সরকারের বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত -জনমতকে অগ্রাধিকার দিতে হবে
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে গৃহীত দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত এক অর্থে ব্যতিক্রমধর্মী, কারণ এর মাধ্যমে এটা স্পষ্ট হলো যে জনমতের স্বীকৃতি দিতে গিয়ে সরকার তার পূর্বঘোষিত অবস্থান থেকে সরে আসতেও দ্বিধা করে না। ঘড়ির কাঁটা পরিবর্তনের পূর্বসিদ্ধান্ত বাতিল সে রকম একটি তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত। নতুন করে বিদ্যুতের খুঁটি কেনা ও পোঁতা নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তটিও গুরুত্বপূর্ণ। দুর্নীতি ও অপচয় রোধে এ রকম দৃঢ় সিদ্ধান্তের প্রয়োজন ছিল।
বিদ্যুৎ-সাশ্রয়ের জন্য গত বছরের ১৯ জুন ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা এগিয়ে নেওয়া হয়েছিল। পরে একবার সরকার ঘোষণা করে যে ঘড়ির কাঁটা আর পেছানো হবে না, সব সময়ই সেই এক ঘণ্টা এগিয়ে রাখা কৃত্রিম সময় ধরেই চলতে হবে। বিশ্বের কোথাও এ রকম বিধান নেই। দেশের মানুষও এটা মেনে নিতে পারেনি। পরে ১ জানুয়ারি থেকে আবার ঘড়ির কাঁটা পেছানো হয়।
কিন্তু ১ এপ্রিল থেকে আবার ঘড়ির কাঁটা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত মানুষকে বিচলিত করে। ইউরোপ-আমেরিকাসহ অন্য কিছু দেশে ঘড়ির সময় পরিবর্তনের কার্যকারিতা থাকলেও বাংলাদেশের মানুষের জীবনধারার সঙ্গে এ ব্যাপারটা খাপ খায় না। তাই বাস্তবতা বিবেচনায় ঘড়ির কাঁটা আর পরিবর্তন না করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন ছিল। সরকার সেটা করে বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছে। পূর্বঘোষিত একটি অবস্থান থেকে যৌক্তিক কারণে সরে আসার জন্য একটি সরকারের যে খোলা মন থাকা দরকার, তা এই সরকারের আছে, সেটাই বড় কথা। সরকারের যেকোনো সিদ্ধান্ত জনকল্যাণের জন্যই। সেই জনগণ বিভিন্ন পদক্ষেপের ব্যাপারে কী বলছে, তার প্রতি মনোযোগ অনেক সরকারেরই থাকে না। এভাবেই জনপ্রিয় অনেক সরকার শেষ পর্যন্ত জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। মানুষের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা যেকোনো গণতান্ত্রিক সরকারের অপরিহার্য গুণ হওয়া প্রয়োজন।
প্রথম আলোয় গত সোমবার পল্লী বিদ্যুতে অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও অপরিকল্পিত কাজের একটি চিত্র তুলে ধরা হয়। সেখানে দেখানো হয়, নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদনে অগ্রগতি না হওয়া সত্ত্বেও ৫১ হাজার খুঁটি ক্রয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কোনো কোনো জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি পোঁতা হচ্ছে। বিদ্যুতের দেখা নেই অথচ খুঁটির আয়োজন চলছে। বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সময় বিদ্যুতের খুঁটি কেনা ও পোঁতা নিয়ে অনেক কেলেঙ্কারি হয়েছে। ‘খাম্বা-দুর্নীতি’র কথা আরও বহুকাল লোকের মুখে মুখে ফিরবে। এ অবস্থায় বর্তমান সরকারের আমলেও যে নতুন করে খাম্বা প্রকল্প ফিরে আসতে পারে, তা কল্পনাতীত। রাষ্ট্রীয় সম্পদের এই অপচয় রোধ করার জন্য দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন ছিল। প্রথম আলোয় তথ্য প্রকাশের পরদিনই সরকার সেটা করেছে। খুঁটি কেনা বন্ধ করে এ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে প্রশাসন আরও স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হবে।
গণমাধ্যমে সাধারণত জনমতের প্রতিফলন ঘটে। সরকারের কার্যক্রমের ওপর যেমন বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, তেমনি আবার বিশ্লেষণমূলক নিবন্ধ ও অভিমতও তুলে ধরা হয়। এসব মতামতের প্রতি সরকার আরও বেশি মনোযোগী হলে জনগণ যেমন উপকৃত হবে, সরকারের জনপ্রিয়তাও বাড়বে।
বিদ্যুৎ-সাশ্রয়ের জন্য গত বছরের ১৯ জুন ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা এগিয়ে নেওয়া হয়েছিল। পরে একবার সরকার ঘোষণা করে যে ঘড়ির কাঁটা আর পেছানো হবে না, সব সময়ই সেই এক ঘণ্টা এগিয়ে রাখা কৃত্রিম সময় ধরেই চলতে হবে। বিশ্বের কোথাও এ রকম বিধান নেই। দেশের মানুষও এটা মেনে নিতে পারেনি। পরে ১ জানুয়ারি থেকে আবার ঘড়ির কাঁটা পেছানো হয়।
কিন্তু ১ এপ্রিল থেকে আবার ঘড়ির কাঁটা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত মানুষকে বিচলিত করে। ইউরোপ-আমেরিকাসহ অন্য কিছু দেশে ঘড়ির সময় পরিবর্তনের কার্যকারিতা থাকলেও বাংলাদেশের মানুষের জীবনধারার সঙ্গে এ ব্যাপারটা খাপ খায় না। তাই বাস্তবতা বিবেচনায় ঘড়ির কাঁটা আর পরিবর্তন না করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন ছিল। সরকার সেটা করে বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছে। পূর্বঘোষিত একটি অবস্থান থেকে যৌক্তিক কারণে সরে আসার জন্য একটি সরকারের যে খোলা মন থাকা দরকার, তা এই সরকারের আছে, সেটাই বড় কথা। সরকারের যেকোনো সিদ্ধান্ত জনকল্যাণের জন্যই। সেই জনগণ বিভিন্ন পদক্ষেপের ব্যাপারে কী বলছে, তার প্রতি মনোযোগ অনেক সরকারেরই থাকে না। এভাবেই জনপ্রিয় অনেক সরকার শেষ পর্যন্ত জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। মানুষের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা যেকোনো গণতান্ত্রিক সরকারের অপরিহার্য গুণ হওয়া প্রয়োজন।
প্রথম আলোয় গত সোমবার পল্লী বিদ্যুতে অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও অপরিকল্পিত কাজের একটি চিত্র তুলে ধরা হয়। সেখানে দেখানো হয়, নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদনে অগ্রগতি না হওয়া সত্ত্বেও ৫১ হাজার খুঁটি ক্রয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কোনো কোনো জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি পোঁতা হচ্ছে। বিদ্যুতের দেখা নেই অথচ খুঁটির আয়োজন চলছে। বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সময় বিদ্যুতের খুঁটি কেনা ও পোঁতা নিয়ে অনেক কেলেঙ্কারি হয়েছে। ‘খাম্বা-দুর্নীতি’র কথা আরও বহুকাল লোকের মুখে মুখে ফিরবে। এ অবস্থায় বর্তমান সরকারের আমলেও যে নতুন করে খাম্বা প্রকল্প ফিরে আসতে পারে, তা কল্পনাতীত। রাষ্ট্রীয় সম্পদের এই অপচয় রোধ করার জন্য দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন ছিল। প্রথম আলোয় তথ্য প্রকাশের পরদিনই সরকার সেটা করেছে। খুঁটি কেনা বন্ধ করে এ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে প্রশাসন আরও স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হবে।
গণমাধ্যমে সাধারণত জনমতের প্রতিফলন ঘটে। সরকারের কার্যক্রমের ওপর যেমন বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, তেমনি আবার বিশ্লেষণমূলক নিবন্ধ ও অভিমতও তুলে ধরা হয়। এসব মতামতের প্রতি সরকার আরও বেশি মনোযোগী হলে জনগণ যেমন উপকৃত হবে, সরকারের জনপ্রিয়তাও বাড়বে।
No comments