রাজনীতি-সংশ্লিষ্ট বিদেশিদের ব্যাংক হিসাব বিষয়ে সতর্ক হতে হবে
রাজনৈতিক-সংশ্লিষ্টতা আছে এমন বিদেশি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ব্যাংক হিসাব খোলা এবং পরিচালনার ক্ষেত্রে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এসব ব্যক্তির পরিবারের সদস্য ও নিকটজনের, যাঁদের সঙ্গে লেনদেন করলে ব্যাংকের সুনাম ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে, তাঁদের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে।
গতকাল সোমবার জারি করা এক সার্কুলারে বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে এ নির্দেশনা প্রদান করেছে। ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে অবৈধ লেনদেন ও সন্ত্রাসী অর্থায়ন রোধে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০০৯ ও সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর সংশ্লিষ্ট বিধানগুলো পরিপালনে এসব নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।
এতে বলা হয়েছে, রাজনৈতিকভাবে পরিচিত বিদেশি ব্যক্তি (পলিটিক্যালি এক্সপোজড পারসনস) বলতে অন্য কোনো দেশের গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজে নিয়োজিত ছিলেন কিংবা রয়েছেন এমন লোকজনকে বোঝাবে। তাঁদের মধ্যে রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধান, প্রবীণ রাজনীতিবিদ, সরকারি কর্মকর্তা, সামরিক অথবা বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের বড় কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এসব ব্যক্তির হিসাব খোলা ও পরিচালনা-সংক্রান্ত ঝুঁকি শনাক্তকরণের জন্য একটি ঝুঁকি-ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি প্রবর্তন করতে হবে। তাঁদের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থাপনের আগেই প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে। তাঁদের হিসাবে লেনদেন করা অর্থ বা সম্পদের উত্স জানার জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে এবং তাঁদের হিসাবের লেনদেন নিয়মিতভাবে তদারক করতে হবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের নির্দেশনায় অনিবাসীদের হিসাব খোলা ও পরিচালন-সংক্রান্ত যেসব বিধিবিধান রয়েছে, তাও এ ক্ষেত্রে যথারীতি পরিপালন করতে হবে। ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থাপনের পর গ্রাহক রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে পরিগণিত হলে অথবা হিসাবের প্রকৃত সুবিধাভোগী কেউ ওই পর্যায়ের ব্যক্তি হলে সেই হিসাবের ক্ষেত্রেও এসব নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে।
অন্যদিকে কর্মকর্তাদের মাধ্যমে যাতে কোনো ব্যাংক মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়নবিষয়ক ঝুঁকির মুখোমুখি না হয়, সে জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা নিয়োগে যথাযথ বাছাই-প্রক্রিয়া অনুসরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আবার ব্যাংকিং ব্যবস্থা যাতে মানি লন্ডারিংয়ের উদ্দেশ্যে ব্যবহূত হতে না পারে, সে জন্য বিদেশে অবস্থিত কোনো ব্যাংকের সঙ্গে করেসপনডেন্ট ব্যাংকিং সম্পর্ক স্থাপন ও অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রেও কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
করেসপনডেন্ট ব্যাংকিং বলতে এক ব্যাংক কর্তৃক অন্য ব্যাংককে ঋণ, আমানত, আদায়, পরিশোধ বা অনুরূপ অন্য কোনো সেবার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত সেবা প্রদানকে বোঝানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, কোনো ব্যাংক যে দেশে নিবন্ধিত, সে দেশে তার কোনো শাখা বা কার্যক্রম না থাকলে (যা শেল ব্যাংক হিসেবে পরিচিত) ওই ব্যাংকের সঙ্গে কোনো ব্যাংকিং সম্পর্ক স্থাপন করা যাবে না। এমনকি এ ধরনের ব্যাংকের সঙ্গে বিদেশের কোনো করেসপনডেন্ট ব্যাংকের ব্যাংকিং সম্পর্ক থাকলে তার সঙ্গেও করেসপনডেন্ট ব্যাংকিং করা যাবে না।
সার্কুলারের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি প্রশ্নমালা সংযুক্ত করেছে। করেসপনডেন্ট ব্যাংকিং সেবা প্রদানের আগে প্রশ্নমালা অনুযায়ী তথ্য সংগ্রহ করে বিদেশের রেসপনডেন্ট ব্যাংকের ব্যবসা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনার অনুমোদন নিতে হবে।
বিদেশের ব্যাংক যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কার্যকরভাবে তদারক করা হয়—এটা নিশ্চিত হয়েই কেবল কোনো বিদেশি ব্যাংকের সঙ্গে করেসপনডেন্ট সম্পর্ক স্থাপন করা যাবে বা বজায় রাখা যাবে। যেসব দেশ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধের আন্তর্জাতিক মান পূরণ করেনি, তাদের সঙ্গে করেসপনডেন্ট সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
এসব ব্যক্তির পরিবারের সদস্য ও নিকটজনের, যাঁদের সঙ্গে লেনদেন করলে ব্যাংকের সুনাম ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে, তাঁদের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে।
গতকাল সোমবার জারি করা এক সার্কুলারে বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে এ নির্দেশনা প্রদান করেছে। ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে অবৈধ লেনদেন ও সন্ত্রাসী অর্থায়ন রোধে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০০৯ ও সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর সংশ্লিষ্ট বিধানগুলো পরিপালনে এসব নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।
এতে বলা হয়েছে, রাজনৈতিকভাবে পরিচিত বিদেশি ব্যক্তি (পলিটিক্যালি এক্সপোজড পারসনস) বলতে অন্য কোনো দেশের গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজে নিয়োজিত ছিলেন কিংবা রয়েছেন এমন লোকজনকে বোঝাবে। তাঁদের মধ্যে রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধান, প্রবীণ রাজনীতিবিদ, সরকারি কর্মকর্তা, সামরিক অথবা বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের বড় কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এসব ব্যক্তির হিসাব খোলা ও পরিচালনা-সংক্রান্ত ঝুঁকি শনাক্তকরণের জন্য একটি ঝুঁকি-ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি প্রবর্তন করতে হবে। তাঁদের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থাপনের আগেই প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে। তাঁদের হিসাবে লেনদেন করা অর্থ বা সম্পদের উত্স জানার জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে এবং তাঁদের হিসাবের লেনদেন নিয়মিতভাবে তদারক করতে হবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের নির্দেশনায় অনিবাসীদের হিসাব খোলা ও পরিচালন-সংক্রান্ত যেসব বিধিবিধান রয়েছে, তাও এ ক্ষেত্রে যথারীতি পরিপালন করতে হবে। ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থাপনের পর গ্রাহক রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে পরিগণিত হলে অথবা হিসাবের প্রকৃত সুবিধাভোগী কেউ ওই পর্যায়ের ব্যক্তি হলে সেই হিসাবের ক্ষেত্রেও এসব নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে।
অন্যদিকে কর্মকর্তাদের মাধ্যমে যাতে কোনো ব্যাংক মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়নবিষয়ক ঝুঁকির মুখোমুখি না হয়, সে জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা নিয়োগে যথাযথ বাছাই-প্রক্রিয়া অনুসরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আবার ব্যাংকিং ব্যবস্থা যাতে মানি লন্ডারিংয়ের উদ্দেশ্যে ব্যবহূত হতে না পারে, সে জন্য বিদেশে অবস্থিত কোনো ব্যাংকের সঙ্গে করেসপনডেন্ট ব্যাংকিং সম্পর্ক স্থাপন ও অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রেও কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
করেসপনডেন্ট ব্যাংকিং বলতে এক ব্যাংক কর্তৃক অন্য ব্যাংককে ঋণ, আমানত, আদায়, পরিশোধ বা অনুরূপ অন্য কোনো সেবার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত সেবা প্রদানকে বোঝানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, কোনো ব্যাংক যে দেশে নিবন্ধিত, সে দেশে তার কোনো শাখা বা কার্যক্রম না থাকলে (যা শেল ব্যাংক হিসেবে পরিচিত) ওই ব্যাংকের সঙ্গে কোনো ব্যাংকিং সম্পর্ক স্থাপন করা যাবে না। এমনকি এ ধরনের ব্যাংকের সঙ্গে বিদেশের কোনো করেসপনডেন্ট ব্যাংকের ব্যাংকিং সম্পর্ক থাকলে তার সঙ্গেও করেসপনডেন্ট ব্যাংকিং করা যাবে না।
সার্কুলারের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি প্রশ্নমালা সংযুক্ত করেছে। করেসপনডেন্ট ব্যাংকিং সেবা প্রদানের আগে প্রশ্নমালা অনুযায়ী তথ্য সংগ্রহ করে বিদেশের রেসপনডেন্ট ব্যাংকের ব্যবসা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনার অনুমোদন নিতে হবে।
বিদেশের ব্যাংক যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কার্যকরভাবে তদারক করা হয়—এটা নিশ্চিত হয়েই কেবল কোনো বিদেশি ব্যাংকের সঙ্গে করেসপনডেন্ট সম্পর্ক স্থাপন করা যাবে বা বজায় রাখা যাবে। যেসব দেশ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধের আন্তর্জাতিক মান পূরণ করেনি, তাদের সঙ্গে করেসপনডেন্ট সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
No comments