অনিরাপদ পানির কারণে অনেক মানুষ মারা যায়
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন বলেছেন, বিশ্বে প্রতিবছর যুদ্ধসহ সব ধরনের দাঙ্গা-সংঘাতে যত মানুষ মারা যায়, অনিরাপদ পানি পান করে ও পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে তার চেয়ে অনেক বেশি মানুষ মারা যায়। গত সোমবার বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
অন্যদিকে, জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এক প্রতিবেদনে বলেছে, পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার মোট জনসংখ্যার ৩৯ শতাংশ, অর্থাৎ ওই অঞ্চলের সাড়ে ১৫ কোটি মানুষ তাদের প্রয়োজনমতো পানযোগ্য পানি পায় না। আফ্রিকার এখন সবচেয়ে বড় সমস্যাগুলোর একটি হচ্ছে খাবার পানির অভাব। তাদের হিসাব অনুযায়ী, ১৯৯৯ সালে ওই এলাকায় পানিসংকটে থাকা লোকের সংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৬০ লাখ। ২০০৮ সালে সেই সংখ্যা সাড়ে ১৫ কোটিতে এসে দাঁড়িয়েছে।
বান কি মুন বলেন, পানির অভাবে এই বিপুলসংখ্যক মানুষের মৃত্যুর বিষয়টি মানবতার জন্য চরম অপমানজনক। যেসব উন্নত দেশ আফ্রিকাবাসীর উন্নয়নের জন্য কাজ করছে, তাদের সেই প্রচেষ্টাও এতে খর্ব হয়।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, বিশুদ্ধ পানির অভাব একটি গুরুতর সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। বিশুদ্ধ পানির সরবরাহের ওপর বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা নির্ভর করছে। এটা মানবিক ও জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়। হিলারি বলেন, বিশুদ্ধ পানির অভাব যেভাবে দিন দিন বাড়ছে, তাতে নিকট-ভবিষ্যতে পানিসম্পদ ব্যবহারের সফলতার ওপর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নির্ভরশীল হয়ে পড়বে।
বান কি মুন তাঁর বাণীতে বলেন, ‘বিশ্বের প্রাকৃতিক পানিচক্রের মধ্যে আমরা প্রতিবছর লাখ লাখ টন শিল্পবর্জ্য, রাসায়নিক দ্রব্য ও কৃষিবর্জ্য ফেলছি। এমনিতেই জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশুদ্ধ পানির পরিমাণ কমে এসেছে। তার ওপর কৃত্রিমভাবে পানিদূষণ অব্যাহত থাকলে তা সবাইকে বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলে দেবে।’
বান কি মুন বলেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
ইউনিসেফ জানিয়েছে, আফ্রিকার মোট ৫০টি দেশের মধ্যে মাত্র ছয়টি দেশ খাবার পানির চাহিদা পূরণে সক্ষম।
হিলারি ক্লিনটন বলেন, পূর্ব আফ্রিকার ১০টি দেশ যে নীল নদের ওপর নির্ভরশীল, সেই নীল নদের পানিও কৃত্রিম বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে। এখনই বিশুদ্ধ পানিসম্পদ রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
অন্যদিকে, জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এক প্রতিবেদনে বলেছে, পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার মোট জনসংখ্যার ৩৯ শতাংশ, অর্থাৎ ওই অঞ্চলের সাড়ে ১৫ কোটি মানুষ তাদের প্রয়োজনমতো পানযোগ্য পানি পায় না। আফ্রিকার এখন সবচেয়ে বড় সমস্যাগুলোর একটি হচ্ছে খাবার পানির অভাব। তাদের হিসাব অনুযায়ী, ১৯৯৯ সালে ওই এলাকায় পানিসংকটে থাকা লোকের সংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৬০ লাখ। ২০০৮ সালে সেই সংখ্যা সাড়ে ১৫ কোটিতে এসে দাঁড়িয়েছে।
বান কি মুন বলেন, পানির অভাবে এই বিপুলসংখ্যক মানুষের মৃত্যুর বিষয়টি মানবতার জন্য চরম অপমানজনক। যেসব উন্নত দেশ আফ্রিকাবাসীর উন্নয়নের জন্য কাজ করছে, তাদের সেই প্রচেষ্টাও এতে খর্ব হয়।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, বিশুদ্ধ পানির অভাব একটি গুরুতর সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। বিশুদ্ধ পানির সরবরাহের ওপর বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা নির্ভর করছে। এটা মানবিক ও জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়। হিলারি বলেন, বিশুদ্ধ পানির অভাব যেভাবে দিন দিন বাড়ছে, তাতে নিকট-ভবিষ্যতে পানিসম্পদ ব্যবহারের সফলতার ওপর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নির্ভরশীল হয়ে পড়বে।
বান কি মুন তাঁর বাণীতে বলেন, ‘বিশ্বের প্রাকৃতিক পানিচক্রের মধ্যে আমরা প্রতিবছর লাখ লাখ টন শিল্পবর্জ্য, রাসায়নিক দ্রব্য ও কৃষিবর্জ্য ফেলছি। এমনিতেই জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশুদ্ধ পানির পরিমাণ কমে এসেছে। তার ওপর কৃত্রিমভাবে পানিদূষণ অব্যাহত থাকলে তা সবাইকে বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলে দেবে।’
বান কি মুন বলেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
ইউনিসেফ জানিয়েছে, আফ্রিকার মোট ৫০টি দেশের মধ্যে মাত্র ছয়টি দেশ খাবার পানির চাহিদা পূরণে সক্ষম।
হিলারি ক্লিনটন বলেন, পূর্ব আফ্রিকার ১০টি দেশ যে নীল নদের ওপর নির্ভরশীল, সেই নীল নদের পানিও কৃত্রিম বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে। এখনই বিশুদ্ধ পানিসম্পদ রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
No comments