আর্সেনালের ‘প্রায়শ্চিত্তে’র রাত
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি পোর্তোতে আর্সেনালের রাতটা ছিল আসলে দুঃস্বপ্নের। রক্ষণ-ভুলের কারণে চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম লেগে পোর্তোর কাছে ১-২ গোলে হেরে এসেছে আর্সেন ওয়েঙ্গারের দল। নিজেদের মাঠ এমিরেটসে আর্সেনালের আজ সেই ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করার দিন। শেষ আটে ওঠার লড়াইয়ের দ্বিতীয় পর্বে আজ এমিরেটসে মুখোমুখি হচ্ছে দু দল।
আর্সেনাল যতই প্রায়শ্চিত্তের কথা ভাবুক, লড়াইটা ইউরোপের বলে পোর্তোকে আপনি এগিয়ে না রেখে পারেন না। কারণ ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার শেষ আটে খেলার অভিজ্ঞতা পর্তুগালের এই ক্লাবটিরই বেশি। ইউরোপে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে পোর্তো এ পর্যন্ত শেষ আটে খেলেছে ১৪ বার। আর্সেনাল ১২ বার। চ্যাম্পিয়নস লিগেও এদিক দিয়ে এগিয়ে পোর্তো। চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আটে ৬ বার খেলেছে পোর্তো। আর্সেনাল শেষ আটে খেলেছে ৫ বার।
চ্যাম্পিয়নস লিগে আর্সেনাল-পোর্তোর মুখোমুখি লড়াইয়ের পরিসংখ্যানটা অবশ্য ‘কেহ কারে নাহি ছাড়ে সমানে সমান’। এ পর্যন্ত পাঁচবার সাক্ষাতে দুবার জিতেছে আর্সেনাল, দুবার পোর্তো। ড্র হয়েছে বাকি ম্যাচটি। নকআউট পর্বে অবশ্য একবারই মুখোমুখি হয়েছে পোর্তো-আর্সেনাল। সর্বশেষ সেই ম্যাচে ২-১ গোলে জিতে আজকের লড়াইয়ে মানসিকভাবে এগিয়ে আছে পোর্তো।
আর্সেনাল দল অবশ্য এসব পরিসংখ্যান নিয়ে ভাবছে না। ‘গানার’রা অনুপ্রেরণা খুঁজছে অন্য দুটি দিক থেকে—আজকের ম্যাচটি হচ্ছে এমিরেটসে, যে মাঠে ইউরোপীয় প্রতিযোগিতার সর্বশেষ ৩২টি ম্যাচের মাত্র একটিতেই হেরেছে তারা। তাও আবার ইংল্যান্ডেরই ক্লাব ম্যানইউর কাছে। আর প্রথম লেগে পোর্তো থেকে হেরে এলেও নিয়ে এসেছে একটি অ্যাওয়ে গোল। আর্সেনালের ইংলিশ ডিফেন্ডার সল ক্যাম্পবেল অ্যাওয়ে গোলটিকেই দেখছেন বড় করে, ‘অ্যাওয়ে গোল করে আসাটা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। যদি আমরা ০-১ গোলে হেরে আসতাম, তাহলে কাজটা কঠিন হতো। আর যে গোলটি আমরা পোর্তোতে পেয়েছি, সেটি দ্বিতীয় লেগে আমাদের জন্য বড় সুবিধা হয়ে আসবে।’
তবে একটি ব্যাপার নিয়ে ভাবতেই হচ্ছে আর্সেনাল কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গারকে—ইনজুরি। ওয়েলস মিডফিল্ডার অ্যারন রামসে এবং ফরাসি ডিফেন্ডার উইলিয়াম গালাস চোটের কারণে আগে থেকেই মাঠের বাইরে। বার্নলির বিপক্ষে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সর্বশেষ ম্যাচে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পাওয়া সেস ফ্যাব্রিগাসেরও খেলা হচ্ছে না এ ম্যাচে। স্প্যানিশ প্লে-মেকারকে নিয়ে কোনো ঝুঁকি নিতে চান না আর্সোনাল কোচ ওয়েঙ্গার, ‘ওকে নিয়ে আমরা জুয়া খেলতে পারি না। ফ্যাব্রিগাসকে তাই এ ম্যাচে পাওয়া যাচ্ছে না।’
এসব জুয়া-টুয়ার কথা ভাবার দরকার পড়ছে না বায়ার্ন মিউনিখ কোচ লুই ফন গলের। তাঁর হিসেবটা খুব সোজা। বায়ার্নের নিজের মাঠে খেলা আজ। সঙ্গে বড় প্রেরণা তো প্রথম লেগে ফিওরেন্টিনা থেকে ২-১ গোলের জয় নিয়ে ফেরা। তবে এর পরও সতর্ক বায়ার্ন মিউনিখ কোচ। খেলোয়াড়দের সাবধান করে দিতে বলছেন—ম্যাচটি কিন্তু সহজ হবে না।
বায়ার্নের জন্য ম্যাচটি কঠিন করে তোলার প্রত্যয় ফিওরেন্টিনা খেলোয়াড়দেরও। ‘আমার মনে হচ্ছে এই ম্যাচটা বর্ষসেরাও হয়ে যেতে পারে’—বায়ার্নের বিপক্ষে কেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলবে দল তা জানাতে গিয়ে বলেছেন ফিওরেন্টিনা কোচ সিজার প্রান্দেল্লি।
আর্সেনাল যতই প্রায়শ্চিত্তের কথা ভাবুক, লড়াইটা ইউরোপের বলে পোর্তোকে আপনি এগিয়ে না রেখে পারেন না। কারণ ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার শেষ আটে খেলার অভিজ্ঞতা পর্তুগালের এই ক্লাবটিরই বেশি। ইউরোপে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে পোর্তো এ পর্যন্ত শেষ আটে খেলেছে ১৪ বার। আর্সেনাল ১২ বার। চ্যাম্পিয়নস লিগেও এদিক দিয়ে এগিয়ে পোর্তো। চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আটে ৬ বার খেলেছে পোর্তো। আর্সেনাল শেষ আটে খেলেছে ৫ বার।
চ্যাম্পিয়নস লিগে আর্সেনাল-পোর্তোর মুখোমুখি লড়াইয়ের পরিসংখ্যানটা অবশ্য ‘কেহ কারে নাহি ছাড়ে সমানে সমান’। এ পর্যন্ত পাঁচবার সাক্ষাতে দুবার জিতেছে আর্সেনাল, দুবার পোর্তো। ড্র হয়েছে বাকি ম্যাচটি। নকআউট পর্বে অবশ্য একবারই মুখোমুখি হয়েছে পোর্তো-আর্সেনাল। সর্বশেষ সেই ম্যাচে ২-১ গোলে জিতে আজকের লড়াইয়ে মানসিকভাবে এগিয়ে আছে পোর্তো।
আর্সেনাল দল অবশ্য এসব পরিসংখ্যান নিয়ে ভাবছে না। ‘গানার’রা অনুপ্রেরণা খুঁজছে অন্য দুটি দিক থেকে—আজকের ম্যাচটি হচ্ছে এমিরেটসে, যে মাঠে ইউরোপীয় প্রতিযোগিতার সর্বশেষ ৩২টি ম্যাচের মাত্র একটিতেই হেরেছে তারা। তাও আবার ইংল্যান্ডেরই ক্লাব ম্যানইউর কাছে। আর প্রথম লেগে পোর্তো থেকে হেরে এলেও নিয়ে এসেছে একটি অ্যাওয়ে গোল। আর্সেনালের ইংলিশ ডিফেন্ডার সল ক্যাম্পবেল অ্যাওয়ে গোলটিকেই দেখছেন বড় করে, ‘অ্যাওয়ে গোল করে আসাটা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। যদি আমরা ০-১ গোলে হেরে আসতাম, তাহলে কাজটা কঠিন হতো। আর যে গোলটি আমরা পোর্তোতে পেয়েছি, সেটি দ্বিতীয় লেগে আমাদের জন্য বড় সুবিধা হয়ে আসবে।’
তবে একটি ব্যাপার নিয়ে ভাবতেই হচ্ছে আর্সেনাল কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গারকে—ইনজুরি। ওয়েলস মিডফিল্ডার অ্যারন রামসে এবং ফরাসি ডিফেন্ডার উইলিয়াম গালাস চোটের কারণে আগে থেকেই মাঠের বাইরে। বার্নলির বিপক্ষে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সর্বশেষ ম্যাচে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পাওয়া সেস ফ্যাব্রিগাসেরও খেলা হচ্ছে না এ ম্যাচে। স্প্যানিশ প্লে-মেকারকে নিয়ে কোনো ঝুঁকি নিতে চান না আর্সোনাল কোচ ওয়েঙ্গার, ‘ওকে নিয়ে আমরা জুয়া খেলতে পারি না। ফ্যাব্রিগাসকে তাই এ ম্যাচে পাওয়া যাচ্ছে না।’
এসব জুয়া-টুয়ার কথা ভাবার দরকার পড়ছে না বায়ার্ন মিউনিখ কোচ লুই ফন গলের। তাঁর হিসেবটা খুব সোজা। বায়ার্নের নিজের মাঠে খেলা আজ। সঙ্গে বড় প্রেরণা তো প্রথম লেগে ফিওরেন্টিনা থেকে ২-১ গোলের জয় নিয়ে ফেরা। তবে এর পরও সতর্ক বায়ার্ন মিউনিখ কোচ। খেলোয়াড়দের সাবধান করে দিতে বলছেন—ম্যাচটি কিন্তু সহজ হবে না।
বায়ার্নের জন্য ম্যাচটি কঠিন করে তোলার প্রত্যয় ফিওরেন্টিনা খেলোয়াড়দেরও। ‘আমার মনে হচ্ছে এই ম্যাচটা বর্ষসেরাও হয়ে যেতে পারে’—বায়ার্নের বিপক্ষে কেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলবে দল তা জানাতে গিয়ে বলেছেন ফিওরেন্টিনা কোচ সিজার প্রান্দেল্লি।
No comments