বাংলাদেশকে জেনেই এসেছিল ইংল্যান্ড
২১ ফেব্রুয়ারি রাতে বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখেছিল ইংল্যান্ড। তার পর থেকে গত এক মাসে ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়-কোচ সবার মুখ থেকে একটা কথাই বারবার শোনা গেছে, ‘আমরা জানতাম কী ধরনের পরিবেশ আর উইকেট আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। সেই অনুযায়ীই প্রস্তুতি নিয়েছি, আমাদের প্রস্তুতিটা খুব ভালো হয়েছে।’ তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচটি ছাড়া এখনো পর্যন্ত শেষ হওয়া দুটো প্রস্তুতি ওয়ানডে, তিনটি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ও একটি টেস্টে জিতেছে ইংল্যান্ড। বাংলাদেশ আজ খুব ভালো খেললে দ্বিতীয় টেস্টে হয়তো ড্র সম্ভব, কিন্তু সফরের শেষ দিনে এসেও ইংল্যান্ডের জয়টাকেই মনে হচ্ছে সবচেয়ে সম্ভাব্য ফল। প্রস্তুতিটা যে খুব ভালো নিয়েছিল, ইংলিশদের সেটা এখন আর মুখে না বললেও চলবে।
অনেকে বলতে পারেন, বাংলাদেশের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের তো জেতারই কথা। র্যাঙ্কিং-পারফরম্যান্স সবকিছু বিবেচনায় নিলে হয়তো ঠিক। আবার কন্ডিশন, ইংল্যান্ডের ভাঙাচোরা দল সব মিলিয়ে পুরো সিরিজে অন্তত একটা জয়ের বাসনা বাংলাদেশ দলের কিন্তু প্রকাশ্যই ছিল। শেষ পর্যন্ত ইচ্ছেটা ইচ্ছেই থেকে গেল, বাস্তবে অনূদিত হলো না!
পা হড়কানোর একটা সম্ভাবনা যে আছে, এটা হয়তো বুঝতে পেরেছিল ইংল্যান্ডও। ঢাকা টেস্ট শুরুর এক দিন আগে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ভিআইপি স্ট্যান্ডে বসে কেভিন পিটারসেন বলেছিলেন, ‘একমাত্র টেস্ট দল হিসেবে বাংলাদেশের বিপক্ষে না হারার গর্বিত রেকর্ড আছে আমাদের, আমরা চাই না গর্বটা হাতছাড়া হোক।’ বাংলাদেশের কাছে না হেরে ইংলিশরা গর্ব করছে, বাংলাদেশিদের সেটা শুনে খারাপ লাগার কথা নয়। আবার এটাও বোঝা গেছে, সফরটাকে কতটা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছিল ইংল্যান্ড। এই সফরের আগে দুবাইয়ে প্রায় একই রকম কন্ডিশনে পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে যে ইংল্যান্ড লায়নস খেলেছে, সেই দলে ছিলেন এই দলের ইয়ান বেল, মাইকেল কারবেরি, জেমস ট্রেডওয়েল, স্টিভ ফিন, আজমল শেহজাদ, স্টিভ ডেভিসরা। প্রতি ম্যাচে পাকিস্তান ‘এ’ দলের চারজন স্পিনারকে খেলা যে কতটা সাহায্য করেছে, এটা তো পরশু দিন শেষের সংবাদ সম্মেলনে অকপটে বলেছেন বেল।
বাংলাদেশে এসেও ওয়ানডে সিরিজের আগে দুটো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে ইংল্যান্ড। আর কোনো দল বাংলাদেশে ওয়ানডে সিরিজের আগে দুটো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছে কি না কে জানে, পেলেও যে সংখ্যাটা হাতে গুনে বলা যাবে এটা নিশ্চিত। দুবাইয়ে ভালো করেই তো ওয়ানডে দলে সুযোগ পেয়েছিলেন ক্রেইগ কিসওয়েটার, এখানে এসে প্রস্তুতি ম্যাচে করলেন ১৪৪। এরপর ওয়ানডে সিরিজেও যে সেঞ্চুরি পেয়ে গেলেন, এতে আর অবাক হওয়ার কিছু নেই। দুটো প্রস্তুতি ওয়ানডের সুযোগটাকে অবশ্য খুব বেশি কিছু মনে হয়নি চট্টগ্রাম টেস্টের আগে বিসিবি একই ভেন্যুতে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচটি রাখার পর।
ক্রিকেট তার সমস্ত অনিশ্চয়তা নিয়ে হাজির না হলে এই ম্যাচে বাংলাদেশের জয় চলে গেছে অনেক দূরে। খুব ভালো করলে ড্র, না হলে ইংল্যান্ডের জয়টাই সবচেয়ে বেশি সম্ভব। এত কিছুর পরও ইংল্যান্ডের সব ম্যাচ না জেতাটাই হতো বিস্ময়ের।
অনেকে বলতে পারেন, বাংলাদেশের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের তো জেতারই কথা। র্যাঙ্কিং-পারফরম্যান্স সবকিছু বিবেচনায় নিলে হয়তো ঠিক। আবার কন্ডিশন, ইংল্যান্ডের ভাঙাচোরা দল সব মিলিয়ে পুরো সিরিজে অন্তত একটা জয়ের বাসনা বাংলাদেশ দলের কিন্তু প্রকাশ্যই ছিল। শেষ পর্যন্ত ইচ্ছেটা ইচ্ছেই থেকে গেল, বাস্তবে অনূদিত হলো না!
পা হড়কানোর একটা সম্ভাবনা যে আছে, এটা হয়তো বুঝতে পেরেছিল ইংল্যান্ডও। ঢাকা টেস্ট শুরুর এক দিন আগে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ভিআইপি স্ট্যান্ডে বসে কেভিন পিটারসেন বলেছিলেন, ‘একমাত্র টেস্ট দল হিসেবে বাংলাদেশের বিপক্ষে না হারার গর্বিত রেকর্ড আছে আমাদের, আমরা চাই না গর্বটা হাতছাড়া হোক।’ বাংলাদেশের কাছে না হেরে ইংলিশরা গর্ব করছে, বাংলাদেশিদের সেটা শুনে খারাপ লাগার কথা নয়। আবার এটাও বোঝা গেছে, সফরটাকে কতটা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছিল ইংল্যান্ড। এই সফরের আগে দুবাইয়ে প্রায় একই রকম কন্ডিশনে পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে যে ইংল্যান্ড লায়নস খেলেছে, সেই দলে ছিলেন এই দলের ইয়ান বেল, মাইকেল কারবেরি, জেমস ট্রেডওয়েল, স্টিভ ফিন, আজমল শেহজাদ, স্টিভ ডেভিসরা। প্রতি ম্যাচে পাকিস্তান ‘এ’ দলের চারজন স্পিনারকে খেলা যে কতটা সাহায্য করেছে, এটা তো পরশু দিন শেষের সংবাদ সম্মেলনে অকপটে বলেছেন বেল।
বাংলাদেশে এসেও ওয়ানডে সিরিজের আগে দুটো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে ইংল্যান্ড। আর কোনো দল বাংলাদেশে ওয়ানডে সিরিজের আগে দুটো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছে কি না কে জানে, পেলেও যে সংখ্যাটা হাতে গুনে বলা যাবে এটা নিশ্চিত। দুবাইয়ে ভালো করেই তো ওয়ানডে দলে সুযোগ পেয়েছিলেন ক্রেইগ কিসওয়েটার, এখানে এসে প্রস্তুতি ম্যাচে করলেন ১৪৪। এরপর ওয়ানডে সিরিজেও যে সেঞ্চুরি পেয়ে গেলেন, এতে আর অবাক হওয়ার কিছু নেই। দুটো প্রস্তুতি ওয়ানডের সুযোগটাকে অবশ্য খুব বেশি কিছু মনে হয়নি চট্টগ্রাম টেস্টের আগে বিসিবি একই ভেন্যুতে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচটি রাখার পর।
ক্রিকেট তার সমস্ত অনিশ্চয়তা নিয়ে হাজির না হলে এই ম্যাচে বাংলাদেশের জয় চলে গেছে অনেক দূরে। খুব ভালো করলে ড্র, না হলে ইংল্যান্ডের জয়টাই সবচেয়ে বেশি সম্ভব। এত কিছুর পরও ইংল্যান্ডের সব ম্যাচ না জেতাটাই হতো বিস্ময়ের।
No comments