আঞ্চলিক নির্বাচনে দলের ভরাডুবির পর মন্ত্রিসভায় রদবদল করেছেন সারকোজি
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি গত সোমবার তাঁর সরকারের এক মন্ত্রীকে বরখাস্ত এবং মন্ত্রিপরিষদে রদবদল করেছেন। গত রোববার ফ্রান্সের আঞ্চলিক নির্বাচনে বামপন্থীদের কাছে পরাজয়ের পর সারকোজি এ সিদ্ধান্ত নিলেন। তবে গতকাল মঙ্গলবার থেকে বিভিন্ন শহরে ধর্মঘট শুরু হওয়ায় এখনো চাপের মধ্যে রয়েছেন সারকোজি। এদিকে ফ্রান্সে বেকারত্ব ও জীবনযাত্রার খরচ বৃদ্ধি, মজুরি হ্রাস এবং অবসরভাতা সংস্কারের পরিকল্পনার প্রতিবাদে ফ্রান্সের ডজনখানেক শহরে গতকাল ধর্মঘট পালিত হয়। বেকারত্ব ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি এবং পেনশন-ব্যবস্থা পরিবর্তনের দাবিতে এ ধর্মঘট শুরু হয়েছে। খবর এএফপির।
সারকোজি শ্রমমন্ত্রী জ্যাভিয়ার দার্কোসকে বরখাস্ত করেন। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন বাজেটমন্ত্রী এরিক ওয়ের্থ। অন্যদিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাক শিরাকের সময়ের মন্ত্রী ফ্রানকো ব্যারনকে বাজেটমন্ত্রী করা হয়েছে। এ ছাড়া সারকোজি যুবমন্ত্রী ও শ্রম প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নতুন দুজনকে দায়িত্ব দিয়েছেন। ফ্রানকোর নিয়োগের মধ্য দিয়ে সারকোজি তাঁর দলের মধ্য ও ডানপন্থী সদস্যদের শান্ত করলেন।
ফ্রান্সে গত রোববারের আঞ্চলিক নির্বাচনে দ্বিতীয় দফা ভোট নেওয়া হয়। গত সোমবার প্রকাশিত ফলে দেখা যায়, সমাজতান্ত্রিক দল এবং অন্যান্য বামপন্থী দল ৫৪ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পায়। অন্যদিকে সারকোজির ইউনিয়ন ফর এ পপুলার মুভমেন্ট (ইউএমপি) দল পায় ৩৬ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট। ফ্রান্সের মূল ভূখণ্ড ও কোরসিয়ার ২২টি অঞ্চলের মধ্যে মাত্র একটিতে জিততে পারে ইউএমপি। এর আগে গত ১৪ মার্চের প্রথম দফা নির্বাচনে বামপন্থীরা ৫০ শতাংশ ভোট পায়। ইউএমপি মোট ভোটের এক-চতুর্থাংশের কিছু বেশি পায়। সারকোজির দল গত এক দশকের মধ্যে এই প্রথম সবচেয়ে কম ভোট পেল। এতে ২০১২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের আশা করছে বামপন্থীরা।
বিশ্লেষকেরা বলেছেন, বৈশ্বিক মন্দার প্রভাবে ফ্রান্সে অর্থনৈতিক ধস নেমে বেকারত্ব বাড়ায় সারকোজির ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে ফরাসিরা। আঞ্চলিক নির্বাচনে তাদের সেই আস্থাহীনতার প্রতিফলন ঘটেছে।
ফ্রান্সের অর্থনীতির উন্নয়ন এবং মানুষকে কাজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০০৭ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন সারকোজি। কিন্তু গত বছরের অর্থনৈতিক মন্দায় ফ্রান্সে বেকারত্বের হার ১০ শতাংশ বাড়ে, যা এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ।
সারকোজি শ্রমমন্ত্রী জ্যাভিয়ার দার্কোসকে বরখাস্ত করেন। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন বাজেটমন্ত্রী এরিক ওয়ের্থ। অন্যদিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাক শিরাকের সময়ের মন্ত্রী ফ্রানকো ব্যারনকে বাজেটমন্ত্রী করা হয়েছে। এ ছাড়া সারকোজি যুবমন্ত্রী ও শ্রম প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নতুন দুজনকে দায়িত্ব দিয়েছেন। ফ্রানকোর নিয়োগের মধ্য দিয়ে সারকোজি তাঁর দলের মধ্য ও ডানপন্থী সদস্যদের শান্ত করলেন।
ফ্রান্সে গত রোববারের আঞ্চলিক নির্বাচনে দ্বিতীয় দফা ভোট নেওয়া হয়। গত সোমবার প্রকাশিত ফলে দেখা যায়, সমাজতান্ত্রিক দল এবং অন্যান্য বামপন্থী দল ৫৪ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পায়। অন্যদিকে সারকোজির ইউনিয়ন ফর এ পপুলার মুভমেন্ট (ইউএমপি) দল পায় ৩৬ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট। ফ্রান্সের মূল ভূখণ্ড ও কোরসিয়ার ২২টি অঞ্চলের মধ্যে মাত্র একটিতে জিততে পারে ইউএমপি। এর আগে গত ১৪ মার্চের প্রথম দফা নির্বাচনে বামপন্থীরা ৫০ শতাংশ ভোট পায়। ইউএমপি মোট ভোটের এক-চতুর্থাংশের কিছু বেশি পায়। সারকোজির দল গত এক দশকের মধ্যে এই প্রথম সবচেয়ে কম ভোট পেল। এতে ২০১২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের আশা করছে বামপন্থীরা।
বিশ্লেষকেরা বলেছেন, বৈশ্বিক মন্দার প্রভাবে ফ্রান্সে অর্থনৈতিক ধস নেমে বেকারত্ব বাড়ায় সারকোজির ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে ফরাসিরা। আঞ্চলিক নির্বাচনে তাদের সেই আস্থাহীনতার প্রতিফলন ঘটেছে।
ফ্রান্সের অর্থনীতির উন্নয়ন এবং মানুষকে কাজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০০৭ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন সারকোজি। কিন্তু গত বছরের অর্থনৈতিক মন্দায় ফ্রান্সে বেকারত্বের হার ১০ শতাংশ বাড়ে, যা এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ।
No comments