ইরাকের পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী মালিকি এগিয়ে
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাকের পার্লামেন্ট নির্বাচনে গতকাল সোমবার পর্যন্ত প্রাথমিক ভোট গণনার পর এগিয়ে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নূরি আল-মালিকি। ভোটকেন্দ্রগুলো ঘুরে এবং নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। ২০০৩ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনী ইরাকে অভিযান শুরু করার পর গত রোববার দেশটিতে দ্বিতীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হয়।
বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বোমা ও রকেট হামলা সত্ত্বেও রোববার ভোটার উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। ভোটগ্রহণের দিন বাগদাদ, বাকুবা ও ফাল্লুজাসহ দেশের বেশ কয়েকটি শহরে বিদ্রোহীদের হামলায় কমপক্ষে ৩৮ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে ইরাকের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আহত হয়েছে আরও ১১০ জন। ভোটগ্রহণ উপলক্ষে দেশজুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইরাকের ১৮টি প্রদেশের নয়টিতেই এগিয়ে রয়েছেন মালিকি। তবে ফলাফল নির্ধারণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল রাজধানী বাগদাদে কে এগিয়ে রয়েছেন সে সম্পর্কে এখনো পরিষ্কার কোনো চিত্র পাওয়া যায়নি।
কর্মকর্তারা আরও জানান, শিয়া অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোতে মালিকির নেতৃত্বাধীন ‘স্টেট অব ল’ জোট এগিয়ে রয়েছে। আর সুন্নি অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোতে এগিয়ে রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী আইয়াদ আলাবির নেতৃত্বাধীন ‘ইরাকিয়া লিস্ট’ জোট। এ ছাড়া শিয়াপ্রধান দল সুপ্রিম ইরাকি ইসলামিক কাউন্সিল ও শিয়াধর্মীয় নেতা মুকতাদা আল-সদরের অনুসারীদের জোট ‘ইরাকি ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স’ তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। তবে ১৮ মার্চের আগে নির্বাচনের পূর্ণ ফল জানানো সম্ভব হবে না বলে উল্লেখ করেন কর্মকর্তারা।
এদিকে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বোমা ও মর্টার হামলা উপেক্ষা করে ভোট দেওয়ায় ইরাকি ভোটারদের সাধুবাদ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। নির্বাচনের পর প্রথম প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘সহিংসতাকে উপেক্ষা করে যেসব ইরাকি ভোট দিয়েছেন তাঁদের সাহসিকতাকে আমি সম্মান জানাই।’ এ নির্বাচনকে ইরাকের ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। জাতিসংঘও ইরাকি ভোটারদের সাহসিকতার প্রশংসা করেছে। ইরাকে জাতিসংঘের দূত অ্যাড মেলকার্ট বলেন, ‘নির্বাচনী-প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। যথাযথ পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে।’ আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকেরাও ভোটগ্রহণ-প্রক্রিয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
গতকাল ইরাকের নির্বাচন কমিশন আইএইচইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সারা দেশে ৬০ শতাংশের বেশি ভোটার ভোট দিয়েছেন। এর মধ্যে স্বায়ত্তশাসিত উত্তরাঞ্চলীয় কুর্দি অঞ্চলের আরবিল এলাকায় এবং সহিংসতাপূর্ণ কিরকুক প্রদেশে ৭০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। সুন্নি ভোটাররা ২০০৫ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচন বর্জন করলেও এবার তাঁদের যথেষ্ট উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। এবারের নির্বাচনে পার্লামেন্টের ৩২৫টি আসনের বিপরীতে ছয় হাজার ২০০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বোমা ও রকেট হামলা সত্ত্বেও রোববার ভোটার উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। ভোটগ্রহণের দিন বাগদাদ, বাকুবা ও ফাল্লুজাসহ দেশের বেশ কয়েকটি শহরে বিদ্রোহীদের হামলায় কমপক্ষে ৩৮ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে ইরাকের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আহত হয়েছে আরও ১১০ জন। ভোটগ্রহণ উপলক্ষে দেশজুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইরাকের ১৮টি প্রদেশের নয়টিতেই এগিয়ে রয়েছেন মালিকি। তবে ফলাফল নির্ধারণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল রাজধানী বাগদাদে কে এগিয়ে রয়েছেন সে সম্পর্কে এখনো পরিষ্কার কোনো চিত্র পাওয়া যায়নি।
কর্মকর্তারা আরও জানান, শিয়া অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোতে মালিকির নেতৃত্বাধীন ‘স্টেট অব ল’ জোট এগিয়ে রয়েছে। আর সুন্নি অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোতে এগিয়ে রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী আইয়াদ আলাবির নেতৃত্বাধীন ‘ইরাকিয়া লিস্ট’ জোট। এ ছাড়া শিয়াপ্রধান দল সুপ্রিম ইরাকি ইসলামিক কাউন্সিল ও শিয়াধর্মীয় নেতা মুকতাদা আল-সদরের অনুসারীদের জোট ‘ইরাকি ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স’ তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। তবে ১৮ মার্চের আগে নির্বাচনের পূর্ণ ফল জানানো সম্ভব হবে না বলে উল্লেখ করেন কর্মকর্তারা।
এদিকে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বোমা ও মর্টার হামলা উপেক্ষা করে ভোট দেওয়ায় ইরাকি ভোটারদের সাধুবাদ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। নির্বাচনের পর প্রথম প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘সহিংসতাকে উপেক্ষা করে যেসব ইরাকি ভোট দিয়েছেন তাঁদের সাহসিকতাকে আমি সম্মান জানাই।’ এ নির্বাচনকে ইরাকের ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। জাতিসংঘও ইরাকি ভোটারদের সাহসিকতার প্রশংসা করেছে। ইরাকে জাতিসংঘের দূত অ্যাড মেলকার্ট বলেন, ‘নির্বাচনী-প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। যথাযথ পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে।’ আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকেরাও ভোটগ্রহণ-প্রক্রিয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
গতকাল ইরাকের নির্বাচন কমিশন আইএইচইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সারা দেশে ৬০ শতাংশের বেশি ভোটার ভোট দিয়েছেন। এর মধ্যে স্বায়ত্তশাসিত উত্তরাঞ্চলীয় কুর্দি অঞ্চলের আরবিল এলাকায় এবং সহিংসতাপূর্ণ কিরকুক প্রদেশে ৭০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। সুন্নি ভোটাররা ২০০৫ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচন বর্জন করলেও এবার তাঁদের যথেষ্ট উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। এবারের নির্বাচনে পার্লামেন্টের ৩২৫টি আসনের বিপরীতে ছয় হাজার ২০০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
No comments