিশুদের রাখা হয় নারীদের জন্য নির্ধারিত কক্ষে। এতে নারী ও শিশু উভয়েরই ক্ষতি হয়। কারণ অনেক অভিযুক্ত নারী মাদক ব্যবসায় জড়িত। অনেকে দেহপসারিণী। এদের সংস্পর্শে এসে শিশু আরও বেশি অপরাধপ্রবণ হয়ে ওঠে। অন্যদিকে যেহেতু ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত শিশু বলে গণ্য, তাই থানাহাজতে নারীদের সঙ্গে বয়স্ক শিশুদের রাখলে সেখানে অবাঞ্ছিত পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটতে পারে।
ঢাকার নতুন থানাগুলোতে শিশুদের জন্য আলাদা কক্ষ তৈরির কথা বলা হয়। কিন্তু কার্যত সে রকম ব্যবস্থা এখনো নেই। এ অবস্থায় অভিযুক্ত শিশুদের জন্য বিভিন্ন থানায় অভিন্ন নীতি অনুসরণ করা দরকার। আদালত কয়েকটি মামলায় অভিযুক্ত শিশুদের নিজস্ব ইচ্ছা অনুযায়ী থাকতে দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশও দিয়েছেন। প্রয়োজনে মা-বাবার সঙ্গে রাখার ব্যবস্থা করা যায়। ইউরোপ-আমেরিকায় এ ধরনের বিধান রয়েছে।
শিশু ও পূর্ণবয়স্ক অভিযুক্তদের একই মানদণ্ডে বিচার করা উচিত নয়। এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উদ্যোগী হয়ে থানাগুলোকে নির্দেশ প্রদান করতে পারে। পৃথক কক্ষ তৈরি না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত শিশুদের থানাহাজতে না রেখে তাদের অভিভাবক, এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তি বা নির্ভরযোগ্য কোনো প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকতে দেওয়ার ব্যবস্থা করলে তাদের জন্য ভালো হবে।
শিশু আইন অনুযায়ী, কোনো অভিযোগে শিশুকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে হাজির করতে সমস্যা দেখা দিলে তাকে নিরাপদ স্থানে ও নিরাপদ ব্যক্তির অধীনে রাখতে হবে। কিন্তু প্রথম আলোয় সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন থানা ও আদালতের হাজতে শিশুদের রাখার জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা নেই। ফলে অভিযুক্ত শিশুদের রাখা হয় নারীদের জন্য নির্ধারিত কক্ষে। এতে নারী ও শিশু উভয়েরই ক্ষতি হয়। কারণ অনেক অভিযুক্ত নারী মাদক ব্যবসায় জড়িত। অনেকে দেহপসারিণী। এদের সংস্পর্শে এসে শিশু আরও বেশি অপরাধপ্রবণ হয়ে ওঠে। অন্যদিকে যেহেতু ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত শিশু বলে গণ্য, তাই থানাহাজতে নারীদের সঙ্গে বয়স্ক শিশুদের রাখলে সেখানে অবাঞ্ছিত পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটতে পারে।
ঢাকার নতুন থানাগুলোতে শিশুদের জন্য আলাদা কক্ষ তৈরির কথা বলা হয়। কিন্তু কার্যত সে রকম ব্যবস্থা এখনো নেই। এ অবস্থায় অভিযুক্ত শিশুদের জন্য বিভিন্ন থানায় অভিন্ন নীতি অনুসরণ করা দরকার। আদালত কয়েকটি মামলায় অভিযুক্ত শিশুদের নিজস্ব ইচ্ছা অনুযায়ী থাকতে দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশও দিয়েছেন। প্রয়োজনে মা-বাবার সঙ্গে রাখার ব্যবস্থা করা যায়। ইউরোপ-আমেরিকায় এ ধরনের বিধান রয়েছে।
শিশু ও পূর্ণবয়স্ক অভিযুক্তদের একই মানদণ্ডে বিচার করা উচিত নয়। এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উদ্যোগী হয়ে থানাগুলোকে নির্দেশ প্রদান করতে পারে। পৃথক কক্ষ তৈরি না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত শিশুদের থানাহাজতে না রেখে তাদের অভিভাবক, এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তি বা নির্ভরযোগ্য কোনো প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকতে দেওয়ার ব্যবস্থা করলে তাদের জন্য ভালো হবে।
No comments