নারী দিবসেও ভারতে পাস হলো না নারী সংরক্ষণ বিল
৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসের শতবর্ষে ভারতে কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় ইউপিএ সরকার চেয়েছিল ১৩ বছর ধরে ঝুলে থাকা নারী সংরক্ষণ বিল পাস করিয়ে নেওয়া। এই লক্ষ্যে গতকাল সোমবার ভারতের সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় পেশ করা হয় বিলটি। এই বিলে নারীদের জন্য লোকসভা ও রাজ্যসভায় ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণের বিধান রাখা হয়। কিন্তু বিরোধীদের হট্টগোলের কারণে বিলটি আর পাস হয়নি।
গতকাল রাজ্যসভায় বিলটি পেশ করেন ভারতের আইনমন্ত্রী বীরাপ্পা মইলি। ইউপিএ সরকারের লক্ষ্য ছিল রাজ্যসভায় বিলটি পাস হওয়ার পর এই বিল সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভা থেকেও পাস করিয়ে নেওয়া।
ভারতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার সদস্যসংখ্যা ২৩৩। সংরক্ষণ বিল পাস করতে প্রয়োজন দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন। সেই লক্ষ্যে ইউপিএ জোট এই বিলের পক্ষে ১৬৪ জনের সমর্থন জোগাড় করেছিল। বিজেপিও সমর্থন দিয়েছিল এই বিলের পক্ষে। ফলে বিলটি পাসের ব্যাপারে সরকার নিশ্চিত ছিল।
অন্যদিকে লোকসভার ৫৪৪ সদস্যের মধ্যে ইউপিএ জোট এই বিলের পক্ষে সমর্থন পেয়েছিল ৪১০ জনের। এর মধ্যে কংগ্রেস ও এর শরিকদের সমর্থন ছিল ২৪৪, বিজেপি ১১৬ এবং বাম দলের ২০ জনসহ অন্যান্য দলের ৩০ জনের সমর্থন।
কিন্তু মুলায়ম সিং যাদবের সমাজবাদী পার্টি, লালুপ্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দল, মায়াবতীর বহুজন সমাজপার্টি সংখ্যালঘু মুসলিমসহ তপশিলি, অনগ্রসর ও আদিবাসী নারীদের আসন সংরক্ষণের দাবি তুলে বিরোধিতায় নামে। এসব দলের সদস্যরা হট্টগোল শুরু করেন। ফলে আইনমন্ত্রী বীরাপ্পা মইলি বিলটি পেশ করার পর রাজ্যসভা উত্তাল হয়ে ওঠে।
সমাজবাদী পার্টি ও রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সাংসদেরা বারবার রাজ্যসভায় হইচই ও হট্টগোল করেন। তাঁরা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হামিদ আনসারির টেবিল থেকে জোর করে সংরক্ষণ বিলের কপি নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন। এর ফলে বিঘ্নিত হয়ে পড়ে রাজ্যসভার অধিবেশন। চেয়ারম্যান মোট পাঁচবার অধিবেশন মুলতবি করলেও এতে পরিস্থিতি শান্ত হয় না।
একই চিত্র দেখা যায় লোকসভায়ও। সেখানেও এই বিল নিয়ে হইচই হয়। সেখানেও স্পিকার বারবার অধিবেশন মুলতবি করেন। শেষ পর্যন্ত রাজ্যসভার অধিবেশন আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা পর্যন্ত মুলতবি রাখা হয়।
এদিকে ইউপিএ সরকারের এই ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হয়ে সমাজবাদী পার্টির নেতা মুলায়ম সিং যাদব ও রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতা লালুপ্রসাদ যাদব কেন্দ্রীয় ইউপিএ সরকারের ওপর থেকে তাঁদের সমর্থন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
গতকাল এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মুলায়ম সিং যাদব ও লালু প্রসাদ বলেন, আমরা সরাসরি এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করছি না। তবে আমরা চাই, এবং গোটা দেশও চায় এই আসন সংরক্ষণের মূল সুবিধা দেওয়া হোক দেশের সত্যিকারের পিছিয়ে থাকা নারী জনগোষ্ঠীকে।
লালু প্রসাদ বলেন, ‘আমরা সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিচ্ছি এবং এই প্রস্তাবের বিরোধিতা অব্যাহত রাখবো।
এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী দফায় দফায় বৈঠক করেন বিভিন্ন দলের নেতাদের সঙ্গে। পরে ঠিক হয়, আজ মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে বিলটি নিয়ে আলোচনা হবে। এরপর নির্ধারিত হবে এ বিলের ভবিষ্যত্।
গতকাল রাজ্যসভায় বিলটি পেশ করেন ভারতের আইনমন্ত্রী বীরাপ্পা মইলি। ইউপিএ সরকারের লক্ষ্য ছিল রাজ্যসভায় বিলটি পাস হওয়ার পর এই বিল সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভা থেকেও পাস করিয়ে নেওয়া।
ভারতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার সদস্যসংখ্যা ২৩৩। সংরক্ষণ বিল পাস করতে প্রয়োজন দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন। সেই লক্ষ্যে ইউপিএ জোট এই বিলের পক্ষে ১৬৪ জনের সমর্থন জোগাড় করেছিল। বিজেপিও সমর্থন দিয়েছিল এই বিলের পক্ষে। ফলে বিলটি পাসের ব্যাপারে সরকার নিশ্চিত ছিল।
অন্যদিকে লোকসভার ৫৪৪ সদস্যের মধ্যে ইউপিএ জোট এই বিলের পক্ষে সমর্থন পেয়েছিল ৪১০ জনের। এর মধ্যে কংগ্রেস ও এর শরিকদের সমর্থন ছিল ২৪৪, বিজেপি ১১৬ এবং বাম দলের ২০ জনসহ অন্যান্য দলের ৩০ জনের সমর্থন।
কিন্তু মুলায়ম সিং যাদবের সমাজবাদী পার্টি, লালুপ্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দল, মায়াবতীর বহুজন সমাজপার্টি সংখ্যালঘু মুসলিমসহ তপশিলি, অনগ্রসর ও আদিবাসী নারীদের আসন সংরক্ষণের দাবি তুলে বিরোধিতায় নামে। এসব দলের সদস্যরা হট্টগোল শুরু করেন। ফলে আইনমন্ত্রী বীরাপ্পা মইলি বিলটি পেশ করার পর রাজ্যসভা উত্তাল হয়ে ওঠে।
সমাজবাদী পার্টি ও রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সাংসদেরা বারবার রাজ্যসভায় হইচই ও হট্টগোল করেন। তাঁরা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হামিদ আনসারির টেবিল থেকে জোর করে সংরক্ষণ বিলের কপি নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন। এর ফলে বিঘ্নিত হয়ে পড়ে রাজ্যসভার অধিবেশন। চেয়ারম্যান মোট পাঁচবার অধিবেশন মুলতবি করলেও এতে পরিস্থিতি শান্ত হয় না।
একই চিত্র দেখা যায় লোকসভায়ও। সেখানেও এই বিল নিয়ে হইচই হয়। সেখানেও স্পিকার বারবার অধিবেশন মুলতবি করেন। শেষ পর্যন্ত রাজ্যসভার অধিবেশন আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা পর্যন্ত মুলতবি রাখা হয়।
এদিকে ইউপিএ সরকারের এই ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হয়ে সমাজবাদী পার্টির নেতা মুলায়ম সিং যাদব ও রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতা লালুপ্রসাদ যাদব কেন্দ্রীয় ইউপিএ সরকারের ওপর থেকে তাঁদের সমর্থন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
গতকাল এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মুলায়ম সিং যাদব ও লালু প্রসাদ বলেন, আমরা সরাসরি এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করছি না। তবে আমরা চাই, এবং গোটা দেশও চায় এই আসন সংরক্ষণের মূল সুবিধা দেওয়া হোক দেশের সত্যিকারের পিছিয়ে থাকা নারী জনগোষ্ঠীকে।
লালু প্রসাদ বলেন, ‘আমরা সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিচ্ছি এবং এই প্রস্তাবের বিরোধিতা অব্যাহত রাখবো।
এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী দফায় দফায় বৈঠক করেন বিভিন্ন দলের নেতাদের সঙ্গে। পরে ঠিক হয়, আজ মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে বিলটি নিয়ে আলোচনা হবে। এরপর নির্ধারিত হবে এ বিলের ভবিষ্যত্।
No comments